নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫ ১১:৩৩ পিএম
সেনা কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করলেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা
চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিনভর বিক্ষোভ শেষে রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যায় আন্দোলন স্থগিত করেছেন বিভিন্ন সময় সশস্ত্র বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া ব্যক্তিরা। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকের পর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তারা কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল—চাকরি পুনর্বহাল, পেনশনের আওতায় আনা, পুনরায় আবেদন না করার সুযোগ, এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এসব দাবি মানবিকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, “যাঁদের চাকরির মেয়াদ ১০ বছরের কম, তাঁদের পুনর্বহালের চেষ্টা করা হবে। যাঁরা চাকরির মেয়াদ শেষ করেছেন, তাঁদের পেনশনের আওতায় আনা হবে। আর যাঁরা ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার দরকার নেই। যাঁরা এখনো আবেদন করেননি, তাঁদের আজ রাতের মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”
আন্দোলনকারীদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক নাঈমুল ইসলামসহ গ্রেপ্তার তিনজনের মুক্তি। কামরুজ্জামান জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং আগামীকাল (সোমবার) তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করছি।”
এর আগে দুপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রথম দফা বৈঠকে বসেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমান। পরে দ্বিতীয় দফায় প্রায় সোয়া ঘণ্টা দীর্ঘ আলোচনা শেষে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসে।
তবে বৈঠক শেষে প্রেসক্লাব এলাকা ত্যাগের সময় কিছু আন্দোলনকারী সেনা কর্মকর্তাদের গাড়িবহরের পেছনে স্লোগান দিতে থাকলে, সেনাসদস্যরা তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এই ঘটনার পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বড় ধরনের কোনো সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ//হ.র