আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫ ০৩:০৯ পিএম
সুনামি আঘাত হানার কারণ ও তার রহস্য
রাশিয়ার কুড়িল দ্বীপপুঞ্জে বুধবার ৮.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামি আঘাত হেনেছে। এর প্রভাব যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
সুনামি কী এবং কীভাবে সৃষ্টি হয়?
সুনামি হলো এক ধরনের বিশাল সামুদ্রিক ঢেউ, যা ভূমিকম্প অথবা সমুদ্রের নিচে ভূমিধসের কারণে সৃষ্টি হয়। এই শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে নেওয়া।
পৃথিবীর বাইরের স্তর টেকটোনিক প্লেট দিয়ে গঠিত, যা অনেকটা পাজেলের টুকরোর মতো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। এই প্লেটগুলো খুব ধীরে ধীরে, বছরে মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার হেঁটে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই প্লেটগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে আটকে যায়।
যখন এই চাপ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়, তখন প্লেটগুলো আকস্মিকভাবে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যায় এবং প্রচুর শক্তি মুক্তি পায়, যা ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে। যদি ভূমিকম্পটি সমুদ্রের তলায় হয়, তখন তার প্রভাবে বিশাল জলরাশি ছড়িয়ে পড়ে, যার কারণে সুনামির সৃষ্টি হয়।
সুনামির ঢেউয়ের গতি ও উচ্চতা
সমুদ্রের গভীরে সুনামির ঢেউ গড়ে ঘণ্টায় ৪৫০ থেকে ৬০০ মাইল বেগে ছুটতে পারে, তবে সেখানে ঢেউয়ের উচ্চতা মাত্র কয়েক ফুট। তাই সমুদ্রে থাকা জাহাজ সাধারণত সুনামি টের পায় না।
কিন্তু সুনামি যখন উপকূলে পৌঁছায়, তখন তার গতি কমে আসে এবং ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যায়। কিছু ঢেউ ১০০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এমনকি মাত্র ১০ থেকে ২০ ফুট উঁচু সুনামি উপকূলে আঘাত হানলেই তা প্রাণ-প্রকৃতি এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
সূত্র: বিবিসি, ব্রাউন্সভিল
ভোরের আকাশ//হ.র