ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫ ০২:২৯ এএম
দাউদ (আ.)-এর সেই গুণ যা আল্লাহর কাছে প্রিয় ছিল
হজরত দাউদ (আ.) ছিলেন বনী ইসরাঈলের নবী। চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করা এই নবী শতায়ু লাভ করেছিলেন এবং তার সন্তান সংখ্যা ছিল ১৯। তার পুত্র সুলায়মান নবুয়ত ও শাসন ক্ষমতায় পিতাকে স্থলাভিষিক্ত হন। আল্লাহ পিতা ও পুত্রকে অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করে সৃষ্টি করেছিলেন।
দাউদ (আ.) অত্যন্ত মধুর কণ্ঠে জাবুর পাঠ করতেন। তার কণ্ঠের মাধুর্যে পশু, পাখি এবং মাছও বিমোহিত হতো। এই কারণে ‘দাউদি কণ্ঠস্বর’ প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে।
তিনি নিয়মিত একদিন পর পর রোজা রাখতেন। রাতের এক তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন এবং বাকি অংশে ঘুমাতেন। ইসলামের হাদিসে উল্লেখ আছে, আল্লাহ তায়ালা দাউদ (আ.)-এর নামাজ ও রোজাকে সবচেয়ে প্রিয় বলে গণ্য করেছিলেন। (বুখারি: ১১৩১, মুসলিম: ১১৫৯)
পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, মহানবী (সা.)-এর ওপর মক্কার কাফেররা নির্যাতন চালানোর সময় আল্লাহ দাউদ (আ.)-এর ধৈর্যধারণ ও আল্লাহভক্তি স্মরণ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন:
“তারা যা বলে তাতে আপনি ধৈর্য ধারণ করুন এবং স্মরণ করুন আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদের কথা; তিনি ছিলেন খুব বেশি আল্লাহ অভিমুখী।” (সুরা সোয়াদ, আয়াত: ১৭)
দাউদ (আ.)-এর এই ধৈর্য ও নিষ্ঠার জীবন মুসলমানদের জন্য আজও এক অনুপ্রেরণা।
ভোরের আকাশ//হ.র