ফাইল ছবি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র দুটি নথি এক নয় এবং ভুলভাবে গুলিয়ে ফেলা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি প্রচারণা হতে পারে, যা এনসিপির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপের ২২তম দিনের মধ্যবর্তী চা-বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র হচ্ছে গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্টের বিজয়ের একটি ঐতিহাসিক স্বীকৃতি, যার একটি আইনি ভিত্তি থাকা দরকার। এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। অন্যদিকে, জুলাই সনদ হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কমিশনে আলোচিত প্রস্তাবগুলোর একটি বাস্তবায়নযোগ্য রূপরেখা।
আখতার বলেন, আমরা চাই না এমন একটি অকার্যকর, অপূর্ণ এবং মৌলিক সংস্কারবিহীন জুলাই সনদ তৈরি হোক, যেটা তিন দলের অতীত রূপরেখার মতো শুধু ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। জুলাই সনদটি হবে কার্যকর, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ধারণকারী, আইনি ভিত্তিসম্পন্ন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য।
কমিশনের প্রাথমিক খসড়ায় ২ বছরের বাস্তবায়নকাল উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে আখতার বলেন, এটি এনসিপি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই ধরনের বিলম্বিত বাস্তবায়নের প্রস্তাব প্রতারণার সুযোগ তৈরি করে এবং জনগণের আকাক্সক্ষার সঙ্গে প্রতারণা করার শামিল।’
জুলাই ঘোষণাপত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা একবিন্দু ছাড় দিতে রাজি না। সরকার যদি ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি না করে, তাহলে এনসিপি দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নিজেরা তা জারি করবে।
সরকার একটি খসড়া দিয়েছে জানিয়ে আখতার বলেন, ‘আমরা সরকারকে আমাদের পক্ষ থেকে একটি পরিণত খসড়া দিয়েছি এবং আলোচনার মধ্যেই রয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।
তিনি আরও জানান, সরকার যদি আন্তরিক হয় এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমন্বয় করে, তবে ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যেই একটি পরিপূর্ণ, আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তিসম্পন্ন ঘোষণাপত্র জারি করা সম্ভব।’
আখতার বলেন, আমাদের ভাইয়েরা জীবন দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানে। তাদের সেই আত্মত্যাগ যেন একটি বাস্তব ভিত্তির জুলাই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়, আমরা সেটাই চাই।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শেষে ১৯টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।এসব বিষয়ের মধ্যে কিছু কিছুতে ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) থাকলেও সামগ্রিকভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলোকে আগামী জুলাই মাসেই জাতীয় সনদের রূপ দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে অনুষ্ঠিত ২৩তম দিনের আলোচনার পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।আলোচিত প্রধান বিষয়সমূহআলোচনায় উঠে আসা ১৯টি বিষয়ের মধ্যে অন্যতম ছিল—সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল ও আস্থা ভোটের বিষয় যুক্ত করা,জাতীয় নিরাপত্তা ও যুদ্ধ পরিস্থিতি বিষয়ে নতুন ধারা সংযোজনের প্রস্তাব,নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি,বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ এবং সুপ্রিম কোর্ট পুনর্গঠন,প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে দায়িত্ব পালন বিষয়ে পর্যালোচনা,পিএসসি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নিয়ন্ত্রক ও মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি), এবং ন্যায়পাল সংক্রান্ত আইনে সংশোধন।এছাড়াও রাষ্ট্রপতির নির্বাচন ও ক্ষমতা, উচ্চকক্ষ গঠন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিও আলোচনার অংশ ছিল।নারীর জন্য আসন বৃদ্ধির প্রস্তাবে সবচেয়ে বেশি ভিন্নমত দেখা গেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে আলোচনা চলাকালীন গণফোরাম, বাসদ (মার্কসবাদী), সিপিবি এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল সভা বর্জন করে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)ও এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে।অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি করা জরুরি। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কমিশন এ ক্ষেত্রে ‘অনুঘটক’ হিসেবে কাজ করবে।আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন।প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় পর্যায়ের এই আলোচনা শুরু হয় গত ২ জুন। এরপর ৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২৩টি সেশনে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে মতবিনিময় হয়।ভোরের আকাশ//র.ন
