শ্যামল প্রকৃতির মধ্যে একটুকরা ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি মসজিদ। প্রায় সাড়ে চার শ বছরের পুরোনো মসজিদটির অবস্থান নড়াইল সদর উপজেলার গোয়ালবাথান গ্রামে। চুন–সুরকির গাঁথুনিতে তৈরি গোয়ালবাথান মসজিদটিতে মোগল স্থাপত্যশৈলীর নান্দনিক ছোঁয়া স্পষ্ট। সুনিপুণ একটি গম্বুজ, সুগঠিত ছোট চারটি মিনার আর দেয়ালের অসাধারণ কারুকাজ।ছোটবেলা থেকে এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করা সত্তরোর্ধ্ব মো. সুলতান কাজী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে এই মসজিদে নামাজ পড়ি। চুন-সুরকি দিয়ে বানানো হওয়ায় মসজিদের ভেতরে গরমের সময় ঠান্ডা ও ঠান্ডার সময় গরম অনুভূত হয়। ভেতরে ঢুকলেই প্রশান্তি লাগে।’
একই ইস্যুতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের একটি ভিডিও এবং এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টের জেরে দলটির নেতাদের ভিন্ন বক্তব্য। ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারেরর প্রধান উপদেষ্টা করতে একটি বিশেষ বাহিনীর প্রধানের আপত্তি ও ‘পতিত ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন নিয়ে সেই বাহিনীর তৎপরতা নিয়েই মূলত তাদের ওই পোস্ট ছিল। নেতাদের ওই বক্তব্যের পর দলটির তৃণমূলেও প্রভাব পড়েছে। নতুন গঠিত দলটির নেতাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে, পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার পরও দলটির নেতারা বলছেন, তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। একই ইস্যুতে ভিন্নমত থাকাটাও গণতন্ত্রের চর্চা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন একই ইস্যুতে যদি একই দলে ভিন্ন বক্তব্যে আসে তাতে অবশ্যই বিভ্রান্তি ছড়ায়। রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠে।গত শুক্রবার নিজের ফেরিফাইড ফেসবুকে এটি পোস্ট দেন জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পোস্টে তিনি লেখেন, ১১ মার্চ, সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ” নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই।আমাদেরকে বলা হয়, একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তারা শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। বিস্তারিত স্ট্যাটাসের শেষে তিনি লেখেন শেষ পর্যন্ত আমরা না মেনে নিয়ে মেটিং শেষ না করেই চলে আসি। এর পরপরই তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওটি ১৫ মার্চ ধারণ করা হয়েছে বলে ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে জানান তিনি। ‘ক্যান্টনমেন্টের ইন্টারভেনশনের ট্রেইলর-১’ শীর্ষক ২৮ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসের নিয়োগ নিয়ে একটি বিশেষ বাহিনীর প্রধানের আপত্তি ছিল বলেও অভিযোগ করেন।হাসনাতের পোস্টের একদিন পরেই শনিবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন বলেন, হাসনাত আবদুল্লাহ যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, সেটি ‘শিষ্টাচারবর্জিত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা উচিত হয়নি। আমরা মনে করি, এটা শিষ্টাচারবর্জিত একটি স্ট্যাটাস হয়েছে এবং রাষ্ট্রের ফাংশনাল জায়গায় আমরা দেখি যে ক্যান্টনমেন্টের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ রাজনৈতিক জায়গায় হস্তক্ষেপ করছেন। আমাদের কাছে এই ধরনের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। এই সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নেবে এবং সরকারি যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোর এতে জড়িত না হওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’এছাড়া রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করছি। সারজিস লেখেন, মানুষ হিসেবে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিমতকে একেকজন একেকভাবে অবজার্ভ করে। হাসনাত সেদিন তার জায়গা থেকে যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে এবং ফেসবুকে লিখেছে আমার সে ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিমত আছে। তিনি বলেন, সেদিন আমি ও হাসনাত সেনাপ্রধানের সঙ্গে গিয়ে কথা বলি। আমাদের সঙ্গে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন সদস্যেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি, সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেওয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সঙ্গে যখন প্রয়োজন হতো তখন ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরে সারজিস বলেন, যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’। তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইসরকে জিজ্ঞাসা করি, আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্খিত কিছু দেখছেন কিনা? সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক স্টেট ফরওয়ার্ড মনে হচ্ছে। তিনি আমাকে বললেন তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম, বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়। সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিন জনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি।এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য দুই সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর যেকোনো একজন মিথ্যা বলছেন বলে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ। ‘ক্যান্টনমেন্টের বৈঠক’ নিয়ে গত ২০ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে ২টার সময় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে রোববার (২৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন সারজিস। সেই স্ট্যাটাসের কমেন্টের ঘরে হান্নান এ মন্তব্য করেন।হান্নান মাসুদ লিখেছেন, ‘এসব কি ভাই! পাবলিকলিই বলছি- দুইজনের একজন মিথ্যে বলছেন। এটা চলতে পারে না। আর দলের গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট হোল্ড করেও আপনারা যেভাবে ব্যক্তিগতভাবে বিচরণ করছেন এবং তা পাবলিক করে এনসিপিকেই বিতর্কিত করছেন।’ হান্নান মাসুদ আরও লেখেন, ‘মানুষ এনসিপিকে নিয়ে যখন স্বপ্ন বুনছে, তখন এভাবে এনসিপিকে বিতর্কিত করার কাদের এজেন্ডা! সরি, আর চুপ থাকতে পারলাম না।’তাদের এই বক্তব্যের পর যেন দলটির নেতাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। পাশাপাশি হঠাৎ রাজনীতিতে টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। শুরু হয় নানান গুজব আর গুঞ্জন। গতকালও চলে সেই গুজব। রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে চায়ের দোকানেও প্রশ্ন উঠেছে কী হচ্ছে কী হবে? নতুন গঠিত এই দলের নেতাদের একই ইস্যুতে নানা বক্তব্য দেয়ার পর দলটির নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে দ্বিধা। কার বক্তব্য সঠিক তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতির বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভিডিও ও এনসিপি নেতা হাসনাতের পোস্ট আমি দেখেছি। যা ঘটছে সেটি উদ্বেগজনক। এটি কারো জন্যে ভাল ফল বয়ে আনবে না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আসলেই ঘোলাটে। তবে, এ ঘটনায় এনসিপির নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। একই ইস্যুতে যদি একই দলে ভিন্ন বক্তব্যে থাকে তাতে অবশ্যই বিভ্রান্তি ছড়ায়। রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শেরপুরে জমি বিরোধের জেরে আলোচিত দুই হত্যা মামলায় এক-দুইসহ ৮ জন আসামীকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ মামলার অদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে (২৪ মার্চ) সোমবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার জঙ্গলদী মধ্যপাড়া নতুন মসজিদ প্রাঙ্গণে নিহত মোগল খাঁ ও লালু খাঁ এর পরিবারের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কামাল উদ্দিন ওরফে লালু খাঁ এর মেয়ে লাভলী আক্তার।এসময় তিনি বলেন, জঙ্গলদী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে মামলার ১নং আসামী মো. দুলাল মিয়া গংদের সাথে মো. কামাল উদ্দিন ওরফে লালু খাঁ ও মোগল খাঁ পরিবারের ৫ একর ৮৮ শতাংশ কৃষি জমি নিয়ে বিরোধ এবং আদালতে মোকদ্দমা চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একই এলাকার প্রতিবেশী মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে মো. দুলাল মিয়া ও মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে চিহ্নিত ৪২ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জন ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এসময় মামলার ১নং আসামী মো. দুলাল মিয়া অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় কামাল উদ্দিন ওরফে লালু খাঁকে বুকে এক কাইল্লা দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক তার ভাই মোগল খাঁ তাকে উদ্ধার করতে গেলে মামলার ৮নং আসামী সুনিল মিয়ার ছেলে মো. সীমান্ত বাবু শাবল দিয়ে মোগল খাঁ এর নাভীর নিচে আঘাত করে ওই সহোদর দুই ভাইকে হত্যা করে।