ঢাকা-নারিতা ফ্লাইট স্থগিত করলো বিমান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড চলমান হজ অপারেশনস, এয়ারক্রাফট স্বল্পতা ও ব্যবসায়িক বাস্তবতার নিরিখে আগামী ১ জুলাই ২০২৫ হতে ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত ঘোষণা করছে।
উপর্যুক্ত গন্তব্যের সম্মানিত যাত্রীসাধারণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, যে সকল সম্মানিত যাত্রী ১ জুলাই ২০২৫ পরবর্তী ফ্লাইটসমূহের ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে টিকিট ক্রয় করেছেন, তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই রিফান্ড বা পূর্ণ অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে বিমানের নিজস্ব সেলস্ অফিস/কাউন্টার ও সংশ্লিষ্ট এজেন্টর সাথে যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হল।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড চলমান হজ অপারেশনস, এয়ারক্রাফট স্বল্পতা ও ব্যবসায়িক বাস্তবতার নিরিখে আগামী ১ জুলাই ২০২৫ হতে ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত ঘোষণা করছে।উপর্যুক্ত গন্তব্যের সম্মানিত যাত্রীসাধারণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, যে সকল সম্মানিত যাত্রী ১ জুলাই ২০২৫ পরবর্তী ফ্লাইটসমূহের ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে টিকিট ক্রয় করেছেন, তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই রিফান্ড বা পূর্ণ অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে বিমানের নিজস্ব সেলস্ অফিস/কাউন্টার ও সংশ্লিষ্ট এজেন্টর সাথে যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হল। ভোরের আকাশ/এসআই
ব্যাংক থেকে ডলার কেনাবেচায় কোনো ধরনের অতিরিক্ত মাশুল আদায় করা যাবে না। বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে ডলার সংযুক্তি (এনডোর্সমেন্ট) করতে চাইলে এখন থেকে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।শনিবার (১৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।নির্দেশনায় বলা হয়, তফসিলি ব্যাংকগুলো অনুমোদিত ডিলার শাখার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হারে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বা চার্জ আদায়ের পাশাপাশি পৃথকভাবে সার্ভিস ফি, চার্জ ও কমিশনও আদায় করার কারণে ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ে গ্রাহক নিরুৎসাহিত হচ্ছে মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অবহিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বৈধ মাধ্যম থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক কর্তৃক বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির সময় পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বা চার্জ এবং সার্ভিস ফি, চার্জ ও কমিশন আদায়ের ক্ষেত্রে এনডোর্সমেন্ট ফি বা চার্জ হিসেবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা আদায় করা যাবে। এছাড়া এনডোর্সমেন্ট ফি বা চার্জ ব্যতীত কোনো সার্ভিস ফি, চার্জ ও কমিশন বা অনুরূপ যে কোন নামে অতিরিক্ত কোন ফি, চার্জ ও কমিশন আদায় করা যাবে না। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, অবিলম্বে কার্যকর হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের চলমান কলম বিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজস্ব প্রশাসনের কার্যক্রম। গত তিন দিন ধরেই জরুরি সেবা ছাড়া নিয়মিত কোনও কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। এতে রাজস্ব আদায় এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।আজ রোববারও সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার কলম বিরতি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা এই আন্দোলন করছেন। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চলমান অচলাবস্থা সমাধানে তাদের আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন।গতকাল শনিবার এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ জানান এনবিআর কর্মকর্তা। একই ব্যানারে তারা আন্দোলন করে আসছেন।সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার নিপুণ চাকমা বলেন, সংলাপের দরজা সব সময় খোলা ছিল এবং তা খোলা থাকবে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।এনবিআর কর্মকর্তারা অভিযোগ করে আসছেন, এনবিআর সংস্কার কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করেই এনবিআর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, সরকার এনবিআরকে দুটি আলাদা সত্তা, রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভাগ করে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এনবিআর সংস্কার কমিটির সুপারিশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রস্তাবিত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল, এনবিআর সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এনবিআর কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী সংগঠন, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে রাজস্ব ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার।কর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা বাস্তবভিত্তিক সংস্কারের পক্ষে। তবে তা যেন অংশীজনদের মতামত নিয়ে হয় এবং এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিনুল হক শাহিন ও হাসনাত ইমাম সরকারও বক্তব্য দেন।বুধ ও বৃহস্পতিবারের মতো শনিবারও সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী স্ব-স্ব কার্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও কোনও দাপ্তরিক কার্যক্রম করেননি। এজন্য আন্দোলনকারীরা করদাতা ও সেবাপ্রার্থীদের সাময়িক ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, যৌক্তিক দাবি পূরণ হলে অতিরিক্ত সময় দিয়ে পেছানো কাজ দ্রুত সম্পন্ন করবেন। ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে বহিরাগতদের জড়ানোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।এ সময় তারা বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের অনির্বাচিত ও কার্যকরিহীন কমিটিকে ‘প্রতিনিধিত্বহীন’ বলে অভিহিত করেন।তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই কমিটিগুলোর নামে কোনও বক্তব্য বা কার্যক্রম শুধু ব্যক্তিগত বিবেচিত হবে এবং সংশ্লিষ্টরা দায় বহন করবেন।এদিকে এনবিআর কর্মকর্তাদের চলমান কলম-বিরতি কর্মসূচি ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।গত ১৫ মে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিকে, আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে গত তিন দিন ধরে স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরণের কাস্টমস কার্যক্রম। দেশের বৃহত্তম এই কাস্টমস স্টেশনে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক নির্ধারণসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানি-রপ্তানিকারকরা।চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। এর মধ্যে আমদানির প্রায় ২ হাজার ও রপ্তানির প্রায় ৫ হাজার। তবে কর্মবিরতির কারণে কোনো কার্যক্রমই চলছে না।প্রসঙ্গত, গত ১২ মে রাতে সরকার ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করে, যার ফলে প্রায় পাঁচ দশকের পুরনো এনবিআর বিলুপ্ত হয়। এরপর থেকেই রাজস্ব প্রশাসনের তিন শাখার কর্মকর্তারা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে আমরা যতটা ভয় পাচ্ছি; ততটা ভয়ের কিছু নেই। কারণ, বাণিজ্য অর্থনীতিতে চূড়ান্ত শত্রু বলে কিছু নেই। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমন মন্তব্য করেছেন।শনিবার (১৭ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এমন কথা বলেছেন এই অর্থনীতিবিদ। ইউএস ট্যারিফ বিষয়ে সরকারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ঠিকই ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের হাত-পা কাঁপানোর দরকার নেই।দেবপ্রিয় বলেন, এরই মধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা শুরু হয়েছে। আমাদের ওপর ট্যারিফ দিলে, এটা তাদের জন্যও ক্ষতি। তাদের পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে। কারণ, শুল্কের দাঁত তাদের ওপরও পড়বে। তাই আমাদের ওপর শুল্কের আঘাত তুলনামূলক হিসেবে আসছে না।এ সময় ড. দেবপ্রিয় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের হাতে দুই বছর রয়েছে। এই সময়টা আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি কি না সেটা দেখতে হবে। শুধু ট্রেড পলিসি দিয়ে এই ট্যারিফ মোকাবিলা করা যাবে না; পণ্য বৈচিত্র্যকরণে যেতে হবে। আমাদের শক্তির জায়গা থেকে চিন্তা করতে হবে। আমাদের মনোযোগ পণ্যের চেয়ে সেবাখাতে বেশি দিতে হবে।সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের নেগোসিয়েশন দক্ষতা কম। নেগোসিয়েশন দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, দুই হাতি যখন মারামারি করে, তখন নিচের ঘাস ক্রাশ (দলিত-মথিত) হয়। আবার তারা খেলা করলেও ঘাস ক্রাশ হয়। সুতরাং, চায়না এবং ইউএস-এর এই যুদ্ধে আমাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইউএস ট্যারিফ মোকাবিলায় তুলার জন্য ওয়্যারহাউস তৈরিসহ সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।সভায় বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র পরিচালক রাজিব হায়দার বলেন, প্রতিটি দুর্যোগের পর একটা সুযোগ আসে। কিন্তু সেই সুযোগ তারাই পায়, যারা বেঁচে থাকে। গ্যাসের যে দুর্যোগ শুরু হয়েছে, তাতে আমরা ব্যবসায়ীরা তো বেঁচেই থাকব না। প্রতিদিন গ্যাসের মিটার নামছে। আমাদের ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে। সুতরাং, আমাদের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। তিনি দ্রুত গ্যাস সমস্যার সমাধানে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনার দাবি জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