মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ শত শত কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে সেটিকে প্রতিহত করা হবে জানিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) একটি নৌকা ছাড়া বাকি সব নৌকা আটক করা হয়েছে এবং যাত্রীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে।ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসির অনুমান অনুযায়ী, আটক হওয়া লোকজনের সংখ্যা প্রায় ৪৪৩। নৌযান দখলের সময় অনেকের ওপর জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।যদিও দখলদার ইসরায়েল জানিয়েছে, আটককৃত সবাই নিরাপদে আছেন এবং কারও কোনো সমস্যা হয়নি।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে যাত্রীদের আটক করার পর কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হয়নি। আটক কর্মীদের আশোদ বন্দরে আনা হচ্ছে এবং দ্রুতই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।বৃহস্পতিবার বিকেলে আরও এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ‘উস্কানি’ শেষ হয়েছে। হামাস-সুমুদের কোনো উস্কানিমূলক নৌকা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেনি বা ‘বৈধ নৌ অবরোধ’ ভাঙার প্রচেষ্টা সফল হয়নি।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সব যাত্রীকে নিরাপদে ইসরায়েলে আনা হচ্ছে এবং সেখান থেকে তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে। তবে একটি জাহাজ, যেটিতে যান্ত্রিক সমস্যা থাকতে পারে, তা গাজা থেকে কিছুটা দূরে সমুদ্রে অবস্থান করছে। যদি সেটি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও প্রতিহত করা হবে।সূত্র: বিবিসিভোরের আকাশ/মো.আ.
১ মাস আগে
মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ শত শত কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে সেটিকে প্রতিহত করা হবে জানিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) একটি নৌকা ছাড়া বাকি সব নৌকা আটক করা হয়েছে এবং যাত্রীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে।ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসির অনুমান অনুযায়ী, আটক হওয়া লোকজনের সংখ্যা প্রায় ৪৪৩। নৌযান দখলের সময় অনেকের ওপর জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।যদিও দখলদার ইসরায়েল জানিয়েছে, আটককৃত সবাই নিরাপদে আছেন এবং কারও কোনো সমস্যা হয়নি।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে যাত্রীদের আটক করার পর কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হয়নি। আটক কর্মীদের আশোদ বন্দরে আনা হচ্ছে এবং দ্রুতই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।বৃহস্পতিবার বিকেলে আরও এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ‘উস্কানি’ শেষ হয়েছে। হামাস-সুমুদের কোনো উস্কানিমূলক নৌকা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেনি বা ‘বৈধ নৌ অবরোধ’ ভাঙার প্রচেষ্টা সফল হয়নি।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সব যাত্রীকে নিরাপদে ইসরায়েলে আনা হচ্ছে এবং সেখান থেকে তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে। তবে একটি জাহাজ, যেটিতে যান্ত্রিক সমস্যা থাকতে পারে, তা গাজা থেকে কিছুটা দূরে সমুদ্রে অবস্থান করছে। যদি সেটি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও প্রতিহত করা হবে।সূত্র: বিবিসিভোরের আকাশ/মো.আ.
১ মাস আগে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত একদিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন।একইসঙ্গে গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়তে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এমনকি গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অন্তত ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়তে ‘শেষ সুযোগ’ দিয়ে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল, না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এক্সে লিখেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে।আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় গাজা সিটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ডজনের পর ডজন মানুষ নিহত হচ্ছে, ভেঙে পড়ছে আবাসিক ভবন ও স্কুল। হাজারো মানুষ বাধ্য হয়ে দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে, তবে পালানোর পথেও হামলার মুখে পড়ছেন তারা।আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আল-রাশিদ সড়ক দিয়ে ইসরায়েলি সেনারা মানুষকে শহর ছাড়তে বাধ্য করছে, আবার উপকূল ধরে দক্ষিণমুখী হওয়ার পথেও হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ট্যাংক দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে চরম আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা।তিনি বলেন, “মানুষ গাজা সিটি ছাড়ছে না মূলত ভয় আর ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ঙ্কর তৎপরতার কারণে।”চিকিৎসা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। চলমান দুর্ভিক্ষে খাদ্য সংগ্রহে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার ৬০০, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ হাজার।আল জাজিরাকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ২২৫ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৮ জন। আর এ বছরের মার্চে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে নিহত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৫৭ জন।জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া মানুষকে সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক হিসেবে আখ্যা দেওয়া মানে হলো পরিকল্পিত গণহত্যার ইঙ্গিত। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যারা শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম, তাদের গণহারে হত্যা করা হতে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১ মাস আগে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত একদিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন।একইসঙ্গে গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়তে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এমনকি গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অন্তত ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়তে ‘শেষ সুযোগ’ দিয়ে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল, না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এক্সে লিখেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে।আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় গাজা সিটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ডজনের পর ডজন মানুষ নিহত হচ্ছে, ভেঙে পড়ছে আবাসিক ভবন ও স্কুল। হাজারো মানুষ বাধ্য হয়ে দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে, তবে পালানোর পথেও হামলার মুখে পড়ছেন তারা।আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আল-রাশিদ সড়ক দিয়ে ইসরায়েলি সেনারা মানুষকে শহর ছাড়তে বাধ্য করছে, আবার উপকূল ধরে দক্ষিণমুখী হওয়ার পথেও হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ট্যাংক দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে চরম আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা।তিনি বলেন, “মানুষ গাজা সিটি ছাড়ছে না মূলত ভয় আর ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ঙ্কর তৎপরতার কারণে।”চিকিৎসা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। চলমান দুর্ভিক্ষে খাদ্য সংগ্রহে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার ৬০০, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ হাজার।আল জাজিরাকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ২২৫ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৮ জন। আর এ বছরের মার্চে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে নিহত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৫৭ জন।জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া মানুষকে সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক হিসেবে আখ্যা দেওয়া মানে হলো পরিকল্পিত গণহত্যার ইঙ্গিত। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যারা শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম, তাদের গণহারে হত্যা করা হতে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১ মাস আগে