× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার
শীতে কাবু ঢাকাসহ সারাদেশ

শীতে কাবু ঢাকাসহ সারাদেশ


কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশায় ঢাকার ব্যস্ততা থমকে গেছে, শহর যেন শীতের সঙ্গে এক নিঃশব্দ লড়াইয়ে নেমেছে। রাতের ঠান্ডা বাতাস আর ভোরের ঘন কুয়াশা মিলিয়ে দিনের বড় একটা সময়ই কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। সকালবেলায় দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়কে যান চলাচল ধীরগতির হয়ে পড়ছে। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবীরা শীতের সঙ্গে কুয়াশাজনিত ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক ও পথচারীদের কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ।আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল, হাওর এলাকা ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি হতে পারে। এতে দরিদ্র ও খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষের জন্য ঝুঁকি আরও বাড়বে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শীতজনিত ঝুঁকি এড়াতে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। শীতে পর্যাপ্ত গরম কাপড় ব্যবহার, ভোরে অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়া এবং গরম খাবার গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা জ্বর দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেকেই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে কাঁপতে কাঁপতে কাজে বের হচ্ছেন।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে, ফলে শীতজনিত ভোগান্তিও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রিকশাচালক সালাম মিয়া বলেন, ‘এই শীত আমাদের জন্য সবচেয়ে কষ্টের সময়। ভোরে ঘুম থেকে উঠে রিকশা নিয়ে বের হতে মন চায় না, কিন্তু না বের হলে সংসার চলে না। হাত-পা এত ঠান্ডা হয়ে যায় যে রিকশার হ্যান্ডেল ঠিকমতো ধরতেই কষ্ট হয়। যাত্রীও আগের চেয়ে কম। মানুষ ঠান্ডায় বের হতে চায় না, অনেক সময় ফাঁকা রিকশা নিয়ে বসে থাকতে হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘দুপুরের দিকে একটু রোদ উঠলে স্বস্তি পাই, কিন্তু বিকেল নামলেই আবার ঠান্ডা বাড়ে। গরম কাপড় বলতে একটা পুরোনো জ্যাকেট আর পাতলা কম্বল, এগুলো দিয়ে পুরো শীত পার করা কঠিন। রাতে বাসায় ফিরেও ঠিকমতো ঘুম হয় না। শীতে শরীর ব্যথা করে, জ্বর-কাশি লেগেই থাকে। সরকারের বা সমাজের কেউ যদি আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করত, তাহলে অনেক উপকার হতো। শীত শুধু ঠান্ডা না, আমাদের জন্য এটা টিকে থাকার লড়াই।’ মিরপুর এলাকায় ফুটপাতে বাসবাস করেন বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম।তিনি বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে, এই শীত শরীর আর সইতে পারে না। ফুটপাতে থাকি বলে ঠান্ডা সরাসরি গায়ে লাগে। রাতে ঘুমাতে গেলে মনে হয় হাড় ভেঙে যাবে। একটা পুরোনো শাল (চাদর) আছে, সেটাও পুরো শরীর ঢাকে না। অনেক সময় কুয়াশার মধ্যে সারারাত জেগে কাটে। আশপাশে গাড়ির শব্দ, ঠান্ডা বাতাস-সব মিলিয়ে খুব ভয় লাগে।’তিনি আরও বলেন, ‘অসুস্থ হলে দেখার কেউ নেই। শীতে জ্বর-কাশি বাড়ে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মানুষ মাঝে মাঝে খাবার দেয়, কিন্তু গরম কাপড় খুব কমই পাওয়া যায়। এই বয়সে সবচেয়ে বেশি দরকার একটু উষ্ণতা আর নিরাপত্তা। যদি রাতে থাকার মতো কোনো আশ্রয় থাকত, তাহলে এত কষ্ট হতো না। শীত আসলেই আমাদের কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়।’