স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গনতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়া: মীর নেওয়াজ আলী
বিএনপি যুববিষয়ক সহ-সম্পাদক ও ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের নেত্রী ও সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলেন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি কেবল বিএনপির চেয়ারপারসন নন, গণতন্ত্রের জন্য লড়ে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবক হয়েছেন। তার দেখানো পথ ধরেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন।শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর পুরান ঢাকা জজকোর্ট এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্ভোধন পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় সকলের কাছে দোয়া এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মীর নেওয়াজ আলী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার। তারপরও গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার ও ভোটের মর্যাদার লড়াই করেছেন।তিনি আরও বলেন, আমরা জিয়া পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের হাতে যে সংগঠন গড়ে তুলেছেন, আমরা সেটি শক্তিশালী করতে চাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনোই কোনও স্বৈরাচারের সঙ্গে আপস করেননি, আর আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান সবসময় দেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে তিনি মিথ্যা মামলায় জর্জরিত ও নির্যাতিত হয়েছেন।বিএনপির এই যুববিষয়ক সহ-সম্পাদক বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে বিএনপির বহু নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, হত্যার শিকার হয়েছেন। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- তারা সম্মুখ সারিতে থেকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ বলেন, নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু ৭১ বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে পিআর পদ্ধতিতে ভোট চাচ্ছে। জনগণের বহু আকাক্সক্ষার নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে।তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি নয়, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট এদেশের ছাত্রজনতা জীবন দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, দেশের জনগণ তাদের রুখে দেবে। এর আগে, বিএনপির চেয়ারপারসন, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মিলাদসহ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয় রাজধানীর পুরান ঢাকায় জজকোর্ট প্রাঙ্গনে।২০ জনেরও বেশী ডাক্তারের সহযোগিতায় সকাল ৯ টায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, উক্ত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পটি উদ্ভোবন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুববিষয়ক সহ-সম্পাদক ও ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ।ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে যেসকল চিকিৎসা সেবা প্রদান দেওয়া হয়- মেডিসিন বিভাগ, চক্ষু বিভাগ, প্রসূতি স্ত্রী বিভাগ, নাক কান গলা বিভাগ, অর্থোপেডিক বিভাগ, নবজাতক শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ, পেইন ক্লিনিক ও অ্যানেস্হেসিয়া, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ও ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে প্রায় ৪০০ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পটি তত্ত্বাবধায়নে পরিচালনা করেন কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার আহাম্মেদ জজ, অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সদস্য ও চকবাজার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার পারভেজ বাদল, কোতোয়ালি থানা যুগ্ম আহ্বায়ক ছাত্রদল আবদুল আজিজ সাহাবুদ্দিন, লালবাগ থানা বিএনপি নেতা আরমান হোসেন বাদলসহ প্রমূখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