একই ইস্যুতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের একটি ভিডিও এবং এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টের জেরে দলটির নেতাদের ভিন্ন বক্তব্য। ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারেরর প্রধান উপদেষ্টা করতে একটি বিশেষ বাহিনীর প্রধানের আপত্তি ও ‘পতিত ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন নিয়ে সেই বাহিনীর তৎপরতা নিয়েই মূলত তাদের ওই পোস্ট ছিল। নেতাদের ওই বক্তব্যের পর দলটির তৃণমূলেও প্রভাব পড়েছে। নতুন গঠিত দলটির নেতাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে, পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার পরও দলটির নেতারা বলছেন, তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। একই ইস্যুতে ভিন্নমত থাকাটাও গণতন্ত্রের চর্চা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন একই ইস্যুতে যদি একই দলে ভিন্ন বক্তব্যে আসে তাতে অবশ্যই বিভ্রান্তি ছড়ায়। রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠে।গত শুক্রবার নিজের ফেরিফাইড ফেসবুকে এটি পোস্ট দেন জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পোস্টে তিনি লেখেন, ১১ মার্চ, সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ” নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই।আমাদেরকে বলা হয়, একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তারা শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। বিস্তারিত স্ট্যাটাসের শেষে তিনি লেখেন শেষ পর্যন্ত আমরা না মেনে নিয়ে মেটিং শেষ না করেই চলে আসি। এর পরপরই তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওটি ১৫ মার্চ ধারণ করা হয়েছে বলে ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে জানান তিনি। ‘ক্যান্টনমেন্টের ইন্টারভেনশনের ট্রেইলর-১’ শীর্ষক ২৮ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসের নিয়োগ নিয়ে একটি বিশেষ বাহিনীর প্রধানের আপত্তি ছিল বলেও অভিযোগ করেন।হাসনাতের পোস্টের একদিন পরেই শনিবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন বলেন, হাসনাত আবদুল্লাহ যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, সেটি ‘শিষ্টাচারবর্জিত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা উচিত হয়নি। আমরা মনে করি, এটা শিষ্টাচারবর্জিত একটি স্ট্যাটাস হয়েছে এবং রাষ্ট্রের ফাংশনাল জায়গায় আমরা দেখি যে ক্যান্টনমেন্টের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ রাজনৈতিক জায়গায় হস্তক্ষেপ করছেন। আমাদের কাছে এই ধরনের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। এই সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নেবে এবং সরকারি যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোর এতে জড়িত না হওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’এছাড়া রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করছি। সারজিস লেখেন, মানুষ হিসেবে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিমতকে একেকজন একেকভাবে অবজার্ভ করে। হাসনাত সেদিন তার জায়গা থেকে যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে এবং ফেসবুকে লিখেছে আমার সে ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিমত আছে। তিনি বলেন, সেদিন আমি ও হাসনাত সেনাপ্রধানের সঙ্গে গিয়ে কথা বলি। আমাদের সঙ্গে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন সদস্যেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি, সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেওয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সঙ্গে যখন প্রয়োজন হতো তখন ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরে সারজিস বলেন, যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’। তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইসরকে জিজ্ঞাসা করি, আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্খিত কিছু দেখছেন কিনা? সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক স্টেট ফরওয়ার্ড মনে হচ্ছে। তিনি আমাকে বললেন তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম, বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়। সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিন জনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি।এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য দুই সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর যেকোনো একজন মিথ্যা বলছেন বলে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ। ‘ক্যান্টনমেন্টের বৈঠক’ নিয়ে গত ২০ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে ২টার সময় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে রোববার (২৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন সারজিস। সেই স্ট্যাটাসের কমেন্টের ঘরে হান্নান এ মন্তব্য করেন।হান্নান মাসুদ লিখেছেন, ‘এসব কি ভাই! পাবলিকলিই বলছি- দুইজনের একজন মিথ্যে বলছেন। এটা চলতে পারে না। আর দলের গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট হোল্ড করেও আপনারা যেভাবে ব্যক্তিগতভাবে বিচরণ করছেন এবং তা পাবলিক করে এনসিপিকেই বিতর্কিত করছেন।’ হান্নান মাসুদ আরও লেখেন, ‘মানুষ এনসিপিকে নিয়ে যখন স্বপ্ন বুনছে, তখন এভাবে এনসিপিকে বিতর্কিত করার কাদের এজেন্ডা! সরি, আর চুপ থাকতে পারলাম না।’