সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২০ হাজার ২০০ ভারতীয় রুপিসহ এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাউরেরগড় বিওপির অধীন বিজিবির একটি টহল দল তাকে আটক করে। বিজিবি জানায়, কামাল হোসেন (৪৫) অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে ভারতীয় রুপি নিয়ে দেশে ফিরছিলেন। আটক ব্যক্তি উপজেলার গাঘাটিয়া গ্রামের মৃত লেচু মিয়ার ছেলে।বিজিবি আরও জানায়, সীমান্ত পিলার ১২০৪-এমপি থেকে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দশগড় নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে।সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘আটককৃতকে ভারতীয় রুপিসহ তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ জুলাই ২০২৫ ০৭:০১ পিএম
চিতলমারী উপজেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি আটক
বাগেরহাটের চিতলমারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খানকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছেন।শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে তাঁকে আড়ুয়াবর্নী চরপাড়া গ্রামের নিজবাড়ির পাশের রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ বাবুল হোসেন খান উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের মৃত রত্তন খানের ছেলে।চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, বাবুল হোসেন খানের বিরুদ্ধে থানায় একটি বিস্ফোরকসহ দুটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আড়য়াবর্নী গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের একটি রাস্তা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ জুলাই ২০২৫ ০৬:৪৯ পিএম
নৌ পুলিশের অভিযানে অবৈধ জাল মাছের পোনাসহ আটক ৩৪২ জন
সাত দিনব্যাপী নৌ পুলিশের চলমান বিভিন্ন অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ ও মাছের পোনা উদ্ধারসহ আটক ৩৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও নৌ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নৌ পুলিশ দেশব্যাপী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। সাত দিনব্যাপী নৌ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে মোট ২ কোটি ঊননব্বই লক্ষ একাত্তর হাজার দুইশত মিটার অবৈধ জাল, ২ হাজার পাঁচশত তেইশ কেজি মাছ, ১৪ হাজার পিস রেনু পোনা, ৮০ কেজি জেলীযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয় এবং নদী থেকে ৩ শ চারটি ঝোপঝাড় ধ্বংস করা হয়।নৌ পুলিশের এই অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না পাওয়ায় ১ পঁয়ত্রিশটি বাল্কহেডের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে প্রসিকিউশন দায়ের করা হয় এবং ৫টি ড্রেজার জব্দ করা হয়।৭ দিনব্যাপী এই অভিযানে ৩৪২ জন আসামী গ্রেফতার করা হয় এবং ৫৬টি মৎস্য, ১টি চুরি, ২২টি বেপরোয়া গতি, ৭টি অপমৃত্যু, ২টি বালুমহাল, ১টি হত্যা এবং ১টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাসহ মোট ৯০টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।উল্লেখ্য, জব্দকৃত অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছে। মাছ এতিমখানায় বিতরণ এবং মাছের রেনু পোনা পানিতে অবমুক্ত করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫৫ পিএম
বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ২
ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। এ সময় হরিণের মাংসসহ দুইজন আটক করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটকরা হলেন- আব্দুস ছালাম (৪০) ও মো. জাকারিয়া (২৫)।বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে শরণখোলা রেঞ্জের জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির সদস্যরা টহল দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মঠবাড়িয়ার বাবুরহাট বাজার এলাকায় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি শুরু করে টহলদল। এ সময় ঢাকাগামী একটি বাসের সাইট বক্সের ভেতর তল্লাশি করে বস্তাবন্দী ককশিটে ১০ কেজি হারিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। হাতে নাতে আটক করা হয় দুই পাচারকারীকে।পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, হরিণের মাংসসহ আটক ব্যক্তিরা সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ জুলাই ২০২৫ ০৩:২৩ পিএম
বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে ২ নারীকে হত্যা: প্রধান সন্দেহভাজন আটক
বগুড়ায় বিয়েকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধাসহ একই পরিবারের দুই সদস্যকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সৈকত হাসান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া শহরের খান্দার এলাকার পাসপোর্ট অফিসের সামনের সড়ক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার। তিনি জানান, গ্রেফতারের পর হত্যায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে প্রাথমিক জবানবন্দি দিয়েছেন সৈকত। প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে একাই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।এর আগে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া আটটার দিকে শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় ওই দুই নারীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয় একজন। নিহতরা হলেন- ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন ( ২১)।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৭ জুলাই ২০২৫ ০২:১২ পিএম
শিবচরে শিশু অপহরণকারী এক নারী আটক
