মো. আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৩:৩৭ পিএম
লোকসানে হাসকিং মিল ও চাতাল বন্ধের পথে
এক সময় ধান সংগ্রহের পর চাতালে শুকিয়ে হতো চাল প্রক্রিয়ার কাজ। এগুলোকে বলা হতো হাসকিং মিল বা চাতাল। শুধু চালই নয়, গম, ভুট্টা, শরিষাসহ বহু শস্য শুকানো হতো চাতালে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ধান ও চালের মূল্য এবং অটো রাইস মিলের কারণে লোকসানের ফলে চাতালগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। তাই চাতাল ভেঙে কেউ কেউ গড়ে তুলেছেন আসবাবপত্র, দোকানপাট। আবার কেউ কেউ গড়ে তুলছেন গরু, হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়ার খামার। এমন চিত্র দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা জুড়ে। চাতাল ব্যবসায় দুর্দিন চলায় মালিকরা ব্যবসা বদলাচ্ছেন।
উপজেলার বাজারের হাসকিং মিল মালিক আ. মতিন বলেন, বাজার থেকে ধান কিনে চাল বানিয়ে বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা, লোকসানের ঘানি টানতে ব্যবসা শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে হাসকিং মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের তৈরি চাল আর অটো রাইস মিলের চালের দর প্রকারভেদে প্রতি মণ একশো থেকে দেড়শো টাকা বেশি। অথচ বাজার থেকে ধান কেনার সময় প্রায় একই দামে কেনাকাটা হয়। এজন্য এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভবপর হচ্ছে না।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মোফাখখেরুল চৌধুরী বলেন, উপজেলা খাদ্য বিভাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৯৪টি চালকলের মধ্যে হাসকিং ৯১টি এবং অটো রাইস মিল ৩টি। এরমধ্যে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মাত্র ৬০ জন চালকল মালিক। অটো রাইস মিলের চালের সঙ্গে হাসকিং মিলের তৈরি চাল কিছুটা নিম্নমানের হওয়ায় চলমান বাজারে টিকতে পারছে না। কিন্তু যারা হাসকিং চাতাল মিল ব্যবসায়ী আছেন, বর্তমান ধানের বাজার মূল্যের সঙ্গে চালের দামের সমন্বয়হীনতার কারণে তাদের ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসান দেখা দিচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