হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
গাজীপুরে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা। এর প্রতিবাদে রাজধানীর বাংলামোটরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
রোববার (৪ মে) রাত ১০টার দিকে শত শত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। নানা স্লোগানে মিছিলটি শাহবাগের দিকে এগোচ্ছে।
এ সময় তারা হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার ও আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি জানান।
এর প্রতিবাদে হাসনাতের নিজ এলাকা কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ছাত্র জনতা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা কাজী নাছির, রাকিবুল ইসলাম হৃদয়, নাজমুল হাসান নাহিদ, মুহতাদির যায়িফ সিক্ত, সাজেদুল রাশেদ রাফসান প্রমুখ। এসময় বক্তারা হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের মসনদ উড়িয়ে দিয়ে জাতীর আস্থায় আশা ছাত্র-জনতার গড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত হওয়ার ফলে জনমত ধরে রাখতে না পারা এবং রাজনৈতিক পরিপক্কতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেসকসহ রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।তাদের ভাবনায়, নির্বাচনী জোট গঠন ইস্যুতে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কাছে গুরুত্বহীন হয়েছে এনসিপি। একসময় জোট গঠনে আগ্রহ দেখালেও এনসিপিকে নিয়ে দল দুটি এখন বেশ কৌশলী। নিজেদের জায়গা থেকে এনসিপিকে জোটে পেতে তৎপরতা দেখাচ্ছে না বাংলাদেশ বিএনপি ও জামায়াত এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে, এনসিপির শীর্ষ নেতারা ভিন্ন কথা বলছেন। তাদের দাবি, দলের বড় বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে গিয়ে জোট গঠন বা স্বতন্ত্রভাবে পথ চলতে চাইছেন তারা। নেতাদের মতামতকে প্রধান্য দিতেই ‘আপাতত’ বড় দুই দলের সঙ্গে জোট হচ্ছে না।অন্যদিকে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে জোট করার লক্ষ্যে এনসিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) এর সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করলেও এখনই হচ্ছে না বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা রগেছে। নতুন এই জোট গঠনের বার্তা দিলেও বিএনপি বা জামায়াত এনিয়ে কোন মন্তব্য করছেন না।এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন বলেন, দলের নির্বাহী কমিটির ৯৫ ভাগ নেতা বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে জোট করার বিপক্ষে। বিএনপির নানান অপকর্ম আর জামায়াতের ঐতিহাসিক বিতর্কের দায় নিতে চান না তারা।বিএনপি ও জামায়াতে তাদের গুরুত্ব কমেছে কিনা সে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, আমরাই আপাতত আমরা তাদের সঙ্গে জোট করতে চাইছি না।বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা জানান, এনসিপিকে কাছে পেতে তারা এখন খুব একটা তৎপর নয়। কারণ, গণঅভ্যুত্থানের পরপরই ছাত্রদের প্রতি জনসাধারণের এক ধরণের আগ্রহ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার বিপরীত হয়েছে। এছাড়া দল গঠনের পর এনসিপি সাংগঠনিকভাবে খুব একটা জনসমর্থন পায়নি। তাই দলটিকে জোটে নিতে খুব একটা আগ্রহী নয় বিএনপি। বরং বিএনপি জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া দুইজন ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছে। তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, বিএনপির সঙ্গে থাকলে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। দলটি তাদের দুইজনকে মনোনয়ন দিচ্ছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হয়েছেন। তিনি উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ভোট করবেন বলেও আলোচনা হচ্ছে। উপদেষ্টা তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে নিয়ে এমন গুঞ্জন রয়েছে। কিছুদিন আগে লক্ষীপুরের রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাহফুজের পিতা আজিজুর রহমান।এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে টার্গেট করে কাছে নেয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। সম্প্রতি জুলাইয়ে শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধ বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এনসিপিকে গুরুত্বহীন করতেই দলটির এমন কৌশল বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জোট গঠনে এনসিপি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিল। কিন্তু চূড়ান্ত হয়নি।তিনি বলেন, শুধুমাত্র এনসিপি নয়, আরো অনেক দল আলোচনা করলেও সবার সঙ্গে তো জোট গঠন হবে না।