যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি আমদানিতে ২৫% শুল্কারোপ ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার গাড়ি আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিক অংশীদারদের পাল্টা ব্যবস্থা নিতে উৎসাহিত করবে। ফলে বাণিজযুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়বে।
ট্রাম্প বলেছেন, সর্বশেষ ঘোষিত এই শুল্ক আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এবং পরের দিন থেকে যানবাহন আমদানিকারী ব্যবসার ওপর শুল্ক আরোপ শুরু হবে। অন্যদিকে যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক মে মাসে বা তার পরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে শুল্কারোপের এই ঘোষণা দিয়ে মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপের ফলে গাড়ি শিল্পের “অসাধারণ প্রবৃদ্ধি” ঘটবে। একইসঙ্গে এটি যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগকে আরও উৎসাহিত করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গাড়ি উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে, দাম বৃদ্ধি পাবে এবং মিত্রদের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেবে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৮০ লাখ গাড়ি আমদানি করেছে, যা বাণিজ্যে প্রায় ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট গাড়ি বিক্রয়ের প্রায় অর্ধেক।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির শীর্ষ বিদেশি সরবরাহকারী হচ্ছে মেক্সিকো। তার পরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কানাডা এবং জার্মানি। ট্রাম্পের সর্বশেষ পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী গাড়ি বাণিজ্য এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে অনেক মার্কিন গাড়ি কোম্পানি মেক্সিকো এবং কানাডায়ও তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, যা এই তিন দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির শর্তাবলীর অধীনে প্রতিষ্ঠিত। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই আদেশ কেবল প্রস্তুত গাড়ির ক্ষেত্রেই নয়, গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যা প্রায়শই অন্যান্য দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সংযোজনের আগে পাঠানো হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ঈদের কোনো উৎসব নেই। সেখানে আছে শুধু কান্না, ক্ষুধা আর বোমার ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন নতুন করে প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ।বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের উৎসবের প্রস্তুতি নিলেও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এবার ঈদের কোনো আমেজ নেই। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও মানবিক সংকটের মধ্যে গাজাবাসী ঈদ পালন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত দখলদার দেশটির আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসও তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আপডেট করেছে। তাছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটা বা নতুন জামা-কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। আর অনেক পরিবার তো শুধু ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। রাফাহ, খান ইউনিস ও গাজা সিটির বাজারগুলোতে ঈদের কোনো বিশেষ প্রস্তুতিও দেখা যায়নি।জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মিসর সীমান্ত দিয়ে কিছু ত্রাণ পাঠানো হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অনেক মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা জানিয়েছেন, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও তা হবে সীমিত আকারে। গাজাবাসী এবার ঈদের নামাজ পড়বেন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বা উন্মুক্ত স্থানে।যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে গাজাবাসীর জন্য ঈদ আনন্দের বদলে বয়ে এনেছে শোক ও দুঃখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ির ওপর ছোট একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত হয়েছেন। তবে বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিনেসোটায় একটি বাড়ির ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। রোববার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসি।শনিবার আইওয়া থেকে মিনেসোটাগামী বিমানটি স্থানীয় সময় দুপুর ১২:২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং পরে মিনেসোটার ব্রুকলিন পার্কের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই আগুন ধরে যায়, তবে বাড়ির বাসিন্দাদের কেউ হতাহত হননি।