আজ থেকে ব্যাংক লেনদেন ১০-৪টা
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ রোববার খুলছে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস। লেনদেনসহ আগের সময়সূচিতে ফিরছে ব্যাংকগুলো।
রোববার (৬ এপ্রিল) থেকে ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংকের অফিস সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা হবে।
এর আগে রমজানে ব্যাংকে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। রোজার মাসে ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। রমজানে ব্যাংকের অফিস সূচি ছিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ইসলামি ব্যাংকগুলোকে এক করে দুটি বড় ব্যাংক করা হতে পারে। বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০২৫ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতে সমস্যার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকও একটি কারণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন চাপ থাকে, সেই সঙ্গে আছে ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্যাংক খাতে যেসব সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে, তা যেন আগেই জানা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তা নিবিড়ভাবে তদারকি করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্টিং পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করা হবে। সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে।তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একদম নতুন রূপ দেওয়া হবে। একটি বড় ও অনেকগুলো ছোট ছোট ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো সমস্যাগ্রস্ত। এসব ব্যাংক একীভূত করে বড় দুটি ইসলামী ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। ইসলামী ব্যাংকের জন্য আইন ও তদারকির ব্যবস্থা চালু করা হবে। বৈশ্বিক পরিসরের উত্তম রীতিনীতি অনুসরণ করে এসব করা হবে।তিনি আরো বলেন, পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ চলছে এবং আইনি ও নৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে ১১টি ব্যাংক এবং পরে আরও দুটি ব্যাংকে পরিবর্তন আনা হয়েছে।গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে এবং ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে, যাতে ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতে সমস্যা আগেই চিহ্নিত করা যায় এবং সমাধান করা সম্ভব হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি ৩৭ শতাংশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকালই (সোমবার) ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। আমরা রেসপন্স করেছি, আমরা পজেটিভ কিছু প্রত্যাশা করছি। আমরাও সহযোগিতা করবো তারাও সহযোগিতা করবে। একটা উইন উইন অবস্থা। আশা করি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, একদিকে ওনারা করে ফেললো আমরা অ্যাডজাস্ট করবো বিষয়টা সেটা না। আমরা আমাদের ইস্যুটা তুলে ধরবো। আমি বিশ্বাস করি এই বিষয়টা সমাধান হবে। একটা পজেটিভ হবে, পজেটিভ বলতে তাদেরও লাভ হবে আমাদেরও লাভ হবে।তিনি বলেন, আজকে আমরা মসুর ডাল, চাল এলএনজি ও তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছ। আজকে যে ক্রয়ের অর্ডারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আগের তুলনায়, মূল্য কম। এটা কারণ হচ্ছে আমরা একটু প্রতিযোগিতা করতে চাচ্ছি। আগে গুটি কয়েক সাপ্লায়ার দিত এখন ওপেন করাতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে আমরা কম দামে পাচ্ছি। আমাদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।এ সময় শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছেন সেটার কোনো রেসপন্স পেয়েছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, না, আমরা এখনও কোনো রেসপন্স পাইনি। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি।সামগ্রিকভাবে শুল্ক আরোপের ফলে মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এটা সামাল দিতে আমাদের মেকানিজম কি হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি। বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ করছি। যে কি কি পণ্য দিয়ে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারি। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল একটা বিষয়।তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল সোমবার আমেরিকান প্রশাসন বলেছে যে, চায়নিজ ট্যারিফ ঘোষণা করেছে, ওনারা আবার আরও ৫০ শতাংশ দিতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল।১০০ পণ্য জিরো ট্যারিফ করা হবে, সেটা নিয়ে কোনো পজেটিভ ইমপেক্ট পড়বে কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই, আমরা আশা করছি দেখেইতো এই পরিশ্রম করছি। আমরা নির্ণয় করা চেষ্টা করছি কি কি ভাবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি টাকে কমিয়ে আনা যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