এঘটনায় নিহত কামাল উদ্দিন ওরফে লালু খাঁ এর স্ত্রী সরুফা বেগম বাদী হয়ে ৪২ জনকে চিহ্নিত ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার আসামীরা উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদীসহ নিহত এর পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।এছাড়াও ওই আলোচিত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তিনি আসামীদের পক্ষ হয়ে এবং মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ১নং আসামী মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে মো. দুলাল মিয়া (৪২), মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. কামরুজ্জামান (৩৮), মৃত ডেঙ্গু সুতারের ছেলে মো. আঃ গনি (৫০), অপর ভাই মো. রবিন (২০), মৃত গোলাপ হোসেনের ছেলে মো. হেলাল মিয়া (৪০), ছালেম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), আশরাফ আলীর ছেলে নয়ন মিয়া (২০) ও হযরত আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৩৯) সহ ৮ জন চিহ্নিত আসামীদের চার্জশীট থেকে বাদ (অব্যাহতি) দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।ভুক্তভোগীরা বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে এমন আলোচিত হত্যা মামলার পুনরায় সুক্ষ্য তদন্ত করে ওইসব বাদ দেওয়া আসামীদের চার্জশীটে নাম অর্ন্তভুক্ত করার দাবি জানান। এব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ এবং হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।সংবাদ সম্মেলনে নিহত দুই সহোদর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সরুফা বেগম, শফিকুল ইসলাম, শফিক, নূর মোহাম্মদ, আব্দুল গণি, আব্দুল বারেক, আশরাফ আলী, এরশাদ আলী, ইয়ানুছ আলীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ এলাকার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পূর্ব মহেশালী গ্রামে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে এক নবজাতক (কন্যাশিশু)’কে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটিকে ফেলে যাওয়া হয়।সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাশের মরিচ খেতে কাজ করা এক নারী শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে যান। পরে তিনি ভুট্টা ক্ষেতে নবজাতকটিকে দেখতে পান। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন জড়ো হন এবং বিষয়টি প্রশাসনকে জানান।স্থানীয়রা ধারণা করছেন, কেউ অবৈধ সম্পর্কের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে ফেলে গেছে অথবা পারিবারিক কোনো সমস্যার কারণে পরিত্যক্ত করা হয়েছে। তবে কে বা কারা শিশুটিকা ফেলে গেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।উদ্ধার হওয়া নবজাতকটিকে আপাতত ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রশাসন বলছে, শিশুটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও লালন-পালনের জন্য যথাযথ পদপে নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবজাতকটির পরিচয় শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। তবে নবজাতক ওই কন্যা শিশুটিকে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ২০/২৫ জন মানুষ সেখানে ভীড় জমিয়েছেন।খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।তিনি বলেন, "শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং নবজাতকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।"ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু। কর্মীসভায় জেলার সাত উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে স্থানীয় ইনডোর স্টেডিয়ামে যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুলের সঞ্চালনায় যৌথ কর্মীসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সাবেক এমপি সাইফুল আলম সাজা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুজ্জামান শহীদ, যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাবু, কাজী আমিরুল ইসলাম ফকু, মাহমুদুল ইসলাম প্রামানিক, মোস্তাক আহমেদ মোস্তাক, আব্দুর রাজ্জাক ভুটটু, শাহজালাল সরকার খোকন, খন্দকার জাকারিয়া জিম প্রমুখ।বক্তারা কর্মীসভায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সার্বিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নাটোরে বেতন-ভাতা ও রাজস্বখাতে স্থানান্তরসহ ৭ দফার দাবীতে মানববন্ধন করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগের এ আই টেকনিশিয়ানরা। সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নাটোর শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন করেন তারা। এসময় মাঠ পর্যায়ের টেকনিশিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের টেকনিশিয়ানরা প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছেন। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদকে এগিয়ে নিতে আমাদের কর্মীরা পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু বিনিময়ে আমরা কিছুই পাই না।গত ৯ মাস থেকে বেতন বন্ধ। পরিবার নিয়ে আমরা অসহায় জীবন যাপন করছি। প্রাণিসম্পদ বিভাগের সকল আদের্শ নিদের্শ পালন করছি। কিন্তু নামমাত্র আমাদের চাকরি কিন্তু আমাদের কোনো বেতন নেই। অনেক দিন থেকেআমাদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। দ্রুত আমাদের বেতন ও বোনাস সহ সবকিছু পরিশোধ করতে হবে। দাবী না মানলে পরবর্তীতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারী দেন তারা।মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন- টেকনিশিয়ান আবু তাহের গাজী, মো.খায়রুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ, মো.নজরুল ইসলাম প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এবার টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) কর্মকর্তা-কর্মচারীও একই সুবিধা পাবেন।সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে নির্দেশনা দিয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ০৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। ওই দিন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো ফাইন্যান্স কোম্পানিও বন্ধ থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি করবর্ষে ১৫ লাখ ই-রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ করদাতারই করযোগ্য আয় নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না–এমন তথ্য দিয়ে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৪১টি জেলায় ৪ হাজার ৬৪০ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর ও ভ্যাটের নিবন্ধনের আওতায় আনলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে সরকারের।রোববার (২৩ মার্চ) স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এসব তথ্য। এর আগে ৬ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে এসব তথ্য জানিয়ে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।চিঠিতে আরও জানানো হয়, এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ঢাকা মহানগরীর কর ও ভ্যাট নিবন্ধনবিহীন ২৩৩০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রদান করা হয়েছিল। সরকারের যথাযথ ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যে এবার কর ও ভ্যাট নিবন্ধনবিহীন ৪১ জেলার ২৩১০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রদান করা হলো।বাজুস মনে করছে, এসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় এলে সরকারের রাজস্ব আহরণ উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাবে।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় কর ও ভ্যাট নিবন্ধনবিহীন অসংখ্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
হার্টে রিং পরানোর পর আগের তুলনায় কিছুটা ভালো আছেন তামিম ইকবাল। জ্ঞান ফিরেছে তামিম ইকবালের। অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে।ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। পরে জানা যায়, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। চিকিৎসকরা দ্রুত এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক শনাক্ত করেন এবং সফলভাবে রিং পরানো হয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সারা দেশ উদ্বেগের মধ্যে থাকলেও সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তামিমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সিসিডিএম সমন্বয়কারী সাব্বির আহমেদ রুবেল জানিয়েছেন, জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন তামিম এবং তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এখনো তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশজুড়ে ভক্ত-সমর্থকরা দোয়া করছেন।প্রসঙ্গত, ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। টসের পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহামেডান অধিনায়ক তামিম। পরে ফিল্ডিংয়েও নামতে পারেননি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের (ক্যাডার শাখা) চলতি দায়িত্বে থাকা মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, ৪৭ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৭ জুন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৭ তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এই বিসিএস থেকে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিসিএসে কিছু নতুন পদ যুক্ত হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৫ এর নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাহাদী হাসান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।রোববার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বরাবর আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।অব্যাহতি চেয়ে তার আবেদন পত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি গ্রহণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি শূন্য হয়। পরবর্তী সময়ে রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি কার্যনির্বাহী সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬নং ধারার ‘জ’ উপধারা অনুযায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসানকে ২০২৪-২৫ কার্যনির্বাহী পরিষদের বাকি সময়ের জন্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নিউজিল্যান্ডে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপে ৬.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির দক্ষিণ দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে স্থানীয় সময় বিকেল ২.৪৩ মিনিটে (সিঙ্গাপুর সময় সকাল ৯.৪৩ মিনিটে) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।মূল ভূখণ্ড রিভারটন থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রীভূত কম্পনটি প্রাথমিকভাবে ৭.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে আঘাত হানার সময় এর মাত্রা হ্রাস পায়। হনোলুলু-ভিত্তিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি।তবে নিউজিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা শক্তিশালী এবং অস্বাভাবিক স্রোতের ঝুঁকির কারণে বাসিন্দাদের নিকটবর্তী উপকূলীয় এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করেছে। সংস্থাটি একটি জাতীয় বার্তায় বলেছে, ভূমিকম্পে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরের ১৩ ধরনের পদে মোট ২৫৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।পদের নাম: সহকারী পরিচালকপদসংখ্যা: ২৬যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)পদের নাম: টেলিফোন ইঞ্জিনিয়ারপদসংখ্যা: ১যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি।বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)পদের নাম: ফিল্ড অফিসারপদসংখ্যা: ১৭যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, নারীদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ৩০-৩২ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)।বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরপদসংখ্যা: ৫যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। সাঁটলিপির গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৮০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৩০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরপদসংখ্যা: ১৪যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। সাঁটলিপির গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৭০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৪৫ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৩০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)পদের নাম: ওয়্যারলেস অপারেটরপদসংখ্যা: ২০যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। বৈদ্যুতিক ও বেতার যন্ত্রপাতি এবং বেতারযন্ত্রে যোগাযোগের নিয়মাবলি সম্বন্ধে মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে। মোর্স টেলিগ্রাফিতে প্রতি মিনিটে ২০টি শব্দ গ্রহণ ও প্রেরণের সক্ষমতা এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। তবে টেলিযোগাযোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী বা পুলিশের সাবেক সদস্যদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স শিথিলযোগ্য।বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)পদের নাম: অফিস অ্যাসিস্ট্যান্টপদসংখ্যা: ২যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকপদসংখ্যা: ২০যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)পদের নাম: গাড়িচালকপদসংখ্যা: ১৩যোগ্যতা: জেএসসি বা সমমান পাস। গ্রেড ১৬-এর ক্ষেত্রে হালকা গাড়ি চালনার বৈধ হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)পদের নাম: রিসিপশনিস্টপদসংখ্যা: ১যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিস ইউনিকোড ও বেসিক ডেটাবেজ পরিচালনায় প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা থাকতে হবে। উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি; নারীদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুকের মাপ উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)।বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)পদের নাম: ফিল্ড স্টাফপদসংখ্যা: ১০৯যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি; নারীদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট। বুকের মাপ উভয় ক্ষেত্রে ৩১-৩৩ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)।বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)পদের নাম: টেলিফোন লাইনম্যানপদসংখ্যা: ৩যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড কোর্সে উত্তীর্ণ হতে হবে।বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)পদের নাম: অফিস সহায়কপদসংখ্যা: ২৪যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)বয়স : সব পদে আবেদনকারীর বয়স ১ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩২ বছর।আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৩ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা; ৪ থেকে ১০ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা এবং ১১ থেকে ১৩ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। পরীক্ষার ফির সঙ্গে বিধিমোতাবেক ভ্যাট ও কমিশন যুক্ত হবে।আবেদনের সময়সীমা: ৬ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২৫, রাত ১২টা পর্যন্ত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো তিলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫। শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় আমিরাতের আজমানের উম্মুল মোমেনীন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তেলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ষষ্ঠ আসরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন। মুহাম্মাদ ইছমাইলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাকির হোসাইন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, হাজী শরাফত আলী, মীর কামাল, সালাম খান, রাজা মল্লিক, আবুল বাশার, সৈয়দ আবু আহাদ, করিমুল হক, মাজহারুল ইসলাম, সেলিম রেজা, বদরুল চৌধুরী, কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, রাশেদুর রহমান চৌধুরী ও নাজমুল করিম প্রমুখ।অতিথিরা বলেন, দেশের বাইরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা বাংলাদেশি শিশুকিশোরদের আরবি ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে এধরণের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিযোগী এসব শিশুকিশোরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা সুনাম অর্জন করবে।আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন বলেন, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে এই প্রতিযোগিতা বেশ ভূমিকা রাখছে। স্বীকৃত বিচারকদের তত্বাবধানে মাসব্যাপী প্রতিযোগীরা ভিন্ন ভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত পর্বে আসতে হয়। তারা এতেটাই ভাল করেন, চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী নির্ধারণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিযোগী অনলাইনে নিবন্ধন করেছে। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে বাছাই করার পর চূড়ান্ত পর্বে ২৫জন প্রতিযোগী সুযোগ পান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। তবে এ খাতে অর্থ বরাদ্দের পরিমান মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ, যা খুবই অপ্রতুল। ক্রমবর্ধমান উচ্চ রক্তচাপ সংকট মোকাবেলায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী(১৮-১৯ মার্চ) “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৬ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যা বিভিন্ন ধরণের অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ। উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে এ রোগের ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু হলেও উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করা জরুরি এবং এজন্য টেকসই অর্থায়ন প্রয়োজন। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অংশ হিসেবে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও এ খাতে অর্থ বরাদ্দ এবং বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহারে সাফল্য দেখাতে পারেনি। প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় ওষুধের সরবরাহ নিয়মিত রাখার বিষয়টিকেও প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ এনামুল হক বলেন, “অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বরাদ্দকৃত বাজেটের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা জরুরি।”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, “অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করা এবং সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য বাজেট বৃদ্ধি অনিবার্য।”জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, “সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।”কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (উপসচিব) ডা. মোহাম্মদ শওকত হোসেন খান; কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. গীতা রানী দেবী; বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: মারুফ হক খান; বাংলাদেশ ফার্স্ট পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোর্শেদ নোমান; ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর ডেপুটি রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর ডা. তন্ময় সরকার, এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।
শিপংকর শীল: ওষুধের দাম নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এই জটিল বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন না সাধারণ মানুষ। তবে একই ধরনের ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহারকারী রোগী ও তাদের স্বজনরা তা অনুধাবন করতে পারেন। গত কয়েক মাসেও ওষুধভেদে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ বেড়েছে। ওষুধের দামের এই লাগামহীনতার জন্য উৎপাদক ও সবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনৈতিক বিপণন চর্চা বা প্রোমোশনাল মার্কেটিং কার্যক্রমকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের উপহার বা উৎকোচ দেয় কোম্পানিগুলো; যা কেটে নেওয়া হয় ক্রেতারই পকেট থেকে।স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের মতে, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকার অন্যতম প্রধান উপাদান ওষুধ। রোগ নিরাময়ের মাধ্যম হিসেবে ওষুধের কোনো বিকল্প নেই। গুরুত্ব বিবেচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধকে স্বাস্থ্য খাতের ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের অন্যতম একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে ওষুধের প্রাপ্যতা হয়ে উঠেছে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের অন্যতম নিয়ামক।স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের এ সংক্রান্ত গবেষণা বলছে, দেশের মানুষের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৫ শতাংশ শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়। অর্থাৎ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে মোট ১০০ টাকা খরচ করলে তার মধ্যে ৬৫ টাকা খরচ হয় ওষুধ কিনতে। এ থেকেই বোঝা যায়, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ওষুধের ওপর কতটা নির্ভরশীল। দেশে গ্যাস্ট্রিক তথা অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। এছাড়া দেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনে একজন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এরপরের বিক্রির তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে প্রেসার এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সারজেল, প্যানটোনিক্স এবং ম্যাক্সপ্রো। এছাড়া প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপাও রয়েছে সর্বোচ্চ বিক্রিত ওষুধের তালিকায়।সংশ্লিষ্টদের মতে, কয়েক মাসে দেশে ওষুধের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ। স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। ওষুধের দাম বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের মনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওষুধের মূল্য নির্ধারণে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অসহনীয় পর্যায়ে দাম বাড়ছে বলেও অনেকেই মনে করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দাম বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের মধ্যে চলা প্রোমোশনাল কার্যক্রমের নামে অনৈতিক বিপণন চর্চা। প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের দেওয়া উৎকোচ বা উপহার কোনো কোম্পানিই নিজেদের পকেট থেকে দেয় না। ওষুধের দাম বাড়িয়ে সেই টাকা ক্রেতাদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়। ওষুধের অনৈতিক বিপণন চর্চা বন্ধ করা গেলে বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে ওষুধের দাম অনেকটাই কমানো সম্ভব এবং কোম্পানির মার্কেটিং খরচ ১০ শতাংশে নামিয়া আনা সম্ভব।ওষুধের উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্যের বিশাল পার্থক্য : ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের সাধারণ তত্ত্ব হচ্ছে, কস্ট অব গুডস অর্থাৎ উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হবে। মার্কেটিং, প্রোমোশন এবং অন্যান্য খরচ আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কোম্পানির মুনাফা।ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের সারজেল নামে ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করে হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। সারজেল ২০ মি.গ্রা. প্রতি পিস ৭ টাকা এবং সারজেল ৪০ মি.গ্রা. প্রতি পিস ১১ টাকায় বাজারে পাওয়া যায়। ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের আরেকটি ওষুধ ম্যাক্সপ্রো উৎপাদন ও বিপণন করে রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। ম্যাক্সপ্রো ২০ মি.গ্রা. প্রতি পিস ৭ টাকা এবং ম্যাক্সপ্রো ৪০ মি.গ্রা. প্রতি পিস ১০ টাকা করে বাজারে পাওয়া যায়। ওষুধ কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ২০ মি. গ্রা. ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট কাঁচামালসহ উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ৭০ পয়সা। এর সঙ্গে এক্সিপিয়েন্ট (সহযোগী উপাদান), প্যাকেজিং, লেভেলিংসহ সর্বোচ্চ খরচ হয় দুই টাকা। প্রতি ৪০ মি. গ্রা. ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ কাঁচামাল, সহযোগী উপাদান, প্যাকেজিং, লেভেলিংসহ সব মিলে মোট প্রায় দুই টাকা ৭০ পয়সা খরচ হয়। অর্থাৎ উৎপাদন খরচের কয়েকগুণ বেশি দামে ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে।উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত লোসারটান পটাশিয়াম ১০০ মি.গ্রা. প্রতি ট্যাবলেটে উৎপাদনে খরচ হয় দশমিক শূন্য দশমিক ছয় পয়সা। সহযোগী কেমিক্যাল, প্যাকেজিং সব মিলে প্রতি ট্যাবলেটে ১ দশমিক ২৫ টাকার মতো খরচ হয়। এটা কোম্পানিভেদে বিক্রি করা হয় ১০ থেকে ১২ টাকায়। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল খরচ।ডায়াবেটিস রোগে ব্যবহৃত মেটফরমিন ৫০০ মি.গ্রা. এবং ৮৫০ মি.গ্রা. আকারে বাজারে পাওয়া যায়। মেটফরমিন ৮৫০ মি.