শাহীন মিয়া, শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫ ০৫:১২ পিএম
শিবচরে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের ক্ষোভ
মাদারীপুরের শিবচরে বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ার অভিযোগে গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে বিপাকে পড়ছে।
শিবচর উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে আজ ক'দিন ধরেই বিদুৎ বিল গত কয়েক মাসের তুলনায় মিটার প্রতি ৩ থেকে ৪ গুণ বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে জনমনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত মাসের তুলনায় এই মাসে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল বেড়েছ। অথচ বিদ্যুৎ ব্যবহার প্রায় একই রকম ছিল। মিটার না দেখেই আনুমানিক বিল লিখে নিয়ে যাওয়ারও কথাও বলছেন গ্রাহকরা।
হাফেজ শাহীন সরদার বলেন, আমি একজন হাফেজ মানুষ ছোট্ট একটি ব্যবসা করে কোনমতে পরিবার নিয়ে বেঁচে আছি। আমার প্রতি মাসে ১২ শত থেকে ১৩ শত টাকা বিল আসতো। কিন্তু সেখানে গত মাসে প্রায় ৪ হাজার ৩ শত টাকা বিল আসে। আমি অবাক হয়ে যাই, এত টাকা কিভাবে বেশি আসলো। আমি এই অতিরিক্ত কারেন্ট বিলের সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
শাজাহান হাওলাদার বলেন, আমার সাধারণত ৮শ টাকা থেকে ৯শ টাকা বিল আসে। কিন্তু এই মাসে তার দ্বিগুণ টাকা বিল। বিদ্যুৎ ব্যবহার একই রকম থাকার পরেও বিল বেশি এসেছে।
আব্দুল করিম বয়াতি বলেন, আমার প্রতি মাসের বিল ৩শ থেকে ৪শ টাকা বিল আসতো। হঠাৎ করে এই মাসে ১১ শ টাকা বিল আইছে। এটার কারণ বুঝলাম না। আমি ঢাকায় চাকরি করি। গ্রামের বাড়ীতে আমার স্ত্রী ও দুই বাচ্চা থাকে। যে বেতন পাই তা দিয়ে পরিবার নিয়ে চলতে আমার অনেক কষ্ট হয়। এখন যদি বিদ্যুৎ বিল তিন-চার গুণ বেশি উঠায়। এতে আমার জন্য অনেকটা কষ্ট হবে বিল দিতে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের আহবান করছি।
এ ব্যাপারে শিবচরের বিদ্যুৎ অফিসের ডিজি এম অভিলাষ চন্দ্র পাল জানান, প্রযুক্তিগত সমস্যা বা বিলিং সফটওয়্যারে ত্রুটির কারণে কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে অথবা মাঠ পর্যায় কর্মীদের লেখার ভুল হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে সঠিক মিটার রিডিং ও প্রয়োজনীয় সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, অতিরিক্ত বিল মানুষের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা।
ভোরের আকাশ/জাআ