স্বর্ণ চোরাচালানের উৎস সন্ধানে গত বছরের ডিসেম্বরে দুবাই সফর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শন দল। ফিরে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে অবহিত করেন চোরাচালানের পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সক্রিয় হয়।গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করে সংস্থাটি। উড়োজাহাজটির আসনের নিচ থেকে সোয়া দুই কেজির বেশি স্বর্ণ উদ্ধার হয়। আটক হন একজন। এই ঘটনা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আহরণে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। ওই উদ্যোগের ফলে দুবাইকেন্দ্রিক স্বর্ণচোরাচালানে ভাটা পড়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে মার্চে। মাসটিতে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা) রেমিট্যান্স এসেছে।এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার ও জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। মার্চের পূর্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ছিল ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার; যা গত ডিসেম্বরে এসেছিল। প্রবাসী আয় রেকর্ড পরিমাণ বাড়লেও গেল বছরে বিদেশে কর্মী যাওয়ার পরিমাণ কমেছিল সাড়ে ২২ শতাংশ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর হিসাবে, ২০২৪ সালে প্রবাসে নতুন কর্মী গেছে ১০ লাখ ১২ হাজার জন। এর আগের বছরে গিয়েছিল ১৩ লাখ ৬ হাজার কর্মী। জনশক্তি রপ্তানি প্রায় এক চতুর্থাংশ কমার পরও প্রবাসী আয়ে জোয়ারের পেছনে চোরাচালান কমে যাওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৭শ ৬২ মিলিয়ন (৭৬ কোটি ২০ লাখ) ডলার। এর মধ্যে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই বেড়েছে ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন (১৭ কোটি ৩৫ লাখ) ডলার। দেশটি থেকে মার্চে ৫০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে ৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার ও জানুয়ারিতে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুবাইভিত্তিক একটি বিশাল চক্র প্রবাসীদের থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে। আর বাংলাদেশে তাদের এজেন্টরা প্রবাসীদের আত্মীয়দের সমপরিমাণ টাকা বুঝিয়ে দেয়। প্রবাসীদের থেকে সংগৃহীত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ওই চক্রটি স্বর্ণের বার ক্রয় করে। এরপর নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুবাইফেরত উড়োজাহাজে এগুলো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। পাচারকৃত স্বর্ণের ৯০ ভাগের বেশি সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যায়। এর এক অংশের বিনিময়ে ভারত থেকে চোরাচালানে আসে গরু, মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য। বাকি অংশ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসে। এতে বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। কারণ, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় না এলে সেটি দেশের রিজার্ভে যুক্ত হয় না। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির হিসাবে, বছরে অবৈধপথে ৯১ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার দেশে আসে।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের আকাশকে বলেন, আগেই আমরা ধারণা করেছিলাম, শুধু দুবাইকেন্দ্রিক স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করতে পারলেই মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আয় করা সম্ভব। আমাদের ধারণা সত্য হয়েছে। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রার জন্য বাংলাদেশকে কারো কাছে ধর্ণা দিতে হবে না।ওই কর্মকর্তা বলেন, বিদেশ ফেরত একজন ব্যক্তি বিনাশুল্কে ১শ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার আনতে পারেন। ভারতে এই সুবিধায় মাত্র ২০ গ্রাম স্বর্ণ আনা যায়। বাংলাদেশে এই সীমা কমিয়ে আনলে অর্থ পাচার আরও কমে আসবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সংস্থাটি আরও এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পালটা শুল্ক আরোপের প্রভাবে পুরো বিশ্ব সাফার করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘ট্যারিফের সমস্যাটি শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো বিশ্বের সমস্যা। শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্ব সাফার করছে। প্রধান উপদেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনকে এরইমধ্যে চিঠি দিয়েছেন। আমরা সেই চিঠি পাবলিক করে দিয়েছি।’বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচক অনেক আগে করা হয়েছে। এখন আর এটা ফলো করা উচিত নয়। পৃথিবীর এমন কোন মার্কেট নেই যেখানে সমস্যা নেই। প্রত্যেক দেশেরই কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যা যেগুলো রয়েছে আমরা সেই সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি।এই সমস্যাগুলো আমরা আগামী এক বা দুই বছরে সমাধান করার চেষ্টা করবো।’তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা দুই ক্যাটাগরিতে প্রশ্ন করছেন। বাংলাদেশে ব্যবসা করলে কি ধরণের সুবিধা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি করছেন, সেটি হচ্ছে, ইতোমধ্যে যারা ব্যবসায়ী আছেন, তারা কি ধরণের সমস্যা ফেইস করছেন, সেগুলো উত্তরণে তাদের কি করতে হবে। এবারের সামিটের মূল লক্ষ্য নেটওয়ার্কিং সামিট। এখানে আমরা নেটওয়ার্কিংকে প্রধান্য দিচ্ছি।’অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এনডিবি যেন একটি দেশের কৌশলগত কর্মসূচি প্রণয়ন করে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’বৈঠকে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, অন্তর্বর্তী সরকারের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আজ থেকে ব্যাংক লেনদেন ১০-৪টা