গ্রা. প্রতিটির উৎপাদন খরচ হয় ৫৫ পয়সা, এর সঙ্গে এক্সিপিয়েন্ট (সহযোগী উপাদান) যোগ করলে মোট খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ পয়সা। প্যাকেজিংসহ এই ওষুধে প্রায় এক টাকা খরচ হয়। এটি প্রতি পিস বিক্রি হয় ছয় টাকায়। প্রতিটা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট উৎপাদনে গড়ে ৩০ থেকে ৫০ পয়সা খরচ হয়। এটি বিক্রি করা হচ্ছে ১ দশমিক ২০ টাকায়, মার্কেটিং খরচ বাদে যা থাকে সেটাই লাভ। ওষুধ উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো ওষুধের গায়ে যদি মূল্য ১০০ টাকা থাকে, সেখান থেকে সরকার ভ্যাট পায় ১৫ শতাংশ, ফার্মেসির লাভ ১৫ শতাংশ। বাকি ৭০ টাকার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচামালসহ উৎপাদন খরচ। আর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল খরচ, বাকিটা কোম্পানির মুনাফা।ওষুধ শিল্প নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা যায়, দেশে ওষুধের বিপণন বাবদ টার্নওভারের ২৯ শতাংশের বেশি খরচ করছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু এই বিপণন প্রক্রিয়াটি খুবই অস্বচ্ছ। ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রধানত ডাক্তারদের উপঢৌকন হিসেবে এই ২৯ শতাংশের বেশির ভাগ ব্যয় করে।বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন : গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম জামালউদ্দিন বলেন, ওষুধের দাম বাড়ার একটি বড় কারণ কোম্পানিগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ মার্কেটিং বাবদ ব্যয় হয়ে যায়। এই মার্কেটিং খরচ কমানো গেলে ওষুধের দাম বর্তমান বাজার মূল্যের থেকে অনেক কমানো যেত।এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাব্বির হায়দার বলেন, প্রোমোশনালের নামে চিকিৎসকদের বিভিন্ন উপহার, টাকা-পয়সা দেওয়াসহ অনৈতিক সব ব্যয় ওষুধের মূল্যের সঙ্গে যুক্ত হয়। সেই মূল্য ভোক্তাকেই পরিশোধ করতে হয়। কোম্পানি অযৌক্তিক এসব ব্যয় কমালে ওষুধের মূল্য বেশ কমে আসবে।ওষুধের অনৈতিক বিপণন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, এটাকে আমরা বলি অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং। ওষুধের দাম যদি সরকারের প্রাইসিং ফর্মুলার ভিত্তিতে হয়, তাহলে কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। অতিরিক্ত মূল্য যখন নিতে পারবে না তখন ওষুধ কোম্পানির সারপ্লাস থেকেই অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিংয়ের খরচ বহন করতে হবে। তখন তারা এই অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং থেকে সরে আসবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) সাবেক উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, ডাক্তারদের যেমন নৈতিকতা মেনে চিকিৎসাসেবা দেওয়া উচিত ঠিক তেমনি ওষুধ কোম্পানিগুলোরও নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা করা উচিত। যদি ওষুধ কোম্পানিগুলো নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা করে এবং ডাক্তারদের কোনোরকম অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা না দেয় কিংবা ডাক্তাররা না নেয়, তাহলে ওষুধের দাম অবশ্যই কমে আসতে পারে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ওষুধ কোম্পানির শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রোমোশনালের জন্য অর্থ ব্যয় না করলে আমাদের ওষুধ চলবেই না। ডাক্তাররা আরও বেশি চায়। ডাক্তাররা যদি কোনো সুবিধা না নেয়, তাহলে ওষুধের দাম হয়তো কমবে। আমাদের কোম্পানি ডাক্তারদের কোনো অনৈতিক সুবিধা দেয় না, বড় বড় কোম্পানি যারা এই ধরনের সুবিধা দেয়, তাদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করাই ভালো।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির এবং মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান। আগামী দুই বছর এ দায়িত্ব পালন করবেন তারা।শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির ৫৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির ২০২৫-২০২৬ ও ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম মোসাদ্দেক হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং রেনাটা পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ এস কায়সার কবীর, সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।২০ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শফিউজ্জামান, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়াম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হায়দার হোসেন, সেনেভিয়া ফার্মা পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও), এস এ রাব্বুর রেজা, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (ভ্যাকসিন ডিভিশন) ভাইস-চেয়ারম্যান, হাসনিন মুক্তাদির, নিপ্রো জেএমআই ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মো. আবদুর রাজ্জাক, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রুপ সিইও সিমিন রহমান, এসিআই লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) এম মহিবুজ্জামান, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (কেমিক্যাল ডিভিশন) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মিজানুর রহমান, দি একমি ল্যাবরেটরীজ লিমিটেডের পরিচালক, ফাহিম সিনহা, এরিস্টোফার্মা লিমিটেডের পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ হাসান, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (ইউনিট-২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিদুল হক, মিনারা এপিআই লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরাফাত জাহিদ ইবনে শফি।
নিখিল মানখিন : ভুয়া চিকিৎসকদের নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা! এনিয়ে আলোচনা-সমালোচনা দীর্ঘদিনের। কিছুদিন পরপরই ধরা পড়ছে ভুয়া চিকিৎসক। কিন্তু কমছে না তাদের অসাধু ব্যবসা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দেশে কার্যকর অভিযান নেই। সতর্কবার্তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি)। র্যাবসহ কয়েকটি সংস্থার অভিযান কার্যক্রমও চলে সীমিত পরিসরে। তাদের পক্ষেও অলিগলিতে বসে থাকা ভুয়া চিকিৎসকের দশভাগের কাছেও পৌঁছা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত না হয়েও অনেকে তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে যাচ্ছেন। এতে একদিকে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা হয়ে পড়ছে প্রশ্নবিদ্ধ, অন্যদিকে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেক রোগী। রোগী ও তাদের স্বজনরা পড়ছেন আর্থিক ক্ষতিতে। গত বুধবার এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা যাবে না নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কয়েকদিন আগে ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলনও করেছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী ও প্রকৃত চিকিৎসকরা। কয়েকদিন পরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধরা পড়ছে ভুয়া চিকিৎসক। গত ১৪ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বার্ন ইউনিট ভবনের তৃতীয় তলায় এক রোগীকে আত্মীয় বানিয়ে চিকিৎসা দিতে এসে হাতে-নাতে আটক হন ডালিয়া নামে এক ভুয়া চিকিৎসক। পরে আনসার সদস্যদের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গত বছর মুনিয়া খান রোজা, পাপিয়া আক্তার স্বর্না ও রিপা আক্তার নামে তিন ভুয়া নারী চিকিৎসককে ঢামেক হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এসএসসিতে দ্বিতীয়বার ফেল করে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভুয়া চিকিৎসক ভবেশ চন্দ্র কর। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদুরে ও প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে নিজের ফার্মেসিতে বসে দীর্ঘদিন যাবৎ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে প্রেসক্রিপশন করে আসছিলেন তিনি। একটা সময় তিনি নিজেই ছিলেন দীর্ঘদিনের চর্মরোগের রুগী। অন্যদিকে তিনি দ্বিতীয়বার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয়বারই হয়েছেন অকৃতকার্য। এরপর আর পরীক্ষাই দেননি তিনি। সম্প্রতি তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন ভবেশ চন্দ্র কর। গত ২১ জানুয়ারি রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়। আটক চিকিৎসকের নাম এস এম মেহেদী হাসান পিয়াল। তিনি নগরীর ছোট বয়রা এলাকার হাসানুর রহমানের ছেলে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাতের সময় মেহেদী হাসান হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ঘোরাফেরা করছিলেন। তাকে দেখে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্দেহ হয় এবং তাকে অহেতুক ঘোরাফেরা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। পরে তিনি তার পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আটকে রাখে। এ সময় তার কাছ থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়, যেখানে তার নাম পিয়াল হাসান লেখা ছিল।