পোশাকশ্রমিক সায়মা বলেন, ‘শীত মানেই আমাদের কাজের চাপের সঙ্গে কষ্টও বাড়ে। সকালে খুব ভোরে বাসা থেকে বের হতে হয়। কুয়াশা আর ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করা সবচেয়ে কঠিন। বাসে ভিড় বেশি থাকে, জানালা খোলা থাকলে ঠান্ডা আরও লাগে। কারখানার ভেতরেও অনেক সময় গরমের ব্যবস্থা ঠিক থাকে না। কাজ করতে করতে হাত শক্ত হয়ে যায়।’তিনি আরও বলেন, ‘শীতের কাপড় থাকলেও সারাদিন কাজ করলে শরীর গরম থাকে না। শীতে অসুস্থ হলে ছুটি নেওয়া কঠিন, কারণ ছুটি মানেই মজুরি কাটা। অনেক সহকর্মী জ্বর-কাশি নিয়ে কাজ করছে। এই সময় যদি কারখানাগুলো গরম পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ আর শীতের উপযোগী ব্যবস্থা করত, তাহলে শ্রমিকদের কষ্ট কমত। শীত শুধু আবহাওয়ার বিষয় না, এটা আমাদের জীবনের বাস্তব লড়াই।’আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে হাওর-অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া উত্তরের জেলা সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১ দশমিক ৩, কুমিল্লা ও যশোরে ১১ দশমিক ৫, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও নীলফামারীর ডিমলায় ১২, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও নওগাঁর বদলগাছীতে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা নগরবাসীর জন্যও তীব্র শীতের অনুভূতি তৈরি করেছে।ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দেশের অনেক এলাকায় সকালবেলায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। নৌপথে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল ধীর হয়ে পড়েছে, কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে বন্ধও রাখা হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলোতেও কুয়াশার কারণে ফ্লাইট শিডিউলে বিঘ্ন দেখা দিচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে, তাই চালকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।শীতের এই তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ফুটপাত, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও খোলা জায়গায় বসবাসকারী ছিন্নমূল মানুষদের জন্য শীত এখন বড় এক সংকট। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত রোগ—সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন।আবহাওয়া অধিদপ্তর শৈত্যপ্রবাহের সংজ্ঞা অনুযায়ী জানিয়েছে, বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। বর্তমানে দেশের কিছু অংশে মৃদু থেকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে রাতের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমলে পরিস্থিতি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার দাপট বেশি থাকছে। নদী অববাহিকা ও নিম্নাঞ্চলে কুয়াশার ঘনত্ব তুলনামূলক বেশি, যার প্রভাব পড়ছে নৌযানে চলাচলে।আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার সই করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা খুব একটা বদলাবে না। বুধবার বছরের শেষ দিনে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে।এদিকে নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কুয়াশা পুরোপুরি কাটতে সময় লাগতে পারে। বিআইডব্লিউটিএ ও হাইওয়ে পুলিশ কুয়াশার মধ্যে চলাচলের সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে শীতবস্ত্র বিতরণ ও শীতকালীন প্রস্তুতি জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে।আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীতের ধরন বদলে যাচ্ছে। কখনো স্বল্প সময়ের মধ্যে তীব্র ঠান্ডা, আবার কখনো দীর্ঘ সময় ধরে কুয়াশাচ্ছন্ন ও শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা জরুরি। শীতের এই হাড়কাঁপানো সময়ে জনজীবনকে স্বাভাবিক রাখতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ

