কুরবানির পশুর চামড়া সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি
মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে কুরবানির পশুর চামড়া সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি। আড়তদাররা মানেননি সরকার নির্ধারিত দাম। সিন্ডিকেট চক্র ইচ্ছা মতো দাম নির্ধারণ করে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।অভিযোগ উঠেছে, মাত্র গুটিকয়েক আড়তদার সিন্ডিকেট গড়ে মৌলভীবাজার জেলার চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। এতে চামড়ার প্রকৃত মূল্য না পেয়ে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তদারকির অভাবে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।সরকার প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করলেও আড়তদাররা সেটি মানছেন না।ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোডসসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মৌসুমী ব্যবসায়ী ট্রাক, রিকশা ও অটোভ্যানে করে চামড়া নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আড়তদাররা ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকায় প্রতিটি গরুর চামড়া কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।গরুর চামড়া ৫০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চামড়া কেউ বিক্রিই করতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।এবারও চামড়ার বাজারে ধস নামায় বঞ্চিত হয়েছেন দুস্থরা। এতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।মৌলভীবাজার শহরের জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লা বোডিংয়ের প্রিন্সিপাল মুফতি হাবিবুর রহমান বলেন, গত বছর আমাদের মাদ্রাসায় ৭০০ চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু ন্যায্য দাম পাইনি। এবারও কয়েকশ চামড়া সংগ্রহ করেছি, কিন্তু ন্যায্য দাম নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায়। চামড়া ব্যবসায়ীরা এবারও সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ পর্যন্ত প্রতি পিস বড় গরুর চামড়ার দর তারা আমাদের জানিয়েছেন। বিক্রেতাদের মাঝে চামড়া কেনার কোনো আগ্রহ উদ্দীপনা নেই। আমরা চামড়া ব্যবসায়ীদের বললাম সরকার যে দর নির্ধারণ করেছে আপনারা তো এর ধারে কাছেও নেই। তারা বলছে এসব ভুয়া। কাজেই এবারও আমরা চামড়া ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারছি না।শ্রীমঙ্গল শহরতলীর রামনগর ছওতুল হেরা মাদ্রাসা থেকে শতাধিক চামড়া নিয়ে আসা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাদরাসার এতিম-গরিব ফান্ডের জন্য ৮০টি চামড়া নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছি। কেউ গুরুত্বই দিচ্ছে না। দুয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও গড়ে গরুর দাম বলছেন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা। আর ছাগলের চামড়া কেউ কিনবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন।তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে এবারও পানির দরে চামড়া বিক্রি করতে তারা বাধ্য করছেন। সারাদিন ঘুরে ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করে এত অল্প দামে চামড়া বিক্রি করলে পিকআপের ভাড়াও উঠবে না। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গরিব-দুস্থ মানুষের হক নষ্টকারী ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই শিক্ষক।শহরের হাজী সোনা মিয়া সুরজান বিবি আলিয়া মাদ্রাসা ও বায়তুল আমান দারুল উলুম মাদ্ররাসা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহিন আহমেদ বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় এবার শতাধিক চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু গড়ে সর্বোচ্চ ৩০০ দরে প্রতি পিস চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। ভেবেছিলাম এবার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাব, কিন্তু সিন্ডিকেট থেকেই গেল। একটি সিন্ডিকেট তাদের মনোপলি দিয়ে ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছে। সরকারের নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করা যাচ্ছে না।অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার মুহিবুল ইসলাম জানান, তিনি এবার ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায় কেনা গরুর চামড়া ২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।কমলগঞ্জের শমসেরনগর এলাকার আব্দুস শহিদ বলেন, শমসেরন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা দরে চামড়া বিক্রির খবর শোনা গেছে। তিনি নিজেও তার কোরবানির পশুর চামড়া ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
