বিচারপতি অসুস্থ শুনানি অনিশ্চিত

নিবন্ধন ফেরাতে জামায়াতের আপিল

বিচারপতি অসুস্থ শুনানি অনিশ্চিত

এম বদি-উজ-জামান

প্রকাশ : ১ সপ্তাহ আগে

আপডেট : ৯ ঘন্টা আগে

বিচারপতি অসুস্থ শুনানি অনিশ্চিত

বিচারপতি অসুস্থ শুনানি অনিশ্চিত

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন না থাকায় দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী নামে ভোট করা তথা নির্বাচন করার এখতিয়ার নেই দলটির। নির্বাচনি আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইসির নিবন্ধনহীন কোনো দল নিজ দলের ব্যানার ও প্রতীক নিয়ে নির্বাচন তথা ভোট করতে পারবে না। দল হিসেবে এই মুহূর্তে জামায়াত নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আপিল এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে বিচারাধীন। ফলে দলটির নির্বাচনি ভাগ্য ঝুলে আছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের হাতে। গত জানুয়ারিতে এই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হলেও আংশিক শুনানির পর তা বন্ধ রয়েছে। আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এই শুনানি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ছুটি চলছে। আগামী ২০ এপ্রিল নিয়মিত কোর্ট খুলবে। 

এর আগে জামায়াতের নিবন্ধনবিষয়ক আপিলের শুনানির সুযোগ নেই। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারি জামায়াতের আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আংশিক শুনানির পর পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয় ২১ জানুয়ারি। নির্ধারিত দিনে শুনানির আগেই একজন বিচারপতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে ২১ জানুয়ারি আর শুনানি হয়নি। আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী অসুস্থ থাকায় শুনানি বন্ধ থাকে। এই বিচারপতি সুস্থ হয়ে আদালতে বসলেই কেবল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হবে। দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরের আশা, বিচারক সুস্থ হয়ে আদালতে বসার পরই পরবর্তী শুনানি ও মামলাটি নিষ্পত্তি হতে পারে।

এদিকে গত ২০ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ শুরু হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি, পবিত্র ঈদুল পিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি এবং সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ছুটি মিলে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত বিচার কাজ বন্ধ থাকছে। তবে এ সময় জরুরি মামলার বিচার কাজের জন্য আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে অবকাশকালীন বেঞ্চ থাকছে। ফলে আগামী ২০ এপ্রিলের আগে জামায়াতের নিবন্ধনের মামলার শুনানির সুযোগ নেই। কার্যত ছুটি শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিচারপতি সুস্থ হয়ে বিচার কাজে ফিরে আসলেই জামায়াতের নিবন্ধনবিষয়ক মামলার শুনানি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্টে দলটির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ভোরের আকাশকে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। ইতোমধ্যেই এই আপিলের ওপর আংশিক শুনানি হয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি অসুস্থ থাকায় শুনানি বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিচারপতি সুস্থ হয়ে যোগদান করলেই অসমাপ্ত শুনানি সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, ঠিকভাবে শুনানি সম্পন্ন হলে আদালতের সিদ্ধান্ত জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যাবে।

দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বাদানুবাদ চলছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুত নির্বাচন দাবি করছে। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বিষয়ে সংস্কারের পর নির্বাচন হবে বলে বলা হচ্ছে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