৬ ঘন্টা আগে

নির্বাচনী জোয়ারে মুখরিত দেশ

নির্বাচনী জোয়ারে মুখরিত দেশ


আর মাত্র ৪৩ দিন পরই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে অংশ  নেওয়ার জন্য গতকালই ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার দেওয়ার শেষ দিন। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, মনোনয়ন দাখিলের মধ্যদিয়ে দেশজুড়ে এখন নির্বাচনের আমেজ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচনী জোয়ারে মুখরিত গোটাদেশ-এমনটাই বলছেন রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের মানুষ যে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল, সেই অধিকার ফিরে পেতে ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচনের দিনটির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনটি হবে দেশে গণতন্ত্রণ উত্তোরণের দিন। একটি ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসেছিল। যার মাধ্যমে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে নিয়েছিল। জনগণের ইচ্ছায়, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যখন একটি জবাবদিহি সরকার গঠন হবে তখন দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে- এমনটাই মনে করছেন তারা। সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতিহাসের একটি সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজেই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই দিনরাত কাজ করছেন বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি সবার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ ভোট প্রত্যাশা করছেন রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত প্রার্থীরা।এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সকল ধর্মের মানুষদের নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই।তিনি বলেন, অনেকেই বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা অতীতেও কোন বিভেদ করিনি, সামনেও করবো না।তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত গত ১৫ বছরে বিভাজনের রাজনীতি করা হয়েছে। বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা সেই জায়গা থেকে উঠে আসতে চাই। ন্যায়ের সাথে সামনে আমাদের কাজ করতে হবে।মহাসচিব বলেন, আমরা ২৪ এর আন্দোলনে অনেক তাজা প্রাণ হারিয়েছি। এই যে এত যুদ্ধ শুধুমাত্র একটি সুন্দর সমাজের জন্য। দুর্নীতিকে বাদ দিয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই।তিনি আরো বলেন, নিজের ধর্মের প্রতি যেমন আমরা আনুগত্য প্রকাশ করি। ঠিক একইভাবে অন্যের ধর্মের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে সত্যিকার অর্থে উদারপন্থী একটি গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা করার। যেখানে নারী-পুরুষ সকলের সমমর্যাদা থাকবে। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলে মিলে যেন আমরা সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারি।এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের মানুষ যে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল সেই অধিকার ফিরে পেতে ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচনের দিনটির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি নির্বাচনটি হবে দেশে গণতন্ত্রণ উত্তোরণের দিন।মঈন খান বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসেছিল। যার মাধ্যমে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে নিয়েছিল।তিনি বলেন, বিএনপি একটি উদার রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি সবসময় মানুষের অধিকারে বিশ্বাসি। জনগণের ইচ্ছায়, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যখন একটি জবাবদিহি সরকার গঠন হবে তখন দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র রক্ষা এবং ভোটের অধিকার স্থায়ী করতে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য শুধু দোয়া নয়, আপনারা দয়া করে আমার জন্য এবং আপনাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও এদেশে ভোটের অধিকার পারমানেন্টলি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন, আপনারাও জয়যুক্ত হবেন।নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আজকে আপনাদের অনুমতি নিয়েই আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করবো। যেহেতু কুমিল্লার মধ্যে আমার আসনটির নাম্বার এক, আমার বিশ্বাস আগামী নির্বাচনে আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় ভোটের মাধ্যমে কুমিল্লা-১ এ যদি আমাকে এক নাম্বার করতে পারেন, আমার বিশ্বাস আমাকে হয়তো আপনাদের কাছে আল্লাহতালা এবং আমার দল দেশের একনাম্বার করে পাঠাবেন ইনশাআল্লাহ। এবারের নির্বাচন কিন্তু শুধু ভোটের ভোট দিচ্ছি না, দেশের পরিবর্তনের জন্য বিশাল ভূমিকা এই নির্বাচনে আমাদেরকে রাখতে হবে।ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে পাওয়ার দিকে যাচ্ছি। এটার জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে, এটা বৃথা যেতে দিতে পারি না। এখান থেকে যদি কোনো ব্যতয় ঘটে, তাহলে তাদের প্রতি অন্যায়-অবিচার করা হবে। সুতরাং সবাইকে জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে। তাদের ওপর আস্থা রেখে তাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে আগামীর বাংলাদেশ চলতে হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তার নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার করবে, যে সরকার ও সংসদ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্য আমীর খসরু বলেন, অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে, দ্বিমত পোষণ করলেও তার মতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে হবে।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট গঠন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, সবার একটা অধিকার আছে, একটা কৌশল আছে-তারা কীভাবে নির্বাচনে যাবে। সুতরাং, এটা সকলের অধিকার এটাকে আমরা স্বাগত জানায়। বাংলাদেশের মানুষ দিনের শেষে সিদ্ধান্ত নেবে-কাদের মাধ্যমে বিগত দিনে এ দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।তিনি বলেন, এবার সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় জনগণ। দীর্ঘদিন পর ভোট দেওয়ার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে আছে। আমরা সারা দেশের আসন নিয়ে খুব আশাবাদী। জনগণ যদি ঠিকমতো ভোট দিতে পারে তাহলে হবিগঞ্জ-১ আসনেও আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, এবার দীর্ঘদিন পর মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে। ইনশাআল্লাহ বিএনপি এবার সরকার গঠন করবে। প্রশাসন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এবারের নির্বাচন সম্পন্ন করবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রার্থী ও তাদের এজেন্টরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ প্রত্যাশা করছেন তিনি।ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শেষ দিনে আমরা আমিরের পক্ষ থেকে উনার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন যাতে উপহার পারি, সেই প্রত্যাশা করছি।তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই মিলে যাতে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে পারি তার প্রত্যাশা করছি। এটা নিয়ে আরও কাজ করার আছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে কাজ করবে। ঢাকা-১৩ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারি মুরাদ হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, যথাসময় নির্বাচন হবে। কিন্তু সারা বাংলাদেশের জনগণই নিরাপত্তার হুমকিতে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমরা যারা প্রার্থী রয়েছি, তারাও এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আশা করব, সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অতি দ্রুত আমাদের সামনে দৃশ্যমান করবেন এবং মানুষের নিরাপত্তাও তারা নিশ্চিত করবেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।এ সময় নেতাকর্মী ও বিশেষ করে নারী কর্মীদের অবর্ণনীয় ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।এ সময় তিনি বলেন, একটি ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। ফ্যাসিবাদের কারণে দীর্ঘ ১৭ বছরে আমাদের মানবিক অধিকার বঞ্চিত হয়েছে, গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হয়েছে সে জায়গা থেকে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি, একই সঙ্গে ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে সেটি যেন সর্বজনীনতা পায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ

