খুলনায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে ইমরান মুন্সি নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮ টার দিকে নগরীর কাস্টমস ঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।খুলনা থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর মোটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশ লাইনের দিকে চলে যায়। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থান থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। নিহত ইমরান মুন্সি খুলনার গ্রেনেড বাবুর সক্রিয় সদস্য ছিল। তাকে অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ গ্রুপের সদস্যরা হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
০৭ অক্টোবর ২০২৫ ১০:১৩ পিএম
খুলনায় ঘের ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোয়াটী দাড়িরপাড় বটতলায় জাকির শেখ (৪৫) নামে এক ঘের ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টায়।আহত জাকির বর্তমানে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে।এ ব্যাপারে হামলার শিকার জাকিরের বড় ভাই এস এম তুহিন মো. রসুল শেখ (৩০) তার পিতা তকু শেখ (৫২), চাচা মো. বিল্লাল শেখ বিলু (৪৮) এবং মোস্তফা শেখ (৩৫) কে অভিযুক্ত করে দিলিয়ায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচএম শাহীন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।হামলার শিকার আহত জাকির শেখের বড় ভাই এস এম তুহিন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় আমার ছোট ভাই ঘটনাস্থলে ইছা শেখের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের রসুল শেখ পিছন দিক থেকে আমার ভাইয়ের মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত করে।রক্তা অবস্থায় সে মাটিতে পড়ে গেলে রসুল শেখের পিতা তকু শেখ, চাচা মো. বিল্লাল শেখ বিলু এবং মোস্তফা শেখ আমার ভাইকে লোহার রড জি আই পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে জখম করে। এ সময় তার কাছে মাছের খাবার ক্রয়ের জন্য থাকা সাড়ে ২২ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।ভোরের আকাশ/জাআ
০৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৩৫ পিএম
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত
খুলনার ডুমুরিয়ায় রাস্তা পারাপারের সময় মাহেন্দ্র’র ধাক্কায় মো. সাইমন হাসান (১২) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে কাগজিপাড়া মোড়ে বানিয়াখালি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইমন হাসান কাগজিপাড়া গ্রামের শেখ এনামুল কবিরের ছেলে। সে কাগজিপাড়া আলামিন তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের ছাত্র ছিলো।জানা গেছে, কাগজিপাড়া আলামিন তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার পাশেই বানিয়াখালী সড়কটি। দুপুর ১২টার দিকে সাইমুন ও তার কয়েকজন সহপাঠীরা মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে রাস্তাপার হচ্ছিলো। এসময় বানিয়াখালীগামী মাহেন্দ্র গাড়ির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে সে মারা যায়।থানার এসআই নিয়াজ মাহমুদ জানান, মাদ্রাসা ছাত্র সাইমন হাসান বানিয়াখালীগামী নিয়ন্ত্রণহীন একটি মাহেন্দ্র’র চাপায় নিহত হয়েছে।এ ঘটনায় নিহত সাইমনের বাবা শেখ এনামুল কবির বাদী হয়ে চালক কাঞ্চনপুর গ্রামের আমান উল্লাহ সরদারের নামে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:১০ পিএম
খুলনা মহানগরীতে তিন অপহরণকারী গ্রেপ্তার
খুলনায় মো. মুস্তাসিম বিল্লাহ (২৪) নামে এক তরুণকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে সাতরাস্তার মোড় গরীবে নেওয়াজ ক্লিনিকের সামনে থেকে মো. মুস্তাসিম বিল্লাহ (২৪) নামের এক তরুণকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। অপহরণের পর তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে নগদ ২৪ হাজার টাকা ও পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৫৬ ডলার হাতিয়ে নেয় অপহরণকারীরা।পরে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা। ভিকটিম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারীরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে জীবনের ভয়ে মুস্তাসিম তাদের দাবির সঙ্গে আপস করলে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মুস্তাসিম মঙ্গলবার খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনাডাঙ্গা এলাকার পশ্চিম বানিয়াখামারে অভিযান চালিয়ে তিন অপহরণকারীকে আটক করে। অপহরণকারীরা হলেন- রমজান আকন (২৮), ফেরদাউস (৩০) ও মনিরুজ্জামান (২৪)।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৪২ পিএম
বটিয়াঘাটায় জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে প্রেস ক্লাবের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