তাদের এই বক্তব্যের পর যেন দলটির নেতাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। পাশাপাশি হঠাৎ রাজনীতিতে টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। শুরু হয় নানান গুজব আর গুঞ্জন। গতকালও চলে সেই গুজব। রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে চায়ের দোকানেও প্রশ্ন উঠেছে কী হচ্ছে কী হবে? নতুন গঠিত এই দলের নেতাদের একই ইস্যুতে নানা বক্তব্য দেয়ার পর দলটির নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে দ্বিধা। কার বক্তব্য সঠিক তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতির বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভিডিও ও এনসিপি নেতা হাসনাতের পোস্ট আমি দেখেছি। যা ঘটছে সেটি উদ্বেগজনক। এটি কারো জন্যে ভাল ফল বয়ে আনবে না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আসলেই ঘোলাটে। তবে, এ ঘটনায় এনসিপির নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। একই ইস্যুতে যদি একই দলে ভিন্ন বক্তব্যে থাকে তাতে অবশ্যই বিভ্রান্তি ছড়ায়। রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
১ ঘন্টা আগে
দুইটি হত্যা মামলায় জামিন পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী।সোমবার (২৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) জেলার একেএম মাসুম। তিনি জানান, রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে তিনি কারাগার থেকে জামিনে নিয়ে বেরিয়ে যান।কারাগার সূত্রে জানা যায়, শমসের মুবিন চৌধুরী একটি হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছেন হাইকোর্ট থেকে, অন্যটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ ঘন্টা আগে
বিএনপি ভাই চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে,জনগণের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হলে, দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনকে যদি আমরা পাশ কাটিয়ে যাই তাহলে গণতন্ত্রে উত্তরণ করতে পারব না। সোমবার ২৪ মার্চ রাজধানীর বিআইডব্লিউটিসি মিলনায়তনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলকে আয়োজন করে বিআইডব্লিউটিসি এমপ্লয়েজ ইউনিয়ন।দুদু বলেন, দেশের জনগণের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার এমপি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মী পালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দোসরা কিন্তু পালায়নি। তারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তাদের কেউ নির্মূল করতে হবে। কারণ গত ১৬-১৭ বছর আমাদের বন্ধুদের তারা নির্যাতন অবিচার করেছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে শ্রমিকদের রক্ষা করতে হবে। দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশের জনগণের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হলে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনকে যদি আমরা পাশ কাটিয়ে যায় তাহলে গণতন্ত্রে উত্তরণ করতে পারব না।ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ মনে করেছিল তারা ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল কারণ আমাদের আছে আপোষী নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমাদের আছে স্বাধীনতার ঘোষক রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তার চেতনা। বর্তমানে আমাদের আছে তারেক রহমান।তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তিনি পাকিস্তানের কারাগারে নিরাপদে ছিলেন। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসে ৭২ থেকে ৭৫ সালে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। ওই সময়ে ৪০ হাজার বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। দেশের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। তার কন্যা শেখ হাসিনা পালানোর ৪৮ ঘন্টা আগে বলেছিল মুজিবকন্যা পালায় না। কিন্তু তিনি পালিয়েছে। এবং লজ্জাজনক ভাবে পালিয়েছে।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আগামী দিন শহীদ জিয়ার নেতাকর্মীদের জাতীয়তাবাদীর চেতনার এবং তারেক রহমান ও তার নেতাকর্মীদের দিন এই কথা যে মানবে না তিনি ভুল পথে আছেন। আমরা আশা করি আগামী দিনে জাতীয়তাবাদী দল এ দেশে নেতৃত্ব দিবে।সংগঠনের সভাপতি নিয়াজ আহমেদ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম,বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লাইন ফারুক রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি,দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলামের রিপন ও সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ভোরের আকাশ/মি
১৫ ঘন্টা আগে
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি তাসমিয়া প্রধান বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভারতের প্রভাবমুক্ত ও অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আহ্বান জানেছি। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন সিইসি। সোমবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং ভারতীয় প্রভাবমুক্ত একটা নির্বাচন। গত ১৬ বছরে আমরা দেখেছি বাহিরের হস্তক্ষেপ হয়েছে। সামনের নির্বাচন এমন হবে না এটা আমরা বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে সামনের নির্বাচনটি অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে।বৈঠকে জাগপার প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন-দলের সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার ও যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০ ঘন্টা আগে