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে ব্রুকলিন পার্ক ফায়ার সার্ভিসের প্রধান শন কনওয়ে বলেছেন, যাত্রীদের মধ্যে কেউ বেঁচে নেই। বাড়ির ভেতরে থাকা কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করার কখা ভাবছেন। দুর্ঘটনার কারণ এখনও অজানা। সংস্থাটি মিনেসোটার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তারা জানিয়েছে, রোববার তারা ঘটনাস্থলে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তদন্তকারীরা সেখানকার পরিস্থিতি নথিভুক্তকরণ এবং বিমানটি পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। এরপর বিমানটিকে আরও মূল্যায়নের জন্য একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি যে বাড়িতে বিধ্বস্ত হয়েছে তা আগুনে পুড়ে গেছে এবং স্থানীয় দমকল বিভাগের সদস্যরা সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সৌদি আরবসহ ১১টি মুসলিম দেশে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও বাহরাইনসহ ১১টি মুসলিম দেশে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এছাড়া মিসর, জর্ডান, সিরিয়া, ওমান, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪টি মুসলিম দেশে আগামীকাল সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।শনিবার (২৯ মার্চ) ১১টি দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সেগুলোতে আজ রোববার ঈদ হচ্ছে। আবার শাওয়ালের চাঁদ দেখা না গেলে কোনো কোনো দেশে মঙ্গলবারও ঈদ হবে।মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি দেশ শনিবার জানায়, তাদের দেশে চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে রোববার ঈদ হবে। তবে মিসর, সিরিয়া, মরক্কো, তিউনিশেয়া ও লিবিয়ার ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার ৩০ রমজান পালিত হবে।এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, তাদের দেশে সোমবার ঈদ উদযাপিত হবে। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ভারত, অস্ট্রেলিয়াতেও সোমবার ঈদ হবে।আজ রোববার যে ১১টি দেশ ঈদ উদযাপন করবে। দেশগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, তুরস্ক, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, সুদান, লেবানন (সুন্নি কর্তৃপক্ষ) ও ইরাক (কেবল কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার)।যে ১৪টি দেশ সোমবার ঈদ উদযাপন করবে। দেশেগুলো হচ্ছে- ওমান, মিসর, সিরিয়া, জর্ডান, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইরাক (সুন্নি ও শিয়া কর্তৃপক্ষ), তিউনিশিয়া ও লিবিয়া।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আরও ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছে গেছে। এছাড়া, গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।শনিবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মী ও উদ্ধার কর্মীরা গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছেন এবং তিনিও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন।এছাড়া, ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ৭০ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলের লাগাতার আক্রমণের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া উপত্যকাটির প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি আমদানিতে ২৫% শুল্কারোপ ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার গাড়ি আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিক অংশীদারদের পাল্টা ব্যবস্থা নিতে উৎসাহিত করবে। ফলে বাণিজযুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়বে।
ট্রাম্প বলেছেন, সর্বশেষ ঘোষিত এই শুল্ক আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এবং পরের দিন থেকে যানবাহন আমদানিকারী ব্যবসার ওপর শুল্ক আরোপ শুরু হবে। অন্যদিকে যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক মে মাসে বা তার পরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে শুল্কারোপের এই ঘোষণা দিয়ে মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপের ফলে গাড়ি শিল্পের “অসাধারণ প্রবৃদ্ধি” ঘটবে। একইসঙ্গে এটি যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগকে আরও উৎসাহিত করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গাড়ি উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে, দাম বৃদ্ধি পাবে এবং মিত্রদের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেবে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৮০ লাখ গাড়ি আমদানি করেছে, যা বাণিজ্যে প্রায় ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট গাড়ি বিক্রয়ের প্রায় অর্ধেক।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির শীর্ষ বিদেশি সরবরাহকারী হচ্ছে মেক্সিকো। তার পরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কানাডা এবং জার্মানি। ট্রাম্পের সর্বশেষ পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী গাড়ি বাণিজ্য এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে অনেক মার্কিন গাড়ি কোম্পানি মেক্সিকো এবং কানাডায়ও তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, যা এই তিন দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির শর্তাবলীর অধীনে প্রতিষ্ঠিত। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই আদেশ কেবল প্রস্তুত গাড়ির ক্ষেত্রেই নয়, গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যা প্রায়শই অন্যান্য দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সংযোজনের আগে পাঠানো হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ঈদের কোনো উৎসব নেই। সেখানে আছে শুধু কান্না, ক্ষুধা আর বোমার ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন নতুন করে প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ।বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের উৎসবের প্রস্তুতি নিলেও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এবার ঈদের কোনো আমেজ নেই। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও মানবিক সংকটের মধ্যে গাজাবাসী ঈদ পালন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত দখলদার দেশটির আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসও তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আপডেট করেছে। তাছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটা বা নতুন জামা-কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। আর অনেক পরিবার তো শুধু ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। রাফাহ, খান ইউনিস ও গাজা সিটির বাজারগুলোতে ঈদের কোনো বিশেষ প্রস্তুতিও দেখা যায়নি।জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মিসর সীমান্ত দিয়ে কিছু ত্রাণ পাঠানো হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অনেক মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা জানিয়েছেন, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও তা হবে সীমিত আকারে। গাজাবাসী এবার ঈদের নামাজ পড়বেন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বা উন্মুক্ত স্থানে।যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে গাজাবাসীর জন্য ঈদ আনন্দের বদলে বয়ে এনেছে শোক ও দুঃখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ির ওপর ছোট একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত হয়েছেন। তবে বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিনেসোটায় একটি বাড়ির ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। রোববার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসি।শনিবার আইওয়া থেকে মিনেসোটাগামী বিমানটি স্থানীয় সময় দুপুর ১২:২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং পরে মিনেসোটার ব্রুকলিন পার্কের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই আগুন ধরে যায়, তবে বাড়ির বাসিন্দাদের কেউ হতাহত হননি।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে ব্রুকলিন পার্ক ফায়ার সার্ভিসের প্রধান শন কনওয়ে বলেছেন, যাত্রীদের মধ্যে কেউ বেঁচে নেই। বাড়ির ভেতরে থাকা কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করার কখা ভাবছেন। দুর্ঘটনার কারণ এখনও অজানা। সংস্থাটি মিনেসোটার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তারা জানিয়েছে, রোববার তারা ঘটনাস্থলে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তদন্তকারীরা সেখানকার পরিস্থিতি নথিভুক্তকরণ এবং বিমানটি পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। এরপর বিমানটিকে আরও মূল্যায়নের জন্য একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি যে বাড়িতে বিধ্বস্ত হয়েছে তা আগুনে পুড়ে গেছে এবং স্থানীয় দমকল বিভাগের সদস্যরা সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সৌদি আরবসহ ১১টি মুসলিম দেশে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও বাহরাইনসহ ১১টি মুসলিম দেশে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এছাড়া মিসর, জর্ডান, সিরিয়া, ওমান, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪টি মুসলিম দেশে আগামীকাল সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।শনিবার (২৯ মার্চ) ১১টি দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সেগুলোতে আজ রোববার ঈদ হচ্ছে। আবার শাওয়ালের চাঁদ দেখা না গেলে কোনো কোনো দেশে মঙ্গলবারও ঈদ হবে।মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি দেশ শনিবার জানায়, তাদের দেশে চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে রোববার ঈদ হবে। তবে মিসর, সিরিয়া, মরক্কো, তিউনিশেয়া ও লিবিয়ার ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার ৩০ রমজান পালিত হবে।এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, তাদের দেশে সোমবার ঈদ উদযাপিত হবে। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ভারত, অস্ট্রেলিয়াতেও সোমবার ঈদ হবে।আজ রোববার যে ১১টি দেশ ঈদ উদযাপন করবে। দেশগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, তুরস্ক, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, সুদান, লেবানন (সুন্নি কর্তৃপক্ষ) ও ইরাক (কেবল কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার)।যে ১৪টি দেশ সোমবার ঈদ উদযাপন করবে। দেশেগুলো হচ্ছে- ওমান, মিসর, সিরিয়া, জর্ডান, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইরাক (সুন্নি ও শিয়া কর্তৃপক্ষ), তিউনিশিয়া ও লিবিয়া।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আরও ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছে গেছে। এছাড়া, গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।শনিবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মী ও উদ্ধার কর্মীরা গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছেন এবং তিনিও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন।এছাড়া, ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ৭০ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলের লাগাতার আক্রমণের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া উপত্যকাটির প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন