ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম ব্যাপারীকে তিন বছরের মেয়াদে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশফিকুন নাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ২৮(২) ধারা মোতাবেক মো. আব্দুস সালাম ব্যাপারীকে ১১ নভেম্বর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য ঢাকা ওয়াসারের এমডি হিসেবে নিয়োগ করার জন্য সরকারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি মোতাবেক ‘দায়িত্ব ভাতা’ পাবেন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।এর আগে ৩০ অক্টোবর দায়িত্ব থেকে সরানো হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, শাহজাহান মিয়াকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নির্বাচন সামনে রেখে আসনভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণার অপেক্ষায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অঞ্চলভেদে সমন্বয় সভা ও প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই চলছে। তবে নতুন এই রাজনৈতিক দলটির সমর্থকসংখ্যা কী রকম এবং কত আসনে প্রার্থী দেবে দলটি, আদৌ ৩০০ আসনে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার জন্য কতটা প্রস্তুত? দলটির রাজনৈতিক সক্ষমতা ঘিরেও প্রশ্ন রয়েছে।এরই মধ্যে আগামীকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা হবে দলটির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা।কারা থাকতে পারেন প্রার্থী তালিকায়, এমন প্রশ্নে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, তারুণের সমাহার ও দেশ বদলে দিতে পারে এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধরাই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন মনোনয়ন তালিকায়।তিনি বলেন, আমরা ৩০০ আসনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। প্রার্থী ঘোষণার মতো প্রার্থী আমাদের দলে কিংবা আমাদের দলের বাইরের, যারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে তাদের সবাইকে নিয়েই কিন্তু সেই শঙ্কা অতিক্রম করার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে একটা নতুন চমক মানুষের কাছে উপস্থাপিত হবে। তারণ্যের যেমন সেখানে সমাহার থাকবে, তেমনি দেশ বদলে দিতে পারে, নতুন করে দেশটা গড়তে পারে, এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানুষদেরকেই আমরা নমিনেশনে অন্তর্ভুক্ত করব।অন্য দল থেকে মনোনয়নবঞ্চিতদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে কি জাতীয় নাগরিক পার্টি—এমন প্রশ্নে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে তাদের যে রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষা, হাঁটুর মধ্যে গুলি খেয়েছে, পা কেটে ফেলেছে। তাদেরকে মুল্যায়ন করতে হবে, তাদের বিএনপি মূল্যায়ন করেনি। জামায়াতও অনেকে ক্ষেত্রে মূল্যায়ন থেকে পিছিয়ে আছে। এই মানুষগুলোকে উঠিয়ে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্বটা আমরা আদায় করছি। যদিও দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার দাবি, মনোনয়ন ঘিরে অন্যদল ভাঙার দায় নেবে না এনসিপি।তিনি বলেন, দুই যুগ আগে কোনো একটা রাজনৈতিক দল করেছেন। কিন্তু তাদের সাথে মেলে না বলে কেউ বসে পড়েছিলেন বা ইন্যাকটিভ হয়েছিল, তাদের জন্য আমাদের দরজা খোল আছে। কিন্তু কেউ মনোনয়ন পায়নি বলে আরেকটি দল থেকে টিকিট নেবে, এ ধরনের লোকজনকে আমরা প্রশ্রয় দেব না। ভোরের আকাশ/মো.আ.