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে আজ রোববার খুলছে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস। লেনদেনসহ আগের সময়সূচিতে ফিরছে ব্যাংকগুলো।
রোববার (৬ এপ্রিল) থেকে ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংকের অফিস সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা হবে।
এর আগে রমজানে ব্যাংকে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। রোজার মাসে ব্যাংকে লেনদেন হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। রমজানে ব্যাংকের অফিস সূচি ছিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ইসলামি ব্যাংকগুলোকে এক করে দুটি বড় ব্যাংক করা হতে পারে। বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০২৫ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতে সমস্যার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকও একটি কারণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন চাপ থাকে, সেই সঙ্গে আছে ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্যাংক খাতে যেসব সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে, তা যেন আগেই জানা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তা নিবিড়ভাবে তদারকি করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্টিং পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করা হবে। সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে।তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একদম নতুন রূপ দেওয়া হবে। একটি বড় ও অনেকগুলো ছোট ছোট ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো সমস্যাগ্রস্ত। এসব ব্যাংক একীভূত করে বড় দুটি ইসলামী ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। ইসলামী ব্যাংকের জন্য আইন ও তদারকির ব্যবস্থা চালু করা হবে। বৈশ্বিক পরিসরের উত্তম রীতিনীতি অনুসরণ করে এসব করা হবে।তিনি আরো বলেন, পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ চলছে এবং আইনি ও নৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে ১১টি ব্যাংক এবং পরে আরও দুটি ব্যাংকে পরিবর্তন আনা হয়েছে।গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে এবং ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে, যাতে ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতে সমস্যা আগেই চিহ্নিত করা যায় এবং সমাধান করা সম্ভব হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি ৩৭ শতাংশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকালই (সোমবার) ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। আমরা রেসপন্স করেছি, আমরা পজেটিভ কিছু প্রত্যাশা করছি। আমরাও সহযোগিতা করবো তারাও সহযোগিতা করবে। একটা উইন উইন অবস্থা। আশা করি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, একদিকে ওনারা করে ফেললো আমরা অ্যাডজাস্ট করবো বিষয়টা সেটা না। আমরা আমাদের ইস্যুটা তুলে ধরবো। আমি বিশ্বাস করি এই বিষয়টা সমাধান হবে। একটা পজেটিভ হবে, পজেটিভ বলতে তাদেরও লাভ হবে আমাদেরও লাভ হবে।তিনি বলেন, আজকে আমরা মসুর ডাল, চাল এলএনজি ও তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছ। আজকে যে ক্রয়ের অর্ডারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আগের তুলনায়, মূল্য কম। এটা কারণ হচ্ছে আমরা একটু প্রতিযোগিতা করতে চাচ্ছি। আগে গুটি কয়েক সাপ্লায়ার দিত এখন ওপেন করাতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে আমরা কম দামে পাচ্ছি। আমাদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।এ সময় শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছেন সেটার কোনো রেসপন্স পেয়েছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, না, আমরা এখনও কোনো রেসপন্স পাইনি। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি।সামগ্রিকভাবে শুল্ক আরোপের ফলে মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, এটা সামাল দিতে আমাদের মেকানিজম কি হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি। বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ করছি। যে কি কি পণ্য দিয়ে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারি। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল একটা বিষয়।তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল সোমবার আমেরিকান প্রশাসন বলেছে যে, চায়নিজ ট্যারিফ ঘোষণা করেছে, ওনারা আবার আরও ৫০ শতাংশ দিতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল।১০০ পণ্য জিরো ট্যারিফ করা হবে, সেটা নিয়ে কোনো পজেটিভ ইমপেক্ট পড়বে কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই, আমরা আশা করছি দেখেইতো এই পরিশ্রম করছি। আমরা নির্ণয় করা চেষ্টা করছি কি কি ভাবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি টাকে কমিয়ে আনা যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
