কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীতে নিখোঁজ নাজিম (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ একদিন পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।বুধবার (৯ জুলাই) সকালে মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নিখোঁজ হয় সে। নিহত শিশু নাজিম উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের তৃতীয় ছেলে।স্থানীয়রা জানান, নিহত শিশু নাজিম গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যন্য শিশুদের সাথে খেলতে যায়। পরে সবার অজান্তেই বাড়ির পাশে তিস্তা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় সে। পরে বিষয়টি রাজারহাট ফায়ার সার্ভিস অফিসে জানায় স্থানীয়রা। রাজারহাট ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালিয়ে বুধবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।রাজারহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু তাহের জানান, ঘাটে বেঁধে রাখা একটি নৌকার পাশ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভোরের আকাশ/আজাসা
০৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫৯ পিএম
নিখোঁজ ইউপি মেম্বারের মরদেহ মিলল খালে
কক্সবাজারের উখিয়ায় নিখোঁজের পর কামাল হোসেন নামে এক ইউপি মেম্বারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুর্জয় সরকার।কামাল হোসেন ওই এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে এবং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাতে দুর্জয় সরকার জানান, সোমবার রাত ১১ টার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন কামাল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মনখালী খালে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা এসে মরদেহটি কামাল হোসেনের বলে শনাক্ত করেন।কারা, কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এব্যাপারে তদন্ত চলছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
০৮ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৯ পিএম
শ্রীবরদীতে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ ভাসছিল খামারের পুকুরে
নিখোঁজ থাকার ২০ ঘন্টা পর শেরপুরের শ্রীবরদীর বটতলার একটি ম খামারের পুকুরে ভেসে থাকা অবস্থায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ জুন) সকালে শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের বটতলা মৃদাবাড়ি এলাকা থেকে উলঙ্গ অবস্থায় ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুরা হলো স্থানীয় রাজমিস্ত্রী মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে সকাল আক্তার (৭) এবং অটোরিকশা চালক স্বপন মিয়ার মেয়ে স্বপ্না খাতুন (৬)। তারা দুইজনই স্থানীয় একটি নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ।স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার পর থেকে শিশুদের খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয়ভাবে অনেক খুঁজেও তাদের সন্ধান না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ছবি দিয়ে পোস্ট করে সন্ধান চাওয়া হয়। এছাড়াও এলাকায় সারারাত মাইকিং করা হয়। এদিকে ১৮ জুন সকাল ৭টায় বটতলা মৃদাবাড়ি এলাকার একটি মৎস খামারে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে শ্রীবরদী থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ শিশুদুটির মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় শাখাওয়াত হোসেনের জমিতে তৈরিকৃত পুকুরটি লিজ নিয়ে মৎস চাষ করছেন মোস্তফা মিয়া নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা এটাকে রহস্যজনক বলে দাবি করছেন, কারন শিশু দুটির বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে। এই পুকুরে মাসখানেক আগেও রহস্যজনকভাবে একজন মারা যায়। পরে প্রজেক্টের মালিক সেটা ধামাচাপা দেয়। এছাড়াও যে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে শিশুর গোসল করার মতো পরিবেশ নাই এবং সেই পুকুরটি কয়েকটি পুকুরের ভিতরে। এছাড়াও তাদের গায়ের পোশাক এখানো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শিশু দুটির পরিবার এখনও কোন অভিযোগ করেনি।নিহত শিশু সকাল আক্তারের মামা মো. সাগর মিয়া বলেন, সকালের আম্মা ওই এলাকায় ব্র্যাক সেন্টারে হস্তশিল্পের কাজ করে। সেই কারনে সে তার মায়ের কাছে যেতে পারে। সেই সময় গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যেতে পারে।স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পাবার সাথে সাথে থানায় খবর দেই এবং নিজেও ঘটনাস্থলে আসি। আমার কাছে বিষয়টা পানিতে ডুবে মরার মতই মনে হচ্ছে। শিশু স্বপ্নার বাবা স্বপন মিয়া বলেন, আমি গতকাল ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ঢাকা যাইনি। এরপর থেকে খোঁজাখুঁজি করতেছি। মাইকিং করতেছি। কোন খোঁজ খবর পাইতেছি না। আজকে সকালবেলা মেয়ের লাশ পেলাম। কিভাবে কি হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না।শিশু দুটির পরনের জামাকাপড় না পাওয়ায় বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাচ্চা দুটির গায়ের পোশাক পাওয়া যাচ্ছেনা। লাশ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
১৮ জুন ২০২৫ ০১:০৯ পিএম
নিখোঁজ মডেলের মরদেহ মিললো খালে
