রাজনীতি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সহোদর শাহাদাত হোসেন।ডিবি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ সংগঠনটির নামে গোপনে সংগঠিত কার্যক্রম পরিচালনা ও দলীয় পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়।ডিবি বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠনটির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সংগঠনের প্রচারপত্র ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো— শাহাদাত হোসেন, মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান, কাইয়ুম মিয়া, সেলিম উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, শহীদুল হক, জাকির হোসেন ও ফজলুল করিম।পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দের পর রিমান্ড আবেদন করা হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার জানান, খালেদা জিয়া সনদ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এটি দেশের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত প্রকাশ করেছেন।জাতীয় সংসদ ভবনে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এদিন বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার সহকারী মুনির হায়দার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়া প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসকে সালাম জানিয়েছেন এবং অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেছেন। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আমন্ত্রণপত্রও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ//হর
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার তিন তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনের মাধ্যমে আয়োজন করেছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এখন সমগ্র দেশবাসী গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে চায়, নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।গিয়াসউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি এই দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি, যার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই জাতিকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির পথে নেতৃত্ব দেন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর আদর্শ ও দর্শনই আজও আমাদের পথপ্রদর্শক।”তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করে প্রমাণ করেছেন যে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষ, জনবান্ধব এবং উন্নয়নমুখী একটি দল। গণতন্ত্র রক্ষায় ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তারেক রহমান বিদেশে থেকেও নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন, ষড়যন্ত্র ও নিপীড়ন মোকাবিলা করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করেছেন।”গিয়াসউদ্দিন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “দেশের জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। তারা জানে—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়ন হবে, গণতন্ত্র ফিরবে, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ বিএনপির রয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, রয়েছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা। জনগণ আজ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য।”তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। এ দেশে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। জনগণের শক্তিই আমাদের মূল শক্তি, সেই শক্তিকে সংগঠিত করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”সভায় সভাপতিত্ব করেন নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী এবং সঞ্চালনা করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি জিএম সাদরিল, মোস্তফা কামাল, সেলিম মাহমুদ, ডিএইচ বাবুল, এডভোকেট মাসুদুজ্জামান মন্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ডা. মাসুদ করিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জেলা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব কায়সার রিফাত, নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তৈয়ব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভূইয়া, সহ-সভাপতি কাজী শাকিল, মহানগর যুবদলের সদস্য শহিদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রদল নেতা একে হিরা, শাহাদাৎ হোসেন রনি, যুবদল নেতা জাকির হোসেন ও রোমান প্রমুখ।পথসভা শেষে এলাকাজুড়ে লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা গণসংযোগে অংশ নেন। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার মাধ্যমে তারা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সিদ্ধিরগঞ্জে এই পথসভা ও গণসংযোগ কার্যক্রমের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মাঠে সক্রিয় উপস্থিতি আরও স্পষ্ট হলো।ভোরের আকাশ//হ.র
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে রাজবাড়ী জেলার চারটি কলেজে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে এমন চিত্র সামনে এসেছে, যা শিক্ষা মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।জেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান। এসব কলেজ থেকে মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।এর মধ্যে রাজবাড়ী সদরের বরাট ভাকলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৮ জন, গোয়ালন্দের মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুর জব্বার কলেজ থেকে ৭ জন, আব্দুল হালিম মিয়া কলেজ থেকে ৫ জন এবং কালুখালীর নীর নেছা কলেজ থেকে ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।সব শিক্ষার্থীই মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৪ জন ও বিজ্ঞান বিভাগের ১ জনসহ মোট ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছে।ফলাফল খারাপ হওয়ায় কলেজগুলোর শিক্ষার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরা বলছেন, শিক্ষক সংকট, পর্যাপ্ত ক্লাস না হওয়া এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের কারণে এমন ফলাফল হয়েছে।বরাট ভাকলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী জাহিদুল আকরাম বলেন, এবার আমাদের কলেজ থেকে ৮ জন অনিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। তবে ২০১৭ সালে আমাদের কলেজ জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল। পরে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ও পড়াশোনার মান কিছুটা কমে গেছে।জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা জানান, ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ//হ.র
খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল—a ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান—এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় কুমিল্লা বিষ্ণুপুর মুন্সেফ কোয়ার্টার এলাকায় অবস্থিত হাসপাতাল ভবনের পঞ্চম তলায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজওয়ানুল কবির, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এবং মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।বক্তারা বলেন, ২০১০ সালের মে মাসে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এটিএম শামসুল হক এ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ১২৫ শতক জমি দান করেন। তাঁর এই উদ্যোগ থেকেই বিশেষায়িত হাসপাতালটির যাত্রা শুরু।তারা আরও জানান, ভবিষ্যতে খায়রুন্নেসা মেডিকেল কলেজ ও রাবেয়া হক নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি ১০০ শয্যা থেকে ধীরে ধীরে ২৫০ শয্যা এবং ৫ তলা থেকে ১০ তলা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও আধুনিক হাসপাতাল হিসেবে এটি গড়ে তোলা হবে।মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সংবাদকর্মী ও তাঁদের পরিবারের জন্য চিকিৎসা সেবায় বিশেষ সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানান।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আয়োজকরা বলেন, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই এই বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মিজ শারমীন এস. মুরশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।এছাড়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন—ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. এম. এ. সামাদ, মরহুম এটিএম শামসুল হকের সহধর্মিণী মিসেস রাবেয়া হক, কুমিল্লার সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. আমীরুল কায়ছার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান, এনএইচএন বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজওয়ানুল কবির এবং ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।ভোরের আকাশ//হর
বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণা কর্মসূচির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হিজলা বাজারে হিজলা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান গাজী।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল হাসান অপু।সভা শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা হিজলা বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের হাতে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট অসীম কুমার সমাদ্দার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিপন মুন্সি, এ্যাডভোকেট বলাই চাঁদ বিশ্বাস, এ্যাডভোকেট সমর পান্ডে, এ্যাডভোকেট বিজন কুমার বিশ্বাস, এ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান, এ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন, বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মোজাফফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম শেখ, কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ গাউসুল হক প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিজলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ওছিকুর রহমান।ভোরের আকাশ//হর
চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ১.৪৩ বিলিয়ন (১৪৩ কোটি ৫০ লাখ) মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা, যা প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে গণনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তার হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৩১ কোটি ডলার।চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯০২ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-১৩ অক্টোবর, ২০২৪) রেমিট্যান্স ছিলো ৭৮৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাস ভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিলো, যা ছিলো ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিলো ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিলো- জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কর জাল সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।নতুন কাঠামোর আওতায় এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগে মোট ৩ হাজার ৫৯৭টি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ এবং ৩ হাজার ২২৪টি নন-ক্যাডার পদ।বুধবার (১৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ।এতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করেছে সরকার। নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট সৃজন করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ইতোমধ্যে আদেশ জারি করেছে।এনবিআর বলছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কর জাল সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, জাতীয় অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, সেবার মানোন্নয়ন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে পরোক্ষ কর ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যেও এই সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রশাসনিক অনুমোদনের পর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তিন ধাপে নতুন দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৫টি নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিশনারেট, ৪টি নতুন কাস্টমস হাউস, ৩টি বিশেষায়িত দপ্তর।এ ছাড়া বিদ্যমান কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউসগুলোর জনবল বৃদ্ধি ও কাঠামোগত সম্প্রসারণ, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নতুন কাস্টমস কার্যক্রম, এবং কাস্টমস ও ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই পুনর্গঠনের মাধ্যমে পরোক্ষ কর আহরণের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে রাজস্ব প্রশাসন আরও আধুনিক, কার্যকর ও নাগরিকবান্ধব রূপ পাবে। যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ২০৫ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০২ টাকায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাকিস্তানকে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু পরের তিন ম্যাচেই হারতে হয়েছে জ্যোতি-মারুফাদের। দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাইগ্রেসরা।