স্বর্ণ চোরাচালানের উৎস সন্ধানে গত বছরের ডিসেম্বরে দুবাই সফর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শন দল। ফিরে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে অবহিত করেন চোরাচালানের পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সক্রিয় হয়।গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করে সংস্থাটি। উড়োজাহাজটির আসনের নিচ থেকে সোয়া দুই কেজির বেশি স্বর্ণ উদ্ধার হয়। আটক হন একজন। এই ঘটনা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আহরণে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। ওই উদ্যোগের ফলে দুবাইকেন্দ্রিক স্বর্ণচোরাচালানে ভাটা পড়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে মার্চে। মাসটিতে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা) রেমিট্যান্স এসেছে।এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার ও জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। মার্চের পূর্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ছিল ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার; যা গত ডিসেম্বরে এসেছিল। প্রবাসী আয় রেকর্ড পরিমাণ বাড়লেও গেল বছরে বিদেশে কর্মী যাওয়ার পরিমাণ কমেছিল সাড়ে ২২ শতাংশ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর হিসাবে, ২০২৪ সালে প্রবাসে নতুন কর্মী গেছে ১০ লাখ ১২ হাজার জন। এর আগের বছরে গিয়েছিল ১৩ লাখ ৬ হাজার কর্মী। জনশক্তি রপ্তানি প্রায় এক চতুর্থাংশ কমার পরও প্রবাসী আয়ে জোয়ারের পেছনে চোরাচালান কমে যাওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৭শ ৬২ মিলিয়ন (৭৬ কোটি ২০ লাখ) ডলার। এর মধ্যে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই বেড়েছে ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন (১৭ কোটি ৩৫ লাখ) ডলার। দেশটি থেকে মার্চে ৫০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে ৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার ও জানুয়ারিতে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুবাইভিত্তিক একটি বিশাল চক্র প্রবাসীদের থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে। আর বাংলাদেশে তাদের এজেন্টরা প্রবাসীদের আত্মীয়দের সমপরিমাণ টাকা বুঝিয়ে দেয়। প্রবাসীদের থেকে সংগৃহীত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ওই চক্রটি স্বর্ণের বার ক্রয় করে। এরপর নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুবাইফেরত উড়োজাহাজে এগুলো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। পাচারকৃত স্বর্ণের ৯০ ভাগের বেশি সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যায়। এর এক অংশের বিনিময়ে ভারত থেকে চোরাচালানে আসে গরু, মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য। বাকি অংশ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসে। এতে বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। কারণ, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় না এলে সেটি দেশের রিজার্ভে যুক্ত হয় না। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির হিসাবে, বছরে অবৈধপথে ৯১ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার দেশে আসে।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের আকাশকে বলেন, আগেই আমরা ধারণা করেছিলাম, শুধু দুবাইকেন্দ্রিক স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করতে পারলেই মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আয় করা সম্ভব। আমাদের ধারণা সত্য হয়েছে। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রার জন্য বাংলাদেশকে কারো কাছে ধর্ণা দিতে হবে না।ওই কর্মকর্তা বলেন, বিদেশ ফেরত একজন ব্যক্তি বিনাশুল্কে ১শ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার আনতে পারেন। ভারতে এই সুবিধায় মাত্র ২০ গ্রাম স্বর্ণ আনা যায়। বাংলাদেশে এই সীমা কমিয়ে আনলে অর্থ পাচার আরও কমে আসবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাঁচটি বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সংস্থাটি আরও এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পালটা শুল্ক আরোপের প্রভাবে পুরো বিশ্ব সাফার করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘ট্যারিফের সমস্যাটি শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো বিশ্বের সমস্যা। শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্ব সাফার করছে। প্রধান উপদেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনকে এরইমধ্যে চিঠি দিয়েছেন। আমরা সেই চিঠি পাবলিক করে দিয়েছি।’বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচক অনেক আগে করা হয়েছে। এখন আর এটা ফলো করা উচিত নয়। পৃথিবীর এমন কোন মার্কেট নেই যেখানে সমস্যা নেই। প্রত্যেক দেশেরই কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যা যেগুলো রয়েছে আমরা সেই সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি।এই সমস্যাগুলো আমরা আগামী এক বা দুই বছরে সমাধান করার চেষ্টা করবো।’তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা দুই ক্যাটাগরিতে প্রশ্ন করছেন। বাংলাদেশে ব্যবসা করলে কি ধরণের সুবিধা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি করছেন, সেটি হচ্ছে, ইতোমধ্যে যারা ব্যবসায়ী আছেন, তারা কি ধরণের সমস্যা ফেইস করছেন, সেগুলো উত্তরণে তাদের কি করতে হবে। এবারের সামিটের মূল লক্ষ্য নেটওয়ার্কিং সামিট। এখানে আমরা নেটওয়ার্কিংকে প্রধান্য দিচ্ছি।’অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এনডিবি যেন একটি দেশের কৌশলগত কর্মসূচি প্রণয়ন করে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’বৈঠকে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, অন্তর্বর্তী সরকারের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন