মালয়েশিয়ায় ৪৪ বাংলাদেশিসহ ১১৪ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৪৪ বাংলাদেশিসহ ১১৪ বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আটকদের মধ্যে ৪৪ জন বাংলাদেশি, আটজন ভারতীয়, নয়জন পাকিস্তানি, ২৮ জন নেপালি, আটজন ইন্দোনেশীয়, ১২ জন মিয়ানমারের নাগরিক, চারজন ভিয়েতনামি ও একজন কম্বোডিয়ান। শুক্রবার (৩০ মে) জোহর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর দাতুক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
দাতুক মোহাম্মদ রুসদি আরও বলেন, রাজ্যের অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইমিগ্রেশন বিভাগ কোনো নিয়োগকর্তা, ভবনের মালিক বা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ ও সুরক্ষা প্রদানকারী ব্যক্তির সঙ্গে আপোস করবে না।
এর আগে, গত ২৮ মে রাজ্যের পাঁচটি জেলায় একযোগে ‘অপস মাহির’ নামে একটি সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের প্রথম পর্যায়ে মোট ১২৮ বিদেশি ও চারজন স্থানীয় নাগরিককে আটক করা হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ফ্রান্সের করাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থি লেবানিজ শিক্ষক জর্জেস আবদাল্লা। ৭৪ বছর বয়সি আবদাল্লা দীর্ঘ ৪১ বছর কারাভোগ করেছেন। আবদাল্লা শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সরাসরি বেইরুত যাওয়ার জন্য বিমানে ওঠার কথা ছিল।১৯৮৭ সালে ফ্রান্সে একজন আমেরিকান ও একজন ইসরায়েলি কূটনীতিক হত্যা মামলায় আবদাল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে, বামপন্থি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আন্দোলনের কর্মীদের মাঝে তার মুক্তি এখনও তাৎপর্যপূর্ণ। এই আন্দোলনের সঙ্গে তিনি আজও যুক্ত রয়েছেন। তার সাদা দাড়ি ও দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি এখনও বামপন্থী বিক্ষোভের ব্যানারে দেখা যায়। প্রতিবছর একবার প্রতিবাদকারীরা তার মুক্তির দাবিতে পাইরেনিজ পাহাড়ের কারাগারের সামনে জমায়েত হতেন। ফ্রান্সের তিনটি বামপন্থী নেতৃত্বাধীন পৌরসভা তাকে ‘সম্মানজনক নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। আবদাল্লা যদিও ১৯৯৯ সাল থেকে জামিনের জন্য আবেদন করতে পারতেন, কিন্তু তার সব আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। সমর্থকরা মনে করেন, এর পেছনে ফ্রান্সের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের চাপ কাজ করেছে।ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, লানেমাজান কারাগারের সেলে বসে আবদাল্লা বলেন, আমি ফিলিস্তিনের সংগ্রামের প্রতি মনোযোগ দিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পেরেছি। যদি সেটা না থাকতো, তাহলে ৪০ বছরের কারাভোগ আমার মস্তিষ্ক নষ্ট করে দিতে পারত। জর্জেস আবদাল্লা ১৯৫১ সালে উত্তর লেবাননের এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০-এর দশকের শেষভাগে তিনি লেবানিজ আর্মড রেভোলিউশনারি ফ্যাকশনস (এলএআরএফ) গঠনে সাহায্য করেন, একটি ছোট মার্কসবাদী দল, যারা ইসরাইল ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করত। সেই সময় লেবাননে গৃহযুদ্ধ চলছিল। ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে আগ্রাসন চালায়, যেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা অবস্থান করছিলেন। আবদাল্লার দল ইউরোপে ইসরায়েল ও মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং ফ্রান্সে পাঁচটি হামলা চালায়। ১৯৮২ সালে দলটির সদস্যরা স্ট্রাসবুর্গে মার্কিন কূটনীতিক চার্লস রে এবং প্যারিসে ইসরাইলি কূটনীতিক ইয়াকভ বারসিমানতোভকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া, একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে দুই ফরাসি বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞ নিহত হন, যার দায় স্বীকার করেছিল এলএআরএফ।আবদাল্লাকে ১৯৮৪ সালে ফ্রান্সের লিয়নে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরাসি গোয়েন্দারা তাকে অনুসরণ করছিলেন, আর তিনি ভেবেছিলেন হত্যাকারীরা তাকে অনুসরণ করছে। তাই তিনি নিজে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। প্রথমে তার বিরুদ্ধে শুধু ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার এবং অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে দুই কূটনীতিক হত্যা মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
সড়কে ছুটছিল গাড়ি, ঠিক সে সময়ই আচমকাই মুখ থুবড়ে পড়ে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাতে আগুন ধরে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি এ দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবারের ওই দুর্ঘটনায় বিমানের চালক এবং তার সঙ্গিনী, অর্থাৎ একমাত্র যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে আহত হয়েছেন দুটি গাড়ির চালকও। তবে তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে ব্যস্ত সেই হাইওয়েতে প্রচণ্ড গতিতে আছড়ে পড়ে ইতালির একটি ফ্রেসিয়া আরজি আল্ট্রালাইট উড়োজাহাজ। ভিডিয়োতে দেখা গেছে যে রাস্তায় ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে গেছে।বিমান বিধ্বস্তের পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে বিমানের চালক সার্জিও রাভাগলিয়া (৭৫) এবং তার বান্ধবী অ্যান মারি ডি স্টেফানো’র (৬০)। সার্জিও পেশায় আইনজীবী এবং শৌখিন পাইলট ছিলেন। তিনি এবং অ্যান উভয়েই লম্বার্দির রাজধানী শহর মিলানের বাসিন্দা ছিলেন।সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সড়কে বিমানটিকে জরুরিকালীন অবতরণ করানোর চেষ্টা করছিলেন পাইলট। কিন্তু তার পরিবর্তে বিমানটি ভেঙে পড়ে রাস্তায়।ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে জ্বলন্ত বিমানটির পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি। সেগুলোর মধ্যে দুটি গাড়ির চালক আহত হয়েছেন। বিমান ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং দমকলবাহিনী। যদিও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বিমানটি। ব্রেসিয়া শহরের পাবলিক প্রসিকিউটর দপ্তর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পেরুর লিমা শহর থেকে লা মের্সেডগামী একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৫ জুলাই) পালকা জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।