এভাবে দেশের সর্বত্র অলিগলিতে চেম্বার সাজিয়ে বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখে যাচ্ছেন অনেক ভুয়া চিকিৎসক। বিএমডিসি কী বলছে : বিএমডিসি আইনের কিছু অংশ উল্লেখ করে চিকিৎসকদের বারবার সতর্ক করে দেয় বিএমডিসি। বিএমডিসি আইনের ২২(১) ধারা অনুযায়ী নিবন্ধন ব্যতীত এলোপ্যাথি চিকিৎসা নিষিদ্ধ। অন্য কোন আইনে যা, কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীনে নিবন্ধন ব্যতীত কোন মেডিক্যাল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এলোপ্যাথি চিকিৎসা করতে, অথবা নিজেকে মেডিক্যাল চিকিৎসক বা, ক্ষেত্রমত, ডেন্টাল চিকিৎসক বলে পরিচয় প্রদান করতে পারবেন না। কোন ব্যক্তি এই ধারা লঙ্ঘন করলে উক্ত লঙ্ঘন হবে একটি অপরাধ এবং তার জন্য তিনি ৩ বছর কারাদ অথবা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ব্যতীত অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। হাইকোর্টের নির্দেশে যা বলা হয়েছে : সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতির মধ্যেই আদালতের এ সিদ্ধান্ত এল। ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।এ বিষয়ে দুটি রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বুধবার এ রায় দেয়। আদালত বলেছেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে বৃহস্পতিবার থেকে আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না এই নিয়মসহ পাঁচ দফা দাবিতে সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতির মধ্যেই আদালতের এ সিদ্ধান্ত এল।অভিযোগের শেষ নেই : অভিযোগ উঠেছে, দেশের সর্বত্র চলছে বিএমডিসি আইনের লঙ্ঘন। স্বীকৃত চিকিৎসা থেকে ডাক্তার হয়েও অনেকে ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে থাকেন। নামের আগে ভুয়া ডিগ্রি লাগিয়ে রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই এ ধরনের চিকিৎসকদের মূল উদ্দেশ্য। রোগীদের ভালো-মন্দ বিবেচনায় রাখেন না তারা। মহান পেশা চিকিৎসাসেবা তাদের কাছে হয়ে ওঠে ‘রোগী মেরে টাকা উপার্জনের সেন্টার’। স্বীকৃত চিকিৎসকদের পাশাপাশি অস্বীকৃত কোয়াক চিকিৎসকদের সংখ্যাও কম নয়। তারা চিকিৎসা সেক্টরের জন্য বেশ হুমকিস্বরূপ। দেশে রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ‘কোয়াক চিকিৎসক’। এ ধরনের চিকিৎসকদের থাকে না কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতা। কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বা অভিজ্ঞ ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে তারা কিছু চিকিৎসা জ্ঞান অর্জন করে। সেই সীমিত জ্ঞান দিয়ে তারা নিজেদের মতো করে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যায়। এতে অনেক রোগী ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সরকারি অনুমোদন না থাকলেও এ ধরনের চিকিৎসকরা দেশের আনাচে কানাচে চিকিৎসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরাল করার দাবি জানিয়েছেন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ও বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদী-ই-মাহবুব। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, স্বাস্থ্য সেক্টরে দুর্বল মনিটরিংয়ের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়ী। কেউ কারো দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। দেশে ভুয়া চিকিৎসকের অভাব নেই। এতে দেশের জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকিতে পড়ছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে ঈদপরবর্তী ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি। ঈদ উদযাপন শেষে আগামী ৪ এপ্রিল যারা ভ্রমণ করতে চান তাদের আজ টিকিট ক্রয় করতে হবে।মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টায় দ্বিতীয় দিনের মতো ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় ৷ অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যাত্রীদের সুবিধায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই অনুযায়ী এই দুই সময়ে দুই অঞ্চলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।এর আগে গত রোববার (৯ মার্চ) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়। বরাবরের মতো এবারও আন্তঃনগর ট্রেনের সাত দিনের অগ্রিম টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি হওয়ায় কোনো টিকিট রিফান্ড করার সুযোগ থাকছে না।টিকিট বিক্রি নিয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা মোট ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এছাড়া দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের ২৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শ্যামল প্রকৃতির মধ্যে একটুকরা ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি মসজিদ। প্রায় সাড়ে চার শ বছরের পুরোনো মসজিদটির অবস্থান নড়াইল সদর উপজেলার গোয়ালবাথান গ্রামে। চুন–সুরকির গাঁথুনিতে তৈরি গোয়ালবাথান মসজিদটিতে মোগল স্থাপত্যশৈলীর নান্দনিক ছোঁয়া স্পষ্ট। সুনিপুণ একটি গম্বুজ, সুগঠিত ছোট চারটি মিনার আর দেয়ালের অসাধারণ কারুকাজ।ছোটবেলা থেকে এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করা সত্তরোর্ধ্ব মো. সুলতান কাজী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে এই মসজিদে নামাজ পড়ি। চুন-সুরকি দিয়ে বানানো হওয়ায় মসজিদের ভেতরে গরমের সময় ঠান্ডা ও ঠান্ডার সময় গরম অনুভূত হয়। ভেতরে ঢুকলেই প্রশান্তি লাগে।’
ঈদ উপলক্ষে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তৈরি পোষাকের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।সোমবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন পৌর শহরের সড়ক বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম রাখার অভিযোগের কয়েকটি ‘এক দাম’ এর তৈরি কাপড়ের দোকানে ব্যবসায়ীর কাছে কাপড়ের ক্রয় রসিদ দেখাতে বলেন আদালত। কাপড়ের গায়ে মূল্য তালিকা স্টিকার লেখা থাকলেও ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি বিক্রেতারা। কিভাবে কাপড়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে আদালতের এমন প্রশ্নে ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। পরে ৩টি নামী তৈরি পোষাক ব্যবসায়ীকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করার জন্য সতর্ক করা হয়।এ ব্যপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল, ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে কাপড় বিক্রি করছেন। ঈদ উপলক্ষে যাতে অতিরিক্ত দান নিতে না পারে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ সময় পন্যের মূল্য তালিকা দেখাতে না পারায় ভোক্তা অধিকার আইনে ৩ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন অংকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান চলমান থাকার কথা তিনি জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
একই ইস্যুতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের একটি ভিডিও এবং এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টের জেরে দলটির নেতাদের ভিন্ন বক্তব্য। ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারেরর প্রধান উপদেষ্টা করতে একটি বিশেষ বাহিনীর প্রধানের আপত্তি ও ‘পতিত ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন নিয়ে সেই বাহিনীর তৎপরতা নিয়েই মূলত তাদের ওই পোস্ট ছিল। নেতাদের ওই বক্তব্যের পর দলটির তৃণমূলেও প্রভাব পড়েছে। নতুন গঠিত দলটির নেতাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে, পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার পরও দলটির নেতারা বলছেন, তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। একই ইস্যুতে ভিন্নমত থাকাটাও গণতন্ত্রের চর্চা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন একই ইস্যুতে যদি একই দলে ভিন্ন বক্তব্যে আসে তাতে অবশ্যই বিভ্রান্তি ছড়ায়। রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠে।গত শুক্রবার নিজের ফেরিফাইড ফেসবুকে এটি পোস্ট দেন জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পোস্টে তিনি লেখেন, ১১ মার্চ, সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ” নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই।আমাদেরকে বলা হয়, একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তারা শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। বিস্তারিত স্ট্যাটাসের শেষে তিনি লেখেন শেষ পর্যন্ত আমরা না মেনে নিয়ে মেটিং শেষ না করেই চলে আসি। এর পরপরই তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওটি ১৫ মার্চ ধারণ করা হয়েছে বলে ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে জানান তিনি। ‘ক্যান্টনমেন্টের ইন্টারভেনশনের ট্রেইলর-১’ শীর্ষক ২৮ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসের নিয়োগ নিয়ে একটি বিশেষ বাহিনীর প্রধানের আপত্তি ছিল বলেও অভিযোগ করেন।হাসনাতের পোস্টের একদিন পরেই শনিবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন বলেন, হাসনাত আবদুল্লাহ যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, সেটি ‘শিষ্টাচারবর্জিত’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা উচিত হয়নি। আমরা মনে করি, এটা শিষ্টাচারবর্জিত একটি স্ট্যাটাস হয়েছে এবং রাষ্ট্রের ফাংশনাল জায়গায় আমরা দেখি যে ক্যান্টনমেন্টের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ রাজনৈতিক জায়গায় হস্তক্ষেপ করছেন। আমাদের কাছে এই ধরনের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। এই সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নেবে এবং সরকারি যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোর এতে জড়িত না হওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’এছাড়া রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করছি। সারজিস লেখেন, মানুষ হিসেবে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিমতকে একেকজন একেকভাবে অবজার্ভ করে। হাসনাত সেদিন তার জায়গা থেকে যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে এবং ফেসবুকে লিখেছে আমার সে ক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিমত আছে। তিনি বলেন, সেদিন আমি ও হাসনাত সেনাপ্রধানের সঙ্গে গিয়ে কথা বলি। আমাদের সঙ্গে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন সদস্যেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি, সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেওয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সঙ্গে যখন প্রয়োজন হতো তখন ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরে সারজিস বলেন, যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’। তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইসরকে জিজ্ঞাসা করি, আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্খিত কিছু দেখছেন কিনা? সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক স্টেট ফরওয়ার্ড মনে হচ্ছে। তিনি আমাকে বললেন তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম, বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয়। সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিন জনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি।এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য দুই সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর যেকোনো একজন মিথ্যা বলছেন বলে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ। ‘ক্যান্টনমেন্টের বৈঠক’ নিয়ে গত ২০ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে ২টার সময় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে রোববার (২৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন সারজিস। সেই স্ট্যাটাসের কমেন্টের ঘরে হান্নান এ মন্তব্য করেন।হান্নান মাসুদ লিখেছেন, ‘এসব কি ভাই! পাবলিকলিই বলছি- দুইজনের একজন মিথ্যে বলছেন। এটা চলতে পারে না। আর দলের গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট হোল্ড করেও আপনারা যেভাবে ব্যক্তিগতভাবে বিচরণ করছেন এবং তা পাবলিক করে এনসিপিকেই বিতর্কিত করছেন।’ হান্নান মাসুদ আরও লেখেন, ‘মানুষ এনসিপিকে নিয়ে যখন স্বপ্ন বুনছে, তখন এভাবে এনসিপিকে বিতর্কিত করার কাদের এজেন্ডা! সরি, আর চুপ থাকতে পারলাম না।’তাদের এই বক্তব্যের পর যেন দলটির নেতাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। পাশাপাশি হঠাৎ রাজনীতিতে টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। শুরু হয় নানান গুজব আর গুঞ্জন। গতকালও চলে সেই গুজব। রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে চায়ের দোকানেও প্রশ্ন উঠেছে কী হচ্ছে কী হবে? নতুন গঠিত এই দলের নেতাদের একই ইস্যুতে নানা বক্তব্য দেয়ার পর দলটির নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে দ্বিধা। কার বক্তব্য সঠিক তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতির বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভিডিও ও এনসিপি নেতা হাসনাতের পোস্ট আমি দেখেছি। যা ঘটছে সেটি উদ্বেগজনক। এটি কারো জন্যে ভাল ফল বয়ে আনবে না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আসলেই ঘোলাটে। তবে, এ ঘটনায় এনসিপির নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। একই ইস্যুতে যদি একই দলে ভিন্ন বক্তব্যে থাকে তাতে অবশ্যই বিভ্রান্তি ছড়ায়। রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের মা কিম ফার্নান্দেজকে। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে আইসিইউ-তে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়েছে তাকে। এ খবর পেয়ে শুটিং ছেড়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন জ্যাকলিন।ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিনেত্রীর মা কিম ফার্নান্দেজকে আইসিইউতে ভর্তি করার পর, জ্যাকলিন তার কাজ ছেড়ে সরাসরি হাসপাতালে চলে আসেন। ২০২২ সালের শুরুতেও জ্যাকলিনের মা কিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ট্রোক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। কিছুদিন আগে জ্যাকলিন ‘ইন্ডিয়া টিভি’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তার মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের নিয়ে কথা বলেছিলেন।জ্যাকলিন জানান, তিনি সবসময় তার মায়ের কাছ থেকে সাপোর্ট পেয়েছেন। প্রতিটি কঠিন সময়ে মা তার জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি।এদিকে সুকেশ চন্দ্রশেখর বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল জ্যাকুলিন। বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে পেশাগত অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন অভিনেত্রী। ফলে দীর্ঘ সময় সমস্যায় কেটেছে তার। এই কঠিন সময়ে জ্যাকলিনের পাশে ছিলেন তার মা।জ্যাকলিন অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন সিনেমা ‘ফাতেহ’। ৫০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা পরিচালনা করছেন অভিনেতা সোনু সুদ। নির্মাণের পাশাপাশি জ্যাকলিনের বিপরীতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি।বর্তমানে জ্যাকলিনের হাতে একাধিক সিনেমার কাজ রয়েছে। এগুলো হলো— ‘ওয়েলকাল টু দ্য জঙ্গল’, ‘হাউজফুল ফাইভ’।ভোরের আকাশ/এসএইচ
হার্টে রিং পরানোর পর আগের তুলনায় কিছুটা ভালো আছেন তামিম ইকবাল। জ্ঞান ফিরেছে তামিম ইকবালের। অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে।ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। পরে জানা যায়, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। চিকিৎসকরা দ্রুত এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক শনাক্ত করেন এবং সফলভাবে রিং পরানো হয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সারা দেশ উদ্বেগের মধ্যে থাকলেও সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তামিমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সিসিডিএম সমন্বয়কারী সাব্বির আহমেদ রুবেল জানিয়েছেন, জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন তামিম এবং তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এখনো তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশজুড়ে ভক্ত-সমর্থকরা দোয়া করছেন।প্রসঙ্গত, ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। টসের পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহামেডান অধিনায়ক তামিম। পরে ফিল্ডিংয়েও নামতে পারেননি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঝিনাইদহে ১৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়েছে।সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসে দুইদিন ব্যাপী বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী'র সভাপতিত্বে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জুনাইদ হাবীব ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মীর রাকিবুল ইসলাম।