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে বেসিক সংস্থার উদ্দ্যোগে প্রান্তিক নারীদের কর্মমূখী (দর্জি) প্রশিক্ষণ বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী মো. ইসাহাক আলীর সভাপতিত্বে এ ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।ওরিয়েন্টেশন সভা বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী মো. ইসাহাক আলী। তিনি তার বক্তেব্য বলেন, বেসিক এনজিও এর সহায়তায় প্রান্তিক নারীদের কর্মমূখী দর্জি, বস্তায় আদা ও হলুদ চাষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং তাদের মাঝে বিনামূলে চারা বিতরণ করা হবে।এতে বেসিক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শ্যামল চন্দ্র সরকার বলেন, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ১০ জন প্রান্তিক, দরিদ্র অসহায় নারী ৩ মাসের দর্জি প্রশিক্ষণ পাবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সেলাই মেশিন বিনামূল্য বিতরণ করা হবে।এছাড়ও আলাদীপুর ইউনিয়নের হঠাৎ পাড়া গ্রামের ৫ জন, বেতদিঘী ইউনিয়নের ৫ জন আদিবাসী নারী, মুশাহার চৌরাই গ্রামের ৩৫ জন আদিবাসী নারী বস্তায় আদা ও হলুদ চাষের উপর ১ দিনের প্রশিক্ষণ পাবে। প্রশিক্ষণ শেষে ওই দিনেই বিভিন্ন দেশীয় গাছের চারা তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।এছাড় ওরিয়েন্টেশন সভা উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্থা ডা. সারোয়ার হাসান, সমজসেবা কর্মকতা, কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলায় কর্মরত ২৫টি এনজিওর ম্যানেজার ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান সহযোগীতায় ছিলেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ঢাকা। বাস্তবায়নে ছিলেন বেসিক সংস্থার ফুলবাড়ী।ভোরের আকাশ/জাআ
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে অভিযান চালিয়ে মায়ানমারগামী বিপুল পরিমাণ খাদ্য ও নির্মাণ সামগ্রীসহ ২২ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড সদস্যরা।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় একটি অসাধু চক্র বাংলাদেশি পণ্যের বিনিময়ে ইয়াবা-মদ সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার করবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ১ টায় কোস্ট গার্ড জাহাজ জয় বাংলা কর্তৃক সেন্টমার্টিন ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় সন্দেহজনক দুটি ফিশিং ট্রলার তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহনকৃত প্রায় ৩৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৬০০ বস্তা মটর ডাল ও ৬৫০ বস্তা সিমেন্টসহ ২২ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা জানান জব্দকৃত মালামাল, পাচারকাজে ব্যবহৃত বোট ও আটককৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চান্দিনা উপজেলার কেরনখাল কাঠবাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, একটি মাইক্রোবাস ও একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন— ফারুক ওরফে জজ মিয়া (৩৭), বাবুল ওরফে সেলিম (৪৮), সুজন চন্দ্র সরকার (২৫) এবং আব্দুর রশিদ (৫৫)। এদের মধ্যে ফারুক ওরফে জজ মিয়ার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা, বাবুলের বিরুদ্ধে ১টি মামলা এবং আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
গোপালগঞ্জে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে আওয়ামী লীগের পূর্বঘোষিত ১৩ নভেম্বর লকডাউনের দিনে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলা জুড়ে ছিল প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান। এরমধ্যে বিশেষ করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলাকে ফেলা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তায়।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঘুরে দেখা গেছে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। শেষ করে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার কোন বাস ছেড়ে যায়নি তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিকালের দিকে হাতে গোনা কয়েকটি বাস রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটে চলে। গোপালগঞ্জ জেলা শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। লোকজনের সমাগম তেমন চোখে পড়েনি। দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।এর আগে, কয়েকটি ধাপে ১০ নভেম্বর থেকে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃঙ্খলা মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন মসজিদের ইমাম, ইউপি চেয়ারম্যান, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।এসব আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ যেকোনো গুজব ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে দৌড়াদৌড়ি বা গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। সবাইকে ধৈর্য ও সংযমের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সব ধরনের আপত্তিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও তারা আশ্বস্ত করেন।১৩ তারিখে সকাল থেকেই গোটা গোপালগঞ্জ জেলায় নিরাপত্তা জোরদার ছিল। পুলিশ, আনসার সদস্য ও প্রশাসনের টিম সার্বক্ষণিক টহলে ছিল। জনগণও ছিল শান্ত ও সতর্ক। কোনো বিক্ষোভ, সহিংসতা কিংবা বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।সচেতনতা ও সক্রিয় প্রশাসনের ভূমিকায় লকডাউন-দিনটি অপ্রত্যাশিত অঘটন ছাড়াই পার হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তা জানান, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সক্রিয় ছিলাম এবং থাকবো। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পেরেছি।ভোরের আকাশ/জাআ
আন্তর্জাতিক আর্থিক সাময়িকী গ্লোবাল ফাইন্যান্স–এর ২০২৫ সালের মূল্যায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর পেয়েছেন ‘সি’ গ্রেড। অর্থাৎ, তার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পারফরম্যান্সকে সংস্থাটি ‘মিশ্র’ বা মাঝারি মানের হিসেবে চিহ্নিত করেছে।সম্প্রতি গ্লোবাল ফাইন্যান্সের প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড ২০২৫’–এ বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, প্রবৃদ্ধি অর্জন, মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও নীতিগত বিশ্বাসযোগ্যতা— এই চার সূচকে গড়পড়তা ফল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনে শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল উইরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ’ গ্রেড, আর ভিয়েতনামের গভর্নর নুয়েন থি হং পেয়েছেন সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’। তুলনামূলকভাবে, বাংলাদেশের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ২০২৩ সালে পেয়েছিলেন ‘ডি’ গ্রেড। ফলে, মনসুরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান কিছুটা উন্নত হলেও এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।২০২৪ সালের ৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি দায়িত্ব নেন এমন এক সময়ে, যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যাংক খাতের অনিয়ম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিকে টালমাটাল করে রেখেছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রিপো রেট ৮.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করেন। এতে কিছুটা প্রভাব পড়লেও প্রবৃদ্ধি কমে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি ৩.৯ শতাংশে নেমে আসে, যা গত দশকের গড় ৬ শতাংশের তুলনায় অনেক নিচে।আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের সহায়তায় তিন বছরের ব্যাংকখাত সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এতে খেলাপি ঋণ কমানো, দেউলিয়া আইন হালনাগাদ করা এবং ব্যাংক পরিচালনায় জবাবদিহিতা বৃদ্ধি–এর পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তব অগ্রগতি ধীর। গ্লোবাল ফাইন্যান্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আহসান এইচ মনসুরের নীতি দিকনির্দেশনা যুক্তিসংগত হলেও বাস্তবায়নে গতি কম; ফলে জনগণের আস্থা এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি।অর্থনীতিবিদদের মতে, ‘সি’ গ্রেড মানে হচ্ছে নীতিগত দিক সঠিক পথে থাকলেও বাস্তব পরিবর্তনের ফল এখনো দৃশ্যমান নয়। মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ অনিয়ম ও ডলারবাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে না আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো কঠিন পরীক্ষার মুখে রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ৪ হাজার ১৮৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে, গতকাল সোমবার দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৫০৭ টাকা বাড়ানো হয়। এদিন সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর দেশের অর্থনীতিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। আগের সরকারের সময় যেখানে ব্যাংক থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া ছিল নিয়মিত ঘটনা। নতুন সরকারের সময় পরিস্থিতি উল্টে গেছে। এখন সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে না, বরং পুরনো ঋণ পরিশোধ করছে।চলতি অর্থবছরে সরকার ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ না নিয়ে বরং আগের দেনা ফেরত দিচ্ছে—যা সরকারের আর্থিক শৃঙ্খলা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণের নতুন ধারার স্পষ্ট উদাহরণ বলছেন অর্থনীতিবিদরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (৩০ জুন থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত) সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে আগের নেওয়া ৫০৩ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকার ব্যাংক থেকে ১৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেই হিসেবে বছরের ব্যবধানে সরকারের ব্যাংক ঋণ প্রবাহে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে; এখন সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে না, বরং আগের ঋণ পরিশোধ করছে।প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট নেট ঋণ ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার ৯০৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা ৩০ অক্টোবর কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৪০১ কোটি ৬৫ লাখ টাকায়। শুধু ৩০ অক্টোবর একদিনেই সরকারের নেট ঋণ কমেছে প্রায় ১,০০৯ কোটি টাকা। এর বড় অংশ এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া স্বল্পমেয়াদি 'ওয়েজ অ্যান্ড মিনস অ্যাডভান্স' ঋণ পরিশোধের কারণে। ওই দিন সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮৯৯ কোটি টাকা এবং তফসিলি ব্যাংকগুলোতে ২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে।অন্যদিকে, ব্যাংক ঋণ না নিয়ে সরকার ব্যাংক উৎস ছাড়া অন্য খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রির মাধ্যমে ৯ হাজার ৫৬৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে সরকার। জাতীয় সঞ্চয়পত্রের নিট অবস্থান বাদ দিলে দেশীয় উৎস থেকে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা।অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থায় একটি নতুন ধারা। আগের সরকারের সময় ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়ার ফলে বাজারে অতিরিক্ত টাকা প্রবাহিত হয়ে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর নতুন প্রশাসন রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা এনেছে এবং ব্যয় সংযমে মনোযোগ দিয়েছে।খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের ব্যাংক ঋণ কমার পেছনে অন্যতম কারণ হলো অপ্রয়োজনীয় ও অলাভজনক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাতিল করা। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অগ্রাধিকারহীন বহু প্রকল্প স্থগিত বা বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি চলমান অনেক উন্নয়ন প্রকল্পেও ব্যয়সংযম নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে, ফলে ব্যয়ের গতি কমেছে। উন্নয়ন ব্যয়ের এই ধীরগতি ও প্রকল্প পর্যালোচনা প্রক্রিয়া সরকারের তহবিল চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে, যা ব্যাংক ঋণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।অন্যদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আদায় গত বছরের তুলনায় ভালো। সেই সঙ্গে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকারের অবস্থান শক্ত হওয়ায় ব্যাংক ঋণ না নিয়ে উল্টো ঋণ পরিশোধ সম্ভব হয়েছে।সরকারের ব্যাংক ঋণ কমা একদিকে মুদ্রাস্ফীতির চাপ হ্রাসে সহায়ক, অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়ার সুযোগ বাড়াচ্ছে। এতে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের গতি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ধীর থাকে, তবে তা বিনিয়োগ স্থবিরতা ও প্রবৃদ্ধি হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।ভোরের আকাশ/তা.কা
হঠাৎ মধ্যরাতে তার ক্যাম্প ন্যুতে ফেরা হইচই ফেলে দিয়েছে পুরো ফুটবল বিশ্বে। বার্সেলোনার স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির এই ফেরা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। এসবের মধ্যে এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলছেন, তিনি ও তার পুরো পরিবার সবসময়ই বার্সেলোনায় ফেরার কথা ভাবেন।ক্লাবের আর্থিক সংকটের কারণে ২০২১ সালে আকস্মিকভাবে বার্সেলোনাকে বিদায় বলেছিলেন মেসি। চোখের জলে নেওয়ার মেসির সেই বিদায় আজও কাঁদায় কাতালান সমর্থকদের। এরপর পিএসজি ঘুরে মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে থিতু হয়েছেন মেসি।বার্সা ছাড়ার ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নিজের শৈশবের ক্লাব নিয়ে এখনো ভাবেন মেসি। নানা সময়েই তাকে বার্সার খেলা, শিরোপা জয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও বার্সেলোনাকে নিয়ে কথা বলেছেন মেসি।দুদিন আগে হুট করেই মধ্যরাতে নতুনভাবে সাজানো ক্যাম্প ন্যুতে ঘুরে এসেছেন মেসি। তার এই ফেরা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে পুরো ফুটবল জগতে। মেসি কি তাহলে আবার ফিরছেন বার্সায়?স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছেন, তার পরিবার সবসময়ই বার্সায় ফেরার কথা ভাবে, আমি সত্যিই সেখানে ফিরে যেতে চাই, বার্সেলোনাকে অনেক মিস করি আমরা। আমার স্ত্রী ও আমি, বাচ্চারা সবসময় বার্সেলোনা এবং সেখানে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলি। আমাদের বাড়ি সেখানেই আছে, সবকিছুই, তাই আমরা এটাই চাই।বার্সায় নিজের বিদায়টা মনের মতো হয়নি বলে এখনো আফসোস করেন মেসি, ‘বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার পর আমার অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল, কারণ যেভাবে সবকিছু হয়েছিল, মহামারীর কারণে সেখানে আমার শেষ বছরগুলোতে ভক্তদের ছাড়াই খেলেছিলাম (কোভিডের কারণে দর্শনশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হতো)। সেখানে আমার জীবনের অনেকটা সময় কাটানোর পর, আমি যেভাবে কল্পনা করেছিলাম, যেভাবে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেভাবে ছেড়ে আসতে পারিনি। আমি যেমনটা বলেছিলাম, আমার পুরো ক্যারিয়ার ইউরোপে, বার্সেলোনায় খেলব। কারণ এটাই ছিল আমার পরিকল্পনা, এটাই আমি চেয়েছিলাম।মেসির এমন সাক্ষাৎকার ও ক্যাম্প ন্যুতে ফেরা; সবই যেন আভাস দিচ্ছে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের। মেসি তাহলে অবসর নেওয়ার আগে সত্যি ফিরবেন নিজের শিকড়ে?ভোরের আকাশ/তা.কা
