আন্তজার্তিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫ ১১:৩২ এএম
যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে নয় জিম্মিকে মুক্তি দিতে চায় হামাস
হামাস নতুন এক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অধীনে আরও কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বরাতে বিবিসি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, শনিবার (১৭ মে) হামাস ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে নয়জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে, পাশাপাশি ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, এই প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিদিন গাজায় ৪০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া যাবে চিকিৎসার জন্য। বিররীতে, ইসরায়েল চাইছে বাকি সব জিম্মির জীবিত থাকার প্রমাণ ও তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
এই নতুন যুদ্ধবিরতির আলোচনা দোহায় কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ মে) বিকেলে।
ইসরায়েল এখনো এই প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে আলোচনা শুরুর আগেই তারা জানিয়েছিল যে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না এবং সম্পূর্ণ যুদ্ধ বন্ধে রাজি নয়। যদিও নতুন প্রস্তাবে এই দাবি অন্তর্ভুক্ত নেই।
শনিবারই ইসরায়েল একটি নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়, যার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন গিডিয়ান চেরিয়েটস’। এটি গাজায় সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
উদ্ধারকর্মীরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে মারা গেছেন গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে হাসপাতাল ও উদ্বাস্তুশিবিরে চালানো হামলায়।
এই নতুন হামলার পর, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নতুন অভিযান গাজার জনগণ এবং বাকি জিম্মিদের জন্য ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৩,০০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত।
ভোরের আকাশ/আজাসা