মাদারীপুর জেলার শিবচরের মুন্সি কাদিরপুর ইউনিয়নের ৯৬ নং সোনামিয়া মাদবরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ফারহানা আক্তার (৫) নামের এক শিশুকে অপহরণের চেষ্টার সময় এক নারীকে আটক করেছে এলাকাবাসী।বুধবার (১৬ জুলাই) এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহরণ চেষ্টাকারী ইতি আক্তার নামের ঐ মহিলাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়।বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক জানান, সকাল ৯টার দিকে ওই মহিলাকে বিদ্যালয়ের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয়।এ সময় মহিলাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তার মেয়ে ফারহানা আক্তার এই স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। পরে শিক্ষক জানান, প্রথম শ্রেণিতে ফারহানা নামে কোনো ছাত্রী নেই। এরপর মহিলাকে তাদের অফিসে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় লোকজনকে খবর দিলে তারা মহিলার হাতে বাচ্চাদের জুস ও অ্যান্টিবায়োটিকের প্যাকেট দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।আটককৃত ইতি আক্তার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রাথমিক স্কুলগামী শিশুদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণ চুরি করতেন। আজ কাদিরপুরে এই কাজ করতে গিয়ে তিনি এলাকাবাসীর রোষানলে পড়েন। থানায় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইতি আক্তার চুরির কথা স্বীকার করেন।তিনি জানান, তিনি শিশু অপহরণকারী নন, বরং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিশুদের কান ও গলার স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়াই তার উদ্দেশ্য ছিল। এই ঘটনায় অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিদ্যালয়ের চারপাশে সুরক্ষা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে শিবচর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজহার আলী (সুমন) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঐ নারী বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শিশুদের স্বর্ণালংকার চুরির কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৬ জুলাই ২০২৫ ১০:১৮ পিএম
বিজয়নগরে ১৪৫ বোতল মাদকসহ কারবারি আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ১৪৫ বোতল ভারতীয় স্কপ সিরাপ (মাদকদ্রব্য) উদ্ধারসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিডিয়া সেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানাধীন ৭নং সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রকিব প্রকাশ রাকিব মিয়াকে ১৪৫ বোতল ভারতীয় স্কক সিরাপসহ মাটির বসত ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বিজয়নগর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সোমবার (১৪ জুলাই) ০৯.৩০ ঘটিকার সময় এসআই/মশিউর রহমান খান, এসআই/ মাহবুব আলম সরকার ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অত্র থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত ঘটনাস্থল হতে ধৃত আসামী- মোঃ রকিব প্রকাশ রাকিব মিয়া (৩৭), পিতা- মোঃ জনাব আলী, সাং- কাঞ্চনপুর (ইউপি-সিঙ্গারবিল), থানা- বিজয়নগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র দখল ও হেফাজত হতে ১৪৫ বোতল স্কপ সিরাপ উদ্ধার করতঃ উক্ত আলামত বিধি মোতাবেক উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮ মোতাবেক বিজয়নগর থানার এফআইআর নং-২২, জি আর নং-২৬৮ ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৪ জুলাই ২০২৫ ০৪:৫৭ পিএম
কুড়িগ্রামে ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্পের মেজর শাহারিয়ার আহাদ।এর আগে রোববার রাতে উলিপুর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ মধুপুর গ্রামের মৃত মহসিন আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও একই উপজেলার কাশিয়াগানি গ্রামের একাব্বর আলীর ছেলে রেজাউল করিম।সেনা ক্যাম্প সুত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের অধিনস্ত ২২ বীরের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুইজন মাদক কারবারিকে আটক করে।এ সময় তল্লাশি চালিয়ে ১২৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ হাজার নগদ টাকা, ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত মেজর শাহারিয়ার আহাদ বলেন, আটক দুই মাদক কারবারিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এছাড়াও সেনাবাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযান ও চাঁদাবাজ বিরোধী অভিযান আগামীতে অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ জুলাই ২০২৫ ০১:০৪ পিএম
রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেনের ৪ সহযোগী আটক
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নগদ ১৪ লাখ টাকা ও ১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাত নবী হোসেন গ্রুপের চার সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও এপিবিএন পরিচালিত অভিযানে ক্যাম্প ১১-এর সি/৬ ব্লকের মাঝি কেফায়েত উল্লাহর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।আটকরা হলেন ক্যাম্পের ১১ এর ই ব্লকের মো. ইউসুফের ছেলে মো. আনাস (৩০), ক্যাম্প-৯ ব্লক সি ১৪ এর বাসিন্দা নুর বসরের ছেলে মনসুর (৩২), ক্যাম্প ৯ এর সি ব্লক ১৬ এর বাসিন্দা নাজিমুদ্দিনের ছেলে ইয়াসের আরাফাত (৩৫) ও ক্যাম্প-১১এর সি-৬ ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আহমেদ এর ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (৩৫)।সেনাবাহিনী জানায়, রোববার ক্যাম্প-১১ তে নবী হোসেনের দলের সদস্যরা জনৈক অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াসের সাথে বিদেশি অস্ত্র ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসে। তৎক্ষণাৎ যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াস পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নবী হোসেন দলের ৪ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।