ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাজারে চাহিদা বেড়েছে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক মুরগির কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর মাংসে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতা। খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১২০০টা বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজা এখন শেষের দিকে। কয়েকদিন পরেই ঈদ। ফলে বাজারে মাংসের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। আর চাহিদা বাড়লে দাম এমনিতেই একটু বেড়ে যায়।সরবরাহ ঘাটতি নেই জানিয়ে মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, সব ধরনের মুরগির দামই বেড়ে গেছে। আগে যে দামে আমরা বিক্রি করতাম এখন সে দামে কিনতেই পারি না।সেগুনবাগিচা বাজারের বিক্রেতা মনির বলেন, ঈদে মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। প্রতিটি পরিবার রোস্ট বা বিরিয়ানির জন্য মুরগি কেনে। সেই তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।মহাখালী কাঁচা বাজারের ক্রেতা সফর আলী বলেন, প্রতি শুক্রবার মুরগি কিনি। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষ সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে। দাম আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। এখনো ঈদ কয়েকদিন বাকি। সাধারণত ঈদের একদিন আগে বিক্রেতারা মাংসের দাম বাড়ান কিন্ত এবার ভিন্ন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে পতিত সরকারের মতোই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশাভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই জুলাই আন্দোলন হয়েছে। এ সরকার ভোটে নির্বাচিত না হলেও তার জনসমর্থন রয়েছে। সরকারকে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট মাস তারিখ দিয়ে ঘোষণা দিতে হবে।তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আদালতে গিয়েছিলাম, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।তিনি আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনে ১৭জন রিকশাচালক ভাই জীবন দিয়েছেন। আমি তাদের বাসায় গিয়েছি। কী নিধারুণ কষ্টে তাদের পরিবারের সদস্যরা জীবন যাপন করছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের পরিবার যেন না খেয়ে না থাকে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের সন্তানদের লেখা পড়ার দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে। পরিবারের সদস্য যারা চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত তাদের চাকরি দিতে হবে।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সীমান্ত থেকে প্রায় চার কোটি টাকা মূল্যের ৩ কেজি ওজনের ১৬টি স্বর্ণের বার ও ১৪টি স্বর্ণের ছোট টুকরোসহ আফসার আলী (২৮) নামে এক স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি।বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত থেকে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আফসার আলী উপজেলার দর্শনা থানার ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিজিবি জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সুলতানপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার হতে পারে। খবর পেয়ে বিশেষ টহলদল সীমান্তের মেইন পিলার ৭৭/৬-আর থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ছয়ঘড়িয়া প্রাইমারি স্কুলের কাছে অবস্থান নেয়।এসময় সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলযোগে সীমান্তের দিকে যেতে দেখলে তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। তার কোমরে থাকা একটি লাল কাপড়ের বেল্টের ভেতর থেকে ৩ কেজি ৬ গ্রাম ওজনের ছোট-বড় ১৬টি স্বর্ণের বার এবং ১৪টি স্বর্ণের ছোট টুকরো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ২০০ টাকা।চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে এবং দর্শনা থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কক্সবাজারের দক্ষিণ বন বিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের আওতাধীন সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় একটি ডাম্পার (মিনি ট্রাক) ও একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়েছে। তবে এ সময় দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তুলাবাগান বিট এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম। তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাটি কাটার তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ সময় একটি ডাম্পার ও একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়েছে। তবে অপরাধীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।শরীফুল আলম আরও বলেন, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, মাটি উত্তোলন ও বালু তোলার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পানেরছড়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম। অভিযানে অংশ নেন পানেরছড়া বিট কর্মকর্তা, রেঞ্জের অন্যান্য বনপ্রহরী, ধোঁয়াপালং রেঞ্জের সদর বিট কর্মকর্তা ও বনপ্রহরী। এছাড়া কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের স্পেশাল টিম ও রামু থানা পুলিশের সদস্যরাও অভিযানে অংশ নেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির রাজারামপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার থাইজেন্ট ডেইস ডট লাইফ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের ভিআইপি কেবিনের শুভ উদ্বোধন করেন ও বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর মোছা. রেহেনা আক্তর।তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি এলাকার মানুষের আমি মনে করি এই প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণ গরীব মানুষ সেবা পাবে। এই জন্য আমি সর্বাত্তক সহযোগীতা করছি। হাসপাতাল থেকে কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় ফিরে না যায়।এসময় উপস্থিত ছিলেন, থাইজেন্ট ডেইস ডট লাইফ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের এনডিডি মুহাম্মদ রনি চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ডাক্তার নার্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে পুষ্টি উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতায় মাসরুম চাষ করেছেন রাসেল আহমেদ নামের এক যুবক। তিনি পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজের বাড়িতে শুরু করেছেন মাসরুম চাষ। এ জন্য তিনি কৃষি বিভাগের মাধ্যমে জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নিয়ে সময় অপচয় না করে তার বসতবাড়িতেই আয়োজন করেন এ চাষাবাদের। বাড়ির দুচালা টিনের ঘরেই শেড বানিয়ে মাসরুম চাষ শুরু করেন।কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে তিনি ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছেন। স্বপ্ন দেখছেন মাসরুমে নিজের পাশাপাশি অন্য আরো মানুষের কর্মসংস্থানের। এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল বিকেলে কাজ করে যাচ্ছেন তার খামারে। ভালো সফলতাও ধরা দিচ্ছে। মাসরুম চাষ প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছেন একটি ভ্যান। ভ্যানের পিছনেও লেখা মাসরুমের নানা উপকারিতার কথা। ক্রেতারা সহজেই বুঝতে পারবেন ও পড়তে নিতে পারবেন মাসরুমের প্রাথমিক উপকারিতার কথা। মাসরুম চাষে এগিয়ে আসা এ যুবকের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে। তার পিতা জসিম উদ্দিন।মাসরুম চাষি রাসেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি ২০১২ সালে নিজ গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০১৪ সালে এইচএসসি ও ২০১৭ সালে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। পরে তিনি শারীরিক শিক্ষা কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। পড়াশোনা শেষ করে বসে না থেকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউট সাভারে চাষে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ নেন। বাড়িতে এসে শুরু করে মাসরুম চাষ।তিনি জানান, মাসরুম শুধু নিজের লাভই না। যারা খাবেন তাদেরও উপকারিতা অনেক। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাসরুমে আমিষ শর্করা চর্বি ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা ইমিউনিউন সিস্টেম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পটাসিয়ামের উপস্থিত থাকায় হৃদ রোগ বা হার্টের রোগ নিরাময় সহায়ক। প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইজম ও বিটাগ্লোক্যান আছে যা বহুমূত্র রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। ইরিটাডেনিন লোভাস্টাটিন এনটাডেনিন কিটিন এবং ভবটামিন বি সি ও ডি সমৃদ্ধ। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রচুর পরিমানে সালফার সরবরাহকারি এমাইনো এসিড থাকায় চুর পড়া ও পাকা রোদে সহায়তা করে থাকে। নিয়াসিন রিবোফ্লাভিন থাকায় মাসরুমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।