জুনিন অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিচালক ক্লিফোর কুরিপাকো জানান, শুক্রবার পালকা জেলায় বাসটি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে একটি খাড়ির খাদে পড়ে যায়।তরমা শহরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলদো তিনেও বলেন, নিহত ১৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করার কাজ চলছে। বাসটি এক্সপ্রেসো মোলিনা লিডার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি পরিবহন সংস্থার ছিল। ডাবল ডেকার ওই বাসটিতে ৬০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় বাসটি ছিটকে পড়ে উল্টে গিয়ে একটি নদীর পাশে পড়ে যায়।স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাসটি দুর্ঘটনায় ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ শুরু হয়, যা শুক্রবার সকালেও অব্যাহত রয়েছে। এই সশস্ত্র সংঘাত দুই দেশের দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিতর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সংঘর্ষে দুইপক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে এবং ভারী অস্ত্র, রকেট এবং বিমান হামলায় জড়িয়ে পড়েছে।সীমান্তের বিতর্কিত অঞ্চলগুলোতে সংঘর্ষ শুরু হয় হালকা অস্ত্রের গুলিবর্ষণ দিয়ে। কিন্তু খুব দ্রুত পরিস্থিতি কঠিন হয়ে ওঠে এবং উভয়পক্ষ ভারী অস্ত্র যেমন ফিল্ড আর্টিলারি, বিএম-২১ রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে গোলাবর্ষণ চালায়। থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী জানায়, কম্বোডিয়ার সেনারা প্রথমে টানা গোলাবর্ষণ করে, যার জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালায়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্তত ছয়টি ভিন্ন স্থানে, যেখানে সীমান্তের মানুষ মারাত্মক সংকট ও ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে।ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে থাইল্যান্ড সীমান্ত এলাকায় খুঁটি গেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এই বিমানগুলোর একটি কম্বোডিয়ার সামরিক অবস্থানে বোমা হামলা চালায়। থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষের দাবি, সেটার লক্ষ্য ছিল বিশেষ সংগঠিত সামরিক লক্ষ্যবস্তু। তবে এই যুদ্ধবিমান হামলায় বেসামরিক জনগণও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কম্বোডিয়া ‘বেপরোয়া ও নৃশংস সামরিক আগ্রাসন’ হিসেবে বর্ননা করেছে।থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংঘর্ষে তাদের কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১১ জন বেসামরিক মানুষ এবং ৮ বছরের এক শিশু রয়েছে। আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে, কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে হতাহতের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পায়নি। তবে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে শিশু, প্রবীণ ও নারীসহ হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে এসেছে বলে তার জানায়। বালির বস্তা ও টায়ার দিয়ে তৈরি কংক্রিট বাংকার বা শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে তারা।এর আগে, গত বুধবার থাইল্যান্ড সরকার কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে এবং নিজের রাষ্ট্রদূতকে নমপেন শহর থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর আগে, থাইল্যান্ড দাবি করেছিল যে কম্বোডিয়ার সেনারা স্থলমাইন পুঁতে রেখেছিল, যার বিস্ফোরণে এক থাই সেনা সদস্য পা হারিয়েছেন। কম্বোডিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছে। তখন থেকেই দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক অবনতি হতে শুরু করে। কূটনৈতিক টানাপোড়েনও বেড়ে যায়।কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি লিখিত চিঠি পাঠিয়ে থাইল্যান্ডকে ‘অভিযোগহীন ও পূর্বপরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের’ দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি জাতিসংঘকে দ্রুত একটি জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ দ্রুত সহিংসতা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র টমি পিগট এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বেসামরিক লোকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর তারা গভীরভাবে শোকাহত ও উদ্বিগ্ন। তিনি বলছেন, দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এক বিবৃতিতে বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু আত্মরক্ষার জন্য বাধ্য হয়েছে প্রতিক্রিয়া জানাতে।তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে এর বাইরে অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে।পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যেন আলোচনার মাধ্যমে সংহতি বৃদ্ধি এবং সংঘাত সমাধানের পথ খোলা হয়। কম্বোডিয়া সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘে এই ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে।গতকাল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় খবর ছিল যে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অতি জরুরি আলোচনার মাধ্যমে এই সংঘর্ষ ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ও দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনায় প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল।সীমান্তবর্তী গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ মারাত্মক বিপদে পড়ে গেছে। তারা সরকারি ও আন্তর্জাতিক সাহায্যের অভাবে কংক্রিট বাংকার ও অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে আশ্রয় নিয়েছে। শিশুরা ও প্রবীণরা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে। এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে মানবাধিকার ও সামাজিক উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।সাড়ে এক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘাত, যা থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার পুরনো বিরোধকে আরও জটিল করে তুলেছে। সামরিক সংঘাত, কূটনৈতিক বিরোধ ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বন্ধ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে তৎপর হওয়া জরুরি। এর জন্য দরকার কূটনৈতিক উদ্যোগ।ভোরের আকাশ/এসএইচ