জুলাইয়ে বিপ্লবের পাশে ক্রিকেট ইতিহাস
রাজীব দাস
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫ ১০:০৯ পিএম
সংগৃহীত ছবি
আহমেদ ডানিয়েলকে আউট করলেন মোস্তাফিজ। মাত্র ৮ রানে সাবেক বিশ^কাট চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ জিতলো টাইগাররা। জুলাইয়ে বিপ্লবের সঙ্গে ক্রিকেট ইতিহাস গড়লেন টাইগাররা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে পাকিস্তান ১৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয়লাভ করে ৭ উইকেটে।
স্বল্প রান তাড়াতেও পাকিস্তানের ইনিংস শুরুতেই ধসে পড়ে। ১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৭ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে সফরকারীরা। এখনো দরকার ৭৮ বলে ১১৪ রান, কিন্তু উইকেট যেন একের পর এক গলে পড়ছে বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে। শুরুর ওভারেই রান আউট, এরপর ধাক্কা দেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। ফখর জামানকে ৮ রানে কট বিহাইন্ড করান এবং তার আগেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ হারিসকে।
এরপর তানজিম হাসান সাকিব নামলেন আগুন হয়ে। এক ওভারেই তুলে নেন হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজের উইকেট- দুজনই রানের খাতা খোলার আগেই ফেরত। অধিনায়ক সালমান আগা ২৩ বলে ৯ রান করে আউট হন। খুশদিল শাহ ১৩, আব্বাস আফ্রিদি ১৯ রানে ফিরে যান। ফাহিম আশরাফ দারুন ব্যাটিং করে ৫১ রান করেন। বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো। শরীফুল ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। তানজিম ২৩ রানে শিকার করেন ২টি মূল্যবান উইকেট। মেহেদি হাসান ২৫ রানে ২টি উইকেট পান। রিশাদ পেয়েছেন ১ উইকেট।
এর আগে, বোলিং সহায়ক উইকেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেখ মেহেদি ও জাকের আলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। জাকের এদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটির দেখাও। তাতে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ইনফর্ম তানজিদ তামিমকে বিশ্রাম দিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল নাঈম শেখকে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না এই ওপেনার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফাহিম আশরাফকে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বল খেলে ৩ রান করেছেন নাঈম। তিনে নেমে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন লিটন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন। তাতেই যেন বিপদ ডেকে আনেন। সালমান মির্জাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি।
ব্যর্থ হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়ও। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। পারভেজ ইমনের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রানের খাতা খুলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। হৃদয়ের আউটে কিছুটা হলেও দায় ছিল ইমনের, তাই বাড়তি দায়িত্ব ছিল তার ওপর। কিন্তু উল্টো দলের চাপ বাড়িয়ে পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ইমন। ১৪ বলে ১৩ রান করেছেন তিনি।
২৮ রানে চার উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন শেখ মেহেদি ও জাকের আলি। বিশেষ করে শেখ মেহেদি দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য সমালচিত হওয়া এই ব্যাটার কাল দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ২৫ বলে ৩৩ রান করে মেহেদি ফিরলে ভাঙে ৫৩ রানের জুটি। শামীম হোসেন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেনরা দ্রুত ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করেছেন জাকের। ৪৬ বলে স্পর্শ করেছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। সবমিলিয়ে ৪৮ বলে করেছেন ৫৫ রান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