তিনি আরো জানান, তার খামারে দুই জাতের মাসরুম রয়েছে। ওয়েস্টার ও মিলকি জাতের মাসরুম। সিদ্ধ করা খড়ে বীজ বা স্পন দিয়ে দিতে হয়। মাসরুম পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে প্রায় ২৮-৩০ দিন। মাসে একবার করে আসে মাসরুম। তার ৫০০টি ব্যাগে চলছে এ চাষ। জাত ভেদে দামও কম বেশি হয়ে থাকে। ওয়েস্টার ২৫০ টাকা আর মিলকি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে বলে রাসেল জানান।তারমতে, প্রতিব্যাগে হাফ কেজির মতো মাসরুম উৎপাদন হয়ে থাকে। মাস শেষে খরচ বাদে তার ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ আসে এমনটাই জানালেন তিনি। ভবিষ্যতে আরো বাড়াতে চান তার খামার।মুশুদ্দি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, রাসেল একজন প্রশিক্ষিত যুবক। প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে সে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।ধনবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, উপজেলায় তিনজন যুবক মাসরুম চাষ করছে। মাসরুম চাষে যুবকরা এগিয়ে যাচ্ছে। বহুগুণে উপকারিতা সমৃদ্ধ মাসরুম। এরা জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউট সাভার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাসরুম চাষ করছে। তারা আর্থিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের সুবিধার্থে রাষ্ট্রায়ত্ব চার ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা শুক্রবার (২৮ মার্চ) খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের আগে বেতন-ভাতা তোলার সুবিধার্থে এসব ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা শুক্রবার খোলা থাকবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এসব ব্যাংক খোলা থাকবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত জুমাতুল বিদার বিরতি থাকবে। ছুটির দিন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিধি অনুযায়ী ভাতা পাবেন বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা চালু করতে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ডিজিট ভুলের কারণে গত ডিসেম্বর থেকে অনেকের বেতন-ভাতা আটকে ছিল। জটিলতা নিরসন করে বৃহস্পতিবার অনেকেই বেতন পেয়েছেন। আবার শেষ মুহূর্তে অনেকের অ্যাকাউন্টে বেতন না যাওয়ায় অনেকে টাকা তুলতে পারেননি।এদিকে, শুক্রবার থেকে টানা ৯ দিন ছুটি থাকবে। যে কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) দৈনিক ও মাসিক লেনদেন অর্থাৎ জমা-উত্তোলনের (ক্যাশ ইন-ক্যাশ আউট) সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে একজন গ্রাহক তার মোবাইল হিসাব থেকে দিনে ৫০ হাজার টাকা জমা (ক্যাশ ইন) করতে পারবেন। আর মাসে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জমা করা যাবে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এক সার্কুলার জারি করেছে।এতদিন দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা এবং মাসে ২ লাখ টাকা জমা করতে পারতেন একজন গ্রাহক। একই সঙ্গে দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন (ক্যাশ আউট) করা যাবে। মাসে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করা যাবে। এতদিন দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ও মাসে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলনের সুবিধা ছিল।নতুন নির্দেশনায়, মোবাইলে আর্থিক সেবায় জমা-উত্তোলনের সীমা বাড়লেও ব্যাংক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আগের মতোই দিনে ৫০ হাজার এবং মাসে ৩ লাখ টাকা অপর্বির্তিত রাখা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসা হতে ব্যক্তিতে অর্থ প্রেরণ (বিটুপি) দৈনিক সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে এবং মাসিক ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। এমএফএস হিসাবের স্থিতির সীমাও বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল হিসাবে ৫ লাখ টাকা জমা রাখতে পারবেন। তবে আগে সীমা অপরিবর্তীত থাকবে ব্যাংক ট্রান্সফারের (ব্যাংক হিসাব ও কার্ড)। এক্ষেত্রে কোনো লেনদেনের সংখ্যা প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশ। তবে এ সময় দেশের অর্থনীতিতে কোনো স্থবিরতা তৈরি হবে না।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ঈদের টানা ৯ দিন ছুটি থাকলেও দেশের অর্থনীতিতে কোন স্থবিরতা তৈরি হবে না। এসময় উপদেষ্টামণ্ডলীর বেশিরভাগ সদস্য ঢাকায় থাকবে। সচিবরা দেশের বাইরে গেলেও সিদ্ধান্ত নিতে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান ড. সালেহউদ্দিন।তিনি বলেন, কোনো সমস্যা হবে না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে আজকাল সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলায় আছেন। বড়জোর ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত হয়তো আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেখা যাবে তাঁকে। তবে বিদায় নেওয়ার আগেই ফুটবলমঞ্চে হয়তো নিজের উত্তরসূরি রেখে যাচ্ছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। শুধু রেখে যাচ্ছেন বললে অবশ্য কম বলা হবে, রোনালদোর ছেলেকে নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়িও শুরু হতে পারে।রোনালদোর ছেলে এরই মধ্যে রোনালদো জুনিয়র নামে বেশ পরিচিতি পেয়েছে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সম্ভাব্য ৫টি দেশের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোনটিতে খেলবে, তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনাকল্পনা।এবার সামনে আসছে তার জাতীয় দলে খেলা নিয়েও। তবে সে কোন দেশের হয়ে খেলবে? যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, স্পেন, কেপ ভার্দে এবং পর্তুগালের হয়ে খেলার সুযোগ আছে তার বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা।২০১০ সালে ক্যালিয়াফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে জন্ম গ্রহণ করেছেন রোনালদো জুনিয়র। সেই সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল দলে খেলতে পারবে সে। তবে এই দেশের হয়ে ছেলে খেলুক এমনটা হয়তো চাইবনে না রোনালদো। তাই যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। দুই মেয়াদে রোনালদো খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এর ফলে চাইলে ছেলেকে ইংল্যান্ড দলে খেলাতে পারেন রোনালদো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনের দাখিল পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু আগে দুটি বিষয়ের সময়সূচি (রুটিন) সংশোধন করে শিক্ষাবোর্ড। নতুন সংশোধিত রুটিনে বাংলা প্রথমপত্র ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সই করা সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।নতুন রুটিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ এপ্রিল। আগের রুটিনে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ২০ এপ্রিল। আর উচ্চতর গণিতের পরীক্ষা নতুন রুটিনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ মে। আগের রুটিনে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ১৩ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে।এর আগে ১৬ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছিল, ১৩ এপ্রিলের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ মে। এবার বাংলা প্রথম পত্র ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হলো।দাখিল পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে শুরু, শেষ হবে ১৫ মে। আগের রুটিন পরীক্ষা ১৩ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ বদলে গেছে। এখন ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৫ এর নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাহাদী হাসান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।রোববার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বরাবর আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।অব্যাহতি চেয়ে তার আবেদন পত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি গ্রহণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি শূন্য হয়। পরবর্তী সময়ে রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি কার্যনির্বাহী সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬নং ধারার ‘জ’ উপধারা অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসানকে ২০২৪-২৫ কার্যনির্বাহী পরিষদের বাকি সময়ের জন্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। পরে সেখানে আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয় ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। শুক্রবার (২৮ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মিয়ানমারে প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। আর ১টা ২ মিনিটে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও কম্পনের খবর পাওয়া গেছে। শক্তিশালী এই কম্পনের পর মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।এএফপি বলেছে, মিয়ানমারের এক সরকারি এক বিবৃতিতে ভূমিকম্পের পর ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।অন্যদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ ঘণ্টা আগে