বাংলাদেশ একাদশ: রুবাইয়া হায়দার, ফারজানা হক, শারমিন আক্তার, নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রাবেয়া খান, রিতু মনি, নিশিতা আক্তার নিশি ও ফারিহা তৃষ্ণা।6অস্ট্রেলিয়া একাদশ: এলিসা হিলি (অধিনায়ক), ফোব লিটখফিল্ড, এলিস পেরি, বেথ মুনি, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, অ্যাশলেই গার্ডনার, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা, জর্জিয়া ওয়েরহাম, এলানা কিং, মেগান স্কুট ও ডার্কলি ব্রাউন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলের সামনে এই আবেদন জানান তিনি।একইসঙ্গে, মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের শাস্তির বিষয়টি আদালতের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেন প্রধান প্রসিকিউটর।চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন। একজন মানুষকে হত্যার দায়ে যদি মৃত্যুদণ্ড হয়, তাহলে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে ১৪শ বার ফাঁসি দেওয়া উচিত। যদিও আইনে তা সম্ভব নয়, তবে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এই দণ্ড দেওয়া হলে দেশের জনগণ ন্যায়বিচার পাবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চুল পড়া একটা সাধারণ অথচ ভীষণ দুশ্চিন্তার বিষয়। প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যদি দেখা যায়, চুলের গোছা পাতলা হয়ে যাচ্ছে, তখন নানা তেল, শ্যাম্পু, কিংবা ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করেও অনেক সময় ফল পাওয়া যায় না। আসলে, চুলের স্বাস্থ্য কেবল বাইরের যত্নে নয়—ভিতর থেকেও আসে। আর তাই দরকার সঠিক খাবার।বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হলে চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই চুল সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে—ডিম রাখুন প্রতিদিনের খাবারেচুলের পুষ্টির জন্য ডিমের জুড়ি নেই। এটি বায়োটিন ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কুসুমে থাকা বায়োটিন চুলের গঠনকে শক্তিশালী করে তোলে। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খাওয়া উচিত।মিষ্টি আলুর জাদুখেতেও মজাদার, আবার চুলের জন্যও উপকারী—এমনই এক খাবার হলো মিষ্টি আলু। এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে ভিটামিন-এ হিসেবে কাজ করে। এটি স্ক্যাল্পে প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন বাড়ায়, ফলে চুল থাকে নরম, মজবুত ও উজ্জ্বল। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে চুল পড়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।পালং শাকের পুষ্টিসবুজ শাকসবজির মধ্যে পালং শাক চুলের জন্য সবচেয়ে উপকারী একটি উপাদান। এতে থাকে আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং বায়োটিন, যা রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে চুলের গোড়া মজবুত করে। নিয়মিত পালং শাক খেলে অতিরিক্ত চুল পড়া কমে এবং চুল হয়ে ওঠে আরও ঘন ও প্রাণবন্ত।বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুনএক মুঠো বাদামই হতে পারে চুলের প্রাকৃতিক টনিক। এতে রয়েছে উপকারী ফ্যাট, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুলের কোষকে পুষ্টি জোগায়। নিয়মিত বাদাম খেলে চুল পড়া কমে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।সবশেষে মনে রাখবেন, চুলের যত্ন কেবল বাহ্যিক নয়, ভেতর থেকেও শুরু হয়। তাই সুষম খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনার চুল ফিরে পাবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও ঘনত্ব।ভোরের আকাশ//হ.র
২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ বোস্টনে আয়োজন নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং মেয়র মিশেল উ’র সমালোচনা করে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে বোস্টনের ম্যাচগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে মার্কিন রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনে।গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মাইলির সঙ্গে যৌথ উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চাইলে ম্যাচগুলো সরিয়ে নিতে পারি। আমি বোস্টনের মানুষকে ভালোবাসি, জানি ম্যাচগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু তোমাদের মেয়র ভালো নয়। সে বুদ্ধিমতী, তবে চরমপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী, এবং শহরের কিছু অংশ তারা দখল করে নিচ্ছে। ’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাইলে মুহূর্তেই ম্যাচগুলো ফেরত নিতে পারি। মেয়র শুধু আমাদের ফোন করলেই আমরা এসে সেগুলো নিয়ে যাব, কিন্তু সে রাজনৈতিক কারণে ভয় পাচ্ছে। ’বোস্টন শহর থেকে প্রায় ৩০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ফক্সবোরোর জিলেট স্টেডিয়ামে ২০২৬ বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা যৌথভাবে আয়োজন করবে এবারের বিশ্বকাপ, যেখানে ২০২২ সালে ফিফা ১৬টি আয়োজক শহর এবং ম্যাচ সূচি চূড়ান্ত করে।ট্রাম্প বলেন, প্রয়োজন হলে তিনি ম্যাচগুলো সরানোর বিষয়ে সরাসরি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তার ভাষায়, ‘যদি দেখি কেউ দায়িত্বে ব্যর্থ হচ্ছে, বা নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে, আমি ফিফা প্রধান জিয়ান্নিকে ফোন করব। আমি বলবো, আমরা অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছি। আর তারা সঙ্গে সঙ্গে সেটাই করবে। হয়তো পছন্দ করবে না, কিন্তু সহজেই করে নেবে। ’তবে ফিফা আগেই স্পষ্ট জানিয়েছে, আয়োজক শহর ও ম্যাচ ভেন্যু নির্ধারণের পূর্ণ ক্ষমতা তাদের হাতেই। চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টর মন্টাগলিয়ানিও বলেন, ‘এটা ফিফার টুর্নামেন্ট, ফিফার এখতিয়ার। সিদ্ধান্ত নেবে ফিফাই। ’ট্রাম্পের মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন বোস্টনে এক রাতে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় একাধিক গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মেয়র মিশেল উ’র কার্যালয় ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে বোস্টনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যে বিপুল অর্থনৈতিক প্রভাবের পূর্বাভাস দিয়েছে আয়োজকরা। টিকিট বিক্রিতে দেখা যাচ্ছে উচ্চ চাহিদা, ফলে এত দেরিতে কোনো ভেন্যু পরিবর্তন হলে তা বড় ধরনের লজিস্টিক ও চুক্তিগত জটিলতা তৈরি করবে। টুর্নামেন্ট শুরু হতে এখনো বাকি প্রায় আট মাস, উদ্বোধনী ম্যাচ হবে আগামী ১১ জুন।বোস্টনের প্রথম ম্যাচ নির্ধারিত আছে আগামী ১৩ জুন, টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিনে, গ্রুপ ‘সি’র দুটি দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১২ ঘণ্টা আগে