আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৮:১৬ পিএম
গাজায় এখনো ৪০ হাজার হামাস যোদ্ধা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে
গাজা উপত্যকায় এখনো প্রায় ৪০ হাজার হামাস যোদ্ধা সক্রিয়ভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তেল আবিবের সাবেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইয়েজহাক ব্রিক।
রবিবার (৬ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি পত্রিকা মারিভে প্রকাশিত একটি বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধে ব্রিক উল্লেখ করেন, “যুদ্ধ শুরুর আগে হামাসের যে সামরিক শক্তি ছিল, তা দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এখন আবার পুনর্গঠিত হয়েছে। হামাসের যোদ্ধার সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার, যা যুদ্ধ পূর্ব সময়ের সঙ্গে প্রায় সমান।”
তার ভাষায়, “অনেক হামাস যোদ্ধা এখনো গাজার সুড়ঙ্গপথে অবস্থান করছে এবং সেখান থেকেই তারা গেরিলা কৌশলে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।”
ব্রিক আরও বলেন, “হামাস কখনোই প্রচলিত অর্থে একটি সেনাবাহিনী ছিল না। তারা মূলত গেরিলা যোদ্ধা, আর তাই তাদের পুরোপুরি ধ্বংস করা যায়নি। এদের সামরিক সক্ষমতা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে—এমনটা ভাবাটা হবে মারাত্মক ভুল।”
ব্রিকের এই মন্তব্য ইসরায়েল সরকারের প্রচলিত অবস্থানের বিপরীতে এসেছে। যেখানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বারবার দাবি করে এসেছে যে, তারা হামাসকে প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ করে দিয়েছে।
তবে ব্রিকের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে ভিন্ন বাস্তবতা। তিনি মনে করেন, গাজায় হামাসের সংগঠিত প্রতিরোধ এখনো বিদ্যমান এবং তা আগের চেয়েও সংঘটিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মন্তব্য গাজা যুদ্ধের আসল চিত্র উন্মোচন করে এবং হামাসের পুনর্গঠিত সামরিক উপস্থিতি সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এবং অঞ্চলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দীর্ঘদিনের এ সংঘর্ষে ইসরায়েল দাবি করে, তারা হামাসের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে ব্রিকের এই বক্তব্য সেই দাবির ওপর প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক এই জেনারেলের মূল্যায়ন যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা এবং ভবিষ্যতের সামরিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ভোরের আকাশ//হ.র