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধিভুক্ত পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই ফাউন্ডেশনে দুই ক্যাটাগরির পদে নবম ও ১২তম গ্রেডে ১৩৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।১. পদের নাম: উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তাপদসংখ্যা: ১৫৫যোগ্যতা: স্বীকৃত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর/সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করার মানসিকতা সম্পন্ন হতে হবে এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়, কর্মী ব্যবস্থাপনা, ঋণ ও সঞ্চয় ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত কাজে আগ্রহ থাকতে হবে।বয়স: ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর।বেতন স্কেল: ২২,০০০–৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড–৯)২. পদের নাম: মাঠ কর্মকর্তাপদসংখ্যা: ১১৭৫যোগ্যতা: স্বীকৃত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক/সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। উপজেলা পর্যায়ে পিডিবিএফের সুফলভোগী সদস্য/উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ, ঋণ আদায়, সঞ্চয় আহরণসহ ইত্যাদি কাজে আগ্রহী হতে হবে।বয়স: ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর।বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড–১২)আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ বা অন্য অপারেটর থেকে ০১৫০০১২১১২১–৯ পর্যন্ত কল অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া টেলিটকের জব পোর্টালের ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। মেইল/মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।আবেদন ফিঅনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবেদন ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ২২৩ টাকা এবং ২ নম্বর পদের জন্য ১৬৮ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।আবেদনের শেষ সময়: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো তিলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫। শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় আমিরাতের আজমানের উম্মুল মোমেনীন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তেলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ষষ্ঠ আসরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন। মুহাম্মাদ ইছমাইলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাকির হোসাইন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, হাজী শরাফত আলী, মীর কামাল, সালাম খান, রাজা মল্লিক, আবুল বাশার, সৈয়দ আবু আহাদ, করিমুল হক, মাজহারুল ইসলাম, সেলিম রেজা, বদরুল চৌধুরী, কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, রাশেদুর রহমান চৌধুরী ও নাজমুল করিম প্রমুখ।অতিথিরা বলেন, দেশের বাইরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা বাংলাদেশি শিশুকিশোরদের আরবি ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে এধরণের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিযোগী এসব শিশুকিশোরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা সুনাম অর্জন করবে।আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন বলেন, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে এই প্রতিযোগিতা বেশ ভূমিকা রাখছে। স্বীকৃত বিচারকদের তত্বাবধানে মাসব্যাপী প্রতিযোগীরা ভিন্ন ভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত পর্বে আসতে হয়। তারা এতেটাই ভাল করেন, চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী নির্ধারণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিযোগী অনলাইনে নিবন্ধন করেছে। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে বাছাই করার পর চূড়ান্ত পর্বে ২৫জন প্রতিযোগী সুযোগ পান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে যাতে চিকিৎসাব্যবস্থার কোনো ঘাটতি না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। ছুটিতে রোগীদের সুবিধার্থে আগামী শনিবার ( ২৯ মার্চ ) ও বুধবার (২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই দুই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য বিএমইউর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ ছাড়া প্রতিদিনই বিএমইউ হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ প্রচলিত নিয়মে খোলা থাকবে। হাসপাতালের জরুরি ল্যাব কার্যক্রম সেবাও চালু থাকবে।অন্যদিকে, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে ২৮, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১, ৩ ও ৪ এপ্রিল। এর মধ্যে পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে ২৮ মার্চ শুক্রবার এবং সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ৪ এপ্রিল শুক্রবার বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে। বন্ধের দিনগুলোতে শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, অফিস, বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালটেশন সার্ভিস বন্ধ থাকবে।এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫-এর ঈদের জামাত ঈদের দিন সকাল ৮টায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম জনাব হাফেজ মাওলানা আব্দুল আহাদ।এতে আরও বলা হয়, আগামী ৫ এপ্রিল ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এদিনেই প্রচলিত নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো খোলা থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। তবে এ খাতে অর্থ বরাদ্দের পরিমান মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ, যা খুবই অপ্রতুল। ক্রমবর্ধমান উচ্চ রক্তচাপ সংকট মোকাবেলায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী(১৮-১৯ মার্চ) “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৬ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যা বিভিন্ন ধরণের অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ। উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে এ রোগের ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু হলেও উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করা জরুরি এবং এজন্য টেকসই অর্থায়ন প্রয়োজন। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অংশ হিসেবে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও এ খাতে অর্থ বরাদ্দ এবং বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহারে সাফল্য দেখাতে পারেনি। প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় ওষুধের সরবরাহ নিয়মিত রাখার বিষয়টিকেও প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ এনামুল হক বলেন, “অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বরাদ্দকৃত বাজেটের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা জরুরি।”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, “অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করা এবং সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য বাজেট বৃদ্ধি অনিবার্য।”জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, “সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।”কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (উপসচিব) ডা. মোহাম্মদ শওকত হোসেন খান; কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. গীতা রানী দেবী; বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: মারুফ হক খান; বাংলাদেশ ফার্স্ট পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোর্শেদ নোমান; ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর ডেপুটি রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর ডা. তন্ময় সরকার, এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।
