নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১১:২৫ পিএম
জামায়াতের জরুরি বৈঠক, ৭ দফা ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামী দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জরুরি কেন্দ্রীয় নির্বাহী বৈঠকে সাত দফা দাবি পেশ করেছে। বৈঠকে তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের তাৎপর্য এবং রাজনৈতিক উত্তরণের রূপরেখা হিসেবে ঘোষিত ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদ’-এর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। জামায়াত নেতারা বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান” একটি ঐতিহাসিক বাঁকবদলের সূচনা করেছে এবং এর ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জামায়াতের ঘোষিত ৭ দফা দাবি:
১. ৫ আগস্টসহ সকল গণহত্যার বিচার: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এবং অন্যান্য সময় সংঘটিত গণহত্যাগুলোর আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার নিশ্চিত করা।
২. রাষ্ট্রীয় সংস্কার: রাষ্ট্রের সব স্তরে মৌলিক ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন করা।
৩. জুলাই সনদের বাস্তবায়ন: ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত নির্দেশনাসমূহ পূর্ণ বাস্তবায়ন করা।
৪. জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পুনর্বাসন: অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসন ও স্বীকৃতি প্রদান।
৫. পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন: জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (Proportional Representation) নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করা।
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ: প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নির্ভরযোগ্য এবং প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৭. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা।
বৈঠকে জামায়াত নেতারা জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে সবাই মিলে “এই সাত দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলা যায়।”
দলটি মনে করছে, এসব দাবি বাস্তবায়নই দেশকে একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার পথে এগিয়ে নিতে পারে।
ভোরের আকাশ/হ.র