দেশকে নতুন করে গড়তে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীতে বিএনপির মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।তারেক রহমান বলেন, “এই দেশে যেন ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে জন্য নারী সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ হওয়া উচিত, তেমন মানবিক ও গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীরা ঐতিহাসিকভাবে ভূমিকা রেখেছেন। নারী শক্তিকে উন্নয়ন পরিকল্পনার বাইরে রেখে কোনো রাষ্ট্রই সামনে এগোতে পারে না। তবে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিকভাবে নারীরা এখনও অনেক পিছিয়ে। এই অবস্থার উন্নয়নে বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।নারীদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করা গেলে পারিবারিক সহিংসতা রোধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।এ সময় তারেক রহমান ঘোষণা দেন, বিএনপি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রথম পর্যায়ে অন্তত ৫০ লাখ প্রান্তিক পরিবারকে 'ফ্যামিলি কার্ড' প্রদান করা হবে।ভোরের আকাশ//র.ন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র দুটি নথি এক নয় এবং ভুলভাবে গুলিয়ে ফেলা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি প্রচারণা হতে পারে, যা এনসিপির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপের ২২তম দিনের মধ্যবর্তী চা-বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র হচ্ছে গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্টের বিজয়ের একটি ঐতিহাসিক স্বীকৃতি, যার একটি আইনি ভিত্তি থাকা দরকার। এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। অন্যদিকে, জুলাই সনদ হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কমিশনে আলোচিত প্রস্তাবগুলোর একটি বাস্তবায়নযোগ্য রূপরেখা।আখতার বলেন, আমরা চাই না এমন একটি অকার্যকর, অপূর্ণ এবং মৌলিক সংস্কারবিহীন জুলাই সনদ তৈরি হোক, যেটা তিন দলের অতীত রূপরেখার মতো শুধু ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। জুলাই সনদটি হবে কার্যকর, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ধারণকারী, আইনি ভিত্তিসম্পন্ন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য।কমিশনের প্রাথমিক খসড়ায় ২ বছরের বাস্তবায়নকাল উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে আখতার বলেন, এটি এনসিপি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই ধরনের বিলম্বিত বাস্তবায়নের প্রস্তাব প্রতারণার সুযোগ তৈরি করে এবং জনগণের আকাক্সক্ষার সঙ্গে প্রতারণা করার শামিল।’জুলাই ঘোষণাপত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা একবিন্দু ছাড় দিতে রাজি না। সরকার যদি ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি না করে, তাহলে এনসিপি দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নিজেরা তা জারি করবে।সরকার একটি খসড়া দিয়েছে জানিয়ে আখতার বলেন, ‘আমরা সরকারকে আমাদের পক্ষ থেকে একটি পরিণত খসড়া দিয়েছি এবং আলোচনার মধ্যেই রয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।তিনি আরও জানান, সরকার যদি আন্তরিক হয় এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমন্বয় করে, তবে ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যেই একটি পরিপূর্ণ, আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তিসম্পন্ন ঘোষণাপত্র জারি করা সম্ভব।’আখতার বলেন, আমাদের ভাইয়েরা জীবন দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানে। তাদের সেই আত্মত্যাগ যেন একটি বাস্তব ভিত্তির জুলাই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়, আমরা সেটাই চাই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্লক ধরা পড়েছে। এনজিওগ্রাম করার পর চিকিৎসকরা বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর একটি হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে শফিকুর রহমানের এনজিওগ্রাম করা হয়। এতে তার হৃদপিণ্ডে তিনটি মেজর ব্লক শনাক্ত হয়। চিকিৎসকরা এনজিওপ্লাস্টির পরিবর্তে বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন।জামায়াত আমীরের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। এরপর থেকে তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছিল। এনজিওগ্রামের ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসকেরা বাইপাস সার্জারিকে জরুরি বলে মত দিয়েছেন।তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হলেও শফিকুর রহমান নিজেই তা নাকচ করেছেন। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর তার ‘পূর্ণ আস্থা’ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।বর্তমানে তার সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। জামায়াত নেতার পরিবার দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছে।এর আগে, গত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ মঞ্চে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে জামায়াত আমিরকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল ত্যাগ করলেও ফলোআপে থাকেন। এনজিওগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার হার্টে গুরুতর ব্লক ধরা পড়ে।ভোরের আকাশ/জাআ