শিপংকর শীল: ওষুধের দাম নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এই জটিল বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন না সাধারণ মানুষ। তবে একই ধরনের ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহারকারী রোগী ও তাদের স্বজনরা তা অনুধাবন করতে পারেন। গত কয়েক মাসেও ওষুধভেদে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ বেড়েছে। ওষুধের দামের এই লাগামহীনতার জন্য উৎপাদক ও সবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনৈতিক বিপণন চর্চা বা প্রোমোশনাল মার্কেটিং কার্যক্রমকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের উপহার বা উৎকোচ দেয় কোম্পানিগুলো; যা কেটে নেওয়া হয় ক্রেতারই পকেট থেকে।স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের মতে, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকার অন্যতম প্রধান উপাদান ওষুধ। রোগ নিরাময়ের মাধ্যম হিসেবে ওষুধের কোনো বিকল্প নেই। গুরুত্ব বিবেচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধকে স্বাস্থ্য খাতের ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের অন্যতম একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে ওষুধের প্রাপ্যতা হয়ে উঠেছে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের অন্যতম নিয়ামক।স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের এ সংক্রান্ত গবেষণা বলছে, দেশের মানুষের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৫ শতাংশ শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়। অর্থাৎ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে মোট ১০০ টাকা খরচ করলে তার মধ্যে ৬৫ টাকা খরচ হয় ওষুধ কিনতে। এ থেকেই বোঝা যায়, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ওষুধের ওপর কতটা নির্ভরশীল। দেশে গ্যাস্ট্রিক তথা অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। এছাড়া দেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনে একজন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এরপরের বিক্রির তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে প্রেসার এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সারজেল, প্যানটোনিক্স এবং ম্যাক্সপ্রো। এছাড়া প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপাও রয়েছে সর্বোচ্চ বিক্রিত ওষুধের তালিকায়।সংশ্লিষ্টদের মতে, কয়েক মাসে দেশে ওষুধের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ। স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। ওষুধের দাম বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের মনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওষুধের মূল্য নির্ধারণে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অসহনীয় পর্যায়ে দাম বাড়ছে বলেও অনেকেই মনে করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দাম বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের মধ্যে চলা প্রোমোশনাল কার্যক্রমের নামে অনৈতিক বিপণন চর্চা। প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের দেওয়া উৎকোচ বা উপহার কোনো কোম্পানিই নিজেদের পকেট থেকে দেয় না। ওষুধের দাম বাড়িয়ে সেই টাকা ক্রেতাদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়। ওষুধের অনৈতিক বিপণন চর্চা বন্ধ করা গেলে বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে ওষুধের দাম অনেকটাই কমানো সম্ভব এবং কোম্পানির মার্কেটিং খরচ ১০ শতাংশে নামিয়া আনা সম্ভব।ওষুধের উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্যের বিশাল পার্থক্য : ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের সাধারণ তত্ত্ব হচ্ছে, কস্ট অব গুডস অর্থাৎ উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হবে। মার্কেটিং, প্রোমোশন এবং অন্যান্য খরচ আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কোম্পানির মুনাফা।ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের সারজেল নামে ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করে হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। সারজেল ২০ মি.গ্রা. প্রতি পিস ৭ টাকা এবং সারজেল ৪০ মি.গ্রা. প্রতি পিস ১১ টাকায় বাজারে পাওয়া যায়। ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের আরেকটি ওষুধ ম্যাক্সপ্রো উৎপাদন ও বিপণন করে রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। ম্যাক্সপ্রো ২০ মি.গ্রা. প্রতি পিস ৭ টাকা এবং ম্যাক্সপ্রো ৪০ মি.গ্রা. প্রতি পিস ১০ টাকা করে বাজারে পাওয়া যায়। ওষুধ কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ২০ মি. গ্রা. ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট কাঁচামালসহ উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ৭০ পয়সা। এর সঙ্গে এক্সিপিয়েন্ট (সহযোগী উপাদান), প্যাকেজিং, লেভেলিংসহ সর্বোচ্চ খরচ হয় দুই টাকা। প্রতি ৪০ মি. গ্রা. ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ কাঁচামাল, সহযোগী উপাদান, প্যাকেজিং, লেভেলিংসহ সব মিলে মোট প্রায় দুই টাকা ৭০ পয়সা খরচ হয়। অর্থাৎ উৎপাদন খরচের কয়েকগুণ বেশি দামে ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে।উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত লোসারটান পটাশিয়াম ১০০ মি.গ্রা. প্রতি ট্যাবলেটে উৎপাদনে খরচ হয় দশমিক শূন্য দশমিক ছয় পয়সা। সহযোগী কেমিক্যাল, প্যাকেজিং সব মিলে প্রতি ট্যাবলেটে ১ দশমিক ২৫ টাকার মতো খরচ হয়। এটা কোম্পানিভেদে বিক্রি করা হয় ১০ থেকে ১২ টাকায়। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল খরচ।ডায়াবেটিস রোগে ব্যবহৃত মেটফরমিন ৫০০ মি.গ্রা. এবং ৮৫০ মি.গ্রা. আকারে বাজারে পাওয়া যায়। মেটফরমিন ৮৫০ মি.গ্রা. প্রতিটির উৎপাদন খরচ হয় ৫৫ পয়সা, এর সঙ্গে এক্সিপিয়েন্ট (সহযোগী উপাদান) যোগ করলে মোট খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ পয়সা। প্যাকেজিংসহ এই ওষুধে প্রায় এক টাকা খরচ হয়। এটি প্রতি পিস বিক্রি হয় ছয় টাকায়। প্রতিটা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট উৎপাদনে গড়ে ৩০ থেকে ৫০ পয়সা খরচ হয়। এটি বিক্রি করা হচ্ছে ১ দশমিক ২০ টাকায়, মার্কেটিং খরচ বাদে যা থাকে সেটাই লাভ। ওষুধ উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো ওষুধের গায়ে যদি মূল্য ১০০ টাকা থাকে, সেখান থেকে সরকার ভ্যাট পায় ১৫ শতাংশ, ফার্মেসির লাভ ১৫ শতাংশ। বাকি ৭০ টাকার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচামালসহ উৎপাদন খরচ। আর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল খরচ, বাকিটা কোম্পানির মুনাফা।ওষুধ শিল্প নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা যায়, দেশে ওষুধের বিপণন বাবদ টার্নওভারের ২৯ শতাংশের বেশি খরচ করছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু এই বিপণন প্রক্রিয়াটি খুবই অস্বচ্ছ। ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রধানত ডাক্তারদের উপঢৌকন হিসেবে এই ২৯ শতাংশের বেশির ভাগ ব্যয় করে।বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন : গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম জামালউদ্দিন বলেন, ওষুধের দাম বাড়ার একটি বড় কারণ কোম্পানিগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ মার্কেটিং বাবদ ব্যয় হয়ে যায়। এই মার্কেটিং খরচ কমানো গেলে ওষুধের দাম বর্তমান বাজার মূল্যের থেকে অনেক কমানো যেত।এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাব্বির হায়দার বলেন, প্রোমোশনালের নামে চিকিৎসকদের বিভিন্ন উপহার, টাকা-পয়সা দেওয়াসহ অনৈতিক সব ব্যয় ওষুধের মূল্যের সঙ্গে যুক্ত হয়। সেই মূল্য ভোক্তাকেই পরিশোধ করতে হয়। কোম্পানি অযৌক্তিক এসব ব্যয় কমালে ওষুধের মূল্য বেশ কমে আসবে।ওষুধের অনৈতিক বিপণন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, এটাকে আমরা বলি অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং। ওষুধের দাম যদি সরকারের প্রাইসিং ফর্মুলার ভিত্তিতে হয়, তাহলে কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। অতিরিক্ত মূল্য যখন নিতে পারবে না তখন ওষুধ কোম্পানির সারপ্লাস থেকেই অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিংয়ের খরচ বহন করতে হবে। তখন তারা এই অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং থেকে সরে আসবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) সাবেক উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, ডাক্তারদের যেমন নৈতিকতা মেনে চিকিৎসাসেবা দেওয়া উচিত ঠিক তেমনি ওষুধ কোম্পানিগুলোরও নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা করা উচিত। যদি ওষুধ কোম্পানিগুলো নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা করে এবং ডাক্তারদের কোনোরকম অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা না দেয় কিংবা ডাক্তাররা না নেয়, তাহলে ওষুধের দাম অবশ্যই কমে আসতে পারে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ওষুধ কোম্পানির শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রোমোশনালের জন্য অর্থ ব্যয় না করলে আমাদের ওষুধ চলবেই না। ডাক্তাররা আরও বেশি চায়। ডাক্তাররা যদি কোনো সুবিধা না নেয়, তাহলে ওষুধের দাম হয়তো কমবে। আমাদের কোম্পানি ডাক্তারদের কোনো অনৈতিক সুবিধা দেয় না, বড় বড় কোম্পানি যারা এই ধরনের সুবিধা দেয়, তাদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করাই ভালো।