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ রাজশাহীতে বিচারকের পরিবারের ওপর মর্মান্তিক হামলার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের বাসভবনে ঘাতকের আঘাতে তার ছেলে নিহত এবং স্ত্রী আহত হওয়ার ঘটনায় এক শোক বার্তায় এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।বিচার বিভাগের একজন সদস্যের পরিবারের ওপর এ নৃশংস আক্রমণ নিন্দনীয়, অমানবিক এবং গভীরভাবে বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্ট ও সমগ্র বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।সুপ্রিম কোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় সুপ্রিম কোর্ট এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট সকল অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দ্রুততার সঙ্গে একটি যথাযথ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে যাতে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হয় এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হয়। প্রধান বিচারপতি তদন্তের সততা ও স্বচ্ছতা প্রতিটি ধাপে অক্ষুণ্ণ রাখার বিষয়ে জোর প্রদান করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শীতকালে দাপট বাড়ে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার। যে কারণে অনেকেরই সর্দি-কাশি হয় নিত্যসঙ্গী। গলা ব্যথা নিয়েও অস্বস্তিতে পড়েছেন অনেকে। তবে ভেষজ চায়ে সর্দি-কাশি দূরে পালাবে দ্রুত। আজ তারই সন্ধান রইল এই নিবন্ধে।শীতের সময়ে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে অনেকেরই। অ্যালার্জিক রাইনিটিস থাকলে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ভোগাবেই। শ্বাসের সমস্যাও হতে পারে। শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে অনেকেই এই সময়ে ঘরে অ্যান্টিবায়োটিক, কাশির সিরাপ মজুত করে রাখেন, যেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আরও মারাত্মক। তাতে রোগ নির্মূল হয় না, কেবল তার উপসর্গগুলো কমে যায়।আগেকার দিনে সর্দি-কাশি হলে বা বুকে কফ জমলে মা-খালারা প্রাকৃতিক উপায়ে তা সারানোর চেষ্টা করতেন। এত রকম ওষুধ খাওয়ার চল তখন ছিল না। বদলে ঘরেই টোটকা (আয়ুর্বেদিক পানীয়) তৈরি করে নেওয়া হতো। কাশির সিরাপের আদর্শ বিকল্প এই টোটকা, যা খেলে কাশি তো কমেই, শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ে। কী ভাবে টোটকা তৈরি করবেন, রইল তিন পদ্ধতি।সংগৃহীত ছবি১. আদা-তুলসির টোটকাউপকরণ : ১ ইঞ্চি আদা কুচি, ৮-১০টি তুলসি পাতা, ১ চা চামচ মধু, আধ চামচ গোলমরিচের গুঁড়োপ্রণালী : ৫০০ মিলিলিটারের মতো পানি নিয়ে তা ফোটান। এ বার তাতে আদাকুচি, তুলসি পাতা এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। ঠান্ডা হলে মধু মিশিয়ে পান করুন। সর্দি-কাশি, টনসিলের ব্যথার উপশম হবে এই টোটকা খেলে।সংগৃহীত ছবি২. লেবু-মধু-দারচিনির টোটকাউপকরণ : ১ ইঞ্চির মতো দারচিনি, ১ চা-চামচ পাতিলেবুর রস, ১-২ চামচ মধুপ্রণালী : পানি গরম করে তাতে দারচিনি মিশিয়ে ভালো করে ফোটান। পানি ফুটলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। ঠান্ডা হলে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে পান করুন।সংগৃহীত ছবি৩. হলুদ-লবঙ্গের টোটকাউপকরণ : আধ ইঞ্চি কাঁচা হলুদ বাটা অথবা আধ চামচ হলুদগুঁড়ো, ২-৩টি লবঙ্গ, ১টি থেঁতো করা এলাচ, আধ ইঞ্চি দারচিনির টুকরো, ১ চামচ মধুপ্রণালী : পানি গরম করে তাতে হলুদ, লবঙ্গ, এলাচ এবং দারচিনি মিশিয়ে দিন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। ঠান্ডা হলে মধু মিশিয়ে পান করুন। এই টোটকা গলাব্যথা এবং শ্বাসনালির সংক্রমণ দূর করতে পারে।ভোরের আকাশ/তা.কা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ২০২৪ সালের প্যানোরামা অনুষ্ঠানে তার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দেয়া বক্তৃতার সম্পাদিত অংশ নিয়ে ভুল ধারণা সৃষ্টির জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি। তবে মানহানি ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।খবর আলজাজিরার।ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে তার বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ একত্র করে এমনভাবে দেখানো হয় যেন তিনি সমর্থকদের সঙ্গে ক্যাপিটলে হাঁটার আহ্বানের পরই ‘ফাইট লাইক হেল’ বলেছেন, অথচ এই দুটি অংশের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টার ব্যবধান ছিল এবং এর মাঝে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদেরও কথা বলেছিলেন। বিতর্কের পর বিবিসি চেয়ারম্যান সামির শাহ হোয়াইট হাউসে চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জানান ডকুমেন্টারিটি আর কোনো প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচার করা হবে না। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ডকুমেন্টারিকে ‘মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর’ বলে দাবি করে ১ বিলিয়ন ডলারের মামলা করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি ও নিউজ প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন। বিবিসি জানিয়েছে, তারা সম্পাদনার ভুলের জন্য অনুতপ্ত হলেও মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কারণ ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারিত হয়নি এবং ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনেও জয়ী হয়েছেন। তাই এতে বাস্তব ক্ষতির প্রমাণ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে মামলার সময়সীমা পেরিয়ে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও প্রমাণ করা কঠিন যে দর্শকেরা এতে ট্রাম্প সম্পর্কে খারাপ ধারণা পেয়েছেন, যেহেতু তারা এটি দেখেননি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১২ ঘণ্টা আগে