মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় একই পরিবারের ৭ জন আহত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) রাত প্রায় পৌনে দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে দেশীয় ধারালো অস্ত্র। ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তারা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের নাম—স্বপন, সাব্বির, রাব্বি, কাসেম, আফজাল, ফাতেমা বেগম ও মামুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে বাসার সামনে দুই কিশোরকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে রাব্বি নামের এক ব্যক্তি তাদের পরিচয় জানতে চান। এতে কিশোরদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দল এসে প্রথমে রাব্বিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে আসা স্বজনদের ওপরও হামলা চালানো হয়। তারা বাসার ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে একে সাতজনকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
আহত আফজাল হোসেন বলেন, “আমরা রাতের দিকে বাড়ির সামনে বসে ছিলাম। দুই কিশোর সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই তাদের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার হাতের রগ কেটে গেছে এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও গুরুতর আহত হয়েছেন। আমার ভাই স্বপনের অবস্থা সংকটাপন্ন।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফাতেমা বেগম জানান, “প্রতিদিনের মতো রাতে জেগে ওয়াসার পানি সংগ্রহ করছিলাম। হঠাৎ দেখি একদল যুবক রাব্বিকে কুপাচ্ছে। তাকে বাঁচাতে গেলে আমরাও আহত হই।”
এ ঘটনায় তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
আশুরা উপলক্ষে রাজধানীতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারওয়ার। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর লালবাগে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়া পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।মো. সারওয়ার জানান, আগামী ৬ জুলাই (১০ মহররম) দিনব্যাপী রাজধানীর যেসব সড়কে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে, সেসব এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ারসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক চেকপোস্টও জোরদার করা হয়েছে।ডিএমপি ভারপ্রাপ্ত কমিশনার বলেন, জনভোগান্তি এড়াতে তাজিয়া মিছিলের রুটগুলো এড়িয়ে চলতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এ ছাড়া, মিছিল চলাকালীন পটকা, আতশবাজি, ধাতব বা দাহ্য পদার্থ বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাজিয়া মিছিল যেন উচ্চ আওয়াজ ছাড়াই পরিচালিত হয় এবং সন্ধ্যার আগেই শেষ করা হয়, সে অনুরোধও জানানো হয়েছে।আশুরা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
রাজধানীর ধানমন্ডিতে রিনা ত্রিপুরা নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডির মেহেরুন্নিসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তার নাম রিনা ত্রিপুরা (২০)। নর্থ সার্কুলার রোডের মেহেরুন্নিসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তিনি।আহত রিনা ত্রিপিরার ভাই জুয়েল ত্রিপুরা জানান, তার বোন রিনা ত্রিপুরা ধানমন্ডি মেহেরুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। গত বছর এই কলেজ থেকেই সে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেল। তবে পরীক্ষার আইসিটিতে ফেল করেছিল। আগামী ৭ জুলাই শুধু আইসিটি পরীক্ষা দেওয়ার কথা। এই কারণে দেশের বাড়ি বান্দরবান থানচি উপজেলা থেকে বাসযোগে ভোরে কলাবাগানে নামে। সেখান থেকে রিকশাযোগে কলেজের ছাত্রীনিবাসের সামনে আসলে কয়েকজন ছিনতাইকারী তার রিকশাটি গতিরোধ করে এবং তাকে ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা দুইটি ব্যাগ নিয়ে যায়। ব্যাগের মধ্যে মূল্যবান জিনিসপত্র ও কাগজপত্র ছিল। খবর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ধানমন্ডি থেকে এক ছাত্রী ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে এসেছে। তাকে ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি তার কাছে থেকে একটি ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়েছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
প্রতিবছর আশুরা উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল বের হয়। এসব তাজিয়া মিছিলের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (২ জুলাই) ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. সারওয়ারেরে সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১০ মহররম বা ৬ জুলাই পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এসব মিছিলে কিছু ব্যক্তি দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে অংশগ্রহণ করে, যা ক্ষেত্র বিশেষে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এটি ধর্মপ্রাণ ও সম্মানিত নগরবাসীর মনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ। তাছাড়া মহররম মাসে পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে আঁতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়, যা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আঁতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আদেশ তাজিয়া মিছিল শুরু হতে শেষ সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ভোরের আকাশ/আজাসা
নগরবাসীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য, সমতা ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে আজ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র জোবায়ের হোসেন।তিনি বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্টের (২য় পর্যায়) মাধ্যমে ডিএনসিসিতে পরিচালিত হয়ে আসছিল নগর মাতৃসদন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং স্যাটেলাইট কেন্দ্রগুলো। প্রকল্পটির আওতায় ২১টি ওয়ার্ডে ৬টি নগর মাতৃসদন, ৩০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৬০টি স্যাটেলাইট কেন্দ্রের মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হতো।জোবায়ের হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের মেয়াদ গতকাল ৩০ জুন শেষ হওয়ায় আজ ১ জুলাই থেকে এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সরাসরি ডিএনসিসির তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই স্বাস্থ্যসেবাগুলো এখন আরও টেকসই, স্বচ্ছ, এবং নাগরিকদের কাছে অধিকতর সহজলভ্য হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।স্বাস্থ্যসেবা নাগরিকদের একটি মৌলিক অধিকার। তাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার এই নবযাত্রায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ও অংশীজনদের সহযোগিতায় সেবা প্রদানে কোনো ঘাটতি রাখা হবে না।এই উদ্যোগের মাধ্যমে নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা হলো যেখানে নগরবাসী, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, পাবেন গুণগত স্বাস্থ্যসেবা একেবারে হাতের নাগালে থাকবে বলে জানান জোবায়ের হোসেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