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির এবং মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান। আগামী দুই বছর এ দায়িত্ব পালন করবেন তারা।শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির ৫৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির ২০২৫-২০২৬ ও ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম মোসাদ্দেক হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং রেনাটা পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ এস কায়সার কবীর, সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।২০ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শফিউজ্জামান, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়াম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হায়দার হোসেন, সেনেভিয়া ফার্মা পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও), এস এ রাব্বুর রেজা, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (ভ্যাকসিন ডিভিশন) ভাইস-চেয়ারম্যান, হাসনিন মুক্তাদির, নিপ্রো জেএমআই ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মো. আবদুর রাজ্জাক, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রুপ সিইও সিমিন রহমান, এসিআই লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) এম মহিবুজ্জামান, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (কেমিক্যাল ডিভিশন) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মিজানুর রহমান, দি একমি ল্যাবরেটরীজ লিমিটেডের পরিচালক, ফাহিম সিনহা, এরিস্টোফার্মা লিমিটেডের পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ হাসান, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (ইউনিট-২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিদুল হক, মিনারা এপিআই লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরাফাত জাহিদ ইবনে শফি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশি তদন্ত ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়া এবং হয়রানিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিতসহ ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিসিদের।শুক্রবার (২৮ মার্চ) পাঠানো চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার এমন নির্দেশনা ডিসিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা জমির নামজারি বা রেজিস্ট্রেশন জনগণের সব সেবাই হয়রানি এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে হতে হবে। এক্ষেত্রে সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাজ করতে হবে। মন দিতে হবে ঠিকঠাক দায়িত্বপালনে, পরিহার করতে হবে সরকারের সবধরণের স্তুতি বাক্য। পুলিশি তদন্ত ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।এছাড়া দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় রাখাসহ জমি রেজিস্ট্রেশন, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো সেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।নির্দেশনা দেওয়া হয় দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আইন পুরোপুরি মেনে চলার। যেখানে সব রকমের ভয়ভীতি, তদবির ও স্তুতিবাক্য পরিহারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ডিসিদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সরকারের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাজারে চাহিদা বেড়েছে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক মুরগির কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর মাংসে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতা। খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১২০০টা বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজা এখন শেষের দিকে। কয়েকদিন পরেই ঈদ। ফলে বাজারে মাংসের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। আর চাহিদা বাড়লে দাম এমনিতেই একটু বেড়ে যায়।সরবরাহ ঘাটতি নেই জানিয়ে মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, সব ধরনের মুরগির দামই বেড়ে গেছে। আগে যে দামে আমরা বিক্রি করতাম এখন সে দামে কিনতেই পারি না।সেগুনবাগিচা বাজারের বিক্রেতা মনির বলেন, ঈদে মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। প্রতিটি পরিবার রোস্ট বা বিরিয়ানির জন্য মুরগি কেনে। সেই তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।মহাখালী কাঁচা বাজারের ক্রেতা সফর আলী বলেন, প্রতি শুক্রবার মুরগি কিনি। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষ সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে। দাম আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। এখনো ঈদ কয়েকদিন বাকি। সাধারণত ঈদের একদিন আগে বিক্রেতারা মাংসের দাম বাড়ান কিন্ত এবার ভিন্ন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কর্মস্থল থেকে ঈদের ছুটি পেয়েছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাভার থানার এসআই মো. ফজলুর রহমান কবীর (৩৯)। ছুটিতে তিনি মা ও সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তৈরি হচ্ছিলেন। শুক্রবার তার বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু ছুটির আগেই বাড়িতে এলো তার নিথর দেহ।বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ঢাকার সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোরে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে তার নিথর দেহ যায় ময়মনসিংহে তার নিজ বাড়িতে। এ সময় তার মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনসহ পাড়া-পড়শিরা। এদিন বাদ জুমা জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী মেঘলা, মেয়ে আয়াত (৩) ও ছেলে আলভি (১৮ মাস)-সহ মা শরবানুও কবিরের সঙ্গে সাভারে বসবাস করতেন তিনি। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবারে স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল তার।জানা যায়, বৃহস্পতিবার সাভার থানা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে অন্যদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন কবীর। দায়িত্ব পালন শেষে দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পে রাখা তার মোটরসাইকেল নিয়ে থানায় ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে একটি বালুবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে শ্যামলীর একটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাভার থানার ৫ জন পুলিশ সদস্য লাশবাহী একটি ফ্রিজিং গাড়িতে করে তার মরদেহ নিয়ে শুক্রবার ভোরে কবিরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন।নিহত কবীর নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের মেরেঙ্গা ভূইয়া বাড়ির মৃত শুনু ভূইয়ার ছেলে। স্থানীয় আব্দুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশের পর নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেনে। এরপর ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতকসহ মাস্টার্স ডিগ্রি পাশের পর আইনে স্নাতক ডিগ্রি করেন। ২০০৬ সালে পুলিশের কনস্টেবলপদে যোগদান করেন কবির। এরপর পদোন্নতি পেয়ে এএসআই ও ৬ বছর এসআই হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে পতিত সরকারের মতোই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশাভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই জুলাই আন্দোলন হয়েছে। এ সরকার ভোটে নির্বাচিত না হলেও তার জনসমর্থন রয়েছে। সরকারকে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট মাস তারিখ দিয়ে ঘোষণা দিতে হবে।তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আদালতে গিয়েছিলাম, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।তিনি আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনে ১৭জন রিকশাচালক ভাই জীবন দিয়েছেন। আমি তাদের বাসায় গিয়েছি। কী নিধারুণ কষ্টে তাদের পরিবারের সদস্যরা জীবন যাপন করছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের পরিবার যেন না খেয়ে না থাকে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের সন্তানদের লেখা পড়ার দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে। পরিবারের সদস্য যারা চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত তাদের চাকরি দিতে হবে।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়ক শাকিব খান। আজ তার জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের ২৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে এসে নাম বদলে হয়েছেন শাকিব খান। বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী এবং মা ছিলেন গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোন তারা।