দেশের রাজনৈতিক দল হিসেবে জনসমর্থনের দিক থেকে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পর জামায়াতের অবস্থান। জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অবস্থান বিরুদ্ধে হওয়ায় দেশে এখন প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও জামায়াত। এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচনের জন্য দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সরকারের ওপর ক্রমশঃ চাপ বাড়াচ্ছে। ইতোমধ্যেই দলটির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৭টি রাজনৈদিক দল বৈঠক করেছেন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এবং তাদেরই একটি অংশ নিয়ে গড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারাও সেই বৈঠকে ছিলেন। এই মুহূর্তে বিএনপির পর ইসিতে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো নিবন্ধন নেই। ফলে এই দুই শক্তির নিবন্ধন ছাড়া তারা স্বনামে নির্বাচনি মাঠে থাকতে পারছে না। যদিও গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াত নেতারা। ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিলের পর অর্থাৎ এক যুগ পর ইসির সঙ্গে জামায়াতের প্রথম কোনো বৈঠক ছিল এটা। নিবন্ধন না থাকলেও ইসির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপি নির্বাচনের জন্য তড়িঘড়ি করলেও জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের ব্যাপারে গড়িমসি করছে। কার্যত নিবন্ধন না থাকায় দলটির অবস্থান নির্বাচন বিলম্বের পক্ষে। এমন প্রেক্ষাপটে জামায়াত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দলটির নিবন্ধনের মামলা চলমান। এই মামলা নিষ্পত্তির ওপর তাদের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ভর করছে। আপিল বিভাগ থেকে দলটির অনুকূলে রায় হলেই কেবল ইসির নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে পারে। সে পর্যন্ত দলটিকে অপেক্ষা করতে হবে। আর আপিল বিভাগে কবে নাগাদ মামলাটি নিষ্পত্তি হবে এবং আদালতের সিদ্ধান্ত দলটির অনুকূলে হবে কীনা তা নির্ভর করছে পুরোপুরি আদালতের ওপর। আপিল বিভাগে জামায়াতের আপিলের ওপর শুনানি চলছে। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে জামায়াতকে। আদালত থেকে কি সিদ্ধান্ত আসবে তা কারো জানা নেই। অনিশ্চিত এই অবস্থায় নির্বাচন বিলম্বে হওয়ার পক্ষে দলটির অবস্থান বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা পরবর্তী সময়ে আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। ওই বছরের ২ নভেম্বর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এর পরই নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে জামায়াতের নাম বাদ দেয় ইসি। যদিও জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। হাইকোর্টের রায় প্রকাশের পর ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আপিল বিভাগে আপিল আবেদন দাখিল করে জামায়াত। একইসঙ্গে পৃথক লিভ টু আপিল আবেদন করা হয়। ওই দুটি আবেদন ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করেন আপিল বিভাগ। ওইদিন জামায়াতের পক্ষের আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে আপিল বিভাগ আপিল খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।

গতবছর ২২ অক্টোবর আদালত প্রায় এক বছরের বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ (পুনরুজ্জীবিত) করেন আপিল বিভাগ। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ওই সময়কার প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অপরাপর বিচারপতিরা পদত্যাগ করেন। এমন অবস্থায় ২৮৬ দিন দেরি মার্জনা করে আপিল এবং ২৯৪ দিন দেরি মার্জনা করে লিভ টু আপিল আবদেন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য দলটির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি আবেদন করা হয়। আবেদন দুটি গত বছর ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। আবেদন দুটি মঞ্জুর করার পর জামায়াতের আপিলটির ওপর আপিল বিভাগে শুনানির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এরপর শুনানি শুরু হয়।

রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন(ইসি)। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। এই রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি ও গত ৬ আগস্ট পদত্যাগী) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগী) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা পরবর্তী সময়ে আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। 

এর আগে রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে জামায়াত আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ওই বছরের ২ নভেম্বর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এর পরই নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে জামায়াতের নাম বাদ দেয় ইসি। যদিও জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।

নিবন্ধন হারানোর কারণে নিজের দলের ব্যানারে আর নির্বাচন করতে পারেনি জামায়াত। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে দলটি। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে দলটির নেতারা। তবে দলটির কোনো কোনো নেতা আপেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে গতবছর ১ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তখনকার সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ১৮(১) ধারার ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর থেকে রাজনৈতিক মাঠে কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। 

  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউটর সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল

ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউটর সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা

চাঁনখারপুলে গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে : চিফ প্রসিকিউটর

চাঁনখারপুলে গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে : চিফ প্রসিকিউটর

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস

মন্তব্য করুন