ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫ ০১:৩৯ এএম
রাগ কমাতে হাদিসে যে পরামর্শ দিয়েছেন রাসুল (সা.)
রাগ মানুষের এক প্রাকৃতিক অনুভূতি হলেও, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় রাগ সমাজ ও পারিবারিক জীবনে বড় ধরনের অশান্তি ডেকে আনে। ইসলাম রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং কুরআন-হাদিসে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।
হাদিসে বলা হয়েছে, অহেতুক রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। এটি আগুনের মতো, যা সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে। আগুন যেমন বস্তু জ্বালিয়ে দেয়, তেমনি রাগ মানুষের মনুষ্যত্ব, পারিবারিক সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে ভেঙে দিতে পারে। এ কারণে ইসলাম রাগ দমন করতে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে।
রাগ কমাতে কী করণীয়?
হজরত আবু জর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: “যদি তোমাদের কেউ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রাগান্বিত হয়, তাহলে সে যেন বসে পড়ে। যদি এতে রাগ চলে যায়, তাহলে ভালো। আর যদি না যায়, তাহলে শুয়ে পড়ে।”— (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২১৩৪৮)
অন্য একটি হাদিসে, সাহাবি আবু ওয়াইল আল-কাস (রহ.) বর্ণনা করেন, একবার উরওয়াহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সাদী (রহ.)-কে কেউ রাগিয়ে দিলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে গিয়ে অজু করেন। এরপর বলেন, “আমার দাদা আতিয়্যাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, রাগ হলো শয়তানী প্রভাবের ফল। শয়তান আগুন থেকে সৃষ্টি হয়েছে, আর আগুন নিভে যায় পানি দিয়ে। অতএব, কেউ যদি রাগান্বিত হয়, সে যেন অজু করে নেয়।”— (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৪)
রাগ নিয়ন্ত্রণে রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা:
হাদিসের আলোকে রাগ কমানোর জন্য নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে—
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই উপায়গুলো শুধু ধর্মীয় নির্দেশনা নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও কার্যকর। আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে আবেগ নিয়ন্ত্রণের এ পদ্ধতি মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়।
রাগ যখন মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন তা ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী চললে রাগ কমে, সম্পর্ক টিকে থাকে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত রাগ দমনে হাদিসের পরামর্শ অনুসরণ করা এবং নিজেকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করা।
ভোরের আকাশ//হ.র