৬ ঘন্টা আগে

জামায়াত-এনসিপি জোট, সঙ্গী এলডিপি

জামায়াত-এনসিপি জোট, সঙ্গী এলডিপি


হিসেব-নিকাশ ও দৌড়ঝাপ শেষে জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন কয়েকটি ইসলামী দল ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতা হয়েছে। তবে এই জোটের সঙ্গী হয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও(এলডিপি)। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করতে গিয়ে বড় ধরনের হোঁচটে এনসিপি। দলটির সঙ্গে এনসিপির সমঝোতায় আপত্তি জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে দলের কেন্দ্রীয় ৩০ নেতার চিঠি।এনসিপির সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এনসিপির মধ্যে তোলপাড় চলছে। দলটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ইতোমধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিেিত বড় ধরনের ভাঙন মুখে রয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা দল থেকে পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট করলেই পদত্যাগের হিড়িক পড়বে। এনসিপির বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, জামায়াতের সঙ্গে জোটের সংবাদের পরপরই দলটির মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়। গত দুই দিন থেকেই এ বিদ্রোহের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।জানা যায়, এনসিপিকে ৩০টি আসন ছেড়ে দিচ্ছে জামায়াত। নতুন এ দলটি আসন চেয়েছিল ৫৬টি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে জামায়াতের নেতৃত্বে আন্দোলনরত আট দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশ যে সংকটময় সময় পার করছে, সেই বাস্তবতা থেকে প্রিয় বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে শোষণ-বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়েই আটটি দল দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আরও দুটি দল বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের নেতৃত্বাধীন এলডিপি এবং এনসিপি-এই জোটে সম্পৃক্ত হয়েছে।জামায়াত আমির বলেন, ৩০০ আসনেই নির্বাচনি সমঝোতা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং প্রায় সব আসনে সমঝোতা চূড়ান্ত। শেষ পর্যায়ে যুক্ত হওয়া দুই দলের কারণে কিছু কারিগরি বিষয় রয়ে গেছে, যা মনোনয়ন দাখিলের পর পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল অলি আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ডা. আহমদ আব্দুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, নেজামে ইসলাম পার্টি বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ, ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েব আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ। বিএনপির সঙ্গে থাকা ১২ দলীয় জোট শেষ পর্যন্ত আসন পায়নি। এই জোটের দুই দল বিএলডিপি এবং জাতীয় দল বিএনপিতে বিলুপ্ত হয়েছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অনিবন্ধিত অংশ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। বাকি ৯টি দল এখন জামায়াতে ভিড়েছে।এদিকে, এনসিপি যখন জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে-তখনই দলটির একটি বড় অংশের নেতারা ভুল পথে হাঁটছে-এমনটা উল্লেখ করে দলটি একাধীক নেতা বলেন, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্ট ইস্যূতে ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরার তালা ফুটবল মাঠে ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে তোমাদের আরো বহুদূর যেতে হবে। জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না।পক্ষান্তরে ২৮ অক্টোবর দলটির বিভাগীয় প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে রাজশাহী পর্যটন মোটেল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কারের বিপক্ষে কেউ দাঁড়ায় বা ইতিহাসে দায়ভার রয়েছে, এমন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপির জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, এ রকম কোনও শক্তির সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বার ভাবতে হবে। আমরা একটা নতুন রাজনৈতিক শক্তি। জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে এবং আমরাও নিজেদের স্বাতন্ত্র্য নিয়ে দাঁড়াতে চাই।জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতায় আপত্তি জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে দলের কেন্দ্রীয় ৩০ নেতার চিঠি। চিঠিতে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে এনসিপির রাজনৈতিক জোট বা আসন সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে চরম আপত্তি জানানো হয়।  শনিবার সন্ধ্যায় দলের যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এনসিপির কেন্দ্রীয় ৩০ নেতা গুরুত্বপূর্ণ এই নীতিগত বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে নেতারা তাদের আপত্তির ভিত্তি হিসাবে এনসিপির ঘোষিত আদর্শ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কিত ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা এবং গণতান্ত্রিক নৈতিকতার কথা তুলে ধরেন।চিঠিতে নাহিদকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এক বছর ধরে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের বিভাজনমূলক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, অন্যান্য দলের ভেতরে গুপ্তচরবৃত্তি ও স্যাবোটাজ, এনসিপির ওপর বিভিন্ন অপকর্মের দায় চাপানোর অপচেষ্টা, ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) এবং পরে ছাত্রশক্তি বিষয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার, তাদের অনলাইন ফোর্সের মাধ্যমে এনসিপি ও দলটির ছাত্র সংগঠনের নারী সদস্যদের চরিত্র হননের চেষ্টা এবং সর্বোপরি; ধর্মকে কেন্দ্র করে সামাজিক ফ্যাসিবাদের উত্থানের আশঙ্কা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত হয়ে উঠেছে।চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ইতিহাস, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা, গণহত্যায় সহযোগিতা এবং সে সময় সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ প্রশ্নে তাদের অবস্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও আমাদের দলের মূল্যবোধের সঙ্গে মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো ধরনের জোট এনসিপির নৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করবে বলে চিঠিতে নেতারা উল্লেখ করেন। ৩০ নেতা বলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।