ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। বাংলাদেশে আছে ছিনতাইকারী।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জঙ্গি নেই, এখন ঠেকাতে হবে ছিনতাই। জঙ্গি থাকলে না জঙ্গি নিয়ে ভাবব।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ছেলেপেলেদের মারছে, কিসের জঙ্গি?’
হলি আর্টিজান হামলা তাহলে সাজানো ঘটনা ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ওটা সম্পর্কে আমি জানি না। তবে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। বাংলাদেশে পেটের দায়ে লোকে ছিনতাই করে।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি লাগেজ বহনকারী ট্রলি টাগের ধাক্কায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে।বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৮৯ ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৬টার দিকে অবতরণ করে। যাত্রী নামিয়ে পার্কিং বে-তে অবস্থান করছিল উড়োজাহাজটি। এ সময় লাগেজ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি খাঁচা ট্রলি তীব্র বাতাসে পাশের দিক থেকে ছুটে এসে বোয়িং এয়ারক্রাফটটির গায়ে আঘাত হানে। এতে বাহ্যিকভাবে প্লেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ঘটনার সময় উড়োজাহাজের ভেতরে কোনো যাত্রী ছিল না বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ট্রলিটি চলন্ত অবস্থায় ছিল না; তীব্র বাতাসের কারণে সেটি স্থানচ্যুত হয়ে উড়োজাহাজে ধাক্কা দেয়।তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোয়িং প্লেনটির গায়ে ট্রলিটি ধাক্কা লাগায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে এ সময় কোনো যাত্রী ভেতরে ছিলেন না। আমাদের প্রকৌশলীদের একটি দল তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিরূপণের কাজ করছে।”বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাগেজ ট্রলি বা ‘খাঁচা ট্রলি’ দিয়ে যাত্রীদের মালামাল পরিবহন করা হয়। বিমান ওঠানামার সময় এমন ট্রলি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব, সদস্য ও সমর্থকরা যতক্ষণ না জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো শুরু করে, দুঃখ প্রকাশ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা শান্তি পাবে না।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ জুলাই) শফিকুল আলম আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, আমরা মাটি থেকে আপনাদের কুৎসিত প্রভাবের দাগ মুছে ফেলব এবং তা রক্ত দিয়ে ধুয়ে ফেলব। আপনারা কখনো শান্তি পাবেন না- যতক্ষণ না শহীদ ও আহতদের প্রতি সম্মান দেখান, যতক্ষণ না আপনি ‘দুঃখিত’ বলেন। তিনি লেখেন, আমরা অপেক্ষা করেছি প্রায় ১০ মাস-যাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব, সদস্যবৃন্দ এবং তাদের সমর্থকরা দুঃখ প্রকাশ করে এবং একটি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টায় আমাদের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে আপনারা যা করেছেন, তা হলো শহীদদের নিয়ে উপহাস, আমাদের সংগ্রামকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য এবং ১৭ কোটি মানুষকে ‘জঙ্গি’ বলে কলঙ্কিত করেছেন- এই আশায় যে, আপনার ঔপনিবেশিক প্রভুরা এসে আবারো আপনাদের হাতে দেশ তুলে দেবে, যেন লুণ্ঠন ও বিশৃঙ্খলার আরেকটি অধ্যায় শুরু করতে পারেন।তিনি আরও লেখেন, দুঃখিত, এবার আর তা হবে না। জুলাই আমাদের সাহসী করেছে। জুলাই আমাদের শিখিয়েছে প্রতিকূলতার মুখেও মাথা তুলে দাঁড়াতে। জুলাই আমাদের ডিএনএতে স্থায়ীভাবে এক বিরল সাহসের জিন প্রবেশ করিয়েছে। আমরা আর আগের মতো নই।শফিকুল আলম বলেন, জুলাই আমাদের শিখিয়েছে হাল না ছেড়ে ঝড়ের মতো গুলির মধ্যেও দাঁড়িয়ে থাকার দৃঢ়তা। জুলাই আমাদের ভুলতে দেয় না আমাদের শহীদদের, যাদের আপনারা নির্মমভাবে হত্যা করেছেন; যাদের চোখ উপড়ে নিয়েছেন, যাদের আত্মাকে ছিন্নভিন্ন করেছেন।আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি আরও লেখেন, আপনাদের সঙ্গে কখনো শান্তি হবে না- যতক্ষণ না আপনি ‘দুঃখিত’ বলেন, যতক্ষণ না আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনার হাতে রক্ত দেখতে পান।মানবতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রেস সচিব লেখেন, আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে লড়ব- আমাদের জমিতে, নদীতে, পাহাড়ে। আমরা লড়ব ভার্চুয়াল জগতেও। আপনারা গণহত্যার সহযোগী ও মানবাধিকারের ডাকাত, আমরা আপনাদের মুখোশ খুলে ফেলব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। বাংলাদেশে আছে ছিনতাইকারী।’আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জঙ্গি নেই, এখন ঠেকাতে হবে ছিনতাই। জঙ্গি থাকলে না জঙ্গি নিয়ে ভাবব।’ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ছেলেপেলেদের মারছে, কিসের জঙ্গি?’হলি আর্টিজান হামলা তাহলে সাজানো ঘটনা ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ওটা সম্পর্কে আমি জানি না। তবে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। বাংলাদেশে পেটের দায়ে লোকে ছিনতাই করে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
চ্যালেঞ্জের মুখে ফুল গিয়ারে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমি জানিয়েছি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে।মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তাকে অবহিত করা হয়েছে যে, ভোটের প্রস্তুতি এখন ফুল গিয়ারে চলছে।এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই সময় ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যথা সময়ে নির্বাচনের তারিখ এবং সিডিউল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।জাতীয় নির্বাচনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক চলছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি সাফ জানিয়ে দেন, প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে তো কিছু বলছেন না, তিনি জাতীয় নির্বাচনের কথাই বলে যাচ্ছেন। আমাদের মূল ফোকাস জাতীয় নির্বাচন।সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিইসি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈঠকটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষ এবং আমিও নিরপেক্ষ। এই মুহূর্তে নির্বাচনটা আলোচনার কেন্দ্রে। সৌজন্য সাক্ষাতে নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