বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে আসছে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এটি হতে যাচ্ছে এনটিআরসিএর ছয় নম্বর গণবিজ্ঞপ্তি, যা দেশের শিক্ষা খাতে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় নিয়োগ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগামী সোমবার (১৭ জুন) এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। তবে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২২ জুন থেকে। বিজ্ঞপ্তির খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে এবং কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা না হলে নির্ধারিত সময়েই এটি প্রকাশ করা হবে।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, এবার শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের জন্য বড় সুযোগ থাকলেও কিছু শর্ত থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া, যাদের নিবন্ধন সনদ তিন বছরের বেশি সময় আগে ইস্যু হয়েছে, তারাও এবারের নিয়োগের বাইরে থাকবেন।
এই প্রসঙ্গে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, “আমরা বয়সসংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলি এবং এমপিও নীতিমালার বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।”
এই নিয়োগ কার্যক্রমে দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পদের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আগ্রহী প্রার্থীদের এনটিআরসিএর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই বৈধ নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে এবং বয়সসীমা হবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হবে এনটিআরসিএর নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে, যাতে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই, প্রতিষ্ঠানের চাহিদা ও স্বয়ংক্রিয় সুপারিশ প্রক্রিয়া যুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, এনটিআরসিএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যেটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন ও সুপারিশ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর মূল লক্ষ্য হলো যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল ও সিনেট নির্বাচনে ভোটাদানে শিক্ষার্থীদের আঙুলে যে কালি দেওয়া হচ্ছে, সেটি ‘মুছে যাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল ও কয়েকজন শিক্ষার্থী।এমন অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, আমি বলব, আপনি যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কালি লাগানো মাত্র ঘষাঘষি না করেন, একটু শোকানোর সময় দেন, কালি উঠবে না, ইনশাআল্লাহ।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার কিছু পর থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে জুবেরী ভবন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য এ কথা বলেছেন।রাকসুতে দ্রুত ফলাফল দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে চান কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, নির্বাচনের ফল দিতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা লাগতে পারে বলে। ছয়টি ওএমআর মেশিন সর্বোচ্চ পারফরমেন্সে চললে এ সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে এই সময়টা দিতে হবে।উপাচার্য বলেন, ভোট পুরোপুরি সুষ্ঠুভাবে চলছে। ভেতরে ও বাইরে বড় ডিসপ্লেতে সব কার্যক্রম উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, সবাই দেখতে পারবেন কী হচ্ছে। রাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চলেছে।নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো এখন পর্যন্ত তেমন কিছু শোনা যায়নি। শুধু গরমে শিক্ষার্থীরা একটু কষ্ট পাচ্ছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী। মোট পরীক্ষার্থীর ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশই ফেল করেছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন। গড় ফেলের হার ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ।তবে অকৃতকার্যসহ অন্যান্য সবাই ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন গ্রহণ করা হবে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে https: //rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৫৯.৪০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৪৮.৮৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৫০.২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৫২.৫৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৬২.৫৭ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৫১.৮৬ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৫৭.৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৫১.৫৪ শতাংশ।চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ। যদিও ২০২৪ সালে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৩৮৮টি। সে অনুযায়ী এবার শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৪৩টি।অন্যদিকে, এবার ২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় একযোগে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।এবার চেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছেন ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৩ জান। এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১০ হাজার ১৩৭ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৬ হাজার ২৬০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬ হাজার ৯৭ জন, যশোর বোর্ডে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জনম, কুমিল্লা ২ হাজার ৭০৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২ হাজার ৬৮৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ হাজার ৬৭৪ জন, কারিগরি বোর্ডে ১ হাজার ৬১০ জন ও সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন।ফল জানবেন যেভাবেসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN-এর মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট ঠিকানা www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে। এ ছাড়া নির্ধারিত শর্ট কোড 16222-এ SMS করে ফল পাওয়া যাবে।এসএমএসের মাধ্যমে যেভাবে ফল পাবেনমোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ: HSC DHA ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।ফল পুনঃনিরীক্ষণএদিকে, ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd-এর মাধ্যমে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। আবেদন পদ্ধতি শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।এবারের এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা গত ১৯ আগস্ট শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ১২ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় বসেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ ছাত্রী। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১, রাজশাহীতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২, কুমিল্লায় ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০, যশোরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ ও চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৫ জন। এ ছাড়া বরিশালে পরীক্ষার্থী ৬১ হাজার ২৫, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩, দিনাজপুরে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ এবং ময়মনসিংহে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার ১০২ জন। কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফল ঘোষণার ২০ দিন আগে, ২৭ সেপ্টেম্বর মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী জুনায়েদ আমিন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফল জানতে এসে ছেলের জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে অঝরে কেঁদেন তার বাবা। এদিন সকালে নটরডেম কলেজে দেখা যায় এমনই এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। জুনায়েদ আমিনের বাবা মোরশেদুল আমিন পেশায় ব্যাংকার।কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোরশেদুল আমিন বলেন, ‘আমার ছেলে মামাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। বন্ধুদের সঙ্গে নৌকায় ঘুরতে গিয়ে নদীতে ডুবে মারা যায়। কেউ তাকে বাঁচাতে পারেনি। পড়াশোনায় সে খুব ভালো ছিল, কেউ তার সম্পর্কে খারাপ কিছু বলতে পারবে না। ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। এখন সে নেই—আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’এসব কথা বলার সময় বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন মোরশেদুল আমিন। নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও ছাত্রের মৃত্যুতে শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘ছেলেটির মৃত্যুর খবর আমরা জানি। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। সে খুব ভালো ছেলে ছিল, বাবা-মায়ের বাধ্য সন্তান ছিল এবং কলেজের ক্লাবে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। তার পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রইলো।’এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ অর্জন করেছেন জুনায়েদ আমিন। তিনি কলেজের বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন। গড় ফেলের হার ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ।সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।পরীক্ষার ফলাফলে এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সব দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। এ বছর পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। আর ছাত্র ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রীদের গড় পাসের হার ৬২.৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৫৪.৬০ শতাংশ।জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৬৯ হাজার ৯৭ জনের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ জন এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন।মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের আলিম পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারাদেশে গড় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৮ জন।বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারাদেশে গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬১০ জন।ভোরের আকাশ/মো.আ.