১৯৯৯ সালে নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় শাকিব খানের। তারপর কয়েক বছর কেটে গেলেও ২০০৭ সালে ‘কিং খান’ হিসেবে তারকা খ্যাতি লাভ করা শুরু করেন তিনি। এরপর অভিনয়ের মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকহৃদয়ে। আর এর বাইরে ব্যক্তিজীবনে ভালোবেসে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম ইয়াসমিন বুবলীকে বিয়ে করেছিলেন। দুই নায়িকারই সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। কিন্তু কারো সঙ্গেই স্থায়ী হয়নি সংসার। বর্তমানে অপু বিশ্বাস-বুবলী দুজনই অতীত শাকিবের কাছে। তাই বলে কী তার ওপর থেকে ভালোবাসা কমেছে সাবেক দুই স্ত্রীর? মোটেও নয়। এ জন্যই তো এবার শাকিব খানের জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছায় ভাসালেন অপু-বুবলী।শুক্রবার (২৮ মার্চ) শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে সিনেমার দৃশ্যে দু’জনার একটি ফ্রেম পোস্ট করে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে অপু বিশ্বাস লিখেছেন, শুভ জন্মদিন জীবন্ত মেগাস্টার শাকিব খান। এরপরই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, আমার শাহরুখ খান।এদিকে সাবেক স্বামীর প্রতি ভালোবাসার কথা জানাতে বাদ রাখেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও। এ নায়িকা ফেসবুকে লিখেছেন, শুভ জন্মদিন বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির মহারাজা শাকিব খান।’ এর মাঝে জুড়ে দিয়েছেন ভালোবাসার ইমোজি। শাকিব খান এখন পর্যন্ত চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতের টালিগঞ্জেও বেশ জনপ্রিয় তিনি। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘জানের জান’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘ঠেকাও মাস্তান’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মুখোশধারী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘খুনি শিকদার’, ‘আমার স্বপ্ন তুমি’,‘ সিটি টেরর’, ‘সুভা’, ‘বাঁধা’, ‘পিতার আসন’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘তুই যদি আমার হইতি রে’, ‘১ টাকার বউ’, ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’, ‘মাই নেম ইজ সুলতান’, ‘ডেয়ারিং লাভার’, ‘দুই পৃথিবী’। এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খান অভিনীত দুই সিনেমা, ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘বরবাদ’।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলায় আছেন। বড়জোর ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত হয়তো আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেখা যাবে তাঁকে। তবে বিদায় নেওয়ার আগেই ফুটবলমঞ্চে হয়তো নিজের উত্তরসূরি রেখে যাচ্ছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। শুধু রেখে যাচ্ছেন বললে অবশ্য কম বলা হবে, রোনালদোর ছেলেকে নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়িও শুরু হতে পারে।রোনালদোর ছেলে এরই মধ্যে রোনালদো জুনিয়র নামে বেশ পরিচিতি পেয়েছে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সম্ভাব্য ৫টি দেশের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোনটিতে খেলবে, তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনাকল্পনা।এবার সামনে আসছে তার জাতীয় দলে খেলা নিয়েও। তবে সে কোন দেশের হয়ে খেলবে? যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, স্পেন, কেপ ভার্দে এবং পর্তুগালের হয়ে খেলার সুযোগ আছে তার বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা।২০১০ সালে ক্যালিয়াফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে জন্ম গ্রহণ করেছেন রোনালদো জুনিয়র। সেই সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল দলে খেলতে পারবে সে। তবে এই দেশের হয়ে ছেলে খেলুক এমনটা হয়তো চাইবনে না রোনালদো। তাই যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। দুই মেয়াদে রোনালদো খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এর ফলে চাইলে ছেলেকে ইংল্যান্ড দলে খেলাতে পারেন রোনালদো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেখেশুনে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলাফল এমন হতে পারে যে রাজনীতি পথ হারিয়েছে, অন্তত কিছুকালের জন্য হলেও এটা ঘটে যেতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস বেশ কিছুদিন ধরেই বলছিলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। অবশ্য ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ডিসেম্বরে স্থির থাকলেন না। বললেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে সংসদ নাকি গণপরিষদ কোন নির্বাচন হবে তার বক্তব্যে সেটি খোলাসা হয়নি বলে মনে করছেন অনেকেই। সম্ভবত রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ওপর তিনি সেটা ছেড়ে দেবেন। বর্তমানে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল বিএনপি বলছে, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণপরিষদ গঠন করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে দলটি। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলছে, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সংবিধানসম্পর্কিত সংস্কারগুলো গণপরিষদে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন মেনে নেবে না তারা। এই দলটি আগে চায় গণপরিষদ। সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তাদের দাবির একটি। জামায়াতে ইসলামী গণপরিষদ বনাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন অবধি খুব স্পষ্ট মন্তব্য করেনি। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকারকে জাতীয় দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিতে হবে। কি ধরনের নির্বাচন চায় তারা সেটা খোলাসা করে বলেনি এই দলটি। অন্যান্য দলগুলো কিছুটা টলোমলো, যারা বিএনপির ঘরানার, তারা বিএনপির সঙ্গেই সুর মিলিয়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ বা গণপরিষদ যে নির্বাচনই হোক না কেন, কারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে, আরো সুক্ষ্মভাবে বলতে গেলে, কারা পারবে না, তা নিয়েও বিতর্ক চলছে। দুর্ভাগ্যবশত তর্ক-বিতর্কে সেনাবাহিনীকেও টেনে আনা হয়েছে। আর এই কাজটা করেছেন নবগঠিত রাজনৈতিক এনসিপির দুই নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। এই দুই নেতা জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার কিছুকাল আগেও তারা ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে হাসনাত যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, সেখানে সারজিস আবার ভিন্নমত প্রকাশ করে বিতর্ককে উসকে দিয়েছেন। এই সব তর্ক-বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিয়েছে পঞ্চগড়ে সারজিসের গাড়িবহর নিয়ে শোডাউনের ঘটনা। যে দল নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছে, সংস্কারে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে, সেই দলের নেতার এমন আচরণ খোদ দলের মধ্যেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এইসব সংস্কারের প্রস্তাব গ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়। যেমন সংস্কারের ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১৩টির সঙ্গে একমত হয়েছে এনসিপি। বাকিগুলো তারা বাতিল করে দিয়েছে। বিএনপি যে অস্থায়ী সরকারের অধীনে কোনো সংস্কারই চায় না, তা অনেকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের নেতা তারেক রহমান আট দফা প্রস্তাব করেছেন, যেগুলো নীতিনির্ধারণীবিষয়ক সংস্কার শিল্প প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, জিনিসপত্রের দাম কমানো ইত্যাদি। এখন কি হবে? আপনারা দেখেছেন, যখন রাস্তায় যানবাহন চলাচলের কোনো শৃঙ্খলা থাকে না, তখন গাড়িগুলো সোজাসুজি ডানে-বায়ে, আড়াআড়ি সবদিকে চলতে থাকে, যে যেদিকে যেতে চায়। অন্যদের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয়, তার কারণে সবারই এগুনো বন্ধ হয়ে যায়। এটাকে বলে ডেডলক বা অচলাবস্থাÑ মোদ্দা কথায় হ-য-ব-র-ল। তখন ট্রাফিক পুলিশ আসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য। তারা একদিকের যানবাহনকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়, যেসব গাড়ি ইন্টারসেকশনে আড়াআড়ি আটকে রয়েছে তাদেরকে ক্লিয়ার করে, একদিকটা একটু হালকা হলে, অন্যদিকের গাড়িকে যেতে দেয়। এখন প্রশ্ন হলো কে হবেন আমাদের ট্রাফিক পুলিশ? আরো প্রশ্ন আছে, তিনি কোনদিকের ট্রাফিক আগে বন্ধ করবেন? আর তিনি চাইলেই কি বন্ধ করতে পারবেন? যারা সংস্কার নিয়ে কাগজ লিখেছেন, তারা কি এইসব সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন? যখন সংস্কার গ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়, তখন জাতীয় ঐকমত্য হবে কিভাবে? নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। যে নির্বাচনই হোক না কেন, একটা নির্বাচনি পরিবেশ লাগবে। যখন ছাত্র নেতারা হুমকি দেন ‘এটা হতে দেব না’, ‘এটা করতে পারবে না’, সেটা নির্বাচনি ভাষা হয় না। আপনি বলতে পারেন, আমাদের দলকে নির্বাচিত করুন, তাহলে আমরা ‘এটা’ হতে দেব না। কিন্তু অন্যরা নির্বাচিত হলে তাদেরকে ‘এটা’ করতে দেবেন না, সেটাতো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নয়। ধরুন ইউনূস সরকার এনসিপির দাবি মেনে ‘গণপরিষদ’ নির্বাচন করল আগে। বিএনপি যে তা মানবে না, এটা অনুমান করার জন্য খুব বেশি দূরদৃষ্টির প্রয়োজন নেই। দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ‘অস্পষ্ট’ মনে হচ্ছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে। তিনি স্বাধীনতা দিবসের সকালে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা বার বার বলে আসছি যে স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং দ্রুত নির্বাচন। তা না হলে যে সংকটগুলো সৃষ্টি হচ্ছে, এই সংকটগুলো কাটবে না।’স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।’ এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা অত্যন্ত অস্পষ্ট কথা। ডিসেম্বর থেকে জুন ছয় মাস। সুতরাং এটা কোনো রোড ম্যাপ দেওয়া হয়নি।’ বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে নাÑ এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি জাতির স্বার্থে, জাতিকে রক্ষা করার স্বার্থে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার স্বার্থেই নির্বাচনের কথা বলছে এবং নির্বাচিত সংসদ এবং সরকারের কথা বলছে।’ বিএনপি আবারও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছে। ধরা যাক, অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে এনসিপির দাবি অনুযায়ী সংসদের আগে গণপরিষদ নির্বাচন দিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসার কোনো আলামত এনসিপির কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে না। যদি তা-ই হয় সংস্কারের কী হবে? দল গঠনের আগে যতটা জনসমনর্থন পেয়েছিল, প্রতিষ্ঠার মাসখানেকের মধ্যে এনসিপি নামের নতুন দলটি তা-ও হারাতে বসেছে বলে মনে হচ্ছে। গণপরিষদে নির্বাচন আগে হলে এবং সেই নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়ে আসল, তারা যদি সংস্কার কমিশনগুলোর কোনো সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গেই একমত না হয়, তখন কি হবে? তারা বর্তমান শাসনতন্ত্রে ভালো কিছু কিছু পরিবর্তন করে গণপরিষদ ভেঙে দিতে পারে। আপনার-আমার বলার কিছুই বলার থাকবে না তখন, কারণ তাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে জনগণের ভোটে, তারা আমাদের প্রতিনিধি, আমাদের ‘চাওয়া’ আমরা তাদের কাছে ভোট দিয়ে হস্তান্তর করেছি। সুতরাং যেই কপাল সেই মাথা। সংবিধানবিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন যা বলেছিলেন আগে ‘বিদ্যমান সংবিধানেই কাক্সিক্ষত পরিবর্তন করা যেতে পারে।’ আবার গণপরিষদ নির্বাচনের সময়ও ঝামেলা হতে পারে। যেসব প্রার্থী তার নির্বাচনি প্রচারে বলবেন, না সংস্কার কমিশনের সংস্কারে আমি একমত নই, তাদের উপর কি ‘মব’ হামলা হবে? তাহলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন কিভাবে হবে? এইবার অন্যদিকটাও ভাবুন, ধরুন, ইউনূস সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিলেন ডিসেম্বরে। একটা দল দুই তৃতীয়াংশ আসন পেল, সরকার গঠন করল। তারা এসে বলল, আমরাতো সংস্কার মানিনি। সুতরাং একই লোক ১০বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে দোষ কি? যেহেতু তাদের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, এই ১০বার ক্ষমতায় থাকতে তারা হয়তো সবরকম চেষ্টা করবেন। আমার আশঙ্কাগুলো হয়তো একটু বেশি বেশি মনে হবে, কিন্তু অমূলক বা অতিরঞ্জিত নয়। তবে রাজনীতিবিদরাও অনেক সময়ও যুক্তিসঙ্গত আচরণ করেন। এমনও হতে পারে রাজনীতিকরা সবাই বসে কিছু ব্যাপারে একমত হবেন। যেমন, কতগুলো সংস্কার সুস্থ নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনকে সরকারের কর্তৃত্ব থেকে দূরে রাখা, একজন দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এইসব বিষয়গুলোকে অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার বিষয়ে সবাই একমত হতে পারেন। আরো একমত হতে পারেন, যেই ক্ষমতায় আসবে, এগুলোকে সংবিধানে সংযোজন করবে। এইরকম কিছু ন্যূনতম সংস্কার গ্রহণ করে নির্বাচন হতে পারে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। তাহলে এই নতুন সংস্কারগুলো মেনে সুন্দর একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে। সংস্কার নিয়ে এনসিপির আকাক্সক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ না করেও এই মন্তব্য করা যায় যে তারা এখনও কোনো জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয়। তাদের ঘর গোছাতে এবং দল গোছাতে আরো সময় লাগবে। সুতরাং এখন যেকোনো নির্বাচন তাদের জন্য খুব সুফল আনবে না। ইউনূস সরকার ক্ষমতায় থাকলে তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে, তারা মুখে না বললেও তারাই যে কিংস পার্টি, এটা তাদের চেয়ে বেশি তো অন্য কারোর জানা নেই। এখনই থামতে না জানলে রাজনীতি কিছুকালের জন্য হলেও পথ রুদ্ধ হতে পারে। অবশ্য এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলামের একটা মন্তব্য খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। মার্চের প্রথম সসপ্তাহে এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আশা করি আমরা এই নির্বাচনে জিতব, কিন্তু এটাই শেষ নির্বাচন নয়।’ নাহিদ আরো বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনের আমাদের দল সরকার গঠন করতে না পারলেও, আমরা এমন একটি রাজনৈতিক শক্তি তৈরি করছি, যা আগামী কয়েক দশক রাজনীতিতে সরব থাকবে।’ নাহিদের বক্তব্যের সারমর্ম কিন্তু জয়-পরাজয় যাই হোক এনসিপি তাদের রাজনীতি করে যাবে। আমাদের রাজনীতিতে কেউ এই কথা বুঝেনি যে ‘এটাই শেষ নির্বাচন নয়’। সবাই সবসময় বর্তমান নির্বাচনকেই শেষ নির্বাচন ভেবে যে করেই হোক ক্ষমতায় যেতে চেয়েছে। আশা করি, নাহিদ তার এই বিশ্বাসটা তার দলের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবেন। তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, এটাই শেষ নির্বাচন নয়। কোনো একটা নির্বাচনে তাদের বড় পরিসরের সংস্কারগুলোকে জনগণ ভোট দেবে এবং তাদেরকে ক্ষমতায় বসাবে, ততদিন তারা দলের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করে যাবেন। এটাই তাদেরকে সফলতা এনে দিতে পারে। এবার যারা ক্ষমতায় যাবেন তাদেরকে বুঝতে হবে, ক্ষমতায় গিয়ে যেন ভবিষ্যতে অন্যদের ক্ষমতায় আসার পথ রুদ্ধ করার কারণ না হন। শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে সেই চেষ্টাই করেছেন, সফল হননি। যদি কোনোভাবে অন্যদের পথ রুদ্ধ করা হয়, ভবিষ্যতের নাহিদরা আবার বিদ্রোহ করবে। এই উপলব্ধিটা আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্য একান্ত জরুরি। লেখক : রাজনীতি বিশ্লেষক। ভোরের আকাশ/মি
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে নতুন পোশাক, ঈদ মানে পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্ত। কিন্তু অনেক শিশুর কাছে এই আনন্দ অধরা থেকে যায়। সেই বাস্তবতাকে বদলানোর স্বপ্ন নিয়ে পথ শিশু ফাউন্ডেশন আয়োজন করলো পথ শিশুদের জন্য ঈদ উৎসব-২০২৫। বুধবার (২৬ মার্চ) উত্তরায় ভুতের আড্ডা রেস্টুরেন্টে এই উৎসব উদযাপিত হয়।এই আয়োজনে অংশ নেয় একশ’রও বেশি পথশিশু। এদিন শুধু শিশু নয়,শিশুদের সাথে উপস্থিত ছিলেন তাদের পিতা-মাতাও, পথশিশু ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের জন্যও ছিল এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। তারা তাদের সময়, ভালবাসা ও আন্তরিকতা দিয়ে পথশিশুদের নিয়ে ঈদ আনন্দময় করে তোলে।পথশিশু ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, এই আয়োজন শুধু নির্দিষ্ট এক দিনের জন্য নয়, ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার একটি বার্তা। এটি একটি উদ্যোগ, যেখানে ভালবাসার বন্ধন গড়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেখ মোঃ মিজানুর রহমান অতিরিক্ত ডিআইজি বাংলাদেশ পুলিশ।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আফাজ উদ্দিন আফাজ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিনখান থানা বিএনপির আহবায়ক হেলাল তালুকদার। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় তাতী দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: বেলায়েত হোসেন বাবলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: রাহাত খান বিপিএম, দৈনিক দিনকালের সিনিয়র কর্মকর্তা মো:আবু মুসা,উত্তরা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম , অধ্যাপক শেখ মাহমুদ আলম, ভিন্নমাএা পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ,উত্তরা প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইব্রাহিম হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, সাংবাদিক ইয়াসিন মিয়া,বাংলাভিশন টিভির সাংবাদিক ফারজানা আফরোজ কুমি, দক্ষিনখান থানা বিএনপি নেতা সবুজ সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন, টঙ্গী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ্ ইকবাল।