ভোরের আকাশ প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৪ এএম
চীনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে ইতি টানার বার্তা দিলেন ট্রাম্প
শুল্কযুদ্ধের উত্তাপ কমিয়ে আপাতত চীনের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, আমেরিকা চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কের হার অনেকটাই কমাতে’ পারে, তবে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন শুল্ক কখনোই শূন্য হবে না।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরপরই চাঙ্গা হয়ে ওঠে আমেরিকার শেয়ারবাজার। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক উত্তেজনার পর হঠাৎ করে এমন সহনশীল বার্তার ইঙ্গিতেই ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে ওয়াল স্ট্রিটের সূচক।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ধাপে ধাপে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে তা বর্তমানে ২৪৫ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন দেশের জন্য আরোপিত শুল্ক সাময়িকভাবে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হলেও চীনের জন্য সে ছাড় দেওয়া হয়নি।
ট্রাম্প বলছেন, এই সময়সীমার মধ্যে যারা আলোচনায় আগ্রহী, তাদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। কিন্তু চীন সে সুযোগ পায়নি। তারই পাল্টা হিসেবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার আমেরিকার পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ আরোপ করেছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ট্রাম্প বলেন, ১৪৫ শতাংশ শুল্ক অনেকটাই বেশি হয়ে যাচ্ছে। সেটি আমরা যথেষ্ট কমিয়ে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে আসব, যা আগের মতো ভারী হবে না। তবে একেবারে শূন্যও হবে না।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটাও পরিষ্কার করে দেন যে, চীন শুল্ক আরোপ ও অর্থনৈতিক সমঝোতার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার ওপরই ভবিষ্যতের পুরো শুল্কনীতি নির্ভর করবে।
এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন ট্রাম্প শান্তিপূর্ণ আলোচনার সুযোগ উন্মুক্ত রাখছেন, অন্যদিকে তিনি কৌশলে নিজের অবস্থান শক্ত করে রাখছেন, যাতে প্রয়োজন হলে আবারও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মূলত মার্কিন অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অবস্থান মজবুত রাখতে নেওয়া একটি কৌশলী পদক্ষেপ, যার প্রভাব বৈশ্বিক বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদে পড়তে পারে।
ভোরের আকাশ/এসআই
ভোরের আকাশ প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৯ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৯ ঘন্টা আগে
চীনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে ইতি টানার বার্তা দিলেন ট্রাম্প
শুল্কযুদ্ধের উত্তাপ কমিয়ে আপাতত চীনের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, আমেরিকা চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কের হার অনেকটাই কমাতে’ পারে, তবে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন শুল্ক কখনোই শূন্য হবে না।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরপরই চাঙ্গা হয়ে ওঠে আমেরিকার শেয়ারবাজার। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক উত্তেজনার পর হঠাৎ করে এমন সহনশীল বার্তার ইঙ্গিতেই ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে ওয়াল স্ট্রিটের সূচক।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ধাপে ধাপে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে তা বর্তমানে ২৪৫ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন দেশের জন্য আরোপিত শুল্ক সাময়িকভাবে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হলেও চীনের জন্য সে ছাড় দেওয়া হয়নি।
ট্রাম্প বলছেন, এই সময়সীমার মধ্যে যারা আলোচনায় আগ্রহী, তাদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। কিন্তু চীন সে সুযোগ পায়নি। তারই পাল্টা হিসেবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার আমেরিকার পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ আরোপ করেছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ট্রাম্প বলেন, ১৪৫ শতাংশ শুল্ক অনেকটাই বেশি হয়ে যাচ্ছে। সেটি আমরা যথেষ্ট কমিয়ে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে আসব, যা আগের মতো ভারী হবে না। তবে একেবারে শূন্যও হবে না।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটাও পরিষ্কার করে দেন যে, চীন শুল্ক আরোপ ও অর্থনৈতিক সমঝোতার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার ওপরই ভবিষ্যতের পুরো শুল্কনীতি নির্ভর করবে।
এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন ট্রাম্প শান্তিপূর্ণ আলোচনার সুযোগ উন্মুক্ত রাখছেন, অন্যদিকে তিনি কৌশলে নিজের অবস্থান শক্ত করে রাখছেন, যাতে প্রয়োজন হলে আবারও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মূলত মার্কিন অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অবস্থান মজবুত রাখতে নেওয়া একটি কৌশলী পদক্ষেপ, যার প্রভাব বৈশ্বিক বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদে পড়তে পারে।
ভোরের আকাশ/এসআই