ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোনা সরকারি কলেজে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। রোববার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়।ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান দোলন। সমাবেশ থেকে ছাত্রদল নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগসহ শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি তুলে ধরেন।সদস্যসচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরাফাত বাবু, কালাম তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক প্রান্ত পাঠান, প্রচার সম্পাদক এসএম সোহাগ ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব গোলাম রাব্বী প্রমুখ।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা মেধাবী ছাত্র সাম্য হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। পরে বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। ভোরের আকাশ/এসআই
৪ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কামাল হোসেন রাফি এর উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় মাদক কারবারিরা।রোববার (১৮ মে) সকালে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজারের বাদাম পট্টিতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনায় সাংবাদিক কামাল বাদী হয়ে মাদক কারবারিদের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত হামলাকারীদের নামে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।সাংবাদিক কামাল হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে হামলাকারী মাদক কারবারিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার দেন সাংবাদিক নেতাগন।লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে সম্প্রতি সাংবাদিক কামাল হোসেন সীমান্তের চোরাচালান ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে। এছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাদের রুশানলে পরে। সকালে যাদুকাটা নদীতে মানববন্ধনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য রওনা হলে বাদাম পট্টিতে আসা মাত্রই বাদল মিয়া (৪৬), মনির মিয়া (২৬), সাব্বির মিয়া (২২), সুরত জামাল (৫০)তাদের সহযোগিদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুত্ব আহত করে। খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাড়িঁর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হামলাকারী মাদক কারবারিরা চলে যায়।তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, এই ঘটনায় আহত সাংবাদিক কামাল হোসেন রাফি বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
১১ মিনিট আগে
গাজীপুরে যমুনা টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক রকি হোসেনসহ ১২ সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গাজীপুর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (১৮ মে) বেলা ১২টায় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহ সামসুল হক রিপন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলা কেবল ব্যক্তি নয়, এটি গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। কোনোভাবেই এই বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না। এসময় বক্তব্য রাখেন গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম মাসুম, মুজিবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম দেলোয়ার হোসেন এবং সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল বারী বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, রুহুল আমীন সজীব, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী, বাংলাভূমির সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজহার, ডিবিসির সাংবাদিক মাহসুদা সিকদার, দৈনিক ভোরের আকাশ গাজীপুর প্রতিনিধি মোঃ জিল্লুর রহমান, ডেইলি স্টারের মঞ্জুরুল করিম প্রমুখ।বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যেন কেউ বাধা না দেয়, তা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধন শেষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ গাজীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং হামলার ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে। মানববন্ধনে গাজীপুর প্রেস ক্লাব ও জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রিপোর্টার, ফটো জার্নালিস্ট এবং মিডিয়া সংশ্লিষ্টরা একাত্মতা প্রকাশ করেন। সবার দাবি একটাই— ''হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করো, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দাও''।উল্লেখ্য, শনিবার (১৭ মে) গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধ ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগআলী মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত যমুনা টিভির চিত্র সাংবাদিক রকি হোসেন (২৬) বর্তমানে গাজীপুর উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য খোরশেদ আলমসহ বেশ কয়েকজন আহত হলেও তাদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ভোরের আকাশ/জাআ
৪১ মিনিট আগে
মাদারীপরে আড়িয়াল খাঁ নদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর ট্রলার চালক সুমন সিপাহীর (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এর আগে শনিবার দিনব্যাপী আড়িয়াল খাঁ নদের বিভিন্ন পয়েন্ট তল্লাসী চালিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি সুমনকে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ডুবে যাওয়া ট্রলার। নিহত সুমন সিপাহী সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ‘বাহেরচর কাতলা’ এলাকার কালু সিপাহীর ছেলে।মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে সদরের ‘বাহেরচর কাতলা’ এলাকার যুবকদের পক্ষ থেকে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। ট্রলার ভাড়া করে যুবকরা আড়িয়াল খাঁ নদীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আনন্দ উপভোগ করেন। রাতে ফেরার পথে ‘বাহেরচর কাতলা’ এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়। শুরু হয় চিৎকার চেচামেচি। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় সবাইকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে ট্রলার চালক সুমন সিপাহী। এদিকে এ ঘটনায় অসুস্থ কয়েকজনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কয়েক দফা তল্লাসি চালিয়েও খুঁজে পায়নি সুমনকে। ঘটনার দুইদিন পর রোববার সকালে সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে সুমনের লাশটি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে কার্যক্রম চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। আড়িয়াল খাঁ নদের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি করেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ট্রলারটি। ঘটনার দুইদিন পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় ট্রলার চালক সুমনের লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।ভোরের আকাশ/জাআ
১ ঘন্টা আগে