ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্যসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
রোববার (৩০ জুন) স্থানীয় সময় সকালে ওহিওর আঞ্চলিক বিমানবন্দরের কাছেই বিধ্বস্ত হয় সেসনা-৪৪১ মডেলের একটি উড়োজাহাজ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই ভূপাতিত হয়। এতে বিমানে থাকা ছয়জনের সবাই নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য এবং বাকি দুজন ছিলেন পাইলট ও কো-পাইলট।
নিহতরা হলেন- ৬৮ বছর বয়সি ভেরোনিকা ওয়েলার, ৬৭ বছর বয়সি জেমস ওয়েলার, ৩৬ বছর বয়সি জন ওয়েলার এবং ৩৪ বছর বয়সি মারিয়া ওয়েলার।
এছাড়া বিমানটিতে পাইলট হিসেবে ছিলেন ৬৩ বছর বয়সি জোসেফ ম্যাক্সিন এবং সহ পাইলট ছিলেন ৫৫ বছর বয়সি টিমোথি ব্লেক।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক হামলায় আরও কমপক্ষে ১০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।গাজার চিকিৎসা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।নিহতদের মধ্যে ছিলেন ১৬ জন ক্ষুধার্ত ত্রাণ প্রত্যাশী, যারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সমবেত হয়েছিলেন। সেখানে ইসরায়েলি সেনারা ভিড় করা মানুষজনের ওপর গুলি চালালে তারা নিহত হন।এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির জন্য ‘প্রয়োজনীয় শর্ত’ মেনে নিতে সম্মত হয়েছে।নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষের সঙ্গে মিলে গাজা যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবে এবং হামাসকেও এই প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে সীমিত ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের কেন্দ্র গুলোতে প্রায় ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।গতকাল গাজা সিটির উত্তরে, যেখানে ইসরায়েল সম্প্রতি জোরপূর্বক নির্বাসন নির্দেশ জারি করেছে, সেই এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই এলাকা ইতোমধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার অন্তত ৮২ শতাংশ এলাকা বর্তমানে ইসরায়েলি সেনা নিয়ন্ত্রিত বা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং মানুষের আর কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রমে কাটছাঁটের কারণে বিশ্বে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। তাদের এক-তৃতীয়াংশই শিশু। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। থমকে থাকা মার্কিন সহায়তা কার্যক্রমে গতি ফেরানোর প্রত্যাশা নিয়ে এ সপ্তাহে স্পেনে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে জড়ো হচ্ছেন রাজনীতি-ব্যবসা খাতের বিশ্বনেতারা।এর আগে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে আসেন ট্রাম্প। এর আগপর্যন্ত বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা তহবিলের ৪০ শতাংশের বেশি একাই জোগান দিত যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের সপ্তাহ দুয়েক পর প্রেসিডেন্টের তৎকালীন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ইউএসএআইডির কার্যক্রমে কাটছাঁট করার বিষয়ে গর্বভরে ঘোষণা দেন।এখন গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক ও স্পেনের বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের (আইএসগ্লোবাল) গবেষক ডেভিড রাসেলা সতর্ক করে বলছেন, তহবিলে কাটছাঁটের ঘটনা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে দুই দশকের অগ্রগতিকে হঠাৎ থমকে দেওয়া কিংবা বিপরীতমুখী করার ঝুঁকিতে ফেলেছে।এক বিবৃতিতে ডেভিড বলেন, অনেক নিম্ন ও মধ্যমআয়ের দেশের ক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আসতে পারে। ফলে যে ধাক্কা আসবে, সেটাকে বিশ্বব্যাপী মহামারি বা বড় ধরনের সশস্ত্র সংঘাতের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।১৩৩টি দেশ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিক গবেষকদের দল অনুমান করেছে, ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ইউএসএআইডির তহবিলের কারণে সব মিলিয়ে ৯ কোটি ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো গেছে। এখন ইউএসএআইডির অর্থায়নে কাটছাঁট করার ফলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সম্ভাব্য মৃত্যু এড়ানো সম্ভব নাÑ ও হতে পারে।এর মধ্যে ৫ বছরের নিচের ৪৫ লাখের বেশি শিশুও রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিবছর প্রায় সাত লাখ শিশুর মৃত্যু ঘটতে পারে। গবেষকেরা মডেলিংয়ের মাধ্যমে হিসাব করে দেখিয়েছেন, মার্কিন সরকারের ঘোষিত ৮৩ শতাংশ তহবিল হ্রাস কার্যকর হলে এ প্রাণহানি ঘটতে পারে। সম্ভাব্য প্রাণহানির এ সংখ্যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাসংখ্যার চেয়ে বেশি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কোটিখানেক সেনাসদস্যের প্রাণ গিয়েছিল।গবেষণার সহ-লেখক ও বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের গবেষক দাভিদে রাসেলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) বাজেট কমানোর এই পদক্ষেপ নিম্ন ও মধ্য-আয়ের দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক মহামারি বা সশস্ত্র সংঘাতের মতো সমান ধাক্কা দেবে।গত মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ইউএসএআইডির ৮০ শতাংশের বেশি কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই খাতকে অপচয় বিবেচনা করে ব্যয় সংকোচন করেছে। বিশ্বজুড়ে সমালোচিত এই তহবিল সংকোচনের উদ্যোগটির তদারক করেছেন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক, যিনি সে সময় ফেডারেল কর্মীবাহিনী ছোট করার এক উদ্যোগের নেতৃত্বে ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প বারবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক ব্যয় ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।রাসেলা জানান, ইউএসএআইডি ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়কালে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৯ কোটির বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রেখেছে। রুবিওর দেওয়া তথ্যানুসারে যদি ৮৩ শতাংশ বরাদ্দ কমানো হয়, তাহলে ২০৩০ সালের আগেই ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে- যার মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু থাকবে অন্তত ৪৫ লাখ।যুক্তরাষ্ট্র এতদিন বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ হিসেবে কাজ করে এসেছে। ২০২৩ সালে দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তায় ব্যয় করেছে ৬৮ বিলিয়ন ডলার; যা ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ৬০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ইউএসএআইডি। ট্রাম্পের বাজেট কাটছাঁটের পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ আরও অনেক দেশও সহায়তা হ্রাসের পথে হেঁটেছে।জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তারা আন্তর্জাতিক মানবিক খাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট সংকটে পড়েছে। রুবিওর মতে, ইউএসএআইডির প্রায় ১ হাজার কর্মসূচি এখনো অব্যাহত আছে। তবে সেগুলো ভবিষ্যতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালিত হবে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।গত মাসে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা জানান, কেনিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে মানুষ ধীরে ধীরে অনাহারে মারা যাচ্ছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ কমে যাওয়ায় খাদ্য বরাদ্দ রেকর্ড পরিমাণে কমেছে।এদিকে এ বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউএসএআইডির প্রায় সব কর্মীকে বেতনসহ প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সংস্থাটির প্রায় দুই হাজার পদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। ইউএসএআইডির কর্মীদের কাছে পাঠানো এক নোটিশ থেকে এসব তথ্য জানতে পেরেছে রয়টার্স। একই সঙ্গে ইউএসএআইডি একটি ‘রিডাকশন-ইন-ফোর্স’ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন শুরু করছে। নোটিশে বলা হয়েছে, এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে সংস্থাটির প্রায় দুই হাজার কর্মী পড়বেন। অর্থাৎ তারা চাকরিচ্যুত হবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরাইল। এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।বুধবার (২ জুলাই) ভোরে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময়ে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সব পক্ষের সাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করা কাতার ও মিশরীয় কর্মকর্তারা চূড়ান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করবে বলেও জানান ট্রাম্প।গাজার পরিস্থিতি কেবল খারাপই হতে থাকবে উল্লেখ করে হামাস চুক্তিটিতে রাজি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলা বন্ধ করতে চান বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এতে ১২০০ জনের প্রাণহানি হয়। ওইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণহানি ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্যসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।রোববার (৩০ জুন) স্থানীয় সময় সকালে ওহিওর আঞ্চলিক বিমানবন্দরের কাছেই বিধ্বস্ত হয় সেসনা-৪৪১ মডেলের একটি উড়োজাহাজ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই ভূপাতিত হয়। এতে বিমানে থাকা ছয়জনের সবাই নিহত হন।নিহতদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য এবং বাকি দুজন ছিলেন পাইলট ও কো-পাইলট। নিহতরা হলেন- ৬৮ বছর বয়সি ভেরোনিকা ওয়েলার, ৬৭ বছর বয়সি জেমস ওয়েলার, ৩৬ বছর বয়সি জন ওয়েলার এবং ৩৪ বছর বয়সি মারিয়া ওয়েলার। এছাড়া বিমানটিতে পাইলট হিসেবে ছিলেন ৬৩ বছর বয়সি জোসেফ ম্যাক্সিন এবং সহ পাইলট ছিলেন ৫৫ বছর বয়সি টিমোথি ব্লেক।ভোরের আকাশ/এসএইচ