চিঠিতে নেতারা আরও বলেন, এর আগে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একাধিকবার ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। ১ হাজার ৮০০ মনোনয়নপত্র বিক্রি করে ১২৫ জন প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। এখন অল্প কিছু আসনের জন্য কোনো জোটে যাওয়া জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে তারা মনে করছেন।চিঠিতে এনসিপির নেতারা আরও বলেছেন, আমরা অত্যন্ত আশঙ্কার সঙ্গে লক্ষ করেছি, যখনই এই জোটের সম্ভাবনার খবর গণমাধ্যমের মাধ্যমে সামনে এসেছে, এর পরপরই আমাদের সমর্থনে থাকা কর্মী-সংগঠকসহ একটা বড়সংখ্যক মানুষ আমাদের দলের প্রতি তাদের সমর্থন সরিয়ে নিতে উদ্যত হয়েছেন। যদি আমাদের সমর্থন করা মধ্যপন্থি এবং নতুন রাজনীতি প্রত্যাশা করা মানুষরা সমর্থন সরিয়ে নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে পার্টির মধ্যপন্থি সমর্থক ভিত্তি হারাব।জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক জোটে না যাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, নীতিগত অবস্থানের ভিত্তিতে কৌশল নির্ধারিত হওয়া উচিত, কৌশলগত কারণে নীতিগত অবস্থান বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মো. মুরসালীন, সংগঠক রফিকুল ইসলাম আইনী প্রমুখ।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, তারুণ্যের রাজনীতির কবর রচিত হতে যাচ্ছে। এনসিপি অবশেষে জামায়াতের সঙ্গেই সরাসরি জোট বাঁধছে। সারা দেশে মানুষের, নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে গুটিকয়েক নেতার স্বার্থ হাসিল করতেই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আর এর মধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এদিকে ফেসবুক পোস্টে জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে নির্বাচনি জোট হওয়ার আভাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ। তিনি লেখেন, ৩০ আসনে এনসিপি জামায়াতের সঙ্গে জোটে গেলে ব্যাপারটা ‘আত্মঘাতী’ হবে।এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন এ প্রসঙ্গে জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বলেন, এই জিনিস হজম করে মরতেও পারব না আমি। আমার নেতা হবে মাজাওয়ালা, জুলাই রাজনীতির ধারক। কিন্তু পুরো জুলাইকে নিয়ে রাজনৈতিক কৌশলের নাম করে তুলে দিচ্ছে জামায়াতের হাতে। আবার নাকি বাউন্স ব্যাক করবে, হাস্যকর। বিএনপি, এই জামায়াতের সঙ্গে জোট করে ১৭ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে ছিল। আর বিএনপির অধীনে জামায়াতের সঙ্গে জোট হয়েছিল, জামায়াতের অধীনে না। যেখানে এনসিপিকে বলাই হয় জামায়াতের আরেকটা দোকান, তাহলে কেন এনসিপি আগে নিজের স্বকীয়তা, নিজের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াতকে বেছে নিতে মরিয়া হয়ে যাচ্ছে? তিনজন মন্ত্রী ছিল না ক্ষমতায়? পারে নাই তো।এ প্রসঙ্গে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট বা আসন নিয়ে সমঝোতা করলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে।নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে সামান্তা শারমিন লিখেছেন, জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক মিত্র নয়। তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সহযোগিতা বা সমঝোতা এনসিপির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতের জুলাইয়ের স্পিরিট বা বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পনায় একমত দলগুলোই জোটে আসতে পারে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন জামায়াতের নেতারা। তার ভাষ্যে, এনসিপির রাষ্ট্রকল্প, রাজনৈতিক দর্শন ও মূলনীতি জামায়াত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন তথা সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার ভিত্তিতে গড়ে উঠা দল হিসেবে এই তিনটি বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান ছাড়া রাজনৈতিক মিত্রতা সম্ভব নয়।তিনি আরও লেখেন, পিআর আওয়াজ তুলে সংসদীয় সংস্কার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল জামায়াত। ফলে আহ্বায়ক পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন, সংস্কারের পক্ষে নয় এমন দলের সঙ্গে জোট সম্ভব নয়। এ কারণেই জুলাই পদযাত্রার পর ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং সারাদেশ থেকে প্রার্থী আহ্বান করা হয়।সামান্তা শারমিন দাবি করেন, জামায়াতের সঙ্গে জোটের সমালোচনা করা মানেই বিএনপির পক্ষে অবস্থান নয়। বরং এনসিপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রকাশিত রাজনৈতিক অবস্থানকেই তিনি সঠিক মনে করেন। তার মতে, বিএনপি বা জামায়াত যেকোনো পক্ষের সঙ্গেই জোট করা হলে তা এনসিপির নীতিগত অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার শামিল হবে।জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা কেন, ব্যাখ্যা দিলেন এনসিপির আখতার হোসেন: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্ভাব্য জোট বা নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে যখন দলটির ভেতর-বাইরে তীব্র সমালোচনা চলছে, তখন সেই বিতর্কে ব্যাখ্যা তুলে ধরলেন এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন।পোস্টে তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গেই অন্য দলগুলোর মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হতো। সেখানে সংস্কারের পয়েন্টগুলোতে ন্যাচারালি (স্বাভাবিকভাবেই) এনসিপি, জামায়াত এবং অন্য দলগুলো একমত হয়েছে।তিনি বলেন, দেশটাকে নতুন করে গড়া, নতুনভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে গড়ে তোলার জন্য যে রাজনীতি, সে রাজনীতির প্রতি যে কমিটমেন্ট সেটাকেই নির্বাচনী রাজনীতিতে জোটের বা সমঝোতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রধানতম বিবেচ্য বিষয় হিসেবে এটাকে মূল্যায়ন করছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ      

