আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫ ০৯:৪৫ এএম
এবার পাকিস্তানের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা থামছে না। সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা অব্যাহত আছে। গতকাল বুধবার ভারত সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তানি বিমান আর ঢুকতে পারবে না ভারতের আকাশসীমায়। সামরিক বিমান তো বটেই, পাকিস্তান রেজিস্টার্ড, পরিচালিত বা লিজ নেওয়া বাণিজ্যিক বিমানগুলির জন্যও ভারতের দরজা আপাতত বন্ধ।যা আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে।
সূত্রের খবর, পহেলগাঁও ঘটনার পর ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছে ইসলামাবাদ। ভারত যেকোনো দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যে পাকিস্তান একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে। আকাশসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধ আছেই, ভারতের আকাশসীমা দিয়ে কোনও বিদেশি বিমানও যদি পাকিস্তানে প্রবেশ করে, তাতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাকিস্তানি আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব বিমান বুধবার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আপাতত পাকিস্তানের বিমানগুলি ভারতের আকাশসীমা এড়িয়েই চলছিল। কিন্তু বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত তাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। এখন চাইলেও কোনও পাকিস্তানি বিমান ভারতের আকাশে প্রবেশ করতে পারবে না।
মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান ভারতের উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বার ইসলামাবাদকে সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ ওই বিমানগুলিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছোতে হবে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে বেশি। ফলে খরচ বাড়বে। সময় বেশি লাগবে। বাড়তে পারে টিকিটের দামও। পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় ভারতের অনেক বিমানকেও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।
পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার পর পাকিস্তান এবং ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হয়ে চলেছে ক্রমশ। দুই দেশকেই ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ খুঁজতে বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না-হয়, তার বন্দোবস্ত করতে বলেছে আমেরিকা।
অন্য দেশগুলিকেও ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিয়ে একই বার্তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পহেলগাঁও ঘটনার পর তারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সমালোচনা করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। দুই দেশকে ‘শান্ত’ করতে যখন উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা, তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের আরও এক পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ঘন্টা আগে
আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
এবার পাকিস্তানের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা থামছে না। সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা অব্যাহত আছে। গতকাল বুধবার ভারত সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তানি বিমান আর ঢুকতে পারবে না ভারতের আকাশসীমায়। সামরিক বিমান তো বটেই, পাকিস্তান রেজিস্টার্ড, পরিচালিত বা লিজ নেওয়া বাণিজ্যিক বিমানগুলির জন্যও ভারতের দরজা আপাতত বন্ধ।যা আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে।
সূত্রের খবর, পহেলগাঁও ঘটনার পর ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছে ইসলামাবাদ। ভারত যেকোনো দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যে পাকিস্তান একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে। আকাশসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধ আছেই, ভারতের আকাশসীমা দিয়ে কোনও বিদেশি বিমানও যদি পাকিস্তানে প্রবেশ করে, তাতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাকিস্তানি আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব বিমান বুধবার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আপাতত পাকিস্তানের বিমানগুলি ভারতের আকাশসীমা এড়িয়েই চলছিল। কিন্তু বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত তাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। এখন চাইলেও কোনও পাকিস্তানি বিমান ভারতের আকাশে প্রবেশ করতে পারবে না।
মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান ভারতের উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বার ইসলামাবাদকে সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ ওই বিমানগুলিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছোতে হবে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে বেশি। ফলে খরচ বাড়বে। সময় বেশি লাগবে। বাড়তে পারে টিকিটের দামও। পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় ভারতের অনেক বিমানকেও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।
পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার পর পাকিস্তান এবং ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হয়ে চলেছে ক্রমশ। দুই দেশকেই ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ খুঁজতে বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না-হয়, তার বন্দোবস্ত করতে বলেছে আমেরিকা।
অন্য দেশগুলিকেও ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিয়ে একই বার্তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পহেলগাঁও ঘটনার পর তারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সমালোচনা করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। দুই দেশকে ‘শান্ত’ করতে যখন উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা, তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের আরও এক পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