নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫ ১১:৫৮ পিএম
মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় একই পরিবারের ৭ জন আহত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) রাত প্রায় পৌনে দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে দেশীয় ধারালো অস্ত্র। ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তারা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের নাম—স্বপন, সাব্বির, রাব্বি, কাসেম, আফজাল, ফাতেমা বেগম ও মামুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে বাসার সামনে দুই কিশোরকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে রাব্বি নামের এক ব্যক্তি তাদের পরিচয় জানতে চান। এতে কিশোরদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দল এসে প্রথমে রাব্বিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে আসা স্বজনদের ওপরও হামলা চালানো হয়। তারা বাসার ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে একে সাতজনকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
আহত আফজাল হোসেন বলেন, “আমরা রাতের দিকে বাড়ির সামনে বসে ছিলাম। দুই কিশোর সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই তাদের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার হাতের রগ কেটে গেছে এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও গুরুতর আহত হয়েছেন। আমার ভাই স্বপনের অবস্থা সংকটাপন্ন।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফাতেমা বেগম জানান, “প্রতিদিনের মতো রাতে জেগে ওয়াসার পানি সংগ্রহ করছিলাম। হঠাৎ দেখি একদল যুবক রাব্বিকে কুপাচ্ছে। তাকে বাঁচাতে গেলে আমরাও আহত হই।”
এ ঘটনায় তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
ভোরের আকাশ//হ.র