খুলনা মহানগরীর সাচিবুনিয়া বিশ্বরোড থেকে ১১৯৯ পিস ইয়াবাসহ দু’মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার বেলা ১১ টার দিকে তাদের দু’জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।আটক দু’জন হল লবণচরা থানাধীন নিজখামার কালীতলা এলাকার বাসিন্দা আ. কালামের ছেলে মো. রিয়াদ এবং সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা এলাকার বাসিন্দা মুক্তার হাওলাদারের ছেলে মো. পারভেজ।লবণচরা থানার এসআই প্রদীপ বৈদ্য বলেন, সোর্সের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি খুলনায় মাদকের একটি চালান আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সকাল থেকেই সাচিবুনিয়া বিশ্বরোড এলাকায় চেকপোষ্ট বসায়। আমরা বাসের বিভিন্ন যাত্রীদের চেক করছিলাম। বেলা ১১ টার দিকে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস এসি বাস থেকে দু’জন নেমে অন্যদিকে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।পরবর্তীতে তাদের একজনের ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে উল্লেখিত পরিমাণ ইয়াবা পাওয়া যায়। তাদের দু’জনকে আটক করে লবণচরা থানায় প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মাদক আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাদকের উৎস এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৬:৫৮ পিএম
কুমিল্লায় ৭৫ বোতল স্কাফসহ মাদক কারবারি আটক
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ৭৫ বোতল স্কাফসহ একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা।মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িচংয়ের পাচড়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় মাদক কারবারির হেফাজত হতে ৭৫ বোতল স্কাফ ও মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের নগদ ১ লক্ষ ১০ হাজার ৩৫৭ টাকা উদ্ধার করা হয়।আটককৃত মাদক কারবারি মোঃ আনিসুর রহমান (২৭) বুড়িচংয়ের পাচড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল রশিদের ছেলে।কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।র্যাব জানায়, আটককৃত মাদক কারবারি দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য স্কাফ সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। আটককৃতর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
১২ আগস্ট ২০২৫ ১০:১৩ পিএম
ফেনীতে বিজিবি-পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক ৬
ফেনী জেলার ফুলগাজী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের এক যৌথ অভিযানে ৬ মাদক চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।সোমবার (১১ আগস্ট) উপজেলার সীমান্তবর্তী বসন্তপুর এলাকায় পরিচালিত এই অভিযানে তাদের কাছ থেকে তিন বোতল ভারতীয় ম্যাজিক মোমেন্ট ব্র্যান্ডের মদ জব্দ করা হয়।ফেনী ব্যাটালিয়নের (৪ বিজিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাদক চোরাচালান বিরোধী নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ফুলগাজী থানার তদন্ত ওসি মো. নুরুল ইসলাম পুলিশের একটি দলের নেতৃত্ব দিয়ে বিজিবির সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় টহল দলটি ৬ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। অভিযান শেষে আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফুলগাজী থানার তদন্ত ওসি মো. নুরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।আটক ব্যক্তিরা হলেন পরশুরাম উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আবদুল করিম (৩০), কবির আহমদের ছেলে মো. মোমিন (২১), নুর আহাম্মদের ছেলে মো. রোমান (২১), রফিকের ছেলে ইমন (২২), একই গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (২৩) এবং ফুলগাজী উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের ছবির আহমদের ছেলে রবিউল হক (২৫)।৪ বিজিবি'র অধিনায়ক জানায়, সীমান্তে রুখে দিব মাদকের পাচার, বিজিবি ও জনতার এই অঙ্গীকার।" এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, মাদক পাচার প্রতিরোধ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১১ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৭ এএম
পাথরঘাটায় নৌবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ কারবারি আটক
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাটাখালী রূপধন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও গাঁজাসহ মো. শুক্কুর হোসেন (৬০) নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম আশফাক হোসেনের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের দলটি পাথরঘাটা উপজেলার কাটাখালী রূপধন এলাকায় অভিযান চালায়।অভিযান চলাকালে শুক্কুর হোসেনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে টহল দল। পরে তার দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে পাঁচ শতাধিক ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ব্যাগভর্তি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, আটককৃত শুক্কুর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন স্থানে মাদকের বড় বড় চালান সরবরাহ করে থাকেন। তিনি কাটাখালী রূপধন গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে।আটকের পর শুক্কুর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাথরঘাটা নৌবাহিনী ডিটাচমেন্টে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পর আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাকে পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়।পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানানো হয়, “শুক্কুর মিয়াকে মাদকদ্রব্যসহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।”এ বিষয়ে নৌবাহিনীর পাথরঘাটা ডিটাচমেন্টের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম আশফাক হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”ভোরের আকাশ/জাআ