সংগৃহীত ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপি।
বুধবার (৩০ জুলাই) হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্রাজিলের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে ব্রাজিলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে দাঁড়াল।
হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় বলা হয়, ব্রাজিল সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দমন–পীড়ন, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি, সেন্সরশিপ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ও তার হাজার হাজার সমর্থকের বিরুদ্ধে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। এগুলো ব্রাজিলে আইনের শাসনকে দুর্বল করে দিয়েছে।
ঘোষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, ব্রাজিলের অস্বাভাবিক ও ব্যতিক্রমী নীতি ও পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো, মার্কিন নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতির ক্ষতি করছে। ঘোষণায় বলসোনারোর বিচারে যুক্ত ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে মোরায়েসের নামও আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার মধ্যে আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পর্তুগাল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এ খবর জানিয়েছে।দৈনিক ডায়ারিও ডি নোটিসিয়াস এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর কার্যালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘ সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্রগুলোর উপস্থাপিত এবং মূলত বৈধ শর্তগুলো পূরণ করা হলে পর্তুগাল সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে।এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্টিনিগ্রো প্রথমে দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুসার সঙ্গে এবং সংসদের দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে বলেও জানানো হয়।পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আরও বলেছে, তারা ইতোমধ্যেই স্বীকৃতি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বিশ্লেষণ বা শর্তগুলো ব্যাখ্যা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি দেশের সঙ্গে চুক্তি —যাদের সঙ্গে আমরা একটি স্থায়ী সংলাপ বজায় রেখেছি এবং যারা এই সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
ভারতের অর্থনীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে ভারতের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, সমগ্র বিশ্ব জানে ভারতের অর্থনীতি মৃত, শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ছাড়া।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) লোকসভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল বলেন, তিনি (ট্রাম্প) ঠিকই বলেছেন। আমি খুশি যে ট্রাম্প সত্যটা বলেছেন। বিজেপি ভারতের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। কেন করেছে? আদানিকে সাহায্য করতে।এর আগে বুধবার (৩০ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে অভিহিত করে বলেন, তারা চাইলে একসঙ্গে তাদের মৃত অর্থনীতি ধ্বংস করুক, আমার কিছু যায় আসে না। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, সঙ্গে অতিরিক্ত জরিমানাও।ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে ট্রাম্পের ভাষায় রাহুল গান্ধী আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, মোদী সরকার ভারতের অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতিকে ধ্বংস করেছে। তারা দেশ চালাতে জানে না, দেশকে ডুবিয়ে দিচ্ছে।এর আগে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সংসদে ‘পহেলগাম হামলা’ ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় রাহুল গান্ধী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী যেন সাহস করে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প মিথ্যা বলছেন। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ থামাতে তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন।মোদী অবশ্য তার জবাবে বলেন, কোনো বিশ্বনেতা অপারেশন সিঁদুর থামানোর অনুরোধ করেননি। তবে তিনি সেসময় ট্রাম্পের নাম নেননি। জানা গেছে, ট্রাম্পের ঘোষণার পর ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বুধবার (৩০ জুলাই) জানায়, তারা শুল্কের প্রভাব ও পরিণতি বিশ্লেষণ করছে।রাহুল আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি চমৎকার। অথচ একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে খোঁচা দিচ্ছে, অন্যদিকে চীন আমাদের ঘাড়ের ওপর। পাকিস্তানকে দোষারোপ করলেও, আপনি যখন বিদেশে প্রতিনিধি পাঠান, তখন কোনো দেশই পাকিস্তানকে নিন্দা করে না। আসলে তারা জানেনই না, কীভাবে দেশ চালাতে হয়। একেবারে বিভ্রান্তি চলছে।রাহুল প্রশ্ন রাখেন, ট্রাম্প বলেছে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। এখন বলছে ২৫ শতাংশ শুল্ক। কখনো ভেবে দেখেছেন কেন মোদী এর জবাব দিতে পারছেন না? কে নিয়ন্ত্রণে আছে? ব্যাপারটা বুঝুন।বৃহস্পতিবার এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া বিবৃতিতেও রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতের অর্থনীতি মৃত। মোদী তা হত্যা করেছেন।তিনি লিখেছেন, আদানি-মোদী জোট, নোটবন্দি, ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি, ব্যর্থ ‘অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়া’, ক্ষুদ্র ব্যবসা ধ্বংস, কৃষকদের দমন- এই সবকিছু মিলিয়ে ভারতের যুবসমাজের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিয়েছেন। কারণ দেশে কোনো চাকরি নেই।সূত্র: দ্য ওয়্যারভোরের আকাশ/জাআ