খুলনা বটিয়াঘাটার সদর ইউনিয়নের জামায়াত সভাপতি ও বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুলের বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎসহ নানা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় আত্বসাতকৃত অর্থ ফেরত সহ অভিযুক্ত তরিকুলের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নিতে গত মাসের (২২ সেপ্টেম্বর) বর্তমান প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক মো. সোহেল রানা বাদী হয়ে অত্র উপজেলার ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও'র) কার্যালয় থেকে প্রেসক্লাবের নামে সরকারি ভাবে ০২ বান টিন ও ০৬ (ছয় হাজার) টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় তবে প্রেস ক্লাব মাত্র ০২ বান টিন গ্রহণের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। বাকি ০৬ হাজার টাকা কাউকে কিছু না জানিয়ে তরিকুল নিজেকে প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচয় দিয়ে অভিনব কায়দায় সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে চলতি বছরের (২৯ সে জুন) উক্ত অফিস থেকে নিজের নামে চেক গ্রহণ করে নিজেই অর্থ উত্তোলন করে ব্যক্তিগতভাবে খরচ করেন। পরে খবরটি জানাজানি হলে সাংবাদিক মহলসহ স্বচ্ছ রাজনৈতিক সংগঠন (জামায়াত) সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকেই।এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগকারী মো. সোহেল রানা প্রেসক্লাবের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে বলেন, প্রেসক্লাবের নামে টাকাটা তার সবার সাথে যোগাযোগ করে নেয়া উচিত ছিল। আমি যতদূর জানি টাকাটা প্রেসক্লাবে এখনো জমাও হয়নি। ইতঃপূর্বে কোন তথ্য আমিসহ প্রেসক্লাবের কোন সদস্যকে কাউকে জানানো হয়নি। এটা নিয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রেসক্লাবের মিটিংয়ে সকলের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।তাছাড়া প্রেস ক্লাবের সা. সম্পাদক আলামিন গোলদার বলেন, সরকারিভাবে আমাদের প্রেসক্লাবের নামে টিন ও টাকা বরাদ্দ ছিল কিন্তু টাকাটা উনি (তরিকুল) তার ব্যক্তি নামে নিয়েছে। টাকাটা প্রেসক্লাবে এখনো পর্যন্ত জমা দেয়া হয়েছে এটা আমার জানা নেই।সর্বশেষ এ ব্যাপারে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম আত্বসাতের চেক সম্পর্কে বলেন, চেক ছয়মাস পূর্বে ইস্যু হওয়ায় দেরিতে টাকা উত্তোলন হয়েছে। সবকিছু প্রেসক্লাবে জানানো হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাপ হোসেন মুন্সির কাছে টাকাটা আছে তিনিও আহ্বায়ককে জানিয়েছেন। পরে সোহরাপ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চেকের টাকা তরিকুলের কাছে নেই আর টাকা তরিকুল উঠাননি। আর চেকটি তরিকুলের নামে লেখার পর আমি আহ্বায়ক সোহেল ভাইকে জানিয়েছি। পরদিন টাকা উঠিয়ে সোহেল ভাইকে জানিয়েছি টাকা কি কবর? উনি বললেন, টাকাটা তোমার কাছে রাখো। তারপর তার ম্যাসেঞ্জারে পিঠিয়েছি। পরে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ইউএনও'র কাছে অন্য কেউ অভিযোগ করেছে বলে রঙিন রূপবান সাদাকালো সিনেমা স্টাইলে তরিকুলের পাশে অবস্থান করেন তিনি।এ ব্যাপারে সাবেক ঐ (পিআইও) শরীফ মো. রুবেল মুঠোফোনে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তরিকুল ভাই নিজেকে জামায়াত নেতা ও প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচয় দিয়ে চেকটি গ্রহণ করেছেন বলে জেনেছি। পরে তাকে বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা প্রেসক্লাবে ফেরত না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন ঘটনাটি আসলেই ভীষণ দুঃখজনক।অপরাধ প্রমাণিত হলে দলীয় ভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে খুলনা-০১ আসনে জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাও. শেখ আবু ইউসুফ "এমন চাঞ্চল্যকর বিষয়টিকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ একটা কোন্দল" বলে দাবি করেন।প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে বটিয়াঘাটা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনেয়ারা তন্নী "নতুন পিআইও অফিস থেকে বিষয়টি নিয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে মুঠোফোনে জানান"।অনুসন্ধান বলছে, সাংবাদিকতায় অশিক্ষিত ও প্রেসক্লাবের অর্থ লোপাট সহ সরকারি অফিসের তদবির কান্ডে অভিযুক্ত তরিকুলের তেমন কোন বৈধ ইনকাম সোর্স ছিল না। নগদ অর্থ ও (জামায়াত) দলীয় নাম ব্যবহার করে জাতীয় দৈনিক সংগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি কার্ড কিনে প্রতিদিন সকাল থেকে উপজেলার সরকারি অফিসগুলোতে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকেন অহেতুক ঘোরাঘুরি করে নিজেকে সর্বত্রই জামায়াতের বড় নেতা বলে সকলে জানান দিয়ে থাকেন। কখনো কখনো সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করে কৌশলে হাতিয়ে নেন টাকা। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায় না। সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক তবে এমন সাংবাদিক জাতির জন্য অভিশাপ বলেও মন্তব্য করেন অনেকেই।তাছাড়াও উপজেলার পাশাপাশি সব ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ল্ড পর্যায়ে বিস্তার করে রেখেছে তার দালাল চক্রের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট নিম্নাঞ্চল থেকে সহজ সরল মানুষকে টার্গেট করে সরকারি দপ্তরে নিয়ে এসে বানানো হয় বলির পাঁঠা। এভাবে সরকারি অফিসে আসা কাজের তদবির বাণিজ্য করে সংসার নির্বাহ হয় তার। তবে তার হাতে সরকারি অফিসের টুকিটাকি দুর্নীতির তথ্য আসে না এটা একেবারেই তা নয়।তিনি দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করেন ঠিকই কিন্তু সেগুলো প্রকাশ না করে হাঁটেন ব্লাকমেইলের পথে। আবার কোন সংবাদকর্মী যদি দুর্নীতিগ্রস্ত কোন কর্মকর্তা বা অফিসের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন তখন তিনি অপরাধীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের দেয়া ২/১ হাজার হাদিয়া নিয়ে মুহূর্তেই সেই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে কথিত অনলাইন পোর্টালে ভুয়া-কথিত বলে মনগড়া মন্তব্য অপপ্রচার করেন বলে জানায় একাধিক সাংবাদিককর্মী।সরকারি অফিসের স্টাফদের অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে সরকারি অফিসের কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায় না। তার যন্ত্রণায় সরকারি অফিসের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারীরাই অতিষ্ঠ। অবশেষে উপজেলার সরকারি দপ্তরের সকল সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তার উপস্থিতির প্রমাণ নিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন রাজনৈতিক সংগঠন (জামায়াত) এর কেন্দ্রীয় কমিটি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৭ অক্টোবর ২০২৫ ০২:০১ পিএম
খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার
খুলনায় যেন লাশের মিছিল থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে খুলনা রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে প্রিন্স নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার ওহিদ খান জানান, স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে যে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তিনি স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।এর আগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রূপসার জাবুসার চৌরাস্তা মোড়ের কাছে আইডিয়াল কোম্পানির পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির হাত -পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ট্রিপল নাইন থেকে ফোন পেয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (পুরুষ) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে তিন থেকে পাঁচ দিন ধরে মৃত ব্যক্তি পানিতে ছিল। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশ থেকে পুলিশ এ অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতের বয়স আনুমানিক ৮০ বছর।খানজাহান আলী সেতুর দিকে যাওয়ার পথে সড়কের পাশে ওই বৃদ্ধ পড়েছিলেন। স্থানীয়রা মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। কোনো যানবাহন তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।এদিকে খুলনার রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় তনুমা ঘোরামী (২৭) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে রূপসার রাজাপুর এলাকার দিপক মন্ডলের (৩৫) স্ত্রী।নগরীর কালিবাড়ি ঘাট থেকে স্থানীয়রা তনুমা ঘোরামী নামে অসুস্থ এক নারীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।বটিয়াঘাটায় নিজ বাড়ির পুকুরে পড়ে মারা যাওয়া জোসনা কুন্ডু নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার রাতে কাজ শেষে বাড়িতে প্রবেশের সময় তিনি পুকুরে পড়ে মারা যান। মৃত জোসনা কুন্ডু উপজেলার কুন্ডুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিত কুন্ডুর স্ত্রী।বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রহিম বলেন, জোসনা কুন্ডু শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। রোববার রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়ির সামনে একটি পুকুরে থালাবাটি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। অসুস্থতার কারণে পুকুরে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। শেষে পুকুরে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪৭ পিএম
চিতলমারী দুর্গাপূজা উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চিতলমারী প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষের হাতে এ বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এ মহৎ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা।অসহায়দের মুখে হাসিচিতলমারীর বিভিন্ন গ্রামের অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হলে তাদের মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের হাসি। উৎসবের এ সময়ে নতুন কাপড় পেয়ে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আয়োজকদের জন্য দোয়া করেন। সুবিধাভোগীরা জানান, এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে তারা শুধু কাপড়ই পাননি, বরং ভালোবাসা ও সামাজিক বন্ধনের প্রতিফলন পেয়েছেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা), সহ-সভাপতি এসএম শহীদুল হক টিপু, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স মন্ডল অলিফসহ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ।বিতরণ শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সি বলেন, চিতলমারী প্রেসক্লাব শুধু সংবাদ সংগ্রহ বা প্রচারেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা সবসময় চেষ্টা করি সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে। শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ভবিষ্যতেও প্রেসক্লাব সমাজের কল্যাণে সবসময় কাজ করে যাবে।দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, মানবতার সেবাই আমাদের মূল লক্ষ্য। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারাটাই আমার জীবনের আনন্দ। প্রেসক্লাবের এই মহৎ উদ্যোগে পাশে থাকতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, এমন কার্যক্রম সমাজে মানবিকতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়াসুবিধাভোগীরা বলেন, আমাদের কথা খুব কম মানুষ ভাবে। উৎসবের আগে নতুন কাপড় পেয়ে আমরা সত্যিই খুশি। চিতলমারী প্রেসক্লাব ও দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন।শুধু সংবাদ প্রচারে সীমাবদ্ধ না থেকে মানবিক কাজেও চিতলমারী প্রেসক্লাব এগিয়ে আসায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। সমাজের অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোও এ ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসবে বলে স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:০৪ পিএম
খুলনার হাদিস পার্কের সামনে যুবককে গুলি করে হত্যাচেষ্টা
