প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৫ মিনিটের ফোনালাপ, চমৎকার সম্পর্কের বার্তা দিল ওয়াশিংটন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবার (৩০ জুন) এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম এবং একইসঙ্গে একটি বার্তা প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়, মার্কো রুবিও ও ড. ইউনূস দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে উভয় দেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।এ সময় তারা পারস্পরিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয় এবং তা প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল।তিনি লিখেছেন, “ফোনালাপটি ছিল অত্যন্ত উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন।”ভোরের আকাশ//হ.র
৩০ জুন ২০২৫ ১১:০৭ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বৈঠক আগামী সপ্তাহে, যুদ্ধ শেষ বলে ঘোষণা ট্রাম্পের
পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগে ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।ট্রাম্প বলেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের কারণে যে সংলাপ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল, সেটি আবার শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি তোমাদের একটা কথা বলি, আমরা আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। আমরা হয়তো একটি চুক্তিও করতে পারি—তবে আমি জানি না।”যদিও তিনি ইরানের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী নন বলেও মন্তব্য করেন। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কার্যত ধ্বংস হয়েছে।ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃষ্টিতে তারা যুদ্ধে লড়েছে, এবং যুদ্ধ শেষ হয়েছে।”সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে ইরান পারমাণবিক সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পায়নি। তিনি বলেন, “এসব জিনিস খুবই ভারী, সরানো সহজ নয়।”সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ট্রাম্প শান্তির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এবং যারা শান্তি চায়, তাদের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রাখতে চান।রুবিও জানান, আলোচনা শুরু হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইরানের অংশগ্রহণের ইচ্ছার ওপর।অন্যদিকে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি না এটা খুব প্রয়োজনীয়। তারা একটি যুদ্ধে ছিল, তারা লড়েছে, এখন তারা নিজেদের পথে ফিরে গেছে। কোনও সমঝোতা হলো কি না, সেটা আমি খুব একটা পরোয়া করি না। আমরা শুধু তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।”সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।ভোরের আকাশ//হ.র
২৬ জুন ২০২৫ ০৩:৪৫ এএম
ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন আঞ্চলিক সংকটের মূল কারণ: কাতার
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মঙ্গলবার টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। আলাপকালে তারা কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে কথা বলেন।কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম জানিয়েছেন, টেলিফোনালাপে কাতারের আমির তার দেশ সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং ভালো প্রতিবেশীর নীতি অনুসরণ করে আসছে বলে ইরানের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন শত্রুতাপূর্ণ আচরণের প্রত্যাশা কাতারের পক্ষ থেকে ছিল না।কাতারের আমির এই ঘটনার পর সম্ভাব্য কূটনৈতিক ও আইনি প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং দ্রুত এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি এ বিষয়টি অতীতের ঘটনা হিসেবে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।শেখ মোহাম্মদ বলেন, আঞ্চলিক উত্তেজনার মূল কারণ গাজার ওপর ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন ও যুদ্ধবিরোধী মনোভাব। কাতার কাজ করে যাচ্ছে যাতে এই সংকট পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে।তিনি আরও বলেন, “সারা বিশ্বকে এক হয়ে ইসরায়েলের দায়িত্বহীন কার্যকলাপের অবসান ঘটানোর সময় এসেছে।”সূত্র: আল জাজিরা।ভোরের আকাশ//হ.র
২৬ জুন ২০২৫ ০৩:৩০ এএম
বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন নাগরিকদের সাবধানতার আহ্বান
ইরানে সামরিক হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বিশ্বব্যাপী মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার পর বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্বার্থের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৩ জুন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিদেশে মার্কিন নাগরিক এবং স্বার্থের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিশ্বব্যাপী সকল মার্কিন নাগরিককে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”বিশেষ করে যেসব দেশে মার্কিনবিরোধী মনোভাব প্রবল, সেসব অঞ্চলে অস্থিরতা এবং সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ইরানবিরোধী সামরিক অভিযানের কারণে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই সতর্কতা মার্কিন নাগরিকদের যেকোনো ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে জারি করা হয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
কানাডায় অনুষ্ঠিত ৫১তম জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সফরকালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান। তবে সেই আমন্ত্রণ বিনীতভাবে প্রত্যাখ্যান করেন মোদি। শুক্রবার (২০ জুন) এক বক্তব্যে তিনি নিজেই এই তথ্য জানান।মোদি বলেন, “দিন দুয়েক আগে যখন আমি জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে কানাডায় ছিলাম, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাকে ফোন করেন। তিনি আমন্ত্রণ জানান ওয়াশিংটনে এসে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার ও বৈঠক করার জন্য।”তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প তাকে অনুরোধ করার পাশাপাশি কিছুটা জোরও দিয়েছিলেন আমন্ত্রণ গ্রহণের বিষয়ে। কিন্তু মোদি বিনীতভাবে জানিয়ে দেন, তার দেশের একটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জরুরি।ওড়িশার জগন্নাথ ধামে ধর্মীয় সফরকেই প্রাধান্য দেন মোদিভূবনেশ্বরে এক সভায় মোদি বলেন, “আমি ট্রাম্পকে বলেছিলাম—আপনার আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু মহাপ্রভুর ভূমিতে (ওড়িশা) যাওয়া আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” এখানে 'মহাপ্রভুর ভূমি' বলতে তিনি ওড়িশার পুরী অঞ্চলের জগন্নাথ ধামকে বোঝান।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই মন্তব্যে মোদি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তার হিন্দু ভক্ত ও রক্ষণশীল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে। এই শ্রেণির ভোটারদের কাছে নিজেকে একজন ধর্মনিষ্ঠ দেশনেতা হিসেবে তুলে ধরার কৌশল এটি।মোদি ও ট্রাম্পের ফোনালাপে প্রায় ৩৫ মিনিট আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। যদিও সেই আলাপের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি, তবে এমন সময়ে এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান এবং তার ব্যাখ্যা ঘিরে আলোচনা ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।ভোরের আকাশ//হ.র
