ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫ ০৯:২৮ এএম
ওমরা পালন করা ফরজ, ওয়াজিব না কি সুন্নত? জেনে নিন ইসলামের নির্দেশনা
অনেকেই ওমরাহ (ওমরা) নিয়ে বিভ্রান্ত থাকেন—এটি কি ফরজ, ওয়াজিব, না কি সুন্নত? ইসলামিক স্কলাররা বলছেন, ওমরা পালন ফরজ নয়, তবে জীবনে একবার সামর্থ্য অনুযায়ী ওমরা পালন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। অর্থাৎ, এটি এমন সুন্নত যা গুরুত্ব সহকারে পালন করা উচিত।
ওমরাহ পালন করার শর্ত
হজের মতো ওমরার জন্যও কিছু শর্ত পূরণ হওয়া জরুরি—
প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ দেহের অধিকারী হওয়া
শরীরিকভাবে ও আর্থিকভাবে সক্ষম হওয়া
নিজের, পরিবারের ও নির্ভরশীলদের খরচ নিশ্চিত করার পর অতিরিক্ত অর্থ থাকা
এই শর্তগুলো পূরণ হলে, ওমরা পালন করা একজন মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ওমরা করার নির্দিষ্ট সময় আছে কি?
ওমরা বছরের যেকোনো সময় করা যায়। তবে জিলহজ মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখ—এই পাঁচ দিনে ওমরা করা মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। বাকি সময়, বিশেষ করে রমজান মাসে, ওমরা করার ফজিলত অনেক বেশি।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "রমজানে একটি ওমরা আমার সঙ্গে একটি হজ করার সমতুল্য।"
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৬৩)
রমজান মাসে ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত বেড়ে যাওয়ায়, ওমরা পালনের সাওয়াবও অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।
ওমরার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
গুনাহ মাফের উপায়
“এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ—এই দুটির মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা।”
(বুখারি, হাদিস: ১৭৭৩)
“ধারাবাহিকভাবে হজ ও ওমরা আদায় করো। এ দুটি দারিদ্র্য ও গুনাহ দূর করে দেয়, যেমন আগুন ধাতুর ময়লা ঝরিয়ে দেয়।”
(তিরমিজি, হাদিস: ৮১০)
“হজ ও ওমরাকারী আল্লাহর মেহমান। তিনি তাদের ডেকেছেন, তারা সাড়া দিয়েছে। তারা চাইলে তিনি তা দিয়ে দেন।”
(ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৮৯৩)
ওমরাহ ফরজ নয়, তবে সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার তা পালন করা জোরালো সুন্নত। এর মাধ্যমে যেমন গুনাহ মাফ হয়, তেমনি এটি একজন মুসলমানকে আল্লাহর নৈকট্যে নিয়ে যায়। আর রমজান মাসে ওমরা করার ফজিলত তো হজের সমতুল্য!
আপনি যদি সক্ষম হন—তাহলে ওমরাহ পালন করে এই বরকতময় ইবাদতের অংশীদার হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
ভোরের আকাশ//র.ন