০৯ জুন ২০২৫ ০৬:৪৬ পিএম
সৎ নেতৃত্ব পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ নেতৃত্ব ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে।রোববার (৮ জুন) দুপুরে নিজ এলাকা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘১৬ বছর আমাকে আপনাদের সামনে আসতে দেওয়া হয়নি। এ সময়ের মধ্যে অনেকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের সামনে উপস্থিত হতে পারলে ভালো হতো।’সাবেক সরকারের কঠোর সমালোচনা করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাকে তিনবার দীর্ঘ সময় জেলে রাখা হয়েছে। গুম করা হয়েছে অনেককে। সিলেটের ইলিয়াস আলী আজও নিখোঁজ। সে বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে- তার পরিবারও জানে না।’তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে। ভয় আর নিপীড়নের মধ্যে মানুষ কথা বলার সাহস হারিয়েছে। অথচ সেই সময়ও বলা হতো, দেশ উন্নয়নের রোল মডেল!’৩০০ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমি সারাদেশেই নির্বাচন করবো। যারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে, আমি তাদের সঙ্গেই থাকব।’উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, ঢাকার পল্টন থানা জামায়াত আমির শাহীন আহমেদ খান, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, শ্রীপুর জালালিয়া দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. শামসুল হক, প্রিন্সিপাল আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মনির উদ্দিন চৌধুরী, কুলাউড়া ব্যবসায়ী সমিতির দফতর সম্পাদক এনামুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ জুন ২০২৫ ০৮:২১ পিএম
শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয় এমন ভোট দেখতে চায় না: ডা. শফিকুর রহমান
শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয়- এমন ভোট দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী, বলেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, তারা একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করে।রবিবার (৮ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মিলনায়তনে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।জামায়াত আমির বলেন, অন্য কোনো দেশ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করুক, এটা কাম্য নয়। আমরা ৩০০ আসনে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী দিবে। ৩০০ আসনের প্রার্থীদের আমি নিজে সময় দিবো।সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি ইয়ামির আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ জুন ২০২৫ ০৫:২১ পিএম
মৌলভীবাজারে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ জন নিহত
কোরবানির ঈদের দিন মৌলভীবাজারের পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই ভাইসহ চার জনের প্রাণ গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।শনিবার রাত ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।উপজেলার শ্যামের কোনার কাছারি বাজার এলাকায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে ওই দুর্ঘটনায় কমরুল মিয়া (৩০) ও জুবেদ মিয়া (২৮) নামে দুজন নিহত হন।মাহবুব মিয়া নামে আরো একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহত জুবেদ মিয়া শ্যামেরকোনা গ্রামের আনকার মিয়ার ছেলে। আর কামরুল কমলগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে।মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ ফয়সাল জামান বলেন, তিনজনকেই এ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন আগেই মারা যায়। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।আরেক ঘটনায় একই দিনে শনিবার বিকেলে বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) ও রুমন আহমদ (২২) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জনান, নিহত সুমন ও রুমন বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।জানা গেছে, বিকেলে কোরবানির গরুর মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতে ছোট ভাই রুমনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণভাগের দিকে যাচ্ছিলেন সাহেদ। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে ঘটনাস্থলেই সাহেদ মারা যান। স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। ওসমানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমনও মারা যান।দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওসি।ভোরের আকাশ/জাআ
০৮ জুন ২০২৫ ১১:৩৯ এএম
ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন চায়ের রাজ্যে
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি উদ্যান। দেশের ৭টি বন্য প্রাণী এই রণ্য এবং ১০টি জাতীয় উদানের মধ্যে অন্যতম পরিচিতির দিক থেকে সুন্দরবনের পরেই পাতা ছড়ার অবস্থান এটি এখন বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখির জীবন্ত গবেষণাগার। বিজ্ঞানীদের ভীষণ পছন্দের জায়গা। বিখাত পাখিবিশারদ ডেভিড জনসন ও পন দমসন লাউয়াছড়াকে পৃথিবীর অন্যতম উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সূর্যের আলো পেতে মরিয়া এ বনের গাছপালা বেশ উঁচু হায় থাকে। একটা স্যা এই বন এতই ঘন ছিল যে মাটিতে সূর্যের আলো পড়ত না। উঁচু নিচু টিলাজুড়ে এ ধন বিস্তৃত।বনের ভেতর দিয়ে অনেক পাহাড়ি ছড়া বয়ো গেছে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। পাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এই বন বিখ্যাত বনের মধ্যে কিছু সময় কাটানেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে।শীত ও বসন্তকালে বেশি লোকসমাগম হয় এই উদ্যানে। এখানে ভ্রমণের জন্য রয়েছে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটাপথ। তিনটি পরে মধ্যে একটি ৩ ঘন্টার, একটি ১ মস্টার এবং অন্যটি ৩০ মিনিটের টিলায় ছড়ানো চায়ের লাগান। অদ্ভুত স্মরণে ধলই চা বাগানে স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। স্মৃতিসৌধের একদিকে বিজিবি ক্যাম্প, অন্যদিকে চা বাগান।গাইডের সহায়তায় বনের ভেতরে যাওয়া যায়। নাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশেই রয়েছে মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি।কমলগঞ্জে মাধবপুর লেক মাধবপুর লেকটি চারদিকে উঁচু সবুজ চা-বাগানের মাধ্যখানে অবস্থিত। স্বচ্ছ পানি, প্রকৃতির ভাষা, নিরিবিলি টিলায় ছড়ানো চায়ের লাগান। অদ্ভুত নির্জনতায় লেকটি ঘিরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি, চা বাগান এবং পাষিদের নিয়ে এক মায়াময় পরিবেশ দক্ষিণ ভারত সীমান্ত। দিয়ে থাকে সব সময় এই আছে বহু প্রজাতির বিশালাকৃতির মাছ ও কাছিম। কমলগঞ্জের হাম হাম জলপ্রপাত কমলগঞ্জ উপজেলার হাম হাম স্মরণে ধলই চা বাগানে স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। স্মৃতিসৌধের একদিকে বিজিবি ক্যাম্প, অন্যদিকে চা বাগান। দক্ষিণ ভারত সীমান্ত।এসব ছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলার পদ্ম ছাড়া কোমেলিয়া লেক, পাত্রখোদা লেক, রাম্বোতন লেক, শমশেরনগর গলফ মাঠ শমশেরনগর বিমানবন্দরসহ বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র ও চা বাগান রয়েছে। পরিবেশ আর শরতে শাপলা ফুল লেকটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় যতই এগোতে থাকবেন, ততই সবুজ পাতার গন্ধ মন চাঙা করে তুলবে। চারদিকে সবুজ পাহাড়ের পাশাপাশি উঁচু উঁচু টিলা রয়েছে এখানে।