মাংসের দাম কমলেও বেড়েছে সবজি-মাছের দাম

মাংসের দাম কমলেও বেড়েছে সবজি-মাছের দাম

ভোরের আকাশ ডেস্ক

প্রকাশ : ৬ দিন আগে

আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে

মাংসের দাম কমলেও বেড়েছে সবজি-মাছের দাম

মাংসের দাম কমলেও বেড়েছে সবজি-মাছের দাম

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে হলেও রাজধানী এখনও অনেকটা ফাঁকা। ধীরে ধীরে কর্মব্যস্ত মানুষ ফিরছে ব্যস্ত নগরি ঢাকাতে। এরমধ্যে ঈদের আমেজ কাটিয়ে নগরবাসী এখন বাজারমুখী হলেও অধিকাংশ দোকানপাট এখনও পুরোপুরি খোলেনি। বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকায় পণ্যের সরবরাহও কম। ফলে বাজারে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন এক চিত্র। মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কমেছে, তবে কিছু সবজি ও মাছের দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে বাড্ডা, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও তালতলা বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর চাহিদা কম থাকায় মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কমেছে। অন্যদিকে মাছ ও সবজির সরবরাহ কম থাকায় সেগুলোর দাম চড়া।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে কাঁচা মরিচ, টমেটো, পেঁপেসহ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। আগের মতোই চড়া লেবু ও শসার দাম। গতকাল প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। সপ্তাহ দুই আগে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ২০-৩০ টাকায়। পেঁপে ও কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি পেঁপে ৬০ টাকা এবং মরিচ ৭০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। প্রতি কেজি করলা ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৩০-৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, আলু ২০-২২ টাকা, মিষ্টি আলু ৩০ টাকা, লতি ৪০-৫০ টাকা ও পটোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কহি ৩০ টাকা, সজনে ডাটা ১২০ টাকা ও ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৭০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। আর প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, ঈদের ছুটির কারণে এখনও অনেক মানুষ ঢাকায় ফেরেননি। এ কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম, যা বেচাকেনায় প্রভাব ফেলেছে। 

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে দেখা গেছে, অধিকাংশ মুদিদোকান বন্ধ, মাছ ও মাংসের বাজারেও অনেক দোকান খোলা হয়নি। তবে সবজির দোকানগুলো ছিল বেশ খোলা।

দাম কমেছে মাংসের বাজারেও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। 

মুরগির ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, ঈদের পর চাহিদা কম থাকায় আমাদেরও দাম কমিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাংসের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম, ফলে বেচাকেনাও কম।

বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দাম বাড়তি। প্রতি কেজি চাষের রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১১৫-১২০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় নিহত ৩২২ জন: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় নিহত ৩২২ জন: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

পিএসসির গেট ভেঙে ভেতরে আন্দোলনকারীরা

পিএসসির গেট ভেঙে ভেতরে আন্দোলনকারীরা

তুরিন আফরোজের মোবাইল-ল্যাপটপে ‘কী তথ্য’ মিলেছে, জানাল পুলিশ

তুরিন আফরোজের মোবাইল-ল্যাপটপে ‘কী তথ্য’ মিলেছে, জানাল পুলিশ

মেরাদিয়ায় ভাগনেকে হত্যার অভিযোগ মামার বিরুদ্ধে

মেরাদিয়ায় ভাগনেকে হত্যার অভিযোগ মামার বিরুদ্ধে

মন্তব্য করুন