গানের ভিডিও শুটিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হন ভারতীয় মডেল সিমি চৌধুরী। গত শনিবার ১৪ জুন শুটিংয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন থেকে ফোন বন্ধ থাকায় কোনো খোঁজ মিলছিল না। সোমবার (১৬ জুন) ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সোনিপাত জেলার একটি খাল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমকে নিহতের বোন নেহা জানান, শীতল কর্মক্ষেত্র থেকে তাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, তার সাবেক প্রেমিক সুনীল তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে এবং জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিছুক্ষণ পরে, তিনি তার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। যখন সে বাড়ি ফিরে আসেনি, তখন নেহা পুরাতন শিল্প পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ ব্যক্তির অভিযোগ দায়ের করে। বোনের মরদেহ উদ্ধারের পর শীতলের সাবেক প্রেমিক সুনীল এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন বলে দাবি করেন নেহা।পুলিশ জানিয়েছে, শীতলের হাতে ও বুকে উল্কিচিত্র ছিল। এসব চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি শনাক্ত করেন। মরদেহটি সোনিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।সোনিপাতের সহকারী পুলিশ কমিশনার অজিত সিং গণমাধ্যমকে বলেন, শীতলের পরিবার শনিবারই (১৪ জুন) নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যা পানিপথের উরলানা কালান পুলিশ পোস্টে নথিভুক্ত হয়। তদন্তের ধারাবাহিকতায় সোমবার খারখোদা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের বর্ণনার সঙ্গে মিল পাওয়ায় সেটি শীতলের দেহ বলে শনাক্ত করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৭ জুন ২০২৫ ১১:২৫ এএম
সড়কে পড়ে ছিল ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ
ময়মনসিংহে রুহুল আমিন আকাশ নামের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর শান্তিনগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।রুহুল আমিন আকাশ নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রহিমপুর বেলুয়াতলী গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ নওয়াব আলী ছেলে। তিনি একই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আকাশকে সড়কে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেড় মাস আগে বিয়ে করেন আকাশ। তিনি স্থানীয় দারুল আরকাম মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সোমবার সকালে অচেতন অবস্থায় সড়কে তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না।ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার (১৫ জুন) শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন রুহুল আমিন আকাশ। সকালে শান্তিনগর এলাকায় একা একা হাঁটতে বের হন তিনি। পরে সেখানে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা।এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। হাঁটতে গিয়ে মাথা ঘুরে সড়কে পড়ে কিছুটা রক্তাক্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।কলমাকান্দা থানার ওসি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, আকাশ নামের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। তার নামে মামলা ছিল কি-না এই মুহূর্তে মনে নেই। খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৬ জুন ২০২৫ ০৬:৫৫ পিএম
গোবিন্দগঞ্জে পান ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আব্দুল খালেক মিয়া (৩৫) নামের এক পান ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে উপজেলার নাকাইহাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম।নিহত আব্দুল খালেক মিয়া উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পানের ব্যবসা করছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে দিকে আব্দুল খালেক মিয়ার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে লাশটি উদ্ধার করেছে।স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে খালেক তার দোকান থেকে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। আজ সকালেই নাকাইহাট বন্দরের পাশে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। তাকে কে বা কারা হত্যা করে ওই স্থানে লাশ রেখে গেছে। এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করছে পরিবারটি।গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ জুন ২০২৫ ১১:৫৫ এএম
যমুনায় নিখোঁজ গর্ভবতীর মরদেহ উদ্ধার, শিশুর খোঁজ মেলেনি এখনও
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে ডুবে যাওয়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী বর্ষা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। তবে এখনো খোঁজ মেলেনি একই ঘটনায় নিখোঁজ শিশু লামিয়া খাতুনের (১০)।ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা সংলগ্ন যমুনা নদীর একটি অংশে ভেসে ওঠা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের পাটুরিয়া স্টেশনের লিডার জাহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর একদিন পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার মধ্যেই স্থানীয়দের সহায়তায় বর্ষার মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। তবে নদীর প্রচণ্ড স্রোতের কারণে এখনো লামিয়ার সন্ধান মেলেনি।বর্ষা খাতুন বাচামারা গ্রামের মো. আব্দুল বয়াতীর মেয়ে এবং লামিয়া খাতুন একই গ্রামের মো. রাহেজ বয়াতীর মেয়ে। এখনো লামিয়ার সন্ধানে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।উল্লেখ্য, গত বুধবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে বাচামারা গ্রামের পাঁচজন নারী ও শিশু যমুনা নদীতে গোসলে নামেন। এ সময় হঠাৎ প্রবল স্রোতে সবাই তলিয়ে যেতে থাকেন। স্থানীয়রা তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও বর্ষা ও লামিয়া নিখোঁজ ছিলেন।খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে নিজেরাই সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ চালান। এরপর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে রাতেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে সেদিনও কারও সন্ধান মেলেনি।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবারও অভিযান পরিচালিত হয় এবং এরপর ফায়ার সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে।ঘটনার পর থেকেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা বারবার নদীর পাড়ে ছুটে এসেছেন একটুখানি আশার খোঁজে, কিন্তু ফিরেছেন চোখের জলে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ জুন ২০২৫ ১১:০৯ এএম
