আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫ ১১:৪৮ পিএম
লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসীদের দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন
লস অ্যাঞ্জেলেসে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ফেডারেল সরকারের পরিচালিত আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) অভিযানে সহিংসতা ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর প্রধান টম হোমান বলেন, “আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসকে আরও নিরাপদ করে তুলছি।”
ল্যাটিনো অধ্যুষিত প্যারামাউন্ট জেলায় চলমান অভিযানের বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কাঁদানে গ্যাস, ফ্ল্যাশ ব্যাং এবং লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভের কারণে হোম ডিপোর আশপাশের এলাকা ধোঁয়া ও গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
আইসিই জানায়, চলতি সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে পরিচালিত অভিযানে মোট ১১৮ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধু শুক্রবারই গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৪ জন।
এই অভিযানকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে সমালোচনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার গভর্নর নিউসম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন, তবে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইসিই অফিসার ও ফেডারেল এজেন্টদের উপর সহিংস হামলা হয়েছে, যা গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে।”
এফবিআইয়ের উপ-পরিচালক ড্যান বোঙ্গিনো এক্স-এ দেওয়া একটি পোস্টে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তোমরা বিশৃঙ্খলা করবে, আর আমরা হাতকড়া নিয়ে আসব। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে।”
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস আইসিই-এর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেছেন, “আইসিই এই শহরে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে।”
প্যারামাউন্টের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অনেক অনথিভুক্ত অভিবাসী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আটকা পড়ে আছেন এবং বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। উল্লেখযোগ্য যে, এই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা হিস্পানিক।
এখনও এলাকাটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে অব্যাহতভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ।।হ.র