এদিকে, জামায়াতেরও এনসিপিকে নিয়ে রয়েছে ভিন্ন চিন্তা। দলটি এনসিপির বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থান ব্যক্ত করলেও নির্বাচনী জোট করার বিষয়ে খুব আগ্রহ দেখাবে না। দলটির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, অন্য কোন দলের সঙ্গে জোট করলেও হয়তো শেষ সময়ে এনসিপি বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতের সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের আসনে ছাড় দেয়ার তৎপরতা চালাতে পারে। তখন জামায়াত জুলাই আন্দোলনের স্পিরিটকে মূল্যায়নের কথা বলে বিষয়টিতে ইতিবাচক সাড়া দেবে।এ বিষয়ে জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বিশেষ করে জুলাই চেতনা ধারণকারী কারো জন্যে দরজা বন্ধ করেনি জামায়াত।এনসিপি আসতে চাইলে আমরা না করছি না। এনসিপিকে জোটে আনতে কোন তৎপরতা আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একান্ত তাদের (এনসিপি) বিষয়।এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের এমন মনোভাবের পর বড় দলের সঙ্গে জোট গঠন প্রশ্নে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। তারা বিএনপি ও জামায়াত দুই দলের সমালোচনা করে চাপে রাখতে চায়। বোঝাতে চায় এনসিপি নিজস্ব অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচনী জোট না করলেও জুলাই আন্দোলনে নিজেদের ত্যাগের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসে ‘বিশেষ মাধ্যমে’ তফসিলের আগেভাগে শীর্ষ পাঁচ থেকে ছয় নেতার আসনে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থন নিতে চায় দলটি। তাই, এখনো দলটির শীর্ষ নেতারা দুই দলের সমালোচনা করলেও উভয়দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।এনসিপির যুগ্ম-সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, অনেকে এনসিপির নির্বাচনী জোট করা নিয়ে প্রোপাগাণ্ড ছড়াচ্ছে। আমরা তিন দল বা সংগঠন নিয়ে একটি জোট গঠনের কথা ভাবছি। শীর্ঘই তিনদলের নতুন জোট ঘোষণা করা হবে। আর বিএনপি-জামায়াতের কাছে এনসিপির আগ্রহ কমেছে বলেও একটি গ্রুপ অপপ্রচারে নেমেছে। এসবের কোন ভিত্তি নেই।জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পরে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিকে ঘিরে পুরনো দলগুলোকে নানা হিসাব-নিকাশও করতে দেখা গেছে। রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, রাজনৈতিক দল এবি পার্টি এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ এরই মধ্যে জোট গঠনের আলোচনায় শুরু করেছে। গত মাসখানেক ধরেই নানা কর্মসূচিও করেছে তারা। একইসাথে যেসব দল এই জোট গঠনের বিষয়ে ইতিবাচক সেসব দলগুলোও এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। নভেম্বর মাসের শুরুতেই রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহ্বানে তাদের কার্যালয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল এক বৈঠক করে। এই জোটের আলোচনায় মোট নয়টি দলের অংশ নেওয়ার কথা জানা যাচ্ছে।এসব দলের মধ্যে রয়েছে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, এবি পার্টি, গণতন্ত্র মঞ্চ। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, এই আলোচনা বেশ আগে থেকেই হচ্ছে কিন্তু এখন এটা একটা গতি পেয়েছে। নয় দল বিভিন্ন সময় নানা বৈঠক, কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছে।কেন এই জোট গঠনের উদ্যোগ এমন প্রশ্নে কাইয়ুম বলেন, অভ্যুত্থানের যে আশা এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য যে সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজেদের কাছাকাছি মনে করে এবং যারা বিএনপি-জামায়াত জোটের বাইরে থেকে রাজনীতি করতে চায় তাদেরকে নিয়ে এই ঐক্যের আলোচনাটা হচ্ছে। এটা প্রধানত একটা রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা।গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরও জোট গঠনের এই আলোচনায় নিজের দলের ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দলগুলোর সাথে বেশ কয়েকবার আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কনক্রীট সিদ্ধান্তে আসা যায় নাই। জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত অগ্রগতি হলেই তখন আত্মপ্রকাশ বা আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হতে পারে।