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ১৬ ঘণ্টায় ৬ মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে তিনজন পর্যটক, একজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।সোমবার (৯ জুন) কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, সদর থানা এলাকায় পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আরেকটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে রামু উপজেলার হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রামের ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা মো. রাজিব কক্সবাজার সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে গোসলে নামেন। এরপর তিনি ভেসে যান। গভীর রাত ১টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায় সৈকতের ডায়াবেটিস পয়েন্টে।সোমবার দুপুর ২টার দিকে সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্টে বাবা ও ছেলে একসঙ্গে গোসলে নামার পর ভেসে যান। পরে লাইফগার্ড কর্মীরা রাজশাহীর শাহীনুর রহমান (৬০) এবং তার ছেলে সিফাতকে (২০) উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা নুরু সওদাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয় সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে। তিনি আগের দিন বিকেলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। একই সময়ে খুরুশকুল এলাকার বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে একটি অজ্ঞাত গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।রামু থানার ওসি মো. তৈয়বুর রহমান জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকেও একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।সি-সেইফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত গণমাধ্যমকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল নামায় সৈকতের বিভিন্ন স্থানে ‘গুপ্ত খাল’ তৈরি হচ্ছে। এসব জায়গায় সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে গোসলে নামলে পর্যটকরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১০ জুন ২০২৫ ১২:২২ এএম
কৃষককে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় মরদেহ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মো. সুজন মিয়া (২৮) নামে এক কৃষককে হত্যার পর মরদেহ আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।সোমবার (২ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশ থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।জানা গেছে, নিহত মো. সুজন মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চর জামাইল গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, রোববার রাতের কোনো এক সময় সুজন মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে নিয়ে এসে আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়।সোমবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।ওসি আরও বলেন, নিহত সুজন মিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ জুন ২০২৫ ১১:৩০ পিএম
ফুলছড়িতে নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় হিরা খাতুন (৩৩) নামে প্রশিকা এনজিওর এক নারী কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মদনেরপাড়া গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত হিরা খাতুন নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বনগ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। তিনি প্রশিকার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া শাখায় মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিরা খাতুন বুধবার এনজিওর কাজ শেষে যথারীতি বাসায় ফেরেন। বৃহস্পতিবার সকালে মোটর দিয়ে পানি তুলে গোসল করলেও তিনি অফিসে যাননি। তার অনুপস্থিতিতে সহকর্মীরা ও বাসার মালিক একাধিকবার ফোন করলেও সাড়া পাননি। পরে তারা বাসার দরজায় ধাক্কা দেন এবং জানালার ফাঁক দিয়ে মোবাইলের আলো ফেলে দেখতে পান—হিরা খাতুন ঘরের আড়ার সঙ্গে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।খবর পেয়ে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।বাসার মালিক শহিদুর রহমান জানান, “প্রশিকা মদনেরপাড়া শাখার ম্যানেজার সুরেষ চন্দ্র বর্মণ গত রোজার ঈদের সময় গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর থেকেই গ্রাহকরা হিরাসহ অন্য এনজিও কর্মীদের ওপর টাকা ফেরতের চাপ দিচ্ছিলেন।”প্রশিকার বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আনন্দ মোহন বলেন, “ম্যানেজার সুরেষ চন্দ্র ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। গ্রাহকদের অভিযোগ থেকেই জানতে পারি, তিনি প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং প্রমাণ সাপেক্ষে গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে হিরা খাতুন কেন আত্মহত্যা করলেন, তা আমরা জানি না।”স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু বলেন, “আমি কয়েকদিন ধরে শুনছি, এনজিওর ম্যানেজার গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। সেই চাপেই হয়তো হিরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।”ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, “সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। স্বজনদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।ভোরের আকাশ/মি