ফাইল ছবি
এ বছর সৌদি আরবের মক্কায় হজ পালন করেছেন বিশ্বের ১৬ লাখের বেশি মুসলমান। বিশ্বের ১৭১ টি দেশ থেকে হজ পালন করেছেন তারা। এ বছর হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন হাজি।
এর মধ্যে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ নিবন্ধিত হাজি ছিলেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৪ জন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজির সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৬ হাজার ৫৭৬ জন। পুরুষ হাজির সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪১ জন। নারী হাজির সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ জন।
এই হাজিদের মধ্যে বিমানে সৌদি আরবে গমন করেছেন ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৭ জন। নৌপথে সৌদিতে গেছেন ৫ হাজার ৯৪ জন। মাইক্রো, কার ও এ জাতীয় পরিবহনে হজ করতে গেছেন ৬৬ হাজার ৪৬৫ জন হজযাত্রী।
আজ (৫ জুন) সৌদি আরবের আরাফায় পালিত হয়েছে হজের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ফরজ উকুফে আরাফা বা আরাফায় অবস্থান। ভোরে মিনা থেকে আরাফার উদ্দেশ্যে রওয়া দিয়েছিলেন হাজিরা। আরাফায় হজের খুতবা শুনেছেন তারা। সেখানে একত্রে জোহর ও আসর আদায় করছেন। দোয়াটা সময় আমল-ইবাদত ও দোয়ায় কাটিয়েছেন। সূর্যাস্তের পর আরাফা থেকে মুজদালিফায় যাবেন হাজিরা, সেখানে রাতযাপন করবেন।
১০ জিলহজ তারিখে ওকুফে মুজদালিফা শেষে তারা রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
এরপর তারা বড় শয়তানকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন এবং কোরবানি করবেন। এরপর মাথা মুণ্ডিয়ে বা চুল ছেঁটে ইহরাম খোলার মাধ্যমে ইহরামমুক্ত হবেন।
১১ জিলহজ হজযাত্রীরা ছোট, মাঝারি ও বড় তিনটি শয়তানকে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। রমি শেষে তারা কাবা শরিফে ‘তাওয়াফে জিয়ারত’ করবেন এবং এরপর সাফা-মারওয়া সাঈ সম্পন্ন করবেন।
১২ জিলহজ তারিখে সূর্য ঢলে পড়ার পর তিনটি শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করা হবে। ১৩ জিলহজ রমি জামেরাত শেষে হজযাত্রীরা মিনা থেকে তাদের বাসস্থানে ফিরে যাবেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর। একবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তারা একসঙ্গে থাকেন। আবার একসঙ্গে থাকতে থাকতে দুজনের সম্পর্ক অনেক সময় বন্ধুর মতো হয়ে যায়। এতে একজন আরেকজনকে নাম ধরে ডাকাও শুরু করেন অনেকসময়। অনেকেই আবার স্বামীকে নাম ধরে ডাকা নিয়ে অনেক মন্তব্য করেন।স্বামীর নাম ধরে ডাকার বিষয়টি নির্ভর করে দেশীয় সংস্কৃতি ও রেওয়াজের ওপর। বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলে সাধারণত স্বামীর নাম ধরে ডাকাকে অসম্মানজনক ও বেয়াদবি মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা হলো, রেওয়াজ থাকলে এবং প্রয়োজন হলে যে কোনো সময় স্বামীর নাম উচ্চারণ করা যাবে।এ সম্পর্কে ফাতাওয়া শামিতে বর্ণিত আছে, ছেলে কর্তৃক তার বাবাকে এবং স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামীকে নাম ধরে ডাকা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। ইবনে আবেদিন শামি (রহ.) ওই বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘বরং এমন শব্দের মাধ্যমে ডাকা উচিত- যেটা সম্মান বোঝাবে। যেমন- হে আমার সর্দার, অমুকের বাবা ইত্যাদি অথবা সম্মানসূচক পেশার সঙ্গে সংযুক্ত করে ডাকবে। যেমন- ইমাম সাহেব, ডাক্তার সাহেব ইত্যাদি)। কেননা বাবা ও স্বামী- তাদের উভয়ের হক একটু বেশি। (রাদ্দুল মুহতার আলাদ দুররিল মুখতার : ০৬/৪১৮)ইবরাহিম (আ.) যখন তার স্ত্রী হাজেরা এবং শিশুপুত্র ইসমাঈলকে মক্কার জনমানবহীন প্রান্তরে রেখে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে তার স্ত্রী তাকে এভাবে ডাকেন—হে ইবরাহিম! পুরো ঘটনা সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে আছে—ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইবরাহিম (আ.) ও তার স্ত্রী (সারার) মধ্যে যা হওয়ার তা হয়ে গেল, তখন ইবরাহিম (আ.) (শিশুপুত্র) ইসমাঈল ও তার মাকে নিয়ে বের হলেন। তাদের সঙ্গে একটি থলে ছিল, যাতে পানি ছিল।ইসমাঈল (আ.)