আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ জয়ের ও ছক্কার নতুন রেকর্ড করল বাংলাদেশ। বছরের শেষ ম্যাচে এসে গতকাল প্রথমবারের মতো এক বছরে ২০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেছে তারা। আগের ১২২ ছক্কার রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার সেটি থামল ২০৬-তে।২০২৫ সালে মোট ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ১৫টি ম্যাচে জয় এবং হেরেছে ১৪টি ম্যাচে। একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক বছরে এত ম্যাচ আগে কখনো জেতেনি বাংলাদেশ।এক বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কাও হয়েছে। এবছরই সর্বোচ্চ ২০৬টি ছক্কা মেরেছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা। টপ অর্ডারের চার ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন ও সাইফ হাসান মিলে মেরেছেন ১২৭টি ছক্কা। যার মধ্যে ওপেনার তামিম একাই মেরেছেন ৪১টি ছক্কা, যা এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।দ্বিতীয় স্থানে আছেন পারভেজ ইমন, তার ছক্কা ৩৪টি। বছরের মাঝপথে দলে ফেরা সাইফ হাসান ১৫ ম্যাচে হাঁকিয়েছেন ২৯টি ছক্কা। অধিনায়ক লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩টি ছক্কা আর মিডল অর্ডারের জাকের আলী ২৩ ইনিংসে ১৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।এ বছর বাংলাদেশ মোট রান তুলেছে ৪২২৯ (অতিরিক্ত বাদে), যার ২৯ শতাংশই এসেছে ছক্কা থেকে। চার হাঁকানোতেও হয়েছে রেকর্ড। এই বছর সর্বোচ্চ ২৯৮টি চার এসেছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছ থেকে।টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়েছেন তামিম। ২৬ ম্যাচে ৭২০ রান, সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৮৯ রান।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৪ ঘন্টা আগে
মৌসুম জুড়ে বড় ম্যাচগুলোতে হাতছাড়া হচ্ছিল বার্সেলোনার জয়। পিএসজি, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি—প্রতিপক্ষ যেমনই হোক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ লড়াইগুলোতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল কাতালানরা। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে এসে বদলে গেল সেই চিত্র। জমজমাট লড়াই শেষে হানসি ফ্লিকের দল ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল।আতলেতিকো মাদ্রিদ মৌসুম শুরুর বাজে ফর্মটাকে পেছনে ফেলে দারুণ ছন্দে ছিল। শেষ পাঁচ ম্যাচ জয় নিয়ে ন্যু ক্যাম্পে পা রেখেছিল। বার্সেলোনাও শেষ চার লা লিগা ম্যাচে জিতে এই ম্যাচে পা রাখে। দুই দলের লড়াইটা বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছিল।ম্যাচেও হলো তাই। তবে বার্সেলোনা একটু বেশি আধিপত্য দেখিয়েছে ম্যাচে। প্রথমার্ধে শুরুতে গোল হজম করেছে বটে, কিন্তু সে গোলও ছিল অনেকটা ধারার বিপরীতে। নাহুয়েল মলিনার বাড়ানো লং বল দারুণভাবে আয়ত্বে নিয়ে গোল করেন অ্যালেক্স বায়েনা।সে গোলের জবাব বার্সা দিয়েছে কিছুক্ষণ পরই। পেদ্রি গনজালেসের বাড়ানো দারুণ এক পাসে রাফিনিয়ার পায়ে যায় বল। তিনি এরপর গোলরক্ষক ইয়ান অবলাককে দারুণ এক ডজে এড়িয়ে গিয়ে ফাঁকা জালে বল জড়ান।প্রথমার্ধেই বার্সা ম্যাচে লিড নিতে পারত। তবে দানি অলমোর পাইয়ে দেওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি রবার্ট লেভান্ডভস্কি। বল মেরে দেন ক্রসবারের অনেক ওপরে। সেই মিসের পরপরই শোধবোধের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন পোলিশ এই স্ট্রাইকার। লামিন ইয়ামালের ক্রস থেকে তার নেওয়া শট অবলাক দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন। ফলে ১-১ গোলে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা চাপ আরও বাড়ায়। ৬৫তম মিনিটে বক্সের একটু সামনে লেভান্ডভস্কির ব্যাকহিলে বাড়ানো বল নিয়ে বিপদসীমায় ঢুকে পড়েন দানি অলমো। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে তিনি বল জড়ান জালে। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।সেই গোল লিড এনে দিয়েও স্বস্তি এনে দিতে পারেনি। ১ গোলের লিড সামলাতে হাই লাইন রক্ষণের কৌশল থেকে সরে এসেছিলেন কোচ ফ্লিক। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টির আবেদন তুলেও সাড়া পায়নি আতলেতিকো মাদ্রিদ। এরপর একাধিক আক্রমণ বার্সা সামলেছে দুরু দুরু বুকে। তবে সে অস্বস্তি দূর হয় যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে অ্যালেক্স বালদে বল বাড়ান ফেররান তরেসকে। তার গোলই জয় নিশ্চিত করে কাতালানদের। এ জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচ থেকে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সা লিগের শীর্ষে জাঁকিয়ে বসেছে আরও। দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ খেলেছে একটি কম ম্যাচ, তাদের পয়েন্ট ৩৪। আজ রাতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে খেলবে দলটা। ভোরের আকাশ/তা.কা