মাধবপুর লেক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা ছবি। চা বাগানের সুরু রাস্তা দিয়ে এ লোকে যেতে হয় বেশ কিছু ঝুঁক নিয়ে একেবেঁকে পাহাড়ের ভেতর তার চলা। শীতকালে অতিথি পাখির দল আসে এই হ্রদে। এর জলে গোলপাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটে থাকে নীল শাপলা। হ্রদের দুই পাশে টিলায় জলপ্রপাত আরেকটি দর্শনীয় স্থান। দুর্গম জঙ্গলে ঘেরা এই জলপ্রপাত ২০১০ সালের শেষ দিকে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সঙ্গে একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ ইসলামপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাজাবাদি রোরোে ৭ হাজার ৯৭০ একর আয়তনের মানটি এলাকার পশ্চিম দিকে চম্পালায় চা-বাগান। এই কুরমা বন নিটের প্রায় ৮ কিলোমিটার ভেতরে দৃষ্টিনন্দন হাম হাম জলপ্রপাতটি অবস্থিত)।কমলগঞ্জ উপজেলার চৌমোহনা চতুর থেকে শুনামা চেকপোষ্ট পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা স্থানীয়ভাবে চলাচল করা বাস, জিপ অথবা মাইক্রোবাসে করে যেতে পারলেও পাহাড়ি এলাকা বলে বাকি পথ হেঁটে যেতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে ঝরনার পানি কম থাকলে ও বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে যায় জলপ্রপাতটিতে। এখানে হেঁটে পৌঁছাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা লাগে। হাম হাম জনপ্রপাত দেখা আসলেই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতি কমপ্লেক্স বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মৌলভীবাজার জেলা কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা বাগানের পূর্ণ প্রান্তে অবস্থিত ধলই বর্ডার আউটপোষ্টে গিয়ে যুদ্ধ করেন। তিনি ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিলেন ১৯৭১ সালের অরোবর মাসে হামিদুর রহমান প্রথম ইষ্ট বেঙ্গলের সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল করার অভিযানে অংশ নেন যুদ্ধে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল, সেখান থেকে বাসে কমলগঞ্জ। রেলপথে ঢাকা থেকে ভানুগাছ কিংবা শমসেরনগরে নেমে বাস অথবা অটোরিকশায় কমলগঞ্জ যাওয়া যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৫ জুন ২০২৫ ১২:০০ পিএম
কোরবানির ঈদে হাট কাঁপাতে আসছে রাজকুমার ও রাজসুলতান
শরীরজুড়ে লাল রং, সঙ্গে হালকা একটু করে সোনালি আভা। গোসল করার প্রয়োজন হলে, ক্ষুধা লাগলে, কখনো আকাশে মেঘ জমলে ডাকাডাকি করতে থাকে। ওর ডাকাডাকিতে আমি অনেক কিছুই বুঝতে পারি। পরিস্থিতি দেখে বুঝে নিই, আমার রাজকুমার ও রাজ সুলতান কোনো সমস্যা হয়েছে কি না বা কী বোঝাতে চাইছে।নিজের পালন করা রাজকুমার প্রায় ৬৬০ কেজি প্রায় ১৬ মণ , রাজ সুলতান ৩৬০ কেজি প্রায় ৯ মন ওজনের ষাঁড়টির সম্পর্কে খামারে কর্মচারি রুমেল কথাগুলো বলেছেন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা এই খামারি ষাঁড়টি আসন্ন কোরবানির ঈদে উপলক্ষে বিক্রির ডাক তুলেছেন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের সেওয়াই জুড়িগ্রাম মনু মুখ জাহাঙ্গীর লন্ডনীর বাড়ি। জাহাঙ্গীর লন্ডনী গড়ে তুলেছেন কে জে মনু ডেইরী ফার্ম খামার। মৌলভীবাজার শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার -শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই খামার।খামারের কর্মচারী রুমেল রাজকুমার সম্পর্কে বলেন, আমার জীবনে এত বড় গরু আগে দেখিনি। প্রতিদিন তিন থেকে চারবার গোসল করাতে হয়। সকাল আটটা, বেলা দুইটা থেকে আড়াইটা এবং সন্ধ্যায় খাবার দিই। খাবারে গমের ছাল, চালের গুঁড়া, খড়, খৈল, খেসারি, ছোলা ও কাঁচা ঘাস দিই। গড়ে প্রতিদিন ১০০০ হাজার থেকে ১২০০ শত টাকার খাবার লাগে। রাজ সুলতান এর গড়ে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৯০০ শত টাকার খাবার লাগে ।রুমেল বলেন খামারে এসে যদি আদর না করি, রাজকুমার গর্জন করতে থাকে। গায়ে হাত দিয়ে আদর করার পর গর্জন থামে। এ ছাড়া খুব শান্ত প্রকৃতির। কখনো কাউকে আঘাত করে না। যে কারণে তার প্রতি অনেক মায়া-মহব্বত তৈরি হয়েছে।জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল আলম খান জানান, ভারতীয় গরু কোনভাবে যাতে প্রবেশ করতে না পারে, এজন্য নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলায় কোরবানির ঈদের জন্য প্রায় ৮০ হাজার ৬ শো ৩৭টি গবাদিপশু লালন-পালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