বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় মহাসড়ক অবরোধ করে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-চিতলমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন সর্বদলীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, জেলার চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল রাখতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।সর্বদলীয় নেতাকর্মীরা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য সব সড়ক যোগাযোগ ও দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। তারা অবিরাম স্লোগান দিতে থাকে। এদিন উপজেলার সব বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল। এর আগে হরতাল ও অবরোধের আহ্বান জানিয়ে গতকাল রবিবার এলাকায় মাইকিং ও সর্বদলীয় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল।সোমবার মহাসড়ক অবরোধকালে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির নেতা ও বাগেরহাট ১আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী চিফ ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা , সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মনিরুজ্জামান, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আহসান হাবিব ঠান্ডু, নবাগত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল হাসান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল হক শেখ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া মিলন, সদস্য সচিব শেখ আসাদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক মো. নিয়ামত আলী খান, সদস্য সচিব কাশীনাথ বৈরাগী, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার কাজী আবুল কালাম প্রমুখ।বক্তারা বলেন, ‘বিগত দিনের মতোই বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি না মানলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:০৩ পিএম
বাগেরহাটে চলছে হরতাল, নির্বাচন অফিসে তালা
সংসদীয় আসন ও সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বাগেরহাটে চলছে হরতাল কর্মসূচি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এছাড়া খোলেনি দোকান-পাট ।এর আগে গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সংসদীয় আসন ও সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাগেরহাট- ৩ (রামপাল-মোংলা) ও সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে আজ রোববার জেলার সকল অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, মঙ্গলবার সকল উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল এবং বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হবতালের ঘোষণা করেছে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় রামপাল -মোংলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট- ৩ আসন কমিয়ে গাজীপুরে নতুন আসন করার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর বাগেরহাটের রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের মানুষ ফুঁসে উঠে। গত ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানিও করে। কিন্তু তাতো কোন কাজে হয়নি। অবশেষে বাগেরহাটে ৪টি আসন থেকে ৩টি আসন চুড়ান্ত করে গত ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়।নির্বাচন কমিশনের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমানে সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট- ১, ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ সংসদীয় আসন ঘোষণা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:০৯ এএম
বাগেরহাটে চলছে সকাল-সন্ধ্যার হরতাল
বাগেরহাটের ৯ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি।এ সময় বিভিন্ন সড়ক অবরোধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।এর আগে শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি ফকিরহাট বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্বরোড মোড় এলকার এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ফকিরহাট উপজেলা বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিপুল নেতাকর্মী অংশ নেয়।সমাবেশে বক্তব্য দেন- ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুল কামাল কারিম, সাংগঠনিক সম্পাদক খান লিয়াকত আলী, ফকিরহাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এবিএম তৈয়াবুর রহমান, সেক্রেটারি আবুল আলা মাসুম।সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা রোববার সর্বদলীয় হরতালের ডাক দিয়েছি, যা বাগেরহাটবাসীর স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। ১৯৭০ সাল থেকে বাগেরহাটে ৪টি আসন থাকলেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন তা কমিয়ে ৩টি করার প্রস্তাব করেছে। নতুন প্রস্তাবে রামপালকে বাগেরহাট-২ আসনে এবং মোংলাকে বাগেরহাট-৪ আসনে যুক্ত করে মোট আসনসংখ্যা তিনটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে বাগেরহাটকে ‘এ’ গ্রেড থেকে ‘বি’ গ্রেডে নামিয়ে আনা হয়। এটা স্পষ্ট ষড়যন্ত্র। আমরা এসব মানি না। নির্বাচন কমিশন যদি প্রস্তাব থেকে ফিরে না আসে তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বাগেরহাটবাসী।দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি, ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, বাগেরহাট-খুলনা-মোংলা-ঢাকা রাস্তা অবরোধ করেছেন বাগেরহাটবাসী। আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.