-এর মা মশক থেকে পানি পান করতেন। ফলে শিশুর জন্য তার স্তনে দুধ বাড়তে থাকে। অবশেষে ইবরাহিম (আ.) মক্কায় পৌঁছে হাজেরাকে একটি বিরাট গাছের নিচে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। অতঃপর ইবরাহিম (আ.) নিজ পরিবারের (সারার) কাছে ফিরে চললেন। তখন ইসমাঈল (আ.)-এর মা কিছু দূর পর্যন্ত তাকে অনুসরণ করেন। অবশেষে যখন কাদা নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন তিনি পেছন থেকে ডেকে বলেন, হে ইবরাহিম! আপনি আমাদের কার কাছে রেখে যাচ্ছেন? ইবরাহিম (আ.) বলেন, আল্লাহর কাছে। হাজেরা (আ.) বলেন, আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩৬৫)ভোরের আকাশ//হ.র
মানুষের জীবনে মৃত্যু এক অবধারিত ও অনস্বীকার্য সত্য। কিন্তু মৃত্যুর মুহূর্তে মানুষ কী অনুভব করে? ইসলামিক বর্ণনায় এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানা যায়, মুমিন ও অমুসলিম বা পাপীর মৃত্যুর সময়কার অভিজ্ঞতা একেবারে ভিন্ন।মুমিনের মৃত্যু, শান্ত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত: বারা ইবনে আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, একজন মুমিন ব্যক্তি মৃত্যুর সময় যখন আল্লাহর সাক্ষাতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে থাকে, তখন আকাশ থেকে শুভ্র ও উজ্জ্বল চেহারার ফেরেশতারা জান্নাতের সুগন্ধি ও কাফন নিয়ে নেমে আসেন।মালাকুল মাওত তখন বলেন, ‘হে প্রশান্ত আত্মা! আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টির দিকে বেরিয়ে এসো।’ তখন তার আত্মা শরীর থেকে পানির ফোঁটার মতো সহজে বের হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৫৫৭)পাপীর মৃত্যু—যন্ত্রণাদায়ক ও ভয়ংকর: অন্যদিকে বদকার বা পাপী ব্যক্তির মৃত্যু হয় কঠিন ও কষ্টকর। কালো মুখাবয়বের ফেরেশতারা এসে বলেন, ‘হে অপবিত্র আত্মা! আল্লাহর গজব ও ক্রোধের দিকে বের হয়ে আয়।’ তখন তার আত্মা ছটফট করতে করতে কষ্টে বের হয়।মৃত্যুর পর রুহ কোথায় যায়?হাদিসে এসেছে, মানুষ মারা যাওয়ার পর সকাল-সন্ধ্যায় তার পরকালের গন্তব্যস্থান তার সামনে তুলে ধরা হয়। সহিহ বুখারির হাদিসে (৩২৪০) বর্ণিত, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, “যদি মৃত জান্নাতবাসী হয়, তবে তাকে জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়, আর যদি জাহান্নামবাসী হয়, তবে তাকে জাহান্নামের বাসস্থান দেখানো হয়।”কোরআনের বক্তব্য: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমাদের সকলকে তোমাদের কর্মের পুরোপুরি প্রতিদান কিয়ামতের দিনই দেওয়া হবে। অতঃপর যাকেই জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই প্রকৃত সফল।’(সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৫)আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "ভালো ও নেক কাজ খারাপ মৃত্যু থেকে রক্ষা করে, গোপনে দান আল্লাহর ক্রোধ নিবারণ করে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক আয়ু বাড়ায়।" (তাবরানি কাবির: ৮০১৪)মৃত্যু নিশ্চিত, তবে জান্নাতের চিরসুখের ঠিকানা অর্জনের জন্য জীবদ্দশাতেই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এর জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ইবাদত, নেক আমল এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রচেষ্টা।ভোরের আকাশ//হ.র
বর্তমান সময়ে খুন-হত্যা যেন এক ভয়াবহ ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেশী শক্তি দেখিয়ে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। এমনকি স্বার্থের দ্বন্দ্বে অন্ধ হয়ে অনেকেই খুন করার জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করছে, যা সমাজে এক ভয়ঙ্কর বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।এই নিষ্ঠুর প্রবণতার বিপরীতে সমাজে কিছু মানুষ আছেন যারা অন্যের জীবন রক্ষা করতে নিজেকে বিলিয়ে দেন। তারা কারও রক্ত দেখে আনন্দ পান না, বরং কারও প্রাণ রক্ষা করাকে নিজের জীবন থেকেও বড় মনে করেন। এ ধরনের মানুষের প্রশংসা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই করেছেন পবিত্র কোরআনে।