ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:২৪ পিএম
কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা ও স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দুই দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। এই দুই দফা না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সারা দেশের বিচার বিভাগের কর্মচারীরা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল অনুযায়ী সব ধরনের সুবিধা দিতে হবে।
একইসঙ্গে যুযোপযোগী পদ বানিয়ে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ণ করতে হবে। এ নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে স্মারকলিপি দেওয়াসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করে আসছি। সম্প্রতি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কাছেও এসব দাবি তুলে ধরা হয়। আমাদের দাবি যৌক্তিক হিসেবে মেনে নিলেও সরকারের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনের সুপারিশে কোনো প্রস্তাব রাখেনি তারা।
এরই মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু সহায়ক কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেই। এতে অধস্তন আদালতের প্রায় ২০ হাজার সহায়ক কর্মচারী আশাহত। অথচ বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারীরাই বিচারপ্রার্থীদের সেবায় দিনরাত নিরলস কাজ করছেন।
এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে রেজোয়ান খন্দকার বলেন, আমাদের দুই দফা ন্যায্য দাবি আগামী ৫ মে তারিখের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে সারা দেশের অধস্তন বিচার বিভাগের কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ৫ মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এর পরেও দাবি না মানলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. ছালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক আহাম্মেদ রিংকুসহ সারা দেশের বিচার বিভাগের কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা হওয়ার পর বিচারকদের জন্য ছয়টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। তবে ওই স্কেলে সহায়ক কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ৫ ঘন্টা আগে
আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা ও স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দুই দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। এই দুই দফা না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সারা দেশের বিচার বিভাগের কর্মচারীরা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল অনুযায়ী সব ধরনের সুবিধা দিতে হবে।
একইসঙ্গে যুযোপযোগী পদ বানিয়ে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ণ করতে হবে। এ নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে স্মারকলিপি দেওয়াসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করে আসছি। সম্প্রতি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কাছেও এসব দাবি তুলে ধরা হয়। আমাদের দাবি যৌক্তিক হিসেবে মেনে নিলেও সরকারের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনের সুপারিশে কোনো প্রস্তাব রাখেনি তারা।
এরই মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু সহায়ক কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেই। এতে অধস্তন আদালতের প্রায় ২০ হাজার সহায়ক কর্মচারী আশাহত। অথচ বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারীরাই বিচারপ্রার্থীদের সেবায় দিনরাত নিরলস কাজ করছেন।
এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে রেজোয়ান খন্দকার বলেন, আমাদের দুই দফা ন্যায্য দাবি আগামী ৫ মে তারিখের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে সারা দেশের অধস্তন বিচার বিভাগের কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ৫ মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এর পরেও দাবি না মানলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. ছালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক আহাম্মেদ রিংকুসহ সারা দেশের বিচার বিভাগের কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা হওয়ার পর বিচারকদের জন্য ছয়টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। তবে ওই স্কেলে সহায়ক কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