ইরানি তেল কেনাবেচায় জড়িত থাকায় অভিযোগে ভারতের ছয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণাধীন যেকোনো স্থানে এসব কোম্পানির সম্পদ ও স্বার্থ ‘ব্লক’ বা জব্দ থাকবে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দাবি, এসব লেনদেন মার্কিন নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬ অনুযায়ী নিষিদ্ধ। কারণ ইরান সরকার এ আয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত উসকে দিচ্ছে, সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগাচ্ছে এবং নিজ দেশের জনগণকে দমন করছে।স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ইরানি শাসকগোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা উসকে দিতে তাদের তেল বিক্রি থেকে উপার্জিত রাজস্ব ব্যবহার করছে। আজকের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা সে অর্থপ্রবাহ বন্ধের চেষ্টা করছি, যা তারা বিদেশে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং দেশের জনগণের ওপর দমন-পীড়নে ব্যবহার করে।এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিশ্বের আরও ২০টি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারতের ছয়টি কোম্পানির নাম এসেছে। নিষেধাজ্ঞায় থাকা ছয় ভারতীয় কোম্পানি হচ্ছে— অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড, জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পারসিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড এবং কাঞ্চন পলিমার।সবগুলো প্রতিষ্ঠানই নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬-এর ধারা ৩ (এ) (৩)-এর অধীনে ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের উল্লেখযোগ্য লেনদেনে সচেতনভাবে জড়িত থাকার কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।এ নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণাধীন যেকোনো স্থানে এসব কোম্পানির সম্পদ ও স্বার্থ ‘ব্লক’ বা জব্দ থাকবে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারে এসব নিষিদ্ধ কোম্পানির মালিকানায় রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা দেশের ভেতর দিয়ে (বা হয়ে) এসব নিষিদ্ধ কোম্পানির সম্পদ বা স্বার্থসম্পন্ন যেকোনো লেনদেন নিষিদ্ধ। এছাড়া এদেরকে অর্থ, পণ্য বা সেবা দেয়াও নিষিদ্ধ, আবার এসব কোম্পানির পক্ষ থেকে সেসব গ্রহণ করাও নিষিদ্ধ।ভোরের আকাশ/জাআ
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে এক নতুন মোড় নিয়েছে। এক দশক আগে যে চুক্তি বিশ্বের পরিবেশগত রাজনৈতিক ধারাকে আমূল পাল্টে দিয়েছিল, সেই প্যারিস চুক্তির পথ ধরে আজকের বিশ্ব পৌঁছেছে নতুন এক সমন্বিত অভিযাত্রায়। এই পরিবর্তনের মধ্যে এসেছে একটি বহুমাত্রিক কাঠামো, যেখানে রাষ্ট্রের পাশাপাশি জনগণ, স্থানীয় প্রশাসন, কৃষক, উদ্যোক্তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি আদিবাসী সমাজেরও সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।তবে বিগত দশকের অভিজ্ঞতা স্পষ্ট করে দিয়েছে, শুধু স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ বা বিচ্ছিন্ন কর্মসূচি দিয়ে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে জরুরি হয়ে পড়েছে একযোগে পরিকল্পনা, ধারাবাহিক অগ্রগতি যাচাই এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে দৃঢ় সমন্বয়। এ লক্ষ্যেই গঠিত হয়েছে এক নতুন কর্মসূচি, যা জলবায়ুবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের দূতদের নেতৃত্বে ও মরাকেশ অংশীদারিত্ব কাঠামোর সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচি মূলত ৩০টি অভিন্ন লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, যা জাতিসংঘের জলবায়ু উন্নয়নমূল্যায়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই উদ্যোগই এখন ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় কপ ৩০ সম্মেলনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।এই কর্মপরিকল্পনার মূল দর্শন হলো- ‘সমবেত শ্রম’, যা ব্রাজিলীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী ‘মুতিরাও’ নামে পরিচিত। এই চিন্তাধারা অনুসারে, সকল পক্ষ একযোগে হাত মিলিয়ে, সম্পদ ভাগ করে ও অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে এগিয়ে যাবে। এটি কেবল আগামী সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য নয়, বরং পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ব জলবায়ু কর্মপন্থা নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।এই নতুন পরিকল্পনায় ছয়টি মূল স্তম্ভ রয়েছে * বিদ্যুৎ, শিল্প ও পরিবহন খাতে রূপান্তর;* বন, নদী, সমুদ্র ও জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ;* কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থার পরিবর্ধন;* শহর, অবকাঠামো ও পানি ব্যবস্থায় সহনশীলতা সৃষ্টি;* মানবিক ও সামাজিক উন্নয়ন; এবং সর্বশেষ, প্রযুক্তি, অর্থায়ন ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সহায়ক ব্যবস্থার বিকাশ।প্রতিটি লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য গঠন করা হয়েছে ‘সক্রিয়তা দল’। এসব দলে রয়েছে সংশ্লিষ্ট খাতে ইতিমধ্যেই কাজ করে যাওয়া বিভিন্ন সংগঠন ও উদ্যোক্তারা। তারা প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি, সমন্বিত উদ্যোগ পরিচালনা এবং অগ্রগতি মূল্যায়নের কাজ করবে। এইসব দল একটি ‘সমাধান ভাণ্ডার’ গঠনের জন্যও কাজ করবে, যেখানে সঞ্চিত থাকবে বাস্তবে পরীক্ষিত এবং কার্যকর পন্থাসমূহ-যা অন্যরাও প্রয়োগ করতে পারবে নিজের প্রেক্ষাপটে।জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে-যাতে স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচি ও রাষ্ট্রীয় নীতির মধ্যে একটি সেতুবন্ধ তৈরি হয়। এর ফলে শুধুমাত্র বৃহৎ অঙ্গীকার নয়, বরং বাস্তবভিত্তিক, নিরীক্ষাযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু উদ্যোগ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।কপ ৩০ সম্মেলনে এই কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরা হবে এবং সেখানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপিত হবে একটি সুসংহত, স্বচ্ছ এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিবেশ পরিকল্পনার রূপরেখা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যারা ইতিমধ্যে জলবায়ু বিষয়ক কার্যক্রমে যুক্ত আছেন, তারা এই কর্মসূচির অংশ হতে পারেন, নিবন্ধন করতে পারেন আন্তর্জাতিক জলবায়ু কর্মপোর্টালে এবং যুক্ত হতে পারেন নিজ নিজ ক্ষেত্রের সক্রিয়তা দলে। পরিবেশ রক্ষার এই সংগ্রামে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে বিশ্ব। বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়-সমন্বিত প্রয়াসই হতে চলেছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার একমাত্র পথ।ভোরের আকাশ/এসএইচ