নির্বাচনের আগে কেন এই তৎপরতা এমন প্রশ্নে নূর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটটা যদি দেখেন কোন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের কিংবা নেতৃত্বে তা হয়নি। একেবারেই বিচ্ছিন্নভাবে কিছু তরুণ যারা সংগ্রাম করেছে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বা জেলা শহরে তাদের ডাকেই একটা ম্যাস মুভমেন্ট হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের একটা পরিষ্কার ঘোষণা ছিল যে আমরা একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গঠনের মাধ্যমেই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই।গত ১৫ মাসের অভিজ্ঞতায় রাজনীতিতে কালো টাকা, প্রশাসনে আধিপত্য বিস্তারের পুরোনো ব্যবস্থা পরিবর্তনে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার কারণেই এই জোট গঠনের বিষয়টি চিন্তা- ভাবনা ও আলোচনা হচ্ছে বলে জানান এই সভাপতি নূর।যেসব দল নতুন জোট গঠন নিয়ে আলোচনায় অগ্রসর হয়েছে সেগুলোর নেতারা বলেন, ভোটের রাজনীতিতে এর তেমন প্রভাব না থাকলেও, জোট গঠনের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে।জোট গঠনের বিষয়ে নিজের দলের ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, ভোটের মাঠে ইম্প্যাক্ট কিছুটা কম হলেও রাজনৈতিক গুরুত্বের বিবেচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দলগুলোকে জনবান্ধব এবং সংস্কারপন্থী, গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিতে এক রকমের বাধ্য করবে। রাষ্ট্রের আগের যে এককেন্দ্রিক ক্ষমতা কাঠামো আছে, এক ব্যক্তি রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার কুক্ষিগত রাখা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, ভারসাম্য আনা এই যে জুলাই সনদে যে প্রস্তাবগুলো আসছে সেটার বাস্তবায়নে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলছেন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২৬-২০২৮ মেয়াদে তৃতীয়বারের মতো আমির নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান।শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ডা. শফিকুর রহমানকে শপথ পাঠ করালেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম। এসময় দলটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশের সদস্যদের (রুকনদের) কাছ থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ভোট গণনা শেষ করেন।পরে ১ নভেম্বর রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংগঠনের আমির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন ডা. শফিকুর রহমান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর সারাদেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও তাদের সহযোগী অঙ্গসংগঠন। যার অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এর আগে বিএনপি মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় ঢাকাসহ দেশের সব মসজিদে জুমার পর বিশেষ দোয়া করা হবে।দলটি জানিয়েছিল, বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন এবং সাধারণ জনগণের সব স্তরকে এই দোয়ায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।এ ছাড়া দেশের অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও নিজ নিজ উপাসনালয় মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সবাই খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন; যেন তিনি সুস্থ হয়ে আবার দেশের মানুষের সেবা করতে পারেন।’শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ জুম্মা রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় অবদান রেখেছেন। তিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, কারাভোগ করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। আমরা জানি, গত দুদিন ধরে তিনি আবার অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং গতকাল রাতেই ডাক্তাররা বলেছেন যে, তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়। তিনি বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য সারা দেশের জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছিলাম এবং সারা দেশের মসজিদে মসজিদ দোয়া হচ্ছে। আজকে আমরা এখানে এই নয়া পল্টনের মসজিদে নামাজ আদায় করে সবাই খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছি। আল্লাহ যেন তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেন।এর আগে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন এমন একটি সময়, যখন গোটা জাতি অপেক্ষা করে আছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমরা ফিরে যেতে সক্ষম হব। আমরা সবাই এটা চাই। একইসঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রে ফিরে যেতে চাইলে আমাদের অপরের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকেও মূল্য দিতে হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.