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন,পথ শিশু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ নয়ন, তিনি বলেন আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কোন পথ শিশু ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকুক আমরা চাই না। আমাদের ফাউন্ডেশন উদ্যোগে শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার দিয়েছি। আগামীদিনে ৫০০ থেকে ১০০০ পথশিশুকে নতুন জামা কাপড় দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলবো। উপস্থিত মঞ্চে সকল সম্মানিত মেহমানগন ফরিদ আহমেদ নয়নের এর মহতি উদ্যোগের জন্য প্রশংসা করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। পরে সেখানে আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয় ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। শুক্রবার (২৮ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মিয়ানমারে প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। আর ১টা ২ মিনিটে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও কম্পনের খবর পাওয়া গেছে। শক্তিশালী এই কম্পনের পর মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।এএফপি বলেছে, মিয়ানমারের এক সরকারি এক বিবৃতিতে ভূমিকম্পের পর ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।অন্যদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার বা শেষ জুমা আজ। মর্যাদাপূর্ণ এ দিনটি মুসলিম বিশ্বে ‘জুমাতুল বিদা’ নামে পরিচিত। মুসল্লিদের কাছে এর আলাদা একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটি রমজান মাসকে এক বছরের জন্য বিদায়ের ইঙ্গিত দেয়।মুসলমানদের কাছে এমনিতেই সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবারের মর্যাদা বেশি। আর রমজান মাসের শুক্রবারগুলোর মর্যাদা আরও বেশি। আগামী বছরে আরেক রমজানের কোনো জুমা ভাগ্যে নাও জুটতে পারে, সে বিশ্বাস থেকেই মুসলমানরা জুমাতুল বিদা বা রমজানের শেষ জুমাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।এই দিনে মসজিদে মসজিদে জুমার খুতবায় রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদতের গুরুত্ব ব্যাখ্যাসহ বিশেষ দোয়া হয়ে থাকে।মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস মুক্তির লক্ষ্যে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার সারা বিশ্বে আল কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়।প্রতিবারের মতো এবারও মসজিদগুলোতে জুমার নামাজ আদায় করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। জুমা শেষে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো তিলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫। শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় আমিরাতের আজমানের উম্মুল মোমেনীন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তেলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ষষ্ঠ আসরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন। মুহাম্মাদ ইছমাইলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাকির হোসাইন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, হাজী শরাফত আলী, মীর কামাল, সালাম খান, রাজা মল্লিক, আবুল বাশার, সৈয়দ আবু আহাদ, করিমুল হক, মাজহারুল ইসলাম, সেলিম রেজা, বদরুল চৌধুরী, কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, রাশেদুর রহমান চৌধুরী ও নাজমুল করিম প্রমুখ।অতিথিরা বলেন, দেশের বাইরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা বাংলাদেশি শিশুকিশোরদের আরবি ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে এধরণের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিযোগী এসব শিশুকিশোরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা সুনাম অর্জন করবে।আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন বলেন, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে এই প্রতিযোগিতা বেশ ভূমিকা রাখছে। স্বীকৃত বিচারকদের তত্বাবধানে মাসব্যাপী প্রতিযোগীরা ভিন্ন ভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত পর্বে আসতে হয়। তারা এতেটাই ভাল করেন, চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী নির্ধারণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিযোগী অনলাইনে নিবন্ধন করেছে। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে বাছাই করার পর চূড়ান্ত পর্বে ২৫জন প্রতিযোগী সুযোগ পান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। পরে সেখানে আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয় ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। শুক্রবার (২৮ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মিয়ানমারে প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। আর ১টা ২ মিনিটে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও কম্পনের খবর পাওয়া গেছে। শক্তিশালী এই কম্পনের পর মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।এএফপি বলেছে, মিয়ানমারের এক সরকারি এক বিবৃতিতে ভূমিকম্পের পর ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।অন্যদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতের পর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের সুবিধার্থে রাষ্ট্রায়ত্ব চার ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা শুক্রবার (২৮ মার্চ) খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের আগে বেতন-ভাতা তোলার সুবিধার্থে এসব ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা শুক্রবার খোলা থাকবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এসব ব্যাংক খোলা থাকবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত জুমাতুল বিদার বিরতি থাকবে। ছুটির দিন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিধি অনুযায়ী ভাতা পাবেন বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা চালু করতে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ডিজিট ভুলের কারণে গত ডিসেম্বর থেকে অনেকের বেতন-ভাতা আটকে ছিল। জটিলতা নিরসন করে বৃহস্পতিবার অনেকেই বেতন পেয়েছেন। আবার শেষ মুহূর্তে অনেকের অ্যাকাউন্টে বেতন না যাওয়ায় অনেকে টাকা তুলতে পারেননি।এদিকে, শুক্রবার থেকে টানা ৯ দিন ছুটি থাকবে। যে কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনের দাখিল পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু আগে দুটি বিষয়ের সময়সূচি (রুটিন) সংশোধন করে শিক্ষাবোর্ড। নতুন সংশোধিত রুটিনে বাংলা প্রথমপত্র ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সই করা সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।নতুন রুটিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ এপ্রিল। আগের রুটিনে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ২০ এপ্রিল। আর উচ্চতর গণিতের পরীক্ষা নতুন রুটিনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ মে। আগের রুটিনে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ১৩ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে।এর আগে ১৬ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছিল, ১৩ এপ্রিলের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ মে। এবার বাংলা প্রথম পত্র ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হলো।দাখিল পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে শুরু, শেষ হবে ১৫ মে। আগের রুটিন পরীক্ষা ১৩ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ বদলে গেছে। এখন ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঝিনাইদহে ১৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়েছে।সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসে দুইদিন ব্যাপী বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী'র সভাপতিত্বে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জুনাইদ হাবীব ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মীর রাকিবুল ইসলাম।দুই দিনে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হবে। সদর উপজেলায় ১৬০০ কৃষকের মধ্যে মোট ৮ মেট্রিক টন বীজ ও ৩২ মেট্রিক টন সার বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সমালোচনার মুখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত প্রসিকিউটর আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপসলিসিটর (জিপি-পিপি) মাহরুফ হোসেনের সই করা এক অফিস আদেশে এ নিয়োগ বাতিল করা হয়।অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদে আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ বাতিল করা হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আইন ও বিচার বিভাগের উপসলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে আফরোজ পারভীনসহ চারজনকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