সুরা মায়েদার ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “এই কারণেই আমি বনী ইসরাঈলের ওপর নির্দেশ দিয়েছি, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে, সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করল। আর যে একজন প্রাণ বাঁচাল, সে যেন গোটা মানবজাতির প্রাণ রক্ষা করল।” (সুরা মায়েদা, আয়াত ৩২)তাফসিরকারকদের ব্যাখ্যায় জানা যায়, এ আয়াতে যে ‘প্রাণ রক্ষা’ বলা হয়েছে তা বোঝায়— কোনো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা না করা, বরং তাকে নিরাপত্তা দেওয়া। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, “আল্লাহ যাদের হত্যা করা হারাম করেছেন, সেই ধরনের মানুষকে হত্যা না করাই জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া। এতে পুরো মানবজাতির জন্য বাঁচার সুযোগ তৈরি হয়।” (তাবারী)শুধু কোরআনেই নয়, হাদিসেও রয়েছে এমন মহৎ কাজের অসাধারণ মর্যাদা।হজরত সাঈদ ইবনে জায়দ (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি নিজের মাল রক্ষায় যুদ্ধ করে মারা যায়, সে শহীদ। যে পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে মারা যায়, সেও শহীদ। যে তার দ্বিন রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সেও শহীদ। আর যে নিজ প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সেও শহীদ।” (নাসায়ি, হাদিস : ৪০৯৫)এই আয়াত ও হাদিসের আলোকে স্পষ্ট, যারা অন্যায় থেকে বিরত থাকে এবং অন্যের জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসে, তারা শুধু একজন মানুষের নয়, বরং পুরো মানবতার রক্ষক হিসেবে গণ্য হন।বর্তমান সমাজে এমন সহানুভূতিশীল ও মানবিক মানুষ দরকার, যারা অন্যের প্রাণ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে—কারণ এক প্রাণ রক্ষা মানেই যেন পুরো মানবজাতির রক্ষা।ভোরের আকাশ//হ.র
শৈশবেই মা-বাবা পৃথিবীর আলো-বাতাস ছেড়ে চলে যাওয়া শিশুরা জান্নাতে হজরত ইবরাহিম (আ.) সঙ্গে থাকে। পৃথিবীতে বন্ধু-ভাই-বোনের সঙ্গে খেলা করতে না পারলেও তারা জান্নাতের বাগানে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আশপাশে থেকে খেলা করে।হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের স্বপ্নের বর্ণনায় বলেছেন—‘আমরা চলতে চলতে একটা সবুজ শ্যামল বাগানে এসে পৌঁছলাম, যেখানে বসন্তের বিচিত্র রকম ফুলের সমাহার রয়েছে। সে বাগানের মাঝে দীর্ঘকায় একজন পুরুষকে দেখলাম। তবে তার মাথা যেন আমি দেখতেই পাচ্ছিলাম না। তার চতুর্পাশে এত বিপুল সংখ্যক বালক-বালিকা দেখলাম যে, এত বেশি আর কখনও আমি দেখিনি।আমি ফেরেশতাদের বললাম, উনি কে? আমাকে বলা হলো, ইনি ইবরাহিম (আ.) আর তার আশপাশের বালক-বালিকারা হলো ওই সব শিশু, যারা ফিতরাতের (শৈশবের নিষ্পাপ অবস্থা) ওপর মৃত্যুবরণ করেছে।’ (বুখারি : ৪২৯)।অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মৃত শিশুরা জান্নাতের একটি পাহাড়ে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার স্ত্রী সারার (আ.) তত্ত্বাবধানে থাকে। কেয়ামতের দিন তারা ওই শিশুদের তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেবেন।আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—মুমিনদের শিশু সন্তানরা জান্নাতে একটি পাহাড়ে থাকবে, যেখানে ইবরাহিম (আ.) ও সারাহ (আ.) তাদের লালন-পালন করবেন কেয়ামতের তারা তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। (মুসনাদে আহমদ)এই বালক-বালিকারা তাদের মা-বাবার জান্নাতে প্রবেশের কারণ হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মৃত শিশুরা মা-বাবার জন্য রহমত বয়ে আনে। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন—আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যেকোনো মুসলিম ব্যক্তির এমন তিনটি (সন্তান) মারা যাবে, যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি, আল্লাহ তাদের প্রতি বিশেষ রহমতে তাদের মা-বাবাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (বুখারি, হাদিস : ১৩৮১)আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি—‘শিশু (অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী) মুসলিম সন্তানেরা জান্নাতের ‘শিশু খাদেম’ হবে। তারা তাদের মাতা-পিতাকে পেলে কাপড় ধরে টেনে জান্নাতে না নেওয়া পর্যন্ত ছাড়বে না।’ (মেশকাত, হাদিস : ১৭৫২)ভোরের আকাশ//হ.র