শ্রীলঙ্কায় বাস খাদে পড়ে নিহত ১৫
শ্রীলঙ্কার পাহাড়ি অঞ্চল কোটমালেতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। নিহত এবং আহতরা সবাই বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী ছিলেন। রোববার (১১ মে) এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, বাসটি ছিল সরকারি এবং যাত্রীরা সবাই ছিলেন বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী। রোববার ভোরে বাসটি শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কাতারাগামা থেকে মধ্যাঞ্চলীয় শহর কুরুনেগালার দিকে রওনা হয়েছিল। পথে পার্বত্য অঞ্চল কোটেমালের পাহাড়ি সড়কে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায় বাসটি। এছাড়া বাসটি তার ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিল বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বাসটির মোট যাত্রীধারণ ক্ষমতা ছিল ৫০ জন, কিন্তু দুর্ঘটনার সময় সেখানে মোট যাত্রী ছিলেন প্রায় ৭০ জন।
এএফপিকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দু’টি কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে হয় বাসটিতে ত্রুটি ছিল, অথবা চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, কোনও উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর (পলিটিক্যাল স্পেস) সঙ্কুচিত হয়ে আসছে তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বোধ করছে। আমরা বাংলাদেশে অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে জোরালো সমর্থন জানাই।এর আগে, গত শনিবার শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ওই দিন রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বৈঠক শেষে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামি লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।পরে সোমবার বিকেলের দিকে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।ভারতের টার্গেট ছিল, কোনোভাবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হবে। তবে ছাত্র-জনতার চাপের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করায় আওয়ামী লীগের পক্ষে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেল। বিষয়টি ভারতকে চরমভাবে হতাশ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।প্রসঙ্গত, গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ভারত সে দেশে যত দ্রুত সম্ভব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। সূত্র: বিবিসি ভোরের আকাশ/এসআই
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখনো কমেনি। যার ফলে আজও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ৮টি শহরের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে ভারতের উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো।মঙ্গলবার (১৩ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স মঙ্গলবার সাতটি সীমান্তবর্তী শহরে তাদের ফ্লাইট বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। এই শহরগুলো হলো শ্রীনগর, জম্মু, আমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, জোধপুর এবং রাজকোট। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা জম্মু, লেহ, জোধপুর, আমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে ও তাদের দিকে যাওয়া ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইন্ডিগোও জম্মু, আমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, শ্রীনগর এবং রাজকোটের ফ্লাইট বাতিল করেছে।এর আগে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার, তবে সোমবার থেকই ওই সব বিমানবন্দরই আবার চালু করে দেওয়া হয়েছিল।মূলত যেসব বিমানবন্দর সোমবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যেই রয়েছে সেইসব বিমানবন্দরও যেখানকার বিমান বাতিল করার কথা জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ১১ জন সেনা সদস্য এবং ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৭৮ সেনা। মঙ্গলবার (১৩ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা হতাহতের সর্বশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে নিন্দনীয় কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে।আইএসপিআর বলছে, ‘এই বর্বর হামলায় ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৭ জন নারী এবং ১৫ জন শিশু। এ ছাড়া আরও ১২১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ১০ জন নারী এবং ২৭ জন শিশু।’ এই ভয়াবহ আগ্রাসনের জবাবে পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং জানিয়েছে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী মারকা-ই-হকের পতাকাতলে দৃঢ় প্রতিশোধ গ্রহণ করেছে। অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুসের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট এবং উন্নত প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে তাদের বাহিনী।বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মোট ১১ জন সদস্য অনুকরণীয় বীরত্বের সাথে মাতৃভূমি রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন এবং ৭৮ জন আহত হন। জানা গেছে, নিহত সেনারা সবাই ১০ মে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে আইএসপিআর।পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিহতরা হলেন: নায়েক আব্দুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লাহ, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহী মুহাম্মদ আদিল আকবর, সিপাহী নিসার। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর নিহত সদস্যরা হলেন: স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, প্রধান টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক, সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।আইএসপিআর জানিয়েছে, শহীদদের মহৎ আত্মত্যাগ সাহস, নিষ্ঠা এবং অটল দেশপ্রেমের এক স্থায়ী প্রতীক - যা জাতির স্মৃতিতে চিরকাল খোদাই করা আছে। এর আগে রোববার (১১ মে) এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে তাদের পাঁচজন সৈন্যকে হারিয়েছে তারা।পেহেলগামের হামলার পর ভারতের অভিযোগের তীর ছিল পাকিস্তানের দিকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযান চালায় ভারত। এরপর পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা, সীমান্তে গোলাগুলি এবং বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় থামে দু’দেশের মধ্যকার সংঘাতময় পরিস্থিতি।ভোরের আকাশ/আজাসা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তিন দিনের সফর হিসেবে প্রথম সৌদিতে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।খবরে বলা হয়েছে, রিয়াদে টারম্যাক বিমানবন্দরে ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও যুবরাজ সালমানকে বেগুনি কার্পেটে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।ট্রাম্পের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ড্যান স্কাভিনো ও সফরসঙ্গী সংবাদকর্মীদের বরাতে জানা গেছে, এয়ার ফোর্স ওয়ান-কে সৌদি আরবের এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো আকাশে নিরাপত্তা দিয়ে রিয়াদে নিয়ে এসেছে। রাষ্ট্রীয় সফরের জাঁকজমক ইতোমধ্যেই রিয়াদের রাজপথজুড়ে স্পষ্ট। বিমানবন্দর থেকে শহরের কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে। ট্রাম্প একটি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিনিয়োগ ফোরামে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ধনকুবের স্পেসএক্স ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা।এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ঐতিহাসিক ও ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ‘দিরইয়াহ’ এবং ‘আত-তুরাইফ’ ঘুরে দেখবেন। দিনশেষে যুবরাজের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