‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি অস্বাভাবিক নয়’
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অস্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।আইন উপদেষ্টা বলেন, একটা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বা বিপ্লব পরবর্তীতে সমাজে বিভিন্ন রকমের অস্থিরতা থাকে। এই সমস্ত অস্থিরতার প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে মাঝে মাঝে অবনতি ঘটে সেটা যতই দুঃখজনক হোক, হতাশাজনক হোক, এটা অস্বাভাবিক বলে মনে করি না।আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত এক বছরে আমাদের দেশে মাঝে মাঝে বেশ অবনতি হয়েছে, আবার ভালো হয়েছে। আমরা এমন পরিস্থিতি আগে সামলেছি আবার ভালো হয়ে গেছে, আবারও ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।’এদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে কিছু রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশকে অস্থির করেছে বলে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘এই অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এর চেয়ে জঘন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমরা দেখিনি। প্রতিদিন আমাদের জান হাতে নিয়ে বের হতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘পুরো বছরটা জুড়ে যখন শ্রমিক, তথ্য আপা, ইবতেদায়ি মাদরাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে তখন কিন্তু কাউকে আমরা কথা বলতে দেখিনি। এখন যেহেতু সরকারের উপদেষ্টারা নিন্দা জানাচ্ছেন যেখানে তাদের দায় হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা। সেটা করতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতার দায় তাদের নিতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলছে। এই অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এর চেয়ে জঘন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমরা দেখিনি। প্রতিদিন আমাদের জান হাতে নিয়ে বের হতে হচ্ছে।’অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘এমন নাজুক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভেতরে আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কিত হয়ে উঠেছি। অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে মানুষের ক্ষোভ নানাভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এখন কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখন শান্তির সময়, নির্মাণের সময়।’ভোরের আকাশ/এসএইচ