১৫ ঘন্টা আগে
টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের স্বাদ নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। লক্ষ্য ছিল মাত্র ১১৮ রানের। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাও মাত্র ১৩.৪ ওভারে (৩৮ বল হাতে রেখে)।প্রথম ম্যাচে যেভাবে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতেই বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নিলো আইরিশদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে।৩৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ২৬ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। আউট হয়েছিলেন সাইফ হাসান ও লিটন দাস।প্রথম ম্যাচে টস না জিতলেও প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ১৮১ রান করেছিল আইরিশরা। ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ৩৯ রানের ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। আয়ারল্যান্ড ১৭০ রান করলেও বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নেয় ৪ উইকেটের ব্যবধানে। শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল সিরিজ নির্ধারনী। কিন্তু এই ম্যাচে আইরিশরা দাঁড়াতেই পারেনি লিটন দাসদের সামনে।টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে আউট হন পল স্টার্লিং, রিশাদ হোসেনের বলে। ১০ বলে ১৭ রান করেছিলেন টিম ট্যাক্টর। উদ্বোধনী জুটিতে ওঠে ৩৮ রান। এই জুটি ভাঙার পরই আইরিশদের প্রতিরোধ থেমে যায়।তবুও মিডল অর্ডারে জর্জ ডকরেল ২৩ বলে ১৯ রান করে উইকেট আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শরিফুল ইসলামের বলে আউট হয়ে যান তিনি। এছাড়া ১০ রান করেন গ্যারেথ ডেলানি। মোস্তাফিজ এবং রিশাদ হোসেন নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া ২ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নেন ১টি করে উইকেট।জবাব দিতে নেমে তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান মিলে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। ৭ রান করেন লিটন দাস। ৪৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর বাকি কাজটুকু অনায়াসে সেরে নেন তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।ভোরের আকাশ/তা.কা
১ দিন আগে
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১১৮ রানের টার্গেট দিয়েছে আয়ারল্যান্ড।পাওয়ার প্লেতে রীতিমতো ঝড় তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। তবে পাওয়ার প্লের পরপরই পথ হারায় তারা। বিশেষ করে রিশাদ হোসেন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। এই লেগি দ্রুত উইকেট তুলে চাপে ফেলে আইরিশদের। এরপর আর তারা ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রানে থেমেছে আয়ারল্যান্ড।চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে পল স্টার্লিং।বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ওভারে ১৩ রান দেন মেহেদী হাসান। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে শরিফুল ইসলামের শিকার হওয়ার আগে টিম টেক্টর (১৭) দুই চার ও এক ছয়ে ১৪ রান তোলেন।পঞ্চম ওভারের শেষ বলে হ্যারি টেক্টর সিঙ্গেল নিলে আয়ারল্যান্ড পঞ্চাশে পৌঁছায়। ওই ওভারে ১২ রান তোলে সফরকারীরা। বল হাতে নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় ডেলিভারিতে উইকেট পান।পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হ্যারি (৫) অদ্ভুত দৃশ্যের অবতারণা করে আউট হন। হ্যারি সামনের পায়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালান। বল ব্যাটে লেগে তা স্টাম্পের দিকে ছোটে। আইরিশ ব্যাটার বিপদ টের পেয়ে তাড়াতাড়ি পা দিয়ে বলটা সরাতে গিয়েও পারেননি। বল স্টাম্পে আঘাত করে। মুস্তাফিজ ওই ওভারে মাত্র এক রান দেন। তাতে পাওয়ার প্লে শেষে আয়ারল্যান্ড করেছে ২ উইকেটে ৫১ রান।ভালো শুরুর পরও মিডল অর্ডার ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি আয়ারল্যান্ড। পল স্টার্লিং এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক প্রান্তে ছিল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল।লরকান টাকার-কুর্তিস ক্যাম্পাররা কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। শেষদিকে জজ ডকরেল ও গ্যারেথ ডেলানি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দুজনই থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ডেলানি করেছেন ১০ রান, আর ডকরেলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান।ভোরের আকাশ/তা.কা
১ দিন আগে