মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৫ ০২:২১ পিএম
সাত গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সাত গ্রামের প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে একটি বাঁশের সাঁকো। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বার বার প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো কাজে আসেনি।
স্থানীয় জানান, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও বয়রা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। এ নদী পেঁয়াজ চর ও আন্ধারমানিক গ্রামকে বিভক্ত করেছে। এ দুই গ্রামসহ আশপাশের বাহিরচর, লেছরাগন্জ, দিয়াপাড়, কামারপাড়া ও নিমতলী গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি। ফলে স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন একটি নড়বড়ে সাঁকো। যা যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।
এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হন। বিশেষ করে পেঁয়াজচর গ্রামের বাসিন্দারা বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, উপজেলা ও থানা অফিসে যেতে বাধ্য হন ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো ব্যবহার করে। অনেক সময় বৃদ্ধ ও শিশুরা পারাপারের সময় পড়ে আহত হন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো খুবর বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সাঁকোর বাঁশগুলো নড়বড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে। কোথাও বাঁশ ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বহুবার একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পেঁয়াজচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা কষ্ট করছি। স্কুলগামী শিশুদের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়ংকর। একটু অসতর্ক হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
(৬০) বছরের বৃদ্ধ মহিলা মরিয়ম বলেন বাবারে মরার আগে ব্রিজটা দেখে যেতে পারব কি
সামিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী জানান, কলেজে যাওয়ার সময় কয়েকদিন আগে সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে পরে যাই। এরপর স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান। শিশুরা একা সাঁকো পার হতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয় মা-বাবাকে।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ভোরের আকাশ/আজাসাা