খুলনা মহানগরীর হাদিস পার্ক ও সদর রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এক যুবককে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। গুলি করার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।আহত যুবক নগরীর কালীবাড়ি মন্টু দাশের ছেলে অনিক। ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেখান থেকে পুলিশ অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে।খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে দু’যুবকের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন কোমর থেকে পিস্তল বের করে অপর যুবককে গুলি করে। যুবকটি রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই যুবকটি তার হাতে থাকা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়।ভোরের আকাশ/জাআ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:২৭ পিএম
তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল আটক
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুদৃঢ় রাখা এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত একালাসমূহে নিয়মিত অভিযান পরিচলনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মোকামপুর বাজার এলাকায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান এর উপস্থিতিতে মৎস্য আইন বাস্তবায়নে নিষিদ্ধ জাল বিক্রয়/মজুদ/ব্যবহার প্রতিরোধকল্পে নৌবাহিনী, পুলিশসহ অভিযান পরিচালনা করে।অভিযানে মোকামপুর বাজারের জাল বিক্রেতা মো. বিল্লাল হোসেন এর বসতবাড়ি তল্লাশি করে কারেন্ট জাল ৩০০০ মিটার ও চায়না দোয়ারী জাল ১৬ টি আটক করা হয়, যাহার মুল্য ১,০৮,০০০/০০ (এক লক্ষ আট হাজার) টাকা। এ সময়ে আসামি কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নাই ।পরবর্তীতে জব্দকৃত নিষিদ্ধ জালসমূহ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে জন সম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নৌবাহিনী দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকাসমূহে মাদক ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অভিযান ও টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:১৫ পিএম
অক্সিজেন মাস্ক খুলে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় খুমেকে দুদক
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন মাক্স খুলে নেওয়ায় রোগীর মৃত্যু ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে।মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদক এ অভিযান চালায়। এর আগে বেলা ১১টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভ শেষে তারা হাসপাতালের পরিচালক বরাবর মৌখিক অভিযোগ করেন।দুদক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোগীর মৃত্যুর জন্য দায়ী ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং ক্লিনার আব্দুল জব্বার রোগীর সিলিন্ডারসহ অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে আরেক রোগীকে দেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যেই সাইফুল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।অভিযুক্ত ক্লিনারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে বিভিন্ন রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দুইজন নারী দালালকে আটক করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছে হাসপাতালে অভিযান চালমান রয়েছে।উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে কিডনির জটিলতা নিয়ে শেখ সাইফুল ইসলামকে (৩৮) খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-১ এর ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে রাত ১টার পর অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়।২১ সেপ্টেম্বর সকালে ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং কর্মচারী (ক্লিনার) আব্দুল জব্বার গিয়ে সিলিন্ডারসহ অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে আরেক রোগীকে দেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যেই সাইফুল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:০৬ পিএম
খুলনায় বাস্তুহারা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযান, সংঘর্ষে আহত ৩০
খুলনা মুজগুন্নির বাস্তুহারা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের সময় পুলিশের সাথে বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশ ও বাসিন্দাদের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।রোববার (২১ আগস্ট) সকালে প্লট মালিকদের জায়গা বুঝিয়ে দিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শুরু থেকেই টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখেন বাসিন্দারা। সকাল ১০টার পর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে সংঘর্ষের শুরু হয়।এ সময় স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া বুলডেজার গাড়ি ভেঙে দেয়া হয়।স্থানীয়দের দাবি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে তারা উচ্ছেদ করতে দিবে না। পুলিশ বলছে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রয়েছে।খুলনার মুজগুন্নির বাস্তুহারার ২ একর জায়গায় বাস করছেন প্রায় ২০০ পরিবার। তবে ১৯৮৭ সালে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ পাশের এই জায়গাটি লটারির মাধ্যমে প্লট আকারে বিক্রি করেন। ৩৫ বছর পার হলেও এখনও জায়গা বুঝে পাননি সেখানকার ৪২ প্লট মালিক।খালিশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য যাই। এ সময় সরাতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। তাদের হামলায় আমিসহ ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।ভোরের আকাশ/জাআ