অগ্রণী ব্যাংকে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র প্রদান
অগ্রণী ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (এবিটিআই) কর্তৃক আয়োজিত ১০ কর্মদিবসব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, পেমেন্ট এন্ড ফাইন্যান্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর সমাপনীতে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) এবিটিআইয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল বাশার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (রিকভারি) এ কে এম শামীম রেজা ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আমিনুল হক। সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপত্বি করেন এবিটিআই-এর পরিচালক ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিম। প্রশিক্ষণ কোর্সে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, সার্কেল, অঞ্চল ও বিভিন্ন শাখার ৪১ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত বা মার্জার করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল আজহার ১০ দিনের দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ রোববার (১৫ জুন) খুলছে সব ধরনের অফিস। স্বাভাবিক লেনদেন চালু হচ্ছে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজারেও।আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংকের লেনদেন। আর শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়, যা চলবে দুপুর ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। নিয়মিত লেনদেন শেষে ১০ মিনিট অর্থাৎ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পোস্ট ক্লোজিং সেশন থাকবে।এর আগে গত ৪ জুন (বুধবার) ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজারের সর্বশেষ কার্যদিবসের লেনদেন হয়। এরপর পবিত্র ঈদুল আজহা, বিশেষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত বন্ধ থাকে কার্যক্রম।তবে ঈদের ছুটির আগে ও পরে ৫, ১১ ও ১২ জুন দেশের কিছু এলাকায় তফসিলি ব্যাংকের কিছু শাখা সীমিত পরিসরে খোলা ছিল। এছাড়া গত ৫ জুন কোরবানির হাট সংশ্লিষ্ট কিছু এলাকায় ব্যাংক খোলা ছিল রাত ১০ টা পর্যন্ত। এর আগে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রথমে ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ছয় দিন ছুটি দিয়েছিল সরকার। পরে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে টানা এই ছুটি দিতে গত ১৭ ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শনিবার) অফিস খোলা রেখেছিল সরকার। ভোরের আকাশ/জাআ
দেশের ব্যাংক খাতে বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দীর্ঘদিনের লুটপাট ও অনিয়মে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসবে এই ৬টি ব্যাংক।সোমবার (২৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকগুলো হলো—সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ছয়টি ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকারই প্রাথমিকভাবে এসব ব্যাংকের মালিকানা গ্রহণ করবে। আসছে জুলাইয়ের মধ্যে এসব ব্যাংকগুলোকে সরকারি মালিকানায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পুঁজি যোগান দেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে বিদেশি কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের উদ্যোগে গত রবিবার প্রধান কার্যালয়ের মূল ভবনের কনফারেন্স রুমে গভর্নেন্স ফ্রেমওয়ার্ক অন ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন ইন বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইসলামিক ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমস ইন বাংলাদেশ: দ্য নিড ফর এডুকেশন শীর্ষক দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন প্রথিতযশা ইসলামিক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কবির হাসান। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ এবং স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক।যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিনস্ এর ইকোনমিকস্ এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও প্রখ্যাত ইসলামিক অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ কবির হাসান তার বক্তব্যে ইসলামিক ফাইন্যান্সের অগ্রগতির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ইসলামিক ফাইন্যান্সে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি লাভ করেছে মূলত গবেষণার ওপর জোর দেয়ায়। বাংলাদেশেও এ বিষয়ে একাডেমিক জ্ঞান অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফাইন্যান্স সংস্থাগুলোর নীতিমালা ও আইনকানুন অনুসরণ করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ফাইন্যান্স আইন প্রণয়ন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড স্থাপন, ইসলামি ব্যাংকিং পরিচালনায় একজন ডেডিকেটেড ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ এবং দক্ষ জনবল তৈরি করা জরুরি বলে উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।সেমিনারে দেশের ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার অগ্রগতি তুলে ধরে বিশিষ্ট ব্যাংকার এবং ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমান ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, সঠিকভাবে এগোলে পুরো ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় ইসলামী ব্যাংকিং ৫০ শতাংশে উন্নীত হতো। এজন্য এখাতে কর্মরত ২৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৪ কোটি গ্রাহককে ইসলামি ব্যাংক সম্পর্কিত একাডেমিক জ্ঞানে শিক্ষিত করা জরুরি। এ লক্ষ্যে একটি আলাদা ইনস্টিটিউটের যে দাবি উঠেছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক বলেও মত দেন তিনি।নির্বাহী পরিচালক মোঃ মেজবাউল হক বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সের প্রসারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনগত কাঠামো ও স্বতন্ত্র নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে বলে জানান। সেমিনারে বিশেষ অতিথির দিকনির্দেশনা ও মতামত ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে জানিয়ে এমন অনুষ্ঠান নিয়মিত করার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের ইসলামিক ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি ডেডিকেটেড ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।সেমিনার দু’টিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ব্যাংকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং, আরবি ও ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানগণ এবং নীতি নির্ধারকগণ অংশগ্রহণ করেন।ভোরের আকাশ/জাআ