ইরাকের একাধিক সামরিক ঘাঁটি ও বিমানবন্দরের কাছে হামলা
ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যে ইরাকের ইমাম আলী, বালাদ, তাজি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাজধানী বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছেও ড্রোন হামলার খবর মিলেছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে ইরাকের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।আল সুমারিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের ধি কার প্রদেশে অবস্থিত ইমাম আলী সামরিক ঘাঁটির রাডার সিস্টেম হামলা চালানো হয়েছে। ঘাঁটিটি প্রাদেশিক রাজধানী নাসিরিয়া শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।এছাড়া রাজধানী বাগদাদের উত্তরে সালাহউদ্দিন প্রদেশে অবস্থিত বালাদ সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে বলে কুর্দিস্তান২৪ চ্যানেল জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।ইরানের তাসনিম বার্তাসংস্থা জানায়, ঘাঁটির ভেতরে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একসময় এটি ছিল ইরাকে মার্কিন বাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘাঁটি।এর আগে, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তিনি এ সময় ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান। পরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে তাদের রাজি করাতে সমর্থ হন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। বরং যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পাননি এবং পাওয়ার কোনো কারণও দেখছেন না জানিয়ে ইরানি এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান স্থায়ী শান্তি অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। ভোরের আকাশ/এসএইচ