১ দিন আগে

তারেক রহমানের ব্যস্ততম দিন

তারেক রহমানের ব্যস্ততম দিন


দেশে ফেরার তৃতীয় দিন কর্মময় ব্যস্তদিন কাটালেন বাংলাদেশের আগামীর রাষ্ট্রনায়ক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল কর্মসূচির সময় অনুযায়ী বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা এবং প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমানের বাবা, সাবেক নৌ-বাহিনী প্রধান, সাবেক কৃষি ও যোগাযোগমন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মরহুম মাহবুব আলী খানের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কবর জিয়ারত করেন তিনি।এসময় সবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় তিনি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাত করেন। পাশাপাশি ১৭ বছর পর দেশে ফিরে ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তারেক রহমান। অর্থাৎ ভোটার হলেন তিনি।ওসমান হাদির ও কাজী নজরুল ইসলামের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন  গতকাল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তারেক রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবরে কাছে পৌঁছান। প্রথমে ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর মোনাজাত করেন। পরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরে ফুল দেন ও মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত পরিচালনা করেন শরিফ ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। তবে পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কথা থাকলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত না থাকায় যান নি তারেক রহমান।ভোটার হলেন তারেক রহমান ও তার কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ভোটার হওয়ার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন বিষয়ে আজ সভা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুপুর ১টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের পেছনে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে যান তারেক রহমান। ওই ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে প্রবাসী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এনআইডি সংক্রান্তসেবা দেওয়া হয়ে থাকে। ওই কক্ষে গিয়ে ছবি তোলা, দশ আঙুলের ছাপ দেওয়া, চোখের আইরিশ (চোখের মণির ছাপ) ও স্বাক্ষর করার কাজ করেন তারেক রহমান। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে সকালে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটার হওয়ার কাজ সেরেছেন তার কন্যা জাইমা রহমানও। মা জুবাইদা রহমানের সঙ্গে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন জাইমা রহমান। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্য ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ, স্বাক্ষর দেওয়া ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি (চোখের মনির স্ক্যনিং) এর মাধ্যমে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এর আগে গত ২৩ জুন জাতীয় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন জুবাইদা রহমান। ফলে তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্র আগেই পেয়েছেন।এ প্রসঙ্গে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে। ইসি সচিব জানান, তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ফর্ম জমা দিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করেছেন। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ১৫ ধারার অধীনে কমিশনের এখতিয়ার রয়েছে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার।আখতার আহমেদ আরও জানান, তারা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। ‘ফর্ম-২’ পূরণ করে তারা ছবি তুলেছেন, বায়োমেট্রিক ও আইরিশ তথ্য দিয়েছেন এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন।তারেক রহমানের এনআইডি নম্বর পাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া আজ সম্পন্ন হলেও তথ্য আপলোড করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, সিগনেচার, ফেস ও আইরিশ মিলিয়ে যাচাই করতে কিছুটা সময় লাগে। যাচাই শেষে নিশ্চিত হলে তাদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। আশা করছি, আজকের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হবে।ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত কবে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রæয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।তিনি আরও জানান, কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দুটি উপায়ে-একটি আনুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে, অন্যটি নথির মাধ্যমে। কমিশন চাইলে সভা করতে পারে বা নথির মাধ্যমেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারে। এটি কমিশনের এখতিয়ার।আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত গতকাল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে গিয়ে নিজের ছোট ভাই ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছোট ভাইর আত্মার শান্তি কামনায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাত করেন তিনি। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। পরে তার লাশ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।শশুর মরহুম মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শায়িত তারই শ্বশুর প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমানের বাবা, সাবেক নৌ-বাহিনী প্রধান, সাবেক কৃষি ও যোগাযোগমন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মরহুম মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শায়িত পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম। ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে শহীদ হন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা।দিনব্যাপী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ

২ দিন আগে

নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই

নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই

২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

মহানায়কের প্রত্যাবর্তন আজ

মহানায়কের প্রত্যাবর্তন আজ

২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৭ এএম

জনস্রোত এখন ঢাকামুখী

জনস্রোত এখন ঢাকামুখী

২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

তারেক রহমানকে সংবর্ধনায় প্রস্তুত বিএনপি

তারেক রহমানকে সংবর্ধনায় প্রস্তুত বিএনপি

২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

বিপ্লবীর বিরোচিত বিদায়

বিপ্লবীর বিরোচিত বিদায়

২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০২ এএম

ঐতিহাসিক গণজমায়েতের পরিকল্পনা বিএনপির

ঐতিহাসিক গণজমায়েতের পরিকল্পনা বিএনপির

২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

সুষ্ঠু ভোট সম্পন্ন করার চ্যালেঞ্জ প্রশাসন-ইসির

সুষ্ঠু ভোট সম্পন্ন করার চ্যালেঞ্জ প্রশাসন-ইসির

১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

বিএনপিতে অনৈক্য ঐক্যবদ্ধ জামায়াত

বিএনপিতে অনৈক্য ঐক্যবদ্ধ জামায়াত

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

মহান বিজয় দিবস আজ

মহান বিজয় দিবস আজ

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩৩ এএম

গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা

গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

আলোচনায় নির্বাচনী সমঝোতা

আলোচনায় নির্বাচনী সমঝোতা

১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

ফেরার অপেক্ষায় দেশ

ফেরার অপেক্ষায় দেশ

১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

কৌশলী অবস্থানে বিএনপি

কৌশলী অবস্থানে বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি

১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৩ এএম

তফসিল ঘোষণা আজ

তফসিল ঘোষণা আজ

১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির বাকযুদ্ধের নেপথ্যে কি!

বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির বাকযুদ্ধের নেপথ্যে কি!