২৩ জুন ২০২৫ ১২:৪৬ এএম
ইরানে মার্কিন হামলার কড়া সমালোচনায় লাতিন আমেরিকার চার দেশ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লাতিন আমেরিকার চারটি দেশ—কিউবা, চিলি, মেক্সিকো ও ভেনেজুয়েলা। দেশগুলো এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং বৈশ্বিক শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে।কিউবার কড়া বার্তাকিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এটি জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন। এমন এক পদক্ষেপ যা গোটা বিশ্বকে এক ভয়াবহ ও অপরিবর্তনীয় সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”চিলির ন্যায়বোধপূর্ণ অবস্থানচিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিচ ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, “চিলি এই হামলার নিন্দা জানায়। ক্ষমতা থাকলেই তা অন্যায়ভাবে প্রয়োগের অধিকার জন্মায় না—আপনি যত বড় শক্তিই হোন না কেন, এমনকি আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রও হন।”মেক্সিকোর শান্তির ডাকমেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানায়, “আমাদের সংবিধান ও শান্তিবাদী পররাষ্ট্রনীতির আলোকে আমরা জোর দিয়ে বলছি—উত্তেজনা কমাতে হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।”ভেনেজুয়েলার কঠোর নিন্দাভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন, “আমরা মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি ইসরায়েলের অনুরোধে পরিচালিত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।”বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা এখন কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বৈশ্বিক কূটনৈতিক অঙ্গনেও বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। অনেক রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে, এই হামলা শান্তির পরিবর্তে যুদ্ধ ও অস্থিরতার পথ উন্মোচন করছে।তথ্যসূত্র: আলজাজিরাভোরের আকাশ//হ.র
২৩ জুন ২০২৫ ১২:২৭ এএম
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সিরিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম পুনরায় শুরু
দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিরিয়ায় আবারও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ ঘোষণা এসেছে।শনিবার (১৭ মে) কুর্দিস্তান২৪ নিউজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্রাম্প সরাসরি আহমেদ আল শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা গত ২৫ বছরে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ সিরীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। বৈঠকে ট্রাম্প আহ্বান জানান, সিরিয়া যেন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত 'আব্রাহাম চুক্তি'-তে যোগ দেয়।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি শারাকে বলেছি, আশা করি তুমি আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে, যখন তোমার অভ্যন্তরীণ অবস্থা স্থিতিশীল হবে। সে 'হ্যাঁ' বলেছে, তবে এখনো অনেক কাজ বাকি।”এই বৈঠকের পরই বিশ্বব্যাংক ঘোষণা দেয়, তারা সিরিয়ায় পুনরায় উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বব্যাংক দেশটির সঙ্গে সব ধরনের উন্নয়ন সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছিল।বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, সৌদি আরব ও কাতারের আর্থিক সহায়তায় সিরিয়ার পক্ষ থেকে প্রায় ১৫.৫ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। এর পরই নতুন করে প্রকল্প শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দীর্ঘ সংঘাত শেষে সিরিয়া এখন পুনর্গঠন ও উন্নয়নের পথে রয়েছে। নতুন সরকারের সঙ্গে আমাদের প্রথম প্রকল্প হবে দেশের বিদ্যুৎ অবকাঠামো উন্নয়ন। এই সহায়তা কেবল সিরিয়াকে নয়, গোটা অঞ্চলকেই স্থিতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।”উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অপসারণের পর সিরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করেছে। একে একে তুলে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বব্যাংকের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যের নতুন কূটনৈতিক পরিবেশের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
১৯ মে ২০২৫ ০৯:১০ এএম
ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হুতিরা বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধে সম্মত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৬ মে) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন।লোহিত সাগরে ইসরায়েলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার জেরে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে হুতিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, হুতিরা হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত সামরিক অভিযান চলবে।এদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “হুতিরা জাহাজে হামলা বন্ধে সম্মত হয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই এবং বিমান হামলা বন্ধ করছি।” তিনি আরও বলেন, “তারা আত্মসমর্পণ করেছে, এবং জানিয়েছে—আর কোনো হামলা চালাবে না।”মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান জানিয়েছে, হুতি ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তারাই মধ্যস্থতা করেছে। এক বিবৃতিতে দেশটি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে হুতি নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষ ও মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সেই আলোচনার মাধ্যমেই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো গেছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হুতিরা আগামী দিনগুলোতে লোহিত সাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালীর বাণিজ্যিক জাহাজে আর হামলা চালাবে না। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।তবে এখনো হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।ভোরের আকাশ//হ.র