এ সময় তাদের কাছে ১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র (UZI SMG) এবং ১৪ লাখ টাকা পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তারা রোহিঙ্গা নবী হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলের সক্রিয় সদস্য। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যৌথবাহিনী কক্সবাজারস্থ টিমের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযানের দিন ক্যাম্পে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী’ ইলিয়াসের সঙ্গে বিদেশি অস্ত্র বেচাকেনার জন্য ওই চারজন উপস্থিত ছিলেন। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইলিয়াস পালিয়ে গেলেও বাকিদের আটক করা সম্ভব হয়। উদ্ধারকৃত উজি এসএমজি, যা সাধারণত মায়ানমার সেনাবাহিনী ব্যবহার করে, তা নবী হোসেনের ক্যাম্প-৮ (ইস্ট) এলাকার আস্তানায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নবী হোসেন বর্তমানে আরসার কমান্ডার এবং আরসিপিআর এর প্রধান নেতা দিল মোহাম্মদের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে । ২০২৩ সালে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন নবী হোসেন। তারপর থেকেই তিনি এ ধরনের কাজ করছেন।প্রসঙ্গত, অস্ত্রটি ক্যাম্প ৮ (ইস্ট) এ অবস্থিত নবী হোসেনের আস্তানায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে সেনাবাহিনীর কাছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চাঁদপুরে জুমার নামাজ শেষে মসজিদে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খতিবকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক ব্যক্তি। হামলার পর স্থানীয়দের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে পুলিশ।শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।আহত খতিব হলেন মাওলানা আ.ন.ম. নূরুর রহমান মাদানী, সৌদি আরবের মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লিগ এবং দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাঝেমধ্যে ওই মসজিদে খুতবা ও ইমামতি করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ ছাড়লেও খতিব সাহেব তখনো ভেতরে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় একজন ব্যক্তি মসজিদে ঢুকে কাছে থাকা চাপাতি দিয়ে হঠাৎ তার কানের গোড়ালিতে কোপ মারেন। এতে খতিব গুরুতর আহত হন।আটক হওয়া ব্যক্তি মো. বিল্লাল হোসেন (৫০), পিতা আইয়ুব আলী। তার স্থায়ী ঠিকানা চাঁদপুর সদর উপজেলার মনোহরখাদি, বিষ্ণুপুর। ৭নং ওয়ার্ড বকুলতলা রোডের অস্থায়ী বাসিন্দা।স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক সপ্তাহ আগে এক খুতবায় খতিব সাহেব নবী করিম (সা.)-কে "ইসলামের বার্তাবাহক" হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এই বক্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ হন বিল্লাল হোসেন এবং আজ জুমার পর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। তার চাপাতিতে লেখা ছিল "আমার নবীজিকে অপমান করার কারণে তাকে হত্যা করা হলো।"আহত মাওলানা নূরুর রহমান মাদানীকে দ্রুত চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমদ কাজল জানান, "রোগীর কানের গোড়ালিতে চাপাতির আঘাতে ১০-১২টি সেলাই লেগেছে। বর্তমানে তিনি ওসেক ইউনিটে চিকিৎসাধীন।"এ ঘটনায় এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে। সামাজিক, ধর্মীয় ও নাগরিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি ধর্মের নামে চরম উগ্র আচরণ।স্থানীয়রা বলেন, "খতিব সাহেবের বক্তব্যে কোনো ধরনের অবমাননা ছিল না। একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ ধর্মীয় ভিন্নমত পোষণ করলেও তা হত্যার উদ্দেশ্যে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা নয়।"চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বাহার মিয়া বলেন, "ঘটনার পরপরই আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১২ জুলাই ২০২৫ ০২:২৮ এএম
ভারতে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে আটক ৪৪৮
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় ‘অবৈধ অভিবাসী’ সন্দেহে অন্তত ৪৪৮ জনকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) রাত থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে এই অভিযান চালানো হয়। আটকদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।বুধবার (৯ জুলাই) ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ওড়িশার ঝাড়সুগুদা জেলায় ৪৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে, যাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন। এছাড়া জগৎসিংহপুর জেলা থেকেও আরও ৪ জন বাংলাদেশি সন্দেহে আটক হন।আটকরা রাজ্যের বিভিন্ন কারখানা, খনি, নির্মাণ ও রঙের কাজে নিযুক্ত ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। এখন তাদের নথিপত্র যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।ওড়িশা পুলিশের উত্তরাঞ্চলীয় আইজি হিমাংশু কুমার লাল জানান, “সন্দেহভাজনদের একটি নির্দিষ্ট আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে এবং পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া চলছে।”জেলা পুলিশ জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রাজ্যে ‘অবৈধ বিদেশি’ শনাক্তে বিশেষ টাস্কফোর্স (STF) গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের সমন্বয়ে এই অভিযান চালানো হয়।এর আগে গত ২৯ জুন কেন্দ্রপাড়া জেলায়ও ১৮ জন বাংলাদেশিকে শনাক্ত করে পুলিশ। তাদের আটক করে সংশ্লিষ্ট আটককেন্দ্রে পাঠানো হয়।ওড়িশা বিধানসভায় গত মার্চে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানান, রাজ্যে ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রপাড়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি এবং জগৎসিংহপুর, মালকানগিরি, ভাদ্রাক ও নবরংপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করছেন বলে তথ্য উঠে আসে। ভোরের আকাশ/হ.র