দুই দিনে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হবে। সদর উপজেলায় ১৬০০ কৃষকের মধ্যে মোট ৮ মেট্রিক টন বীজ ও ৩২ মেট্রিক টন সার বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নিউজিল্যান্ডে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপে ৬.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির দক্ষিণ দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে স্থানীয় সময় বিকেল ২.৪৩ মিনিটে (সিঙ্গাপুর সময় সকাল ৯.৪৩ মিনিটে) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।মূল ভূখণ্ড রিভারটন থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রীভূত কম্পনটি প্রাথমিকভাবে ৭.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে আঘাত হানার সময় এর মাত্রা হ্রাস পায়। হনোলুলু-ভিত্তিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি।তবে নিউজিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা শক্তিশালী এবং অস্বাভাবিক স্রোতের ঝুঁকির কারণে বাসিন্দাদের নিকটবর্তী উপকূলীয় এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করেছে। সংস্থাটি একটি জাতীয় বার্তায় বলেছে, ভূমিকম্পে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো তিলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫। শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় আমিরাতের আজমানের উম্মুল মোমেনীন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তেলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ষষ্ঠ আসরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন। মুহাম্মাদ ইছমাইলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাকির হোসাইন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, হাজী শরাফত আলী, মীর কামাল, সালাম খান, রাজা মল্লিক, আবুল বাশার, সৈয়দ আবু আহাদ, করিমুল হক, মাজহারুল ইসলাম, সেলিম রেজা, বদরুল চৌধুরী, কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, রাশেদুর রহমান চৌধুরী ও নাজমুল করিম প্রমুখ।অতিথিরা বলেন, দেশের বাইরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা বাংলাদেশি শিশুকিশোরদের আরবি ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে এধরণের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিযোগী এসব শিশুকিশোরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা সুনাম অর্জন করবে।আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন বলেন, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে এই প্রতিযোগিতা বেশ ভূমিকা রাখছে। স্বীকৃত বিচারকদের তত্বাবধানে মাসব্যাপী প্রতিযোগীরা ভিন্ন ভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত পর্বে আসতে হয়। তারা এতেটাই ভাল করেন, চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী নির্ধারণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিযোগী অনলাইনে নিবন্ধন করেছে। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে বাছাই করার পর চূড়ান্ত পর্বে ২৫জন প্রতিযোগী সুযোগ পান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নিউজিল্যান্ডে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপে ৬.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির দক্ষিণ দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে স্থানীয় সময় বিকেল ২.৪৩ মিনিটে (সিঙ্গাপুর সময় সকাল ৯.৪৩ মিনিটে) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।মূল ভূখণ্ড রিভারটন থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রীভূত কম্পনটি প্রাথমিকভাবে ৭.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে আঘাত হানার সময় এর মাত্রা হ্রাস পায়। হনোলুলু-ভিত্তিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি।তবে নিউজিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা শক্তিশালী এবং অস্বাভাবিক স্রোতের ঝুঁকির কারণে বাসিন্দাদের নিকটবর্তী উপকূলীয় এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করেছে। সংস্থাটি একটি জাতীয় বার্তায় বলেছে, ভূমিকম্পে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এবার টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) কর্মকর্তা-কর্মচারীও একই সুবিধা পাবেন।সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে নির্দেশনা দিয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ০৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। ওই দিন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো ফাইন্যান্স কোম্পানিও বন্ধ থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের (ক্যাডার শাখা) চলতি দায়িত্বে থাকা মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, ৪৭ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৭ জুন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৭ তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এই বিসিএস থেকে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিসিএসে কিছু নতুন পদ যুক্ত হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঝিনাইদহে ১৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়েছে।সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসে দুইদিন ব্যাপী বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী'র সভাপতিত্বে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জুনাইদ হাবীব ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মীর রাকিবুল ইসলাম।দুই দিনে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হবে। সদর উপজেলায় ১৬০০ কৃষকের মধ্যে মোট ৮ মেট্রিক টন বীজ ও ৩২ মেট্রিক টন সার বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আরও দুইজন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গতকাল সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের দুইজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহেরের স্বাক্ষরে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এনিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ জনে। আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। শপথের দিন থেকে তাদের এই নিয়োগ কার্যকর হবে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নতুন দুই বিচারপতি শপথ নেবেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত দুই বিচারপতিকে শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টেও রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর এনিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে তিনদফা বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলো। এর আগে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি হিসেবে গত বছর ১১ আগস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি। এর পরদিনই ১২ আগস্ট আপিল বিভাগে আরও চারজন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। এই চারজনের মধ্য থেকে এরইমধ্যে একজন বিচারপতি (সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম) অবসরে গেছেন। গত বছর ৫ আগস্টের পর প্রধান বিচারপতি পদে এবং আপিল বিভাগে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সিনিয়র বিচারপতি হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তাদের কয়েকদফা ডিঙ্গিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র বিচারপতিদের আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।নবনিযুক্ত বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ১৯৫৯ সালের ১ মার্চ জন্ম নেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম পাস করার পর ১৯৮৩ সালে জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০১ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সংবিধান অনুযায়ী তিনি মাত্র একবছরের কাছাকাছি সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে আসীন থাকতে পারবেন। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) বিচারপতি পদে থাকা যায়। সে অনুযায়ী আগামী বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি স্বাভাবিক অবসরে যাবেন তিনি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৬৬ সালের ২৭ মে জন্ম নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম পাস করার পর ১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সংবিধান অনুযায়ী ৭ বছরের বেশি সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে আসীন থাকতে পারবেন। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) বিচারপতি পদে থাকা যায়। সে অনুযায়ী ২০৩৩ সালের ২৬ মে স্বাভাবিক অবসরে যাবেন তিনি।