এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা ও ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার দাবিতে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষক-কর্মচারীরা শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন। একই সঙ্গে গত রোববার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।শিক্ষকরা জানান, তারা নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকছেন, তবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না এবং পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।ইন্দুরকানী উপজেলার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি কলেজ ও ১৭টি মাদরাসায় এ কর্মবিরতি চলমান রয়েছে। শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অসংখ্য পোস্ট দিচ্ছেন।এ বিষয়ে ইন্দুরকানী শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের সভাপতি আহসানুল ছগির বলেন, “শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি—বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।”কর্মবিরতির কারণে উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হলেও শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৪:০১ পিএম
শিক্ষকরা মর্যাদা না পেলে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়: নুর
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, শিক্ষকরা মর্যাদা না পেলে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়। একই সঙ্গে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি মেনে নিতে হবে। এক ফেসবুক পোস্টে এ আহ্বান জানান নুর।প্রশ্ন রেখে পোস্টে নুর লিখেছেন, ‘শিক্ষকরা মর্যাদা না পেলে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি গঠন কিভাবে হবে? এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া যৌক্তিক, সরকারকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শিক্ষকরা যেন মর্যাদার সঙ্গে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারে, সেভাবে বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসসহ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার। শিক্ষকরা মর্যাদা না পেলে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়।’উল্লেখ্য, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তারা ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৫৪ পিএম
আন্দোলনরত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। আজ দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।সোমবার বিকেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন বা ঘোষণা না এলে লং মার্চসহ পরবর্তী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।তিনি জানান, আমাদের কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না।গত রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।এছাড়া বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়েও প্রতিবাদ করছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অসংখ্য পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।ভোরের আকাশ/তা.কা
বাড়িভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি এগিয়ে এনেছেন। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে সারা দেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করবেন শিক্ষকরা।মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা ও প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট।রোববার (১২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি।তিনি বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ স্বরূপ আগামীকাল সোমবার থেকেই দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।এর আগে রোববার সকাল থেকেই ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুপুরে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন।পরে দুপুরে প্রেস ক্লাব থেকে সরে গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকরা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৩৭ পিএম
সচিবালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রেসক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেট ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে, পাশাপাশি আনা হয়েছে পুলিশের জলকামান।বুধবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাব, কদম ফোয়ারা মোড়, শিক্ষা ভবন মোড় ও সচিবালয়ের সামনের আব্দুল গনি রোড ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করছেন সারা দেশে থেকে আসা শিক্ষকরা। তার অদূরে কদম ফোয়ারা মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডসহ কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন।এর অদূরেই শিক্ষা ভবন মোড়। সেখানে ব্যারিকেডসহ পুলিশের শতাধিক সদস্যকে দেখা গেছে। শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয়ের দিকের রাস্তায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে জলকামান, এপিসি কার। তার কিছুটা দূরে সচিবালয় লিংক রোডের দুই পাশে পুলিশের ব্যারিকেড ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। এই পথ দিয়ে সাধারণ কোনো মানুষকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক পুলিশ সদস্য বলেন, সচিবালয় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। কেউ চাইলেই সেখানে মিছিল নিয়ে, শত শত মানুষ নিয়ে যেতে পারে না। এই পথে কেউ মিছিল নিয়ে এলে তাকে আটকে দেওয়া হবে।এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটে’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছিল। তখন প্রতিশ্রুতি ছিল পরবর্তী মেয়াদে জাতীয়করণের। তবে আগের সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং বাজেটে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এজন্য জোট ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছিল, অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। অথচ আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।তিনি আরও বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আমরা একযোগে দাবি তুলে ধরব এবং প্রয়োজনে সচিবালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করব। এটা শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিক। যদি এবারও দাবি পূরণ না হয়, তবে আমরা আরও বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব।ভোরের আকাশ/এসএইচ