১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

তফসিল দুই-এক দিনের মধ্যেই, অনৈক্যে দলগুলো

তফসিল দুই-এক দিনের মধ্যেই, অনৈক্যে দলগুলো

০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৬ এএম

খালেদা জিয়ার সুস্থতা নিয়ে আশা মেডিকেল বোর্ডের

খালেদা জিয়ার সুস্থতা নিয়ে আশা মেডিকেল বোর্ডের

০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

উৎকণ্ঠা অপেক্ষা, দেশব্যাপী দোয়া

উৎকণ্ঠা অপেক্ষা, দেশব্যাপী দোয়া

০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

বিদেশে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা

বিদেশে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা

০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

বিশেষায়িত চিকিৎসায় খালেদা জিয়া

বিশেষায়িত চিকিৎসায় খালেদা জিয়া

০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি

০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

কোন ছকে এনসিপি

কোন ছকে এনসিপি

২৯ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

ভোটের প্রতীকই ফ্যাক্টর

ভোটের প্রতীকই ফ্যাক্টর

২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

প্রতিশ্রুতির পসরা ভোট প্রার্থীদের

প্রতিশ্রুতির পসরা ভোট প্রার্থীদের

২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

৩ মাসের প্রচারণার পরিকল্পনা

৩ মাসের প্রচারণার পরিকল্পনা

২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

ভোট জয়ের কৌশলে জোট

ভোট জয়ের কৌশলে জোট

২৬ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

৬ লাখ ৬৫ হাজার ৫শ’র বেশি ভোটারের এলাকা পরিবর্তন

৬ লাখ ৬৫ হাজার ৫শ’র বেশি ভোটারের এলাকা পরিবর্তন

২৬ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

জুলাই সনদ-গণভোটে দ্বিমত হলেও নির্বাচনমুখী দলগুলো

জুলাই সনদ-গণভোটে দ্বিমত হলেও নির্বাচনমুখী দলগুলো

২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১১ এএম

কী চায় বিএনপির মিত্ররা

কী চায় বিএনপির মিত্ররা

২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

গণভোট সচেতনতায় প্রচারণা

গণভোট সচেতনতায় প্রচারণা

২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৫ এএম

দৃষ্টি আওয়ামী ভোটে

দৃষ্টি আওয়ামী ভোটে

২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

অনিশ্চয়তায় জুলাই সংস্কার বাস্তবায়ন

অনিশ্চয়তায় জুলাই সংস্কার বাস্তবায়ন

২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

বড় জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙাল বাংলাদেশ দল

বড় জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙাল বাংলাদেশ দল

২৩ নভেম্বর ২০২৫ ০৪:১৩ পিএম

আমন ধান তোলার আনন্দ কৃষকদের ঘরে ঘরে

আমন ধান তোলার আনন্দ কৃষকদের ঘরে ঘরে

২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৫ এএম

১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভোট

১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভোট

২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

স্বস্তি রাজনৈতিক মহলে

স্বস্তি রাজনৈতিক মহলে

২১ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

কঠিন চ্যালেঞ্জে নির্বাচন কমিশন

কঠিন চ্যালেঞ্জে নির্বাচন কমিশন

২১ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

ঐক্যের আড়ালে অনৈক্য

ঐক্যের আড়ালে অনৈক্য

২০ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৪৬ এএম

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বাস্তব পদক্ষেপ দাবি দলগুলোর

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বাস্তব পদক্ষেপ দাবি দলগুলোর

২০ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৫ এএম

জেলায় জেলায় ডিসি বদলি, প্রশাসনে চাপা অসন্তোষ

জেলায় জেলায় ডিসি বদলি, প্রশাসনে চাপা অসন্তোষ

২০ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০১ এএম

বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলার আয়ের পরিকল্পনা

বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলার আয়ের পরিকল্পনা

১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

আতঙ্কে জোটসঙ্গী, চ্যালেঞ্জে বিএনপি

আতঙ্কে জোটসঙ্গী, চ্যালেঞ্জে বিএনপি

১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, সঙ্গী কামাল

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, সঙ্গী কামাল

১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

শেখ হাসিনার রায় আজ

শেখ হাসিনার রায় আজ

১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

জামায়াত-এনসিপি ‘হ্যাঁ’ বিএনপি চুপ

জামায়াত-এনসিপি ‘হ্যাঁ’ বিএনপি চুপ

১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৫ এএম

কীভাবে সামলাবেন ইসি

কীভাবে সামলাবেন ইসি

১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৪ এএম

নির্বাচনী প্রশাসন সাঁজছে

নির্বাচনী প্রশাসন সাঁজছে

১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

স্পিন ঝড়ে আইরিশদের গুঁড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

স্পিন ঝড়ে আইরিশদের গুঁড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২৫ এএম

কৌশলে এগোচ্ছে বিএনপি

কৌশলে এগোচ্ছে বিএনপি

১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২০ এএম

শীতের রোগ-প্রতিরোধে জরুরি প্রস্তুতি আছে কী

শীতের রোগ-প্রতিরোধে জরুরি প্রস্তুতি আছে কী

১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৫ এএম

চলতি মাসে আরও ভয়াবহ হতে পারে ডেঙ্গু

চলতি মাসে আরও ভয়াবহ হতে পারে ডেঙ্গু

১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

সড়কজুড়ে যানবাহন সংকট, দুর্ভোগ চরমে

সড়কজুড়ে যানবাহন সংকট, দুর্ভোগ চরমে

১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০৪ এএম

সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সরকারের

সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সরকারের

১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

সরকার হার্ডলাইনে

সরকার হার্ডলাইনে

১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২০ এএম

দৃষ্টি সবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে

দৃষ্টি সবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে

১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৫ এএম

জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, কী হবে আজ

জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, কী হবে আজ

১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর

চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর

১২ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৫ এএম

নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে ‘উদ্বেগে’ ইসি কর্মকর্তারা

নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে ‘উদ্বেগে’ ইসি কর্মকর্তারা

১২ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ এএম

১৪ দলীয় জোটকে ডাকা হচ্ছে না

১৪ দলীয় জোটকে ডাকা হচ্ছে না

১০ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২২ এএম

সমাধান কোন পথে

